গল্পঘর

বাংলা গল্পের ভান্ডারে বৈচিত্রের শেষ নেই। দিকপাল সব লেখকেরা সেখানে অকাতরে দান করে গেছেন হাজারো মণি-মুক্তো। সমকালীন সময়ে এক একটি গল্প, বড় গল্প বা উপন্যাস যেমন আলোচনার ঝড় তুলেছে তেমনই কখনও কখনও কালের নিরিখে তা হয়ে উঠেছে অবশ্যপাঠ্য। এরমধ্যে বিখ্যাত সাহিত্যিক বা ঔপন্যাসিকের যেমন বিখ্যাত সৃষ্টি আছে তেমনই রয়েছে অখ্যাত লেখকের বিখ্যাত গল্পটিও। সময় যত এগোচ্ছে ততই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। লাইব্রেরিতে গিয়ে দু-মলাটের মধ্যে থাকা সেসব মণি মুক্তোর স্বাদ গ্রহনের সময় কোথায়? ইচ্ছে থাকলেও বই বাজারে গিয়ে বা প্রকাশকের ঘরে গিয়েও অনেক পেয়ে উঠতে পারেন না সেই কাক্ষিত গল্পটিকে। শুধুমাত্র পাঠকের কথা ভেবে, ভাল গল্প পড়ার আনন্দে আমরা গল্প ঘরে তুলে আনছি সেই রকমই কিছু গল্প। ফেলে আসা সময়ে লেখা কোনও ভাল গল্পের খোঁজ পেলে তার প্রকাশ সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে ই-মেলে তা পাঠিয়েও দিতে পারেন আমাদের। আমরা তা রেখে দেব গল্পঘরে। গল্প ঘর হয়ে উঠুক ভাল গল্পের সিন্দুক।


  • পেনে প্রীতি

    আমরা এখন টুরে ফিরিতেছি ; অর্থাৎ ঘুরে বেড়াইতেছি, বেদিয়া জাতির জীবন যাপন করিতেছি। আজ কোনো এক গ্রামপ্রান্তের বৃক্ষ ছায়া সঙ্কুল নিস্তব্ধ বিজন ক্ষেত্রস্থল আমাদিগের বস্ত্রাবাস মন্ডলী এবং সিপাই সান্ত্রী ভৃত্যাদিবর্গে পরিবৃত হইয়া জাগ্রত যমালয় হইয়া উঠিল, সেখানে আবেদন পত্রধারী গ্রাম্যলোকের দলে দলে সমাগম চলিল ; শুষ্ক বিবর্ণ চিন্তা–পীড়িত আসামী নীরব বেদনায়, ফরিয়াদীর ক্রোধ ও ঈর্ষাজনিত […]


  • ওঁ জয়দুর্গা

    [রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্র সিরিজের নবম খন্ডের অন্তর্গত বিচিত্র বিষয়ের চিঠিগুলির (২৬৪ টি) প্রাপক হেমন্তবালা দেবী, কিছু রবীন্দ্র অনুরাগীর পরিচিত হলেও সাধারণ বাঙালি পাঠকের কাছে অপরিচিতই। ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত কবির শেষ জীবনের অধ্যায়ে তিনি পত্রলেখার মাধ্যমে তাঁর স্নেহ সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। বহুবার তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে। হেমন্তবালা দেবী সম্পর্কে তাই আজও কৌতূহল রয়েছে বিদগ্ধ সমাজে। […]


  • নয়নচারা

    [সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের স্তম্ভপ্রতিম কথা সাহিত্যিক হিসেবে মানা হয়। সংখ্যার বিচারে তিনি লিখেছেন সামান্যই। দুটো গল্প গ্রন্থ, তিনটে উপন্যাস, তিনটে নাটক, অনুবাদ ও কিছু অগ্রন্থিত প্রবন্ধ– সমালোচনা–কবিতা–গল্পের মধেই সীমাবদ্ধ তাঁর সাহিত্যকীর্তি। কিন্তু নিজস্ব লেখনী। মানুষের ভেতরের মানুষকে তুলে আনার দক্ষতা ও ঐশ্বর্যই তাঁকে বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী কৃতীপুরুষ করেছে। ১৯৪৫ সালে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ […]


  • সিঁদুরচরণ

    [ রবীন্দ্র উত্তরকালে বাংলা কথাসাহিত্যে তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জন্ম ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর  হালিশহর-কাঁচড়াপাড়ার কাছাকাছি ঘোষপাড়া গ্রামে। প্রকৃত অর্থেই প্রকৃতি প্রেমিক ছিলেন বিভূতিভূষণ। জীবনে অসংখ্য ছোটোগল্প লিখেছেন পথের পাঁচালী,আরন্যক,ইছামতী ইত্যাদির স্রষ্টা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্প গ্রন্থ গুলির মধ্যে রয়েছে মেঘমল্লার,মৌরিফুল, জন্ম ও মৃত্যু ,বিধু মাস্টার, অসাধারণ, অনুসন্ধান, ছায়াছবি প্রভৃতি। সিঁদুরচরণ গল্পে এক গ্রাম্য […]


  • ডোমের চিতা

      রমেশ চন্দ্র সেন রমেশচন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৯৪ সালে পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার পিঞ্জরী গ্রামে। পেশা হিসেবে পূর্বপুরুষের আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকেই বেছে নিয়েছিলেন। প্রথম লেখা উপন্যাস ‘শতাব্দী’ প্রসঙ্গে লেখক জানিয়েছেন ‘উপন্যাসখানির  পান্ডুলিপি নিয়ে প্রথম প্রথম প্রকাশকের দরবারে উপস্থিত হয়েছিলাম। কেউ পড়ে আবার কেউ না পড়েই তা ফিরিয়ে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বহুদিন বই প্রকাশের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু […]


  • চতুর্থ পানিপথের যুদ্ধ

      সুবোধ ঘোষ বাংলাভাষার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের অন্যতম বলে অভিহিত করা হয় তাঁকে। মোট ছোটগল্পের সংখ্যা ১৫৭। প্রথম গল্প ‘অযান্তিক’ প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। অর্থের প্রয়োজনে জীবনে বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিযুক্ত হতে হয়েছিল তাঁকে। ভবিষ্যতের সাহিত্যজীবনে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছেন বহু গল্প – উপন্যাস। আত্মকথায় তিনি বলেছেন ‘আমার গল্প লেখার কৃতিত্বটা বিশুদ্ধ আকস্মিকতার একটা ইন্দ্রজাল নয়। […]


যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ