গল্প পড়ুন

এই মুহুর্তে বাংলা ভাষায় লেখালিখি করেছেন এমন গল্পকারের সংখ্যা কত? সত্যি বলতে কী ‘গল্পের সময়’ তা জানে না। কয়েকজন ব্যাক্তি ও কয়েকটি সংস্থা উদ্যোগ নিয়ে দুই বাংলায় লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের নথিভুক্তকরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তা কোনও ভাবেই সম্পূর্ন নয় বা হওয়া সম্ভব নয়। কারন প্রতিনিয়তই লেখালিখির জগতে আসছেন বহু মানুষ। ইন্টারনেটে বাংলা গল্পের ম্যাগাজিন করতে গিয়ে আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক লেখকই এখনও কম্পিউটার এড়িয়ে চলেন। কাগজ-কলমেই তাঁরা স্বচ্ছন্দ। চিরাচরিত ছাপা ম্যাগাজিন, লিটল ম্যাগ, শারদসংখ্যা বা সংবাদপত্রের সাময়িকীতেই তাঁরা লেখালিখি করেন। অন্যদিকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটে স্বচ্ছন্দ একদল লেখককুল রয়েছেন। তারা ফেসবুকে পোস্ট করছেন, ব্লগ বানাচ্ছেন, ই-ম্যাগাজিনেও লিখছেন। ‘গল্পের সময়’ এই দুই পক্ষকেই চায়। নবীন ও প্রবীন গল্পকারদের গল্প পড়ুন এই পাতায়।


  • অস্তু

    মাসে একবার এই শনিবারের কিটি পাৰ্টিটাতে  আসতে নন্দিতার বেশ ভালোই লাগে ! ঠিক করে বলতে গেলে আসবার জন্যে ও প্রায় মুখিয়ে থাকেই বলা যায় ! দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পাড়ার এই ‘ঘরোয়া’ নামের  আবাসনে ফ্ল্যাটভাড়া নিয়ে ওরা এসেছে মাসতিনেক হলো ! ওরা মানে নন্দিতা আর ওর স্বামী সুপ্রতিম ! তা আবাসনের নামটা যেমন ‘ঘরোয়া’ তেমনি মানুষগুলোও বেশ হাসিখুশী আর মিশুকে ! অন্তত নন্দিতার […]


  • গোঁফেশ্বরের জাদু

    গলায় গামছা লাগিয়ে একটা লোককে টেনে আনছে-গরু টানার মত। তার আসার মোটেই ইচ্ছে নেই। রীতিমত ছ্যাঁচড়াচ্ছে। কিন্তু, পেছনে ভেঙে পড়েছে হাটুরে সমস্ত লোক। হৈ হৈ শব্দ। যেন একটা বিজয় মিছিল! সকাল দশটা। থানার পাশেই বাজার। এমনিতেই এই সময় বাজারে যথেষ্ট লোকজনের সমাগম হয়। তার উপরে আজ হাটবার। সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে মানুষ সব এসে […]


  • ঘেরাও

    এ ঘটনা ষাটের দশকের শেষের দিকে । এ রাজ্যের কলকারখানায় তখন মাঝে মাঝেই চলছে ‘ ঘেরাও’ । শ্রমিক অসন্তোষ এবং দাবী আদায়ের এক নতুন অস্ত্র। কখনো জেনারেল ম্যানেজার , কখনো ডাইরেক্টর অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা যাদের কিছুটা আছে বেছে বেছে শুধু তাদের ওপরই এই অস্ত্রের প্রয়োগ চলছে । উত্তাল সময় । উচ্চপদের অফিসাররা তটস্থ । […]


  • ঋকের সেতু

    তাজপুরে পৌঁছাতে বেলা এগারোটা বেজে গেল। নন্দকুমার থেকে দীঘা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া হচ্ছে। তার জের। প্রচণ্ড জ্যাম। ভোর ছটায় বেরিয়েও লাভ হল না। আজকের দিনটাকে পুরোপুরি এনজয় করা গেল না, ঋক বেশ জোরেই কথাটা বলে ফেলল। কথাটা শুনেই তুলি বলল, কেন জারনিটা তো বেশ এনজয় করা গেছে – কোলাঘাটে অতক্ষণ ধরে টিফিন করার কি ছিল। […]


  • চুয়াল্লিশটি গোলাপ

    ১ খবরটা পড়েই আনমনা হয়ে গেলেন  অনিরুদ্ধ।  বিবাহিত জীবনে বিচ্ছেদের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। না পোষালে একসাথে থাকার কোনও যুক্তি নেই। কিন্তু তাই বলে এই বয়সে! এখন তো আরও বেশি করে একে অন্যকে আঁকড়ে ধরার সময়। খবরটা দুঃখ দিলেও অনিরুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থনের নেশাকে একটু তা দিয়ে দিল। তাঁর ও শাঁওলীর এতগুলো বছরের  সম্পর্কের স্মৃতি জমতে জমতে […]


  • পিং-পং

    সন চোদ্দোশো পঁচিশের  গ্রীষ্মসন্ধ্যা। পিয়ালী আর অনিন্দ্য নিমন্ত্রণরক্ষার জন্য প্রায় তৈরি। পিয়ালী আয়নার সামনে চুল আলতো জড়িয়ে ঘাড়ের ওপর তুলে ফ্রেঞ্চ নট বাঁধছে- দু এক গুছি রুপোলি  রেখা সিঁথির পাশে। অনিন্দ্য রেডি অনেকক্ষণ – তাড়া দিচ্ছে। পিয়ালী শাড়ি ঠিক করতে করতে বলল-‘এত কিসের  তাড়া!  যাচ্ছ তো হস্টেলের রুমমেটের বাড়ি, মানে আমাদের মতই বুড়ো আর বুড়ি।এক্স […]


  • ভালোবাসা কারে কয়

    রোদটা একটু পড়ে যেতেই মনীষা হাতড়ে হাতড়ে একটা চেয়ার টেনে এনে বসলো দোতলার ঝুল বারান্দাটায়। আগে আগে বেশ অসুবিধা হতো। সন্দীপ তখন সাহায্য করতো। হাত ধরে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসাতো। মনীষা চোখে দেখতে পায় না। সব সময় চোখে একটা কালো চশমা পরে থাকে। এক এক করে ৩৫টা বছর কেটে গেছে এভাবে। ওর এখন বয়স ৫০ […]


  • ক্যানসার

    এক এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীটা বড্ড ছোট আর গোল।  ওই ডাক্তারবাবুর সঙ্গে ঠিক দেখা হয়ে যাচ্ছে।  কোনভাবে আবিরার শ্বশুরবাড়িতে কথাটা জানাজানি হলে সমাজে মুখ দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে। লালা! মেরে গোপাল! রক্ষা করো। পরিবারের সম্মান তোমার হাতে! আজ বেশী করে লাড্ডু বানিয়েছেন আবিরার মা আশাদেবী। তার গোপালকে সন্তুষ্ট করার জন্য ঘুষ দিচ্ছেন। বিয়ের আগেই আবিরার একটা ভয়ানক […]


  • অচেনা অরণ্যে

    লাল রঙের ঝুঁটিওয়ালা মোরগটা সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। আসে পাশে তার সঙ্গী সাথী বাকি মোরগ মুরগিগুলি একটাও নেই। মোরগটা মাঠের এমাথা থেকে ওমাথা দৌড়াচ্ছে, বোধহয় মৃত্যুভয়ে। নিশ্চই বুঝতে পেরেছে যে ওর মৃত্যু আসন্ন। তুলনায় শক্তিশালী এবং উর্বর মস্তিষ্কের প্রাণী মানুষের উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য হতে চলেছে সে। ফাঁকা মাঠটার কোনার দিকে রয়েছে একটা খড়ের ছাউনি […]


  • গুড টাচ ব্যাড টাচ

    বালি স্টেশনে ব্যান্ডেল লোকালটা ঝমঝম করে ঢুকে পড়ে একটু স্থির হতেই, হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়ল সুরমারা। আর্য চেঁচিয়ে বলল সবাই উঠেছো তো? ওদিক থেকে মিতালি উত্তর করলো, হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা সবাই উঠেছি,তোমরা? আবির জিজ্ঞাসা করল,  মা কোথায়? রিঙ্কিতা তোমাদের ওখানে আছে তো? হাওড়া থেকে ছাড়া রাত্রি নটা ত্রিশের ব্যান্ডেল লোকাল বালি এল প্রায় দশটায়। ট্রেনে আজ […]


  • মুন্নারের সেই রাত

    গল্পটা আমি শুনেছিলাম আমার এক বন্ধু পৃথ্বীশের কাছে। সে আজ থেকে প্রায় বছর দশেক আগের কথা। পৃথ্বীশ সদ্য বিবাহিত তখন, কাছাকাছি সময়ে ওর আর এক বন্ধু, অরিত্রর ও বিয়ে হয়েছিল। পৃথ্বীশ-মৌমিতা আর অরিত্র-সোহিনী, দুই দম্পতি একসাথে বেড়াতে গেছিল কেরালা। মানুষের হনিমুনের মেয়াদ ঠিক কতদিন? জানা নেই বোধহয়,  হীরকরাজের গণৎকার এর মত বলা যায়, “যদ্দিন তদ্দিন”! […]


  • সামন্তবাড়ির পাখি

    [১] শীতের পড়ন্ত বেলা। বেলা প্রায় তিনটে। সোনার রঙের একটা আলো সামনে পেয়ারা,কৃষ্ণচূড়া আরও নানান সব ছোট-বড়  গাছের ফাঁক দিয়ে গলে এসে পরেছে শতবর্ষ পুরনো সামন্তবাড়ির আঙিনায়। নারায়ণ সামন্ত দাওয়ায় বসে এই বাড়ির দলিল আর প্ল্যান পর্যবেক্ষণে প্রচণ্ড ব্যস্ত। এমন সময় এসে হাজির তার জ্ঞাতিভাই হরিহর।  জ্ঞাতিভাই হলে কি হবে, দুজনের স্বভাবের মধ্যে বিশাল পার্থক্য। […]


  • আনন্দ নিকেতন

    আনন্দ নিকেতনে আজ খুশির হাওয়া সকাল থেকেই। প্রতিদিনের তুলনায় আজ সবার মনে একটু বেশি খুশি। আর এক সপ্তাহ বাদেই পুজো। অন্যদিন অনেকেই পাঁচটার সময়ে উঠে মাঠে মর্নিং ওয়াক করে। কিন্তু আজ সবাই মহালয়া শোনার তাগিদে ঘড়ি ধরে চারটে বাজতেই উঠে পড়েছে। প্রতিবার এই দিনটাতে জলখাবার খেতে খেতে হলঘরে বসে সবাই প্রি পুজো বৈঠক করে পুজোর […]


  • বুনোহাঁস

    ঠা-ঠা দুপুরে আমরা ধরেছি রানীহাঁস দিঘির পথ। আমি আর কল্পনাথ। কল্পনাথ আমার দূর সম্পর্কের জেঠতুতো ভাই। ওই বয়েসে, যারপরনাই বাউন্ডুলে। সব অর্থেই ভবঘুরে। চতুর্দিকে চষে বেড়ানোর যেসব গল্প শোনায়, কেমন জানি মনে হয়, এই ছোট্ট বয়েসেই না-হোক আধখানা দুনিয়া চক্কর মেরে ফেলেছে। জেঠারা থাকে গ্রামের অন্য প্রান্তে। কল্পনাথের সঙ্গে তাই রোজ দুবেলা দেখা হওয়ার উপায় […]


  • মানসের বোন

    হাঁটছিলাম। খান্না থেকে শ্যামবাজদার পাঁচমাথা কতোটুকুই আর পথ, সেখান থেকে বাসে উঠবো। পাঁচ মাথার মোড়ে গিয়ে রাস্তা পার হয়ে ওপারে বাস ধরবো, সিগন্যাল লাল হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, দেখি স্টার্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ট্যাক্সির দরজা খুলে একটা ছেলে উঠতে উঠতে ব্যস্তসমস্ত হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছে সিগন্যাল খোলা পেয়ে যেতে না পেরে পিছনের গাড়িগুলো হর্ন দিচ্ছে […]


  • হার্মাদ ও চাঁদ

    মহানন্দার বুকে চাঁদ ডুবকি লাগালে চন্দ্র দেবের চেহারাও কেমন একটু যেন বদলে যেতে থাকে। জিনস প্যান্ট, জিনস জ্যাকেটের অবশ্য এত কিছু দেখার সময় নেই। কাঁধে টাঙানো কাঁধঝোলা এই শীতের বাতাসে কেমন যেন একটু ঠকঠকিয়ে উঠতে আকাশে ঝোলা রোহিণীপতির মনে হলো, আরে বাপ রে বাপ, শীতের মহানন্দায় একটা রাতে যে সরাসর ডুব দিলাম, তাতে তো এতটুকুও […]


  • সাইবার ফাউন্ডেশন

    একটা থ্রি-কোয়ার্টার ফেডেড জিন্স আর স্লিভলেস টিশার্ট পরে সিটি সেন্টারের সামনের রাস্তাটা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বর্ষা। আজ বেশ গরম পড়েছে। দুপুরের পর তাই কলেজ কেটে কয়েকজন বন্ধুর সাথে সিটি সেন্টারে এসেছিলো সে। একটা এয়ার কন্ডিশনড রেস্তেরাঁতে বসে অনেকটা সময় কাটানোর পর এখন একা একা বাড়ি ফিরছে বর্ষা। এবছরই আঠারোয় পা দিয়েছে মিস্টার এন্ড মিসেস চ্যাটার্জির […]


  • পরিকাহিনি

    ১ পায়ে ধরে মাগি কইন্যা তোমার যৈবন।                                                   — ময়মনসিংহ গীতিকা। নেপেন বলল, সেই ফতিমা এখন জামালের সঙ্গে থাকছে। গণির কাছ এখবর চমকানোর মতই। ফতিমা যখন মল্লিকপাড়াতেই এক দূর সম্পর্কের এক নানীর বাড়ি ছিল, তখন অনেকেই ওকে বিয়ে করতে চায়। শেষে জামালকে নিকে করল ঐ আগুনে সুন্দরি। টাক মাথা জামাল সেখ। বাড়ির সামনে এক জামগাছের […]


  • ভাসমান রহস্য

            ধরণী কাকুর বয়স কত হবে এ ব্যাপারে আমাদের কোন আন্দাজ নেই । তবে সুদেব বলেছিল ওর দাদুর সাথে নাকি ধরণী কাকু এক সময় ফুটবল খেলত ! হতে পারে । তবে আজো ধরণী কাকুর যা চেহারার বাঁধন আর এক মাথা কালো ঝাঁকড়া চুল তা দেখলে তার বয়সের তল পাওয়া মুশকিল ! সে এক’শ বা দু’শ […]


  • আত্মজা

    এ গল্পের সময়কাল গত শতাব্দীর চতুর্থ দশকের মধ্যভাগে ! কিন্তু গল্প কেন বলছি এ তো সত্য ঘটনা…..আমার মায়ের মুখ থেকে শোনা ! আর মা ছিল অবিশ্বাস্য এই ঘটনার কুশীলব তিনজনের মধ্যে একজন….তাই বিশেষ জল্পনা কল্পনারও অবকাশ নেই ! রহস্যময় তথা ব্যাখ্যার অতীত এই কাহিনীর উৎপত্তি  পরাধীন ভারতের বিহারপ্রদেশের হাজারীবাগ জেলার ঝুমরী তিলাইয়াতে…..যা এখন ঝাড়খন্ড প্রদেশের কোডার্মা […]


  • ভূতের টেবিল চেয়ার

    গল্পটা আমায় কমলেশবাবু বলেছিলেন। সেবার আষাঢ়ের ভরা বর্ষায় একদিন অফিসে বসে মুড়ি তেলেভাজা খেতে খেতে গল্প চলছিল। গল্পটা এই রকম। একটা ভালো দামি টেবিল চেয়ারের প্রয়োজন ছিল কমলেশবাবুর। ছেলে জয়েন্ট দিয়ে চান্স পেয়েছে নাম করা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তার একটা ভালো পড়ার টেবিল চেয়ার দরকার । অনেকগুলো ফার্নিচারের দোকান ঘুরলেন কমলেশবাবু।  পছন্দ হচ্ছে না কোনোটাও। কোথাও […]


  • ইরাবতী

    অত্যন্ত চিন্তিত থাকায় অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছিল ইমন। বাড়িতে টাকার টানটুন কিছুতেই যেন শেষ হবে না। বাবা ইদানীং প্রায়ই অসুস্থ থাকছে,  রোজগারের কিছু ধান্ধা এবার না করলেই নয়। রূপালিরর বাবাও সেদিন বলে দিল অন্তত দু’বিঘা জমি আর ব্যাঙ্কে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেখাতে না পারলে সে ইমনের সাথে মেয়ের বিয়ে দেবে না। এইসব চিন্তায় ভাবনায় রাতে ঠিক […]


  • সেই রাত

    পঞ্চাশ বছর আগের এই শহরটাকে যেন অচেনা লাগে অশীতিপর সত্যরঞ্জন চৌধুরীর। রিক্সা করে যেতে যেতে দুধারে যাই দেখেন তাই যেন অচেনা।তবু জীবনের প্রথম পঁচিশটা বছর তো কাটিয়ে ছিলেন এই শহরে। সেই স্মৃতি নিয়ে চলেছেন পুরোন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে।গলির মুখে এসে একটু দোনামনা করে শেষে  ঢুকে পড়লেন।রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে বাড়িটার দিকে তাকালেন। […]


  • নিশি দারোগার বেত্তান্ত

    ব্যাপারটা ভালো তো নয়ই, বরং বেশ সন্দেহজনক। নিশিকান্ত গড়াই এই নিয়মপুরের দারোগা হয়ে বসে আছেন দীর্ঘদিন, কম করে দশ বছর তো হবেই। এলাকায় তিনি ‘নিশি দারোগা’ বলে পরিচিত। যথার্থ নামকরণ। নিশীথের মতই গায়ের রঙ তার। মোটামুটি শীর্ণ চেহারায় ছোট্ট একটা ভুঁড়ি স্পিড-ব্রেকারের মত নাতিদীর্ঘ শরীরটার ছন্দপতন ঘটিয়েছে। মাথার সব চুল সাদা এবং কদমছাঁট দেওয়া। বেশ […]


  • অদূরে

    (১) ফোনটা পেয়ে একটু থমকে রইলেন অবিনাশবাবু। কি লিখবেন? ভেবে পেলেন না। সাধারন দু একটা ভাবনা যা মাথায় এল সব মামুলি পর্যায়ের। অথচ এতবড় পত্রিকার এত নামজাদা সম্পাদকের রিকোয়েস্ট। তার ওপর পত্রিকাটিও বেশ বড়। আজকাল পুরো পত্রিকা খুটিয়ে না পড়লেও কেনার অভ্যেস অনেকের আছে। ফলত না কিনে অনেকেই থাকতে পারেনা। তার ওপর স্ট্যাটাসের একটা ব্যাপার […]


  • শব্দ-হরিণ

    অন্ধচোখে জল, বালি, আকাশ – কোনো কিছুকেই আলাদা করে বোঝা যায় না। অথচ স্পর্শে জল অথবা বালি – সবটাই আলাদা করে বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না দৃষ্টিহীনের। এমনকি যদি বৃষ্টিও নামে, সেই আকাশজল ছুঁতে-ছুঁতে কী এক অলীক শিহর, মাথায়, গায়ে, ঠোঁটে – সর্বত্র জলেরই ছিটে। স্বাদ। বর্ধমান থেকে গো-গাড়িতে বীরভূম আসতে গেলে অজয় পেরোতে হয়। […]


  • কুশল সংবাদ

    কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন পাড়ার মোড়ে হারুবাবুর সঙ্গে দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলেন। শুনলাম আপনার স্ত্রী নাকি পড়ে গিয়েছেন ? আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ওঃ কি সাংঘাতিক। আমার ভায়েরাভাইকে চেনেন তো ? ঐ যে জেমস ফিন্‌লের বড়বাবু, রির্টায়ার করতে এখনো বছর দশেক। আগে এদিকেই থাকতেন। এখন […]


  • বোড়কি

    না। বোড়কিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। ছলছল চোখে শিবকুমার এ কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল তার বউ। আর তার কান্না শুনে বইপত্র ফেলে পাশের ঘর থেকে ছুটে এসে মায়ের কাছ ঘেঁষে দাঁড়াল তাদের বাকি দুই ছেলেমেয়ে— মেজকি আর ছোটকা। কান্না জড়ানো গলাতেই শিবকুমারের বউ বলল, তা হলে ও বোধহয় আবার পালিয়েছে। যাও, থানায় যাও। […]


  • গাছতলা

    মাঠের মাঝখানে খানিকটা ঘাস জমি। জমিটায় একটা ডোবা কেটে ডাঙাটাকে উঁচু করা হয়েছে। একটা ছোট্ট মন্দির। জমিটায় ঝাউ,শিরীষ,পাকুড় আর তালগাছের ছায়া। জায়গাটা ঝাউতলা আশ্রম নামে পরিচিত। মন্দিরের মধ্যে দুটো কালো পাথর। একটি পাথর হল মা। অন্যটি বাবা। যে যার ভক্ত সে তার ইষ্ট অনুযায়ী পাথরে ফুল-জল দেয়। মাঝে মাঝে গ্রামের লোকেরা ঢাক ঢোল বাজিয়ে পুজো […]


  • যখন দিগন্তে ফুটে ওঠে রামধনু রং

      এই শহরে আমি নতুন এসেছি। চাকরিতে বদলি হয়ে। আমার থাকবার একটা জায়গা চাই। কিন্তু পছন্দমত থাকার জায়গা আর পাচ্ছি না। আমি অবিবাহিত পুরুষ। একা পুরুষকে কেউ সহজে ঘর ভাড়া দিতে চায় না। আর আমিই বা এত তাড়াতাড়ি এক থেকে দুই হই কী করে? যতদিন না এক থেকে দুই হই ততদিন কি আমি ঘর ভাড়া […]


যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ