গল্প পড়ুন

এই মুহুর্তে বাংলা ভাষায় লেখালিখি করেছেন এমন গল্পকারের সংখ্যা কত? সত্যি বলতে কী ‘গল্পের সময়’ তা জানে না। কয়েকজন ব্যাক্তি ও কয়েকটি সংস্থা উদ্যোগ নিয়ে দুই বাংলায় লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের নথিভুক্তকরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তা কোনও ভাবেই সম্পূর্ন নয় বা হওয়া সম্ভব নয়। কারন প্রতিনিয়তই লেখালিখির জগতে আসছেন বহু মানুষ। ইন্টারনেটে বাংলা গল্পের ম্যাগাজিন করতে গিয়ে আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক লেখকই এখনও কম্পিউটার এড়িয়ে চলেন। কাগজ-কলমেই তাঁরা স্বচ্ছন্দ। চিরাচরিত ছাপা ম্যাগাজিন, লিটল ম্যাগ, শারদসংখ্যা বা সংবাদপত্রের সাময়িকীতেই তাঁরা লেখালিখি করেন। অন্যদিকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটে স্বচ্ছন্দ একদল লেখককুল রয়েছেন। তারা ফেসবুকে পোস্ট করছেন, ব্লগ বানাচ্ছেন, ই-ম্যাগাজিনেও লিখছেন। ‘গল্পের সময়’ এই দুই পক্ষকেই চায়। নবীন ও প্রবীন গল্পকারদের গল্প পড়ুন এই পাতায়।


  • স্কিৎজোফ্রেনিক
    স্কিৎজোফ্রেনিক

    বুড়ো আমার দিকে ফিরে, চোখ টিপে বুড়ির দিকে ইশারা করে রহস্যটা ভাঙলেন । বুড়ি, এক হাতে ছাতা আর অন্য হাতটা দিয়ে রেলিংটা ধরে ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে যখন বেশ খানিকটা নেমে গেল, বুড়ো গণেশ পান্ধারকার একটা বেশ লাজুক লাজুক মুখে একটা ফাজিল টাইপের হাসি হেসে বললেন, “বুঝলেন কিনা, বাবুমশাই , বুড়ো বয়সে এই সব নাটক […]


  • কলমিক

    এক শীতঘুমের আস্তানা থেকে উচ্ছেদ হয়ে সরীসৃপটা রাত থাকতেই এই জনপদ পার হয়ে গেছে। তার পুরোনো জংলী করিডরে এখন কংক্রীটের অবরোধ। আনুভূমে বিছিয়ে থাকা শিউলি ফুলের মাঝ দিয়ে পিচের রাস্তায় রেখে গেছে হিলহিলে শরীরের সর্পিল দাগ। নতুন গাছের শিউলি ফুল, পাঁপড়িগুলো টোপা টোপা, আর এই পাড়াটাও নতুন। ছ-সাত বছরের বেশি পুরোনো নয়। বিত্তশালী মানুষদের পাড়া। […]


  • বৈশালী পাড়ার প্রতিমারা
    বৈশালী পাড়ার প্রতিমারা

    মফস্বলের ঝিম ধরা বিকেলের চলন্তিকা রোদ, প্রিজম তর্জনীর বর্ণালী ছাড়িয়ে, রাহুরেখা বেয়ে তির্যক ভাবে আলো আঁধারির মায়াজাল বুনেছে পাড়াটায়। আদুর গায়ের ছায়া শরীর আর গলনাঙ্কে ফুটতে চাওয়া তেঁতুল বিচির আঠার রং, যেন কুলহারী বেদব্যাসের স্বমেহ পিন্ডদানের আবহে, খড় –মাটি-রোদ-বৃষ্টির গল্প বলে চলেছে নিরন্তর। গলিটার গা বেয়ে তখন উদলা কাঠামো, নিটোল স্তন আর উর্বীমুখি নিতম্বের সারি। […]


  • বন্দুক ও অন্য গল্প

    বন্দুক রিভলবারটা হাতে তুলে নিলেন স্মৃতিময়। নেড়েচেড়ে দেখছেন। বেশ ছিমছাম। ছোটবেলা থেকেই এমন একটা বন্দুকের শখ ছিল। আসলে সেনেদের সুরজিৎ খেলার ঝগড়ার মুহূর্তে তার দিকে এয়ারগান তাক করে কর্কশ গলায় ওদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেছিল। অপমানটুকু গিলে নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। ইচ্ছেটা তখন থেকে, এতখানি বয়েস পর্যন্ত তা পূরণের কোনো উপায় […]


  • প্রক্সি

    ডোরবেল বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্সি প্রথমেই ছুটে মেইনডোরের সামনে গিয়ে কয়েকপাক ঘুরে নিয়েছে। তারপর বাথরুমের সামনে এসে দু-তিন বার ডাক দিয়েই আবার ছুটেছে মেইনডোরের কাছে। ইতিমধ্যে ডোরবেল আবার বেজেছে; ফলে প্রক্সির ছুটোছুটি আর হাঁকডাক আরও খানিকটা বেড়েছে; সুমি নির্ঘাৎ সুযোগ বুঝে বাইরে বেরিয়েছে! নিরালা স্নান অসম্পূর্ণ রেখেই কোনোরকমে হাউসকোর্টটা গায়ে চাপিয়ে বেরিয়ে এলো। প্রক্সি দ্বিগুণ […]


  • গাঁও মানুষের গালগল্প

    এক জায়গাটা অট্টহাস সতীপীঠের কাছে। বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম অঞ্চলের দক্ষিণডিহি গ্রামে সুখদেব বাস করে।মাধু তার পাশের প্রতিবেশী। সুখদেব অট্টহাস মন্দিরে সাধুবাবার অনেক কাজ করে দেয়।পরিণামে দুপুরের খাবারটা বাড়িতে লোক না থাকলে খায়।সুখদেব জাতে বাউড়ি।সুখদেব যখন সাধুবাবার কাছে বসে তখন সাধুবাবা এই সতীপীঠের ইতিহাস সুখদেবকে শোনায়।সুখদেব কিছু না বুজলেও চুপ করে শোনে। সাধুবাবা বলেন,সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞে সগ্তীরামজীবনের […]


  • পচা শাকের জন্যে

    – ‘মাসি, পচা শাকগুলো আজ কত করে দিচ্ছ?’ রোববারের সকালে বাজারের থিকথিকে ভিড়ে ঢুকে পড়ে এমনিতেই মাথাটা গরম। গলাটা চেনা লাগতে মুখ ঘুরিয়ে দেখি পাড়ার সেই খিটখিটে বুড়োটা। মা আজ সকালে চা নিয়ে আসতে দেরী করায় আয়নায় নিজের মুখ দেখে ফেলেছিলাম। সকাল সকাল নিজের মুখ দেখলেই দিনটা খারাপ যায়, সেজন্য মা না ডাকা অবধি বিছানা […]


  • খিদে

    আপনি মিথ্যে কখা বলছেন- গর্জে ওঠেন ডিউটি অফিসার নির্মল সেন উল্টো দিকে চেয়ারে বসা লোকটি ষেন আরো কুঁকড়ে যায়৷ মুখে বেশ কদিনের না কামানো দাড়ি, চোখে অসহায় করুণ দৃষ্টি না স্যার বিশ্বাস করুন  আমি দাদাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরেছি….আমাকে জেলে দিন – ককিয়ে উঠে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে  লোকটি ৷ হতাশ   অফিসার….পুলিশের চাকরী জীবনে  নানা […]


  • গল্পের সময় অনুবাদ
    পিন্টির সাবান

    ( গল্পকার সঞ্জয় খাতির জন্ম ৮ এপ্রিল ১৯৬২ আলমোড়া, উত্তরাখণ্ড। দিল্লির হিন্দি দৈনিক ‘নব ভারত টাইমস’-এর সম্পাদক।তাঁর প্রকাশিত গল্পের বই দুটি ‘পিন্টি কা সাবুন’, ‘বাহর কুছ নহি থা’। অনূদিত গল্পটি ১৯৯০ সালে প্রকাশ মাত্র সাড়া পড়ে যায় পাঠকদের মধ্যে।গল্পটি হিন্দি থেকে অনুবাদ করেছেন বিখ্যাত অনুবাদক অনিন্দ্য সৌরভ।) এমন ঘটনা আমাদের গ্রামে প্রথম ঘটেছিল। গ্রামের কেউ […]


  • গল্পের সময়ের গল্প
    ডাকে না ফেলা চিঠি

    জিরাটের আরতি মন্ডল এখন ইলিয়ট রোডের রিতা ম্যাগডোনাল্ড। খবরটা প্রথম জানার পর চমকে উঠেছিল রজত। অবশ্য ব্যাপারটা এখন এমন কিছু গোপনীয় নয়, বরং বেশ খোলামেলা কারণ তার স্বামী তাকে নিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে যায় , নিজের বাড়িতেও অনেককে ডাকে ও পরিচয় করিয়ে দেয়। রজত এসব কিছুই জানতোনা, জানার কথাও নয় যদিও রজতের নিজের বাড়িও জিরাটেই , […]


  • গল্পের সময়ের গল্প
    একটি বালিশীয় গল্প

    কয়েকদিন ধরেই একটা নিম্নচাপ জমে আছে মাথার ওপর। সকাল হাঁকছে দুপুর হাঁকছে।মাঝরাত্তির থেকে তুমুল লাফালাফি, ঝাপাঝাপি । হুংকার গর্জন শেষে। এখন শুধুই ধারাপাত।আজ একটু বেলাতেই ঘুম ভেঙেছে রূপসার। কিন্তু উঠতে ইচ্ছে হচ্ছিল না ।ইস্কুল  যেতেও একটুও মন চাইছে না। আজ একটা সিএল যাবে যাক। শুয়েই থাকে সে । তার একা এই একফালি জীবনে ওঠা নামার […]


  • গল্পের সময়ের গল্প
    কচুরিপানা

    সাদা মার্বেল পাথরে মোড়া সিঁড়ি। নিশ্চয়ই সাদাও একটা রং — তবে তফাত এই যে, এই সাদা বকের পালকের মতো। তার উপর দিয়ে নরম কালো একটা রং এলোমেলোভাবে এঁকেবেঁকে নেমে এসেছে— যেন একচিলতে একটা নদীর স্রোত। ওঠার মুখেই সৌমিত্রর চোখে পড়ল বনেদি আমলের একটা শ্বেতপাথরের কানাউঁচু থালা। জলে ভরতি — জলের উপর ভাসছে কচুরিপানা। সৌমিত্রর ডান-চোখের […]


  • গল্পের সময়ের গল্প
    কিস্তিমাত

    অত ভাবার কিছু নেই দাদা, নিয়ে নিন — দুধেল আলোয় ভাসা কাউন্টারে টাইট ফিটিংস কালো গেঞ্জির ওপর দিয়ে ক্লিভেজ দেখানো বাচ্চা মেয়েটার মিষ্টি হাসি যেন ওর বক্তব্যকেই সমর্থন করল। তবু নিজেকে লোভের কোপ থেকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকারী চাকুরে চন্দন নিজেই যুক্তি জুড়লেন– বুঝলাম খুব ভাল, কিন্তু দামটাও যে খুব ভাল। এখন যে এতটা বাজেট পারমিট […]


  • গল্পের সময়ের গল্প
    সন্ধ্যা নামার আগে

    আকাশটা মেঘে মেঘে ভারাক্রান্ত । কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে । এখানে ওখানে জল জমে রাস্তা, অলিগলিগুলি এখনো জলময় । এখন  বৃষ্টি পড়ছে,তবে তীব্রতা আগের থেকে কম। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছেন অখিলেশ বাবু। উদ্বিগ্ন।এরকম বৃষ্টিতে ছাতা মাথায়  ছেলেটা ছলাৎ ছলাৎ করে নোংরা ঘোলা জলে সন্তর্পণে পা ফেলে ফেলে মোড়ের মাথার ফার্মেসিতে গেছে প্রায় এক […]


  • গল্পের সময়ের গল্প
    নিশাচর

    ঘটনাটা বছর তিনেক আগেকার। সে’বার আমরা কয়েকজন পশ্চিমের দিকে বাঙালীর অতি পরিচিত এক হাওয়া-বদলের ডেস্টিনেশানে বেড়াতে গিয়েছিলাম দু’-তিন দিনের জন্য। যে ক’জন আমরা গিয়েছিলাম তাদের মধ্যে মূলত আমি, টুকাই আর ভুলুদাকে ঘিরেই এই কাহিনী। বাকীরা কিছু আগে-পরে জানতে পেরেছিল বটে, তবে সবটা নয়। আমাদের মধ্যে টুকাই এই ধরনের ঘুরতে-যাওয়ার প্ল্যান অর্গানাইস করে থাকে। ছেলেটার আর […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    সাত্যকি আর ফিরে আসে নি

    (১) সেদিন বাজারে হঠাৎ পেছন থেকে কাঁধে হাত দিয়ে একজন বলল, আরে সিধু না ! কেমন আছিস । আমি ভাল করে দেখেও ঠিক চিনতে পারলাম না । আমার মতই দোহারা চেহারা । মুখে একটা ধুর্ত ধুর্ত ভাব ।  সে কিন্তু অতি পরিচিতের মত হাসতে লাগল । তুই-তোকারি করছে যখন – ছোট বেলার বন্ধু বা অতি […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    সরলাবালা হোম ডেলিভারি

    নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড বোধহয় এসে গেছে । লোক্যাল বাসের কন্ডাক্টর আর ক্লিনারদের শোরগোল আর চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে প্যাসেঞ্জার জোগাড় করার আওয়াজ হিরণ্ময় গাড়ির ভেতর থেকেই শুনতে পেলেন । এখানে ভলভো বাসের স্ট্যান্ডটা চালু লোকাল বাসের লেনগুলো ছাড়িয়ে সামান্য দূরে, বড়ো শেডটার শেষ প্রান্তে । যেন নীচুজাতের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে আলগা, দূরে দূরে থাকা ! ইউনিভারসিটির ড্রাইভার ছেলেটা লোকজন […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    জামতাড়া গ্যাং

    (১) বেশিদিন নয়, এক বছর পুরতে  আরও মাস চারেক বাকি ছিল। এই  ক’মাসের খাপছাড়া সংসার।  চুকিয়ে দিয়ে যখন বেরিয়ে আসে কেউ, টান পড়ে কি কোথাও। পড়লেও সে টান পোক্ত নয়। উপড়ে ফেলতে তেমন কষ্ট কিছু হবার কথা নয়। দুটো ট্রলি, বড় হাতব্যাগটা  আর একটা ল্যাপটপ। বেরিয়ে এসে দরজাটা টেনে দিলেই খচ করে  মসৃণ শব্দে  একটা […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    নিশিযাপন

    চোস্তা আর হাফ হাতা পাঞ্জাবি গায়ে গলাতে গলাতে কৌশিকের হঠাৎ চোখে পড়ল, এ দেয়াল সে দেয়ালে বড় বড় ফ্রেমে বাঁধানো একের পর এক ছবি। ফ্রেমগুলোর ফাঁকফোকর থেকে চুন সুরকি খসে খসে দাঁত-মুখ বেরিয়ে আসা দেখে তার মনে হল, এগুলো ঢাকার জন্যই বুঝি এই ফ্রেমগুলো এখানে টাঙানো হয়েছে। কিন্তু ছবিগুলো এ রকম কেন! ছবিতে গাছ আছে। […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    শেষের আগে

    কোর্ট থেকে বেরিয়ে দুজন দুদিকে হাঁটা লাগালো। আর্য একবার মুখ ঘুরালো , বীথি উঠে যাচ্ছে সাদা বাসে। ও এখন চলে যাবে সলপ । আশা করেছিল আর্য একবার যদি তাকায় বীথি। কিন্তু না, বীথি সোজা উঠে গেল বাসে। ভীড় সাঁতরে বেরিয়ে যাচ্ছে বাসটা দক্ষ সাঁতারের মতো। চকিতে মনে পড়ে গেল কোচিংয়ের দিনগুলোর কথা। দুজনেরই মা জেনে […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    আজ মহালয়া

    তার পদবি কি সে জানে না। তার বাপ কে সে জানেনা ! মায়ের নাম ছিল একটা, লোকে ডাকতো হেমা বলে। ধর্ম কি তাও সে জানে না। মন্দিরে সে যায় ফিরিতে পোসাদ খেতে আর না হয় সুযোগ বুঝে চুরি চামারি করতে, মসজিদে গেলে তাকে ভাগিয়ে দেয় – ‘ভাগ ! তুই তো মুসলমান না !’ বলে। সে […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    ওরা দুজন আলাদা মানুষ

    যমজ ভাই নয়। দেখতে একই রকম নয়।উচ্চতা এক নয়।একজন বেশ ফরসা, একজনের গায়ের রঙ মাজামাজা।হেয়ার স্টাইলটাই যা খতিয়ে দেখা হয় নি, নচেৎ মনে পড়ছে না।সংশয়াপন্ন। কিন্তু ভুল নেই-একজনের বাস তিলাইয়ায়, অন্যজনের নিউটাউনে।স্বভাবও এক নয়, না, না !এতো দ্রুত সে কথাটা বলতে পারছি না। গোলমাল ঠিক এখানেই। হঠাৎ দেখা গেল দুজনের ভীষণ মিল। এমনকি দুজন না […]


  • গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    রুই মাছের কালিয়া

    নিতাই জ্যাঠা সন্ধ্যাবেলা যখন হাঁক পাড়লো “কইগো সব গেলে কোথায়?”, আমরা যত কচিকাঁচার দল ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে এলাম। তার ঠিক একটু আগেই ঝপ করে লোডশেডিং হয়ে চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, যা সেইসময়ের নিত্য ঘটনা ছিল । মা তখন একহাতে মাথার ঘোমটা আরেকহাতে হ্যারিকেন সামলাতে সামলাতে বেরিয়ে এসেছে, পেছন পেছনে আমরা। দেখি নিতাইজ্যাঠা মাথায় বিরাট ছাতা […]


  • আষাঢ়ে গল্প

    অগস্ট’২০২৩ সংখ্যায় আমাদের বিষয় ‘ আষাঢ়ে গল্প ’   ক্যামিলা হাউস লিখেছেন:নীতীশ রঞ্জন দাস   এক অমাবস্যা ও আজাইরা গল্প লিখেছেন:রূপা সেনগুপ্ত   সে কথা রেখেছিল লিখেছেন:অনিলেশ গোস্বামী   ধৌতি লিখেছেন:সিদ্ধার্থ সান্যাল   ভূতের সিওপিডি লিখেছেন:ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়   বিষ বান্ধব লিখেছেন:উত্তম বিশ্বাস   শালপাতা-চিকেন ও একটি অদ্-ভূতুড়ে কাহিনী লিখেছেন:দেবাশিস সাহা   চেয়ার লিখেছেন:সাগর কুমার পাঠক […]


  • ক্যামিলা হাউস

    ৬ই অক্টোবর, ২০২২ সাল। দিনটা ছিল দূর্গাপূজার একাদশী তিথি। আমরা চারজন বেরিয়ে পড়লাম ডুয়ার্সের জঙ্গল ও পার্বত্য এলাকায় কয়েকদিনের ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।প্রথমে ডুয়ার্সের সমতলে দু-চারদিন কাটিয়ে ১১ই অক্টোবর যে স্থানে পৌঁছালাম তার প্রকৃত নাম করা যাবে না। ধরে নিন লামলিমডং, সেখানে যে পর্যটন নিবাস আমরা দু’দিনের জন্য রিজার্ভ করেছিলাম তার নামটাও ধরে নিন ক্যামিলা হাউস। এই […]


  • এক অমাবস্যা ও আজাইরা গল্প

    সুবীরবাবুর আজও রাত তিনটের সময় পায়খানা পেয়ে ঘুম ভেঙে গেল। পাশে অঘোরে ঘুমিয়ে স্ত্রী দয়াময়ী। তিনি বার কতক ঠ্যালা দিলেন। জাগানোর বৃথা চেষ্টা। তবু ডাকলেন, দয়া একবার ওঠো দেহি। হ্যারিকেনটা লইয়া চলো লগে। দয়া পাশ ফিরে ছোট নাতি বাবলুকে জড়িয়ে দিব্বি আবার ঘুম দিলেন।সারাদিন সংসারে অনেক কাজ করেন দয়াময়ী। তাই রাতে বালিশে মাথা দিলেই ঘুমিয়ে […]


  • সে কথা রেখেছিল

    রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি ।সকালেও থামবার কোন লক্ষণ নেই। মধ্যপ্রদেশের সাতপুরায় পাহাড়ের উপর বিশাল গেস্টহাউস, নামটাও বেশ – হিলটপ গেস্ট হাউস। নামটা যতই রোমান্টিক হোকনা কেন এই মুহূর্তে তন্ময়ের সেখানে খুব ভালো লাগছেনা না। তার মূল কারণ সেখানে আজ সে ছাড়া আর কোন লোক আসেনি, অত বড় ফাঁকা একটা বিশাল বাড়ি তাকে যেন গিলে […]


  • ধৌতি

    ১ সারারাতের আষাঢ়ে বৃষ্টি সকাল বেলায় ছেড়ে গেছে । আকাশ মেঘলা। যে কোনো সময়েই আবার ঝমঝমিয়ে আসতে পারে। কিন্তু আজ রবিবার। সোনু ডেস্পারেটলি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঠাকুরবাড়ি পৌঁছে গেলো। তারপর উঁচু মার্বেল রকটার ওপর ছোট্ট লাফ দিয়ে উঠে বসে পা দোলাতে দোলাতে বললো, ধ্যুস, দশটা তো বেজে গেলো । বসে বসে এখন অপেক্ষা করো আর […]


  • ভূতের সিওপিডি

    অফিসে গিয়েই ফোন পেলাম পিসেমশাই চলে গেছেন। রওনা দিলাম গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। পৌঁছতে বিকেল, গিয়ে দেখি আমাদের খুড়তুতো, জাঠতুতো, পিসতুতো সব ভাইরা এসে গেছে বা আসার পথে। এখুনি এসে যাবে। শ্মশানযাত্রা হতে সন্ধে হবে। পিসেমশাইয়ের মৃত্যুতে আমরা কেউ শোকস্তব্ধ নই। পরিণত মৃত্যু, তাছাড়া রাঙ্গাপিসি কয়েক বছর আগেই চলে গেছে। তাই আমরা মানে পিসেমশাইয়ের সব সন্তানরা […]


  • বিষ বান্ধব

    পথের ওপর সংসার বিছিয়ে বসে আছে পান্না। পান্না পণ করেছে কোনোদিন ঘরে যাবেনা। প্রথম প্রথম বেশ কয়েকদিন কাকুতিমিনতি করেছিল কিন্নাহার। কিন্তু পান্নাকে কিছুতেই বশে আনতে পারেনি কিন্নাহার। এখন হাল ছেড়ে দিয়ে সেও খোলা আকাশের নিচের ঘরবাড়িকে ভালবাসতে শুরু করেছে। কিন্নাহারের বড় মাটির ঘর। ঘরটি সেকেলে। ঘর তো নয়, যেন দালানকোঠা! মোটা মোটা দেওয়াল। ঝড়ে ভাঙ্গেনা। […]


যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ