Tag Archives: সিদ্ধার্থ সিংহ


  1. গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা
    নিশিযাপন

    চোস্তা আর হাফ হাতা পাঞ্জাবি গায়ে গলাতে গলাতে কৌশিকের হঠাৎ চোখে পড়ল, এ দেয়াল সে দেয়ালে বড় বড় ফ্রেমে বাঁধানো একের পর এক ছবি। ফ্রেমগুলোর ফাঁকফোকর থেকে চুন সুরকি খসে খসে দাঁত-মুখ বেরিয়ে আসা দেখে তার মনে হল, এগুলো ঢাকার জন্যই বুঝি এই ফ্রেমগুলো এখানে টাঙানো হয়েছে। কিন্তু ছবিগুলো এ রকম কেন! ছবিতে গাছ আছে। […]

  2. নন্দন

    পাড়ায় ঢোকার অনেক আগেই নন্দনের মাথা নিচু হয়ে গেল। অথচ এই ক’দিন আগেও পাড়ায় ঢোকার আগে গলির মুখে যে চায়ের দোকানটা  আছে, সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে খানিকক্ষণ আড্ডা দিয়ে কয়েক প্রস্থ‌ চা খেয়ে তার পর বাড়ির দিকে পা বাড়াত। কিন্তু এখন! বিয়ে করাটাই ওর ঝকমারি হয়েছে। পাঁচ মাসও হয়নি বিয়ে করেছে, তার মধ্যেই এই! অষ্টমঙ্গলার গিঁট […]

  3. আগাম

    সামনে তাকিয়ে নাটুকে দেবু একেবারে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল। তার ছেলে এখানে কী করছে! ওই মৃতদেহের পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে ও ভাবে কাঁদছে কেন ও! কে মারা গেছে! ও ভাবে কাঁদছে মানে তো যে মারা গেছে, সে ওর অত্যন্ত কাছের কেউ। আর ওর কাছের মানে তো তারও কাছের! কিন্তু কে  উনি! খানিক আগে লেবু চা […]

  4. নীলকুঠি

    জ্যোতির বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছনোর আগেই অন্যান্য দিনের মতো গাড়ি চালাতে চালাতেই রাজদীপ মোবাইল থেকে ফোন করল, নেমে আয়। কিন্তু ও প্রান্ত থেকে কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। রাজদীপ বলল, হ্যালো হ্যালোশুনতে পাচ্ছিস? আমরা এস‍ে গেছি। চলে আয়। তবু ফোনের ও প্রান্ত থেকে কোনও উত্তর ভেসে এল না। রাজদীপ একটু অবাকই হল। কারণ, এ সব […]

  5. ধর্ম-অধর্ম

    সক্কালবেলায় নিখিল এসে বলল, কীগো জগবন্ধুদা, এখন কেমন আছ? জ্বর ছেড়েছে? জগবন্ধু পিঠের তলায় বালিশ গুঁজে আধশোয়া অবস্থায় বললেন, তা ছেড়েছে। তবে একদম কাহিল হয়ে গেছি রে। গায়ে কোনও জোরই পাচ্ছি না। একদিনের জ্বরেই কেমন যেন কাবু করে দিয়েছে। তা, কাল কি গিয়েছিলি? — যাব না? উফ্, কাল যা হল! আমার মনে হয়, এর পর […]

  6. নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে নিয়ে একটি গদ্য

    একদিন নীরেনদার সঙ্গে কী নিয়ে যেন কথা বলছি, হঠাৎ দেখি সংযুক্তা বিড়বিড় করতে করতে এসে নীরেনদার সামনে এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে, আচমকা কী মনে পড়তে ও যে দিক দিয়ে এসেছিল সে দিকেই হাঁটা দিল। ওকে যেতে দেখে নীরেনদা বললেন, কী হল, চলে যাচ্ছ যে! সংযুক্তা আমাদের বন্ধু। ওর বাবা একটানা আঠেরো বছর রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। ওর […]

  7. রমাপদ চৌধুরীকে আমি যেমন দেখেছি

    [আমাদের আলাদা রেখে সদ্য বাড়িটা বদলে ফেললেন সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী। লেখালিখির বিষয়ে একটা নিজস্ব দর্শন মেনে চলতেন তিনি। সেখানে কারও অনধিকার প্রবেশের জো ছিল না। তাই যখনই মনে করেছেন অবসর নিয়ে নিয়েছেন লেখালিখির জগত থেকে। বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্রসম এই মানুষটিকে তাঁর সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে এবং পরে ব্যক্তিগতস্তরের সখ্যতায় নানাভাবে দেখেছেন কবি ও লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ। […]

  8. বোড়কি

    না। বোড়কিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। ছলছল চোখে শিবকুমার এ কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল তার বউ। আর তার কান্না শুনে বইপত্র ফেলে পাশের ঘর থেকে ছুটে এসে মায়ের কাছ ঘেঁষে দাঁড়াল তাদের বাকি দুই ছেলেমেয়ে— মেজকি আর ছোটকা। কান্না জড়ানো গলাতেই শিবকুমারের বউ বলল, তা হলে ও বোধহয় আবার পালিয়েছে। যাও, থানায় যাও। […]

  9. অবিশ্বাস

    অন্যদের মতো সিনেমা, স্বভূমি বা গঙ্গার ধারে নয়, সপ্তর্ষি আর লাবণী সাধারণত    দেখা করে কাছাকাছি কোনও রেলস্টেশনে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাড়ার তালিকায় চোখ বোলাতে বোলাতে যে স্টাশনের নামটা ভাল লাগে, মনে হয়, এখানে গাছ আছে, আকাশ আছে, ফুরফুরে হাওয়া আছে, সেখানকার টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে পড়ে। আজও ওরা এসেছিল তেমনই একটি জায়গায়। ফেরার জন্য […]

  10. আমার ছেলে কিচ্ছু খায় না

    ডাক্তারের উল্টো দিকের চেয়ারে বসে মুখ কাঁচুমাচু করে কাজরী বললেন, ডাক্তারবাবু, আমার ছেলে কিচ্ছু খায় না। এর আগেও দু’জন চাইল্ড স্পেশালিস্টকে দেখিয়েছিলাম। এই যে তাঁদের প্রেসক্রিপশন… বলেই, আগে থেকে বের করে রাখা তিন-চারটে কাগজ উনি এগিয়ে দিলেন ডাক্তারবাবুর দিকে। ডাক্তারবাবু সেগুলিতে চোখ বোলাতে লাগলেন। কাজরী আবার বললেন, ও কিচ্ছু খাচ্ছে না, কী করা যায় বলুন […]

  11. ঋ-তানিয়া

    না। তানিয়া কিছুতেই কথা বলছে না। ওকে কথা বলানোর জন্য গত দু’দিন ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ঋ। তবুও একটা বর্ণও উচ্চারণ করছে না ও। কথা বলছে না মানে যে কোনও কাজ করছে না, তা নয়। সেই অষ্টমঙ্গলার গিঁট খুলে এ বাড়িতে আসার পর থেকে ও যা যা করে, মুখ বুজে তা-ই করে যাচ্ছে। সকালে […]

  12. চোর

    তুমুল শোরগোলে ঘুম ভেঙে গেল কামিনীর, এত চিৎকার-চেঁচামেচি কীসের? যারাই করুক, পরে দেখা যাবে, আগে তো ওকে ডাকি। পাশেই শুয়েছিলেন তাঁর স্বামী বিবিধান। রিটায়ার হতে আর বেশি দেরি নেই। এক মেয়ে ছিল। তারও বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন মাসখানেক আগে। জামাইটাও খুব ভাল পেয়েছেন। যেমনি ভাল পরিবার। তেমনি দেখতে-শুনতে ভাল। তার উপর চাকরিও করে আরও ভাল। দমকলের […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ