[“ পাঠকের কোনও দায় নেই আপনি কলেজ স্ট্রিটে বসে কী বই বের করলেন তা খুঁজে পড়ার। কিন্তু প্রকাশক হিসাবে আমার দায় আছে তার কাছে পৌঁছানোর” – হ্যাঁ, এমন ভাবনা নিয়েই প্রকাশনা জগতে এসেছেন সৌরভ মুখোপাধ্যায়। খুব অল্প সময়েই পাঠকের দরবারে জায়গা করে নিয়েছে তাঁর সংস্থা সপ্তর্ষি প্রকাশন। বাংলা প্রকাশনার বাজার নিয়ে অন্যভাবে ভাবতে চান তিনি। পাল্টে দিতে চান বিপণন কৌশল। ‘গল্পের সময়’কে শোনালেন বই বাজারের নানা কথা। শুনলেন সমীর ঘোষ।]
গল্পের সময় – মাত্র ক’বছরেই নামী প্রকাশন সংস্থা হয়ে উঠেছে সপ্তর্ষি। এই সাফল্যের কারণ কী ? কী ভাবে এটা সম্ভব হল ? সপ্তর্ষির ইউ এস পি টা কী ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – আমরা ২০০০ সালে আমাদের প্রকাশন সংস্থা শুরু করি। ২০১৭ তে আমাদের প্রকাশনী ১৬ বছরে পা দিল। ২০০১ ও ২০০২ বাদ দিলে তৃতীয় বছর থেকে আমাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য ছিল যত গুলো সম্ভব বেশি টাইটেল প্রকাশ করা। এর কারণ, আমরা চাইছিলাম বইমেলা বা অন্যকোথাও পাঠক আমাদের স্টলে এলে তিনি যেন তার পছন্দের, তার বিষয়ের অন্তত একটি বই পান। আমরা কাউকেই মিস করতে চাইছিলাম না। এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের বই প্রকাশ করেছি এবং তা মানুষ পছন্দ করেছেন। অন্যদিকে আমরা যখন প্রকাশনা শিল্পে আসি তখন হাতে গোনা কয়েকটি প্রকাশন সংস্থা ছাড়া আর কেউই আর বইয়ের প্রোডাকশন নিয়ে অতটা চিন্তিত ছিলেন না। প্রথম থেকেই তুলনায় সস্তায় ভাল প্রোডাকশন দেব এমন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি আমরা। ৩০০ টাকায় একটা ভাল প্রোডাকশন হতেই পারে, সেটা খুব একটা সমস্যা নয়। কিন্তু ১২৫ টাকায় একটা ভাল প্রোডাকশন নামানো কিন্তু কঠিন। সেটা সপ্তর্ষি প্রথম থেকেই করার চেষ্টা করেছে। এখনও, এই ২০১৭ তে দাঁড়িয়ে বলতে পারি যে, বাজারের অগ্রগণ্য প্রকাশনার তুলনায় আমরা অনেক সস্তায় অনেক ভাল মানের বই পাঠকের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করি। যেমন আমাদের একটি চারফর্মার কবিতার বইয়ের দাম ৭৫ টাকা, যেখানে অন্যান্য প্রকাশনার কবিতার বইয়ের দাম কমপক্ষে ১০০ টাকা বা ১২৫ টাকা। গত বছর থেকে আমরা ক্রেতাদের সুবিধের জন্য সচেতন ভাবে পেপার ব্যাক ও হার্ড বাইন্ড – দু ধরনের সংস্করণই এনেছি। পাঠক বা ক্রেতার কাছে সপ্তর্ষির সমাদর পাওয়ার আর একটি বড় কারণ হল প্রথম ১০ বছরে ভুয়ালকা বাদে প্রায় প্রতিটি সর্বভারতীয় পুরস্কার লাভ। সাহিত্য একাডেমি, বাংলা একাডেমি, আনন্দ, কৃত্তিবাস, সোমেন চন্দ – প্রায় সব পুরস্কারই পেয়েছে সপ্তর্ষির বই। এই তিনটে কারণেই সপ্তর্ষি সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।
গল্পের সময় – আপনারা প্রথমে শ্রীরামপুর শহর থেকে আপনাদের প্রকাশনা শুরু করেছিলেন। সে সময়টা কেমন ছিল। প্রথম বই কী ছিল ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – ১৯৯৯ এর শেষ দিক থেকে আমাদের প্রকাশনার কাজ শুরু হয়। পাকাপাকি ভাবে ২০০০ সাল থেকে আমরা সপ্তর্ষির নামে প্রকাশনা শুরু করি। আমাদের প্রথম বই ছিল ‘সুমনের গান – সুমনের ভাষ্য’। সেটা আমরা রিপ্রিন্ট করি। বইটি এখনও আমরা বিক্রি করি। খুবই ভাল বিক্রি।
গল্পের সময় – সেটা কি ‘হোলিহোম’ প্রকাশনা ছিল ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – না, হোলিহোমের থেকে নিয়ে আমরা যে প্রকাশনা করি সেটা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘স্বগত’ নামের একটি বই। সেটা আমরা কিছু সংযোজন করে ‘চরিত্রের সন্ধানে’ নামে বই প্রকাশ করি। পরে ২০০৬ সালে কবীর সুমনের ‘আলখাল্লা’ বইটি আমরা রিপ্রিন্ট করি। আর শ্রীরামপুরের প্রসঙ্গে বলি বিবাহ সূত্রে আমার শ্বশুরবাড়ি শ্রীরামপুর। এই প্রকাশনার সত্ত্বাধিকারী আমার স্ত্রী স্বাতী রায়চৌধুরী। সেই জায়গা থেকে আমরা প্রথমে শ্রীরামপুর থেকেই ব্যবসা শুরু করি। তারপর পরিকাঠামোগত কারণে আমাদের কলেজ স্ট্রিটে চলে আসতে হয়। এতবড় রাজ্যে প্রকাশন শিল্প এখনও কলেজ স্ট্রিট কেন্দ্রীক রয়ে গেল এটা খুব দুঃখজনক। বইতো বাগড়ি মার্কেটের প্লাস্টিকের পণ্য নয়। গোটা রাজ্যের প্রয়োজনেই এটা ছড়িয়ে পড়া দরকার। শ্রীরামপুর কেরির শহর, বাংলা মুদ্রণের জগতে শ্রীরামপুরের নাম প্রথম সারিতে – এই রকম শহরে আমাদের প্রকাশনা শুরু করতে পেরে আমরাও গর্বিত।
গল্পের সময় – প্রকাশন শিল্পে কেন এলেন ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – আমি সরকারি চাকরি করতাম। মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্সে আপ্রেন্টিস ছিলাম। বছর দুয়েক পর তা ছেড়ে দিই। আমার মনে হয়, চাকরির যে বন্ধন তার মধ্যে আমার থাকা সম্ভব নয়। এদিকে প্রকাশনার আগে আমরা ‘আমাদের জন্য’ নামে একটা পত্রিকা করতাম। এটা করতে গিয়ে আমাদের প্রকাশনার ভাবনা আসে। ২০০০ সাল নাগাদ দেখবেন নতুন বাংলা প্রকাশন নেই। তখন আমরা আমাদের কাজ আরম্ভ করি। যদিও তার তিন–চার–পাঁচ বছর পর থেকে বেশ কিছু নতুন বাংলা প্রকাশন এসেছে। যেমন ‘গাঙচিল’, ‘তালপাতা’ খুব ভাল প্রকাশন। এখন আসছে ‘লিরিক্যাল’। তাদের বই আমি ইন্টারনেটে দেখেছি। খুব চমৎকার ভাবনা। চমৎকার প্রোডাকশন। আমার খুব ভাল লেগেছে। ভালবাসা না থাকলে প্রকাশন শিল্পে ভাল কিছু করা যাবে না।
গল্পের সময় – আপনি কলেজ স্ট্রিট কেন্দ্রীক বই ব্যবসার বিরোধী। কিন্তু কখনও মনে হয় না এর ফলে আপনারই ব্যবসার সুবিধে হয়েছে। কলেজ স্ট্রিটে বসেই গোটা রাজ্যে ব্যবসা করতে পারছেন।
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – না মনে হয় না। ২০০৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কলেজ স্ট্রিটে বসেই ব্যবসা করেছি। কিন্তু তারপর আমরা ছড়ানোর চেষ্টা করেছি। শিলিগুড়ি, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রাঞ্চ খোলার চেষ্টা করেছি। সপ্তর্ষির বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দক্ষিণাপণে ‘ডলিস’-এ নিয়মিত সপ্তর্ষির বই পাওয়া যায়। এতে আমরা দেখেছি আমাদের ক্রেতা বেড়েছে। ২০১৭ সালে দাঁড়িয়ে পাঠকের কোনও দায় নেই আপনি কলেজ স্ট্রিটে বসে কী বই বের করলেন তা খুঁজে পড়ার। কিন্তু প্রকাশক হিসাবে আমার দায় আছে তার কাছে পৌঁছানোর। এখন গোটা বিশ্বে মার্কেটিং সেন্সটাই পালটে গেছে। বইও একটা প্রোডাক্ট – যেটা বেচতে না পারলে দিনের শেষে আমার রুটি – রুজি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। দরকার হলে ভবিষ্যতে সপ্তর্ষির প্রতিনিধি পাঠকের দড়জায় টোকা মেরে জিজ্ঞাসা করবে, আপনার কী বই লাগবে ?
গল্পের সময় – আপনাদের তো প্রচুর টাইটেল, গল্প – কবিতা – উপন্যাস – প্রবন্ধ। এর মধ্যে কোন ধরনের বইয়ের বাজার সবথেকে ভাল ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – গল্প–উপন্যাসের বাজার খুব খারাপ। তুলনায় কবিতার বই, কবিতা বিষয়ক গদ্য এবং বায়োগ্রাফি ধরনের বইয়ের বিক্রি ভাল। স্মৃতিমূলক লেখা, মুক্ত গদ্য এখন পাঠক চাইছেন। কিছু পাঠক সিরিয়াস বই খুঁজলেও অন্যরা তথ্যভিত্তিক স্টোরি চাইছেন। যেমন সুবর্ণরেখা থেকে সদ্য প্রকাশিত হয়েছে অবন্তিকা পালের লেখা ‘অরুণা সানবাগ, নিস্কৃতি মৃত্যু ও ভারত’। ১৭৬ পাতার এই বইয়ে ইউথেনেশিয়া নিয়ে যাবতীয় কৌতুহল মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেইরকমই সপ্তর্ষি থেকে এবছর প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বজিত রায়ের ‘ইস্কুল গাথা’ নামের একটি বই। রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলে হোস্টেলের ভেতরে কীভাবে লেখাপড়া-অনুশীলন চলে সেই নিয়ে এই বই। গাঙচিল থেকে অহনা বিশ্বাসের একটা বই প্রকাশিত হয়েছে যার বিষয়বস্তু শান্তিনিকেতনের আবাসিকদের জীবনযাপন। গাঙচিলের আর একটি উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা ‘এগারোয় পা’। মেয়েদের প্রথম ঋতুদর্শনের অভিজ্ঞতা- অনুভব নিয়ে লেখা এই বইয়ের প্রকাশ বাংলা প্রকাশনা জগতে এক বিপ্লব বলে আমি মনে করি। এজন্য অধীর বিশ্বাসকে লাখো কুর্নিশ জানাই আমি। সবসময় দেরিদা, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক ছাপলেই (বিষয়টিকে অসম্মান না করেই বলছি) ভাল প্রকাশনা হল না, সাধারণ মানুষের হাতে ভাবনার খোরাকটাও তো তুলে দেওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ এখন গল্প–উপন্যাস সেভাবে পড়ছে না, কারণ সন্ধ্যেবেলার টিভি সিরিয়ালে সে তার রসদ পেয়ে যাচ্ছে। তাই পাঠক চাইছে কিছু তথ্যের বই যা তাকে সমৃদ্ধ করবে। মনকে আলোকিত করবে।
গল্পের সময় – অর্থাৎ ‘হলদে গোলাপের’ মত বইয়ের চাহিদা বাড়ছে বলছেন ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – ঠিক বলেছেন স্বপ্নময়ের ‘হলদে গোলাপ’ এমন একটা বই যা পাঠককে গল্পও শোনাবে আবার তথ্যও দেবে। আরও একটা বই দে’জ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রবিশঙ্কর বলের ‘দোজখনামা’। ব্রিলিয়ান্ট বই। ঈর্ষনীয় গদ্য। এই ধরনের বইই মানুষ চাইছে।
গল্পের সময় – বাংলা বইয়ের বাজার কেমন ? বইমেলাতে তো সিংহভাগ ইংরাজী বই বিক্রি হয়। বাংলা বই কী ব্যবসা হারাচ্ছে ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – এই অভিযোগের আমি কোনও মানে বুঝি না। ইংরাজী একটা আর্ন্তজাতিক ভাষা। কলকাতা বই মেলায় বহু অবাঙালি মানুষ আসেন। তারা সেই বই কেনেন। বাংলা বইয়ের বাজার ৬০ সালে যেমন ছিল এখনও তার মত করে আছে। একসময় উত্তম–সুচিত্রার ছবি সপ্তাহের পর সপ্তাহ চলত। কিন্তু এখন হিট ছবি ছাড়া তিন দিনের বেশি বাজার নেই। তা বলে কী ঋত্ত্বিক চক্রবর্তীকে খারাপ অভিনেতা বলব ? আমি শুনেছি আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক অভীক সরকার একবার বলেছিলেন কোনও সংবাদপত্র আনন্দবাজারের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। বরং তার লড়াই ঘরের ভেতর হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়া লাইভ এম টিভির সঙ্গে। সেই সুত্রেই বলি বাংলা বইয়ের আসল প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েব মিডিয়া, সংবাদপত্র – ইংরাজী বই কখনোই নয়।
গল্পের সময় – শোনা যায় এখন কোনও কোনও বইয়ের ৩০০ – ৪০০ কপিতে এডিশন হয়। এটা কী সত্যি ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – এর কমেও হয়। ২০০ কপিও ছাপা হয়। কারণ এখন ছাপার জগতে নতুন প্রযুক্তি এসেছে – পি ও ডি বা প্রিন্ট অন ডিমান্ড। ৫০টি বইও ছাপা হচ্ছে। আমি এই ছাপার মধ্যে কোনও ভুল দেখি না। কারণ সাপ্লাই সব সময় হয় ডিমান্ডের উপর ভিত্তি করে। আমি প্রথমেই বলেছি বই হলেও তা আসলে একটি পণ্য। সুতরাং আমার কাছে যদি ৫০টি বই ছেপে চাহিদা পরীক্ষা করার উপায় থাকে – তা হলে করব না কেন ? আমি কেনই বা ১১০০ বই ছেপে পাঁচ বছর ধরে বেচব ? এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন প্রকাশকরা কেন পি ও ডি তে বই ছাপাবেন ? এখন পি ও ডি এসে যাওয়ায় সবাই প্রকাশক বনে যাচ্ছে – এই অভিযোগে আমার খুব আপত্তি আছে। প্রকাশক কিসে এবং কিভাবে বই ছাপাবেন তা সম্পূর্ণটাই প্রকাশকের সিদ্ধান্ত। বাজারে বই আছে কী না, লেখক রয়্যালটি পাচ্ছেন কী না সেগুলোই বিচার্য হওয়া উচিত। সপ্তর্ষি পি ও ডিতে বই ছাপে, ভবিষ্যতেও ছাপাবে এবং এর থেকেও কোনও উন্নত প্রযুক্তিতে শুধুমাত্র অর্ডার নিয়ে বই ছাপার ব্যবস্থা আসে তাও সে গ্রহণ করবে।
গল্পের সময় – নবীন প্রজন্ম কী বই কেনে ? আপনার কী অভিজ্ঞতা ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – তরুণ প্রজন্ম বই কেনে, আমার অভিজ্ঞতা তাই বলছে। কিন্তু তাদের হাতে তাদের মত বই তুলে দিতে হবে। বিজ্ঞানের তথ্য মেনে এটা মনে রাখতে হবে যে প্রতিদিন পৃথিবীতে যে সব শিশুর জন্ম হচ্ছে তাদের মস্তিষ্কও উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। একটা প্রকাশককেও তাই উন্নততর ভাবনার প্রকাশনার দিকে নজর দিতে হবে। সপ্তর্ষি নবীন প্রজন্মের কথা ভেবেই প্রকাশনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। সেই চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে চায়।
গল্পের সময় – পশ্চিমবঙ্গে একটা রাজনৈতিক পালাবদলের সাক্ষী সপ্তর্ষি প্রকাশনও। কোনও দিন কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ বা নীতির চাপ বা বিরোধিতা কী আপনার প্রকাশনকে সহ্য করতে হয়েছে ?
সৌরভ মুখোপাধ্যায় – না সেরকমটা কিছু হয় নি। আমাদের প্রকাশনাতে ডান বা বাম সবরকম রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গির বই আছে। তবে আমরা সচেতন ভাবেই কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচারমূলক কাজ হয় এমন বই প্রকাশের অনুরোধ বা দাবি খারিজ করে দিয়েছি।
গল্পের সময় – সৌরভ বাবু গল্পের সময়ের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
সৌরভ মুখোপাধ্যায় -আপনাকেও ধন্যবাদ।
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।