গল্পের সময় ।। মার্চ,২০২৫ ।। ৯ম বর্ষ

    আমাদের কথা


      ‘গল্পের সময়’এ  আপনাকে স্বাগত।এই  মুহূর্তে যা বর্তমান,পরক্ষণেই তা অতীত। এভাবেই একের পর এক যুগ,বছর,কাল সময় পেরিয়ে চলেছি আমরা। এমন করেই ইতিহাসের হাত ধরে কখনও প্রিয়জনের বিয়োগে ভারাক্রান্ত হয়ে আবার কখনও বা নতুন করে কোনও ভালবাসায় আপ্লুত হয়ে এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখে মানুষ। আমাদের এই নিরন্তর পথ চলার ফাঁকেই কখনও বিষণ্ণ ছায়াময় হয়ে আবার কখনও আনন্দের ফুলঝুরি ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কাহিনী বা গল্পেরা। একজন গল্পকার বা কথাশিল্পীই খোঁজ পান তাদের। তাঁর ‘কাল’কে স্পর্শ করেই  তিনি রচনা করেন শিল্প। গল্প শোনান পাঠককে। কখনও কখনও সেই গড়ে ওঠা কাহিনী সময় আর কালের উর্দ্ধে গিয়ে হয়ে ওঠে কালজয়ী। সময়,কাল,মানুষ,পরিবেশ সবকিছুকে সঙ্গে নিয়ে একজন গল্পকারের সৃষ্টির সঙ্গী হতে চায় ‘গল্পের সময়’। আর, তাঁর রচিত শিল্প যা নিহিত বর্তমানেই নিঃশেষিত হয় না, তাকে সঙ্গী করেই সে বলতে চায় ‘সবসময় গল্পের সময়’।

ডিলিট

লিখেছেন:নন্দিতা সিনহা

পাড়ার প্রদীপ বোধহয় পটাই হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বদের গাছ হয়েছে একখানা। হেন দুষ্কর্ম নেই যে পটাই করে না। তোলাবাজি মস্তানি গুন্ডামি মেয়েদের টিজ করা সব কাজে সে সিদ্ধ হস্ত। এহেন পটাই কে সবাই এড়িয়ে চলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চলবো ভাবলেই তো আর চলা যায় না। বিশুর চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে  ঘুম চক্ষুটি খুলেই ব্রাশে মাজন […]

বাকিটা পড়ুন...
ভাষা-শহিদ কে জানত একটা কথা থেকেই এত ঝামেলার সৃষ্টি হবে। পটাই মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে গদাইকে বলেছে - অত ভাবার কিছু নেই।ভাল লাগলে বলে দে-আই লেবু। ব্যস ওখানেই শুরু হল নতুন বিপ্লব।এলাকার দাপুটে নেতা ও কাউন্সিলর সত্যেনদাকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ার মোড়েই ধরেছিল পটাইকে।দলের ছেলেদের সামনেই গরম নিতে আরম্ভ করল আর তারপরই শুরু হল মেয়ের বাবার ধমকানি - চেনো আমাকে? কানেকশন জানো? তোমার থোবড়া বিল্লা করে দিতে পারি একটা ফোনে। দমার ছেলে নয় পটাই। কাউন্সিলর সত্যেনদার সামনে ঝুঙ্কুর বাবাকে বলেই দিয়েছিল - দেখুন, আমাকে চমকে খুব একটা লাভ নেই।একটা উঠতি বয়সের ছেলে।তার লাবারকে আই লেবু বলেছে। তো তাতে হয়েছেটা কি! আর তো কিছুই করে নি! এতেই এত টেম্পো নেওয়ার কি আছে? ওর হয়ে আমি সরি বলে দিচ্ছি।হয়ে গেল। খেল খতম, পয়সা হজম।তবে এটাও জেনে জান আপনার মেয়েরও কিন্তু পিনিক মারার অভ্যেস আছে।খিল্লি ওই প্রথম করেছিল।তাই এত। ঝুঙ্কুর বাবা দাঁত কিড়মিড় করে বলেছে- পিনিক মারা দেখবে? ওকে।আই উইল গিভ ইউ অ্যা লেশেন। তুই থামবি - বলে সত্যেনদার ধমকে আপাতত চুপ করলেও পরে লোকটা চলে যেতেই সত্যনদার সামনেই বলেছে- বালের শিক্ষিত। সত্যেনদার পাল্টা ধমক - মাইণ্ড ইওর ল্যাংগুয়েজ পটাই।ভাষা ঠিক কর।নইলে তাড়াব দল থেকেই।এত নোংরা ল্যাংগুয়েজ।পার্টির ইমেজ বলে একটা কিছু আছে তো নাকি রে! একে তো ইভ টিজিং এর কেস ।তার ওপর স্ল্যাং ইউস।কি বলবে বল লোকে।তোদের এই স্ল্যাং ইউজটা কি বাই বার্থ? তোরা ভদ্র সমাজে বসবাসের অযোগ্য। দলে তো বটেই। পটাই চিৎকার করে বলল- ধূর বাল।ছাড়ো না।এই বালের ইংলিশ, যায় বোঝা না যায় পড়া।যারা বোঝে না,দের সামনে ঝেড়ে কি যে আনন্দ পাও কে জানে!এর চেয়ে বাল, হিন্দি অনেক ভাল। অন্তত বোঝা যায়। গদাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল পটাই এর দিকে পটাই চিৎকার করল- কি বাল? তাকিয়ে দেখছিস কি? থতমত খেয়ে গদাই বলল- দেখছি না শুনছি। কি শুনছিস ? বল না ? খেপে উঠেছে পটাই। তোমার মাতৃভাষা- নরম গলায় বলল উচ্চমাধ্যমিক ফেল গদাই।একটু থেমে আরও নরম গলায় বলল আসলে বুঝতে চাইছি হিন্দি আর তোমার মাতৃভাষার পার্থক্যটা। সত্যেনদা গদাই এর দিকে তাকিয়ে বললেন -'বোঝার কোন চেষ্টাই কোর না গদাই।মাথার সব চুল টেনেও বুঝতে পারবে না, আমিও পারিনি।’ গদাই নিষ্পাপ কণ্ঠে প্রশ্ন করল- কোন বিষয়টা? সত্যেনদার নির্লিপ্ত জবাব- এই একটা ভাষা শহীদ হয় কখন? অন্য ভাষার তাপে না ভুল ব্যবহারের চাপে? একটা সিগারেট ধরিয়ে লম্বা টান দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট রিং ছাড়তে ছাড়তেই পটাই বলল- আমাদের এই মাতৃভাষার জোর জান? আমরা জানি।আমাদের সমাজ জানে।আমাদের এই ভাষার জোরেই কিভাবে ওই বালের শিক্ষিত সমাজের ইংলিশ মাড়ানো ধান্দাবাজদের চাপে বাপ বলাতে হয়। সত্যেনদার ধমক এল - ওই ছোটলোকের ভাষার কোন দাম নেই। চকিতে ঘুরে দাঁড়াল পটাই - শুধু দাম কখন বলতো? অন্যকে ভয় দেখাতে বা চমকাতে ? তাই না? যখন আমাদের ডাক পড়ে? মানে যখন আপনারা ডেকে নিয়ে যান, আরকি! থতমত খাওয়া সত্যেনদার দিকে তাকিয়ে গদাই নিষ্পাপ কণ্ঠে বলল - ঘাবড়াবেন না - কথা অমৃত সমান।কি বলেন? ……………………………. নিউ নর্মাল দেবাশিস মজুমদার আমাদের সাধনার ওপরে উঠলে দেখা যায়, উঁচু উঁচু পাহাড় ছোঁয়া মিনারখানা যেন আকাশে হেলান দেওয়া। হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিলেন ষাটোর্ধ সুখময় তপাদার। - বলেন কি? আপনি সাধন মার্গের মানুষ বুঝি নি তো। - না, না। সাধনা আমাদের ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারীদের আবাসন। সেই চারতলা আবাসনের মাথায় উঠলে পাশেই দেখা যেত গঙ্গা।এখন গঙ্গার পাশে খেলনা গম্বুজের মতন ত্রিশতলা নতুন কমপ্লেক্স নিউ কোলকাতা। - জানি একেবারে অত্যাধুনিক ব্যবস্থার অ্যাপার্টমেন্ট।আমার মেয়ের অফিসের বস্ বুক করেছেন একটি।মেয়েও বলছে আমাদের গঙ্গা দর্শনের পাঁচতলার ওপরের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে ওখানেই একটা বুক করতে।এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে থামলেন প্রাতঃভ্রমণকারী নির্বেদ রায়। - ওখানে সব ভাল। একটাই অসুবিধা, সবাই অচেনা। পনেরো কুড়ি হাজার মানুষ গোটা এলাকায়। পাঁচ হাজার মতন ফ্ল্যাট, ত্রিশতলা দশটা টাওয়ার।কে কার? এটাই বুঝি না।হয়ত বা বয়সটা বোঝায় না।এটাও হতে পারে।নিজের যুক্তিতে অটল সুখময়। - আপনি গিয়েছিলেন কখনও? - হ্যাঁ, আমার ভাগ্নী মুন কিনেছে, ২৮ তলায়। গেলাম, থাকলামও একদিন। ভাল বন্দোবস্ত। - হবেই তো। কত বড় কর্পোরেটের ব্যাপার। খারাপ হবে কেন? - না, তা নয়। সাধনার চারতলা আবাসনের সামনে দাঁড়ালে নিজেকে এত ছোট মনে হয় না কখনও। ওপরের বারান্দায় গেলেও না। কিন্তু মুনের চল্লিশতলা টাওয়ার নীচে দাঁড়িয়েও নিজেকে যা মনে হল ওর আঠাশতলার ব্যালকনিতে গিয়েও তাই মনে হল। - কি? - নিজেকে একটা বিন্দুর মতন। - ওসব কিছু না। অত উঁচু তো। তাই ওরকম মনে হয়। - না, আসলে আমার মনে হল, ওপর থেকে নীচে তাকালে মাটির পৃথিবীর মানুষগুলো বিন্দু হয়ে যাচ্ছে আর নীচে দাঁড়ানো মাটির পৃথিবীর মানুষের দল ছোট হতে হতে হয়তো একদিন চাপা পড়ে যাবে। - সে কি! কি করে! - দাপুটে উচ্চতার আগ্রাসী ক্ষুধার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হতাশা আর অভিমানে। - সে তো পাহাড়ের সামনে দাঁড়ালেও হয় আমাদের তাই না? আবার পাহাড়ী উচ্চতা থেকে তাকালেও হয়। - নো – নো।নেভার নেভার।প্রাকৃতিক উচ্চতা বা গুণগত উচ্চতা কোন মানুষকেই নীচু করে না বা ছোট করে না বাঁচার শর্তগুলোকে। - তাহলে আপনি কোন উচ্চতার কথা বলছেন সুখময় দা? - বৈভবের উচ্চতার কথা। - কিন্তু এখন তো চেঞ্জিং সোসাইটির এটাই নর্মাল ডিমাণ্ড সুখময় দা। টু মেক অ্যা ডিফারেন্স বিটুইন কমন অ্যাণ্ড আনকমন ম্যান। - কেন? কেন বলুন তো? - সোসাইটির নর্মাল ডিমাণ্ডকে অ্যাবনর্মাল চাহিদার মুখে ফেলে আর একটা নতুন সোসাইটির বাজার তৈরির জন্য। - কারা তৈরি করছে এই সোসাইটি আর বাজার? - নিউ নর্মাল সোসাইটি আর তাদের বৈভবের দাপুটে সাপ্ল্যায়ার। যাদের উচ্চতার দাপটে ছোট হয়ে যাচ্ছে আমাদের চাহিদাগুলো বিন্দুর মতন।

দুটি গল্প

লিখেছেন:দেবাশিস মজুমদার

ভাষা-শহিদ   কে জানত একটা কথা থেকেই এত ঝামেলার সৃষ্টি হবে। পটাই  মেয়েটার  সামনে  দাঁড়িয়ে গদাইকে বলেছে – অত ভাবার  কিছু নেই।ভাল লাগলে বলে দে-আই লেবু। ব্যস ওখানেই  শুরু  হল নতুন  বিপ্লব।এলাকার  দাপুটে নেতা ও কাউন্সিলর সত্যেনদাকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ার  মোড়েই  ধরেছিল  পটাইকে।দলের  ছেলেদের  সামনেই  গরম নিতে আরম্ভ  করল আর তারপরই শুরু হল মেয়ের  বাবার  […]

বাকিটা পড়ুন...

এক সওদাগরের ‘সপ্তডিঙা ও অন্যান্য’

লিখেছেন:মিতালী মিত্র

সদ্য একটা ভালো বই পড়ে উঠলাম। ঠিক গল্প, উপন্যাস কিম্বা প্রবন্ধ নয়, তবে এই বইটিতে সব রসদই মজুত। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শঙ্কর ঘোষ এর লেখার একটি সংকলন- সপ্তডিঙা  ও অন্যান্য। নোয়াখালি মার্চে সাংবাদিক হিসেবে গান্ধীজির সঙ্গী ছিলেন তিনি,  প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রনেতাদের সফর সঙ্গী শঙ্করবাবু প্রশাসন এবং রাজনৈতিক সাংবাদিকতার চাপ সামলেও  নিয়মিত বই রিভিউ […]

বাকিটা পড়ুন...
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের মুখোমুখি / সাক্ষাৎকারঃ অনিন্দ্য সৌরভ

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের মুখোমুখি

লিখেছেন:সাক্ষাৎকারঃ অনিন্দ্য সৌরভ

[বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ব্যতিক্রমী কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারটি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত। বিখ্যাত অনুবাদক ও  সম্পাদক অনিন্দ্য সৌরভের অনুমতিক্রমেই এই মূল্যবান আলাপটি ‘গল্পের সময়’ এর পাঠকদের জন্য ফের প্রকাশ করা হল।] অনিন্দ্য: সাহিত্য সৃষ্টিতে কীভাবে এলেন? বাড়িতে কি লেখালেখির অনুকূল পরিবেশ ছিল? সিরাজ: জ্ঞান হবার পর থেকেই বাড়িতে প্রচুর বই-পত্র দেখেছি। এরই মধ্যে বেড়ে […]

বাকিটা পড়ুন...
সিদ্ধার্থ সান্যাল / কৃকলাশ

কৃকলাশ

লিখেছেন:সিদ্ধার্থ সান্যাল

তাহলে আমরা যাচ্ছি কি না লাস্ট শো-এ ? তাড়াতাড়ি ঠিক করে বল, টিকিট বুক করবো তো ! প্রমথ দুই বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বললো। তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু কানপুর ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে ইলেকট্রনিক্সের ছাত্র, প্রমথ ডে স্কলার, বাকি দুজন হোস্টেলবাসী । শনিবারের দুপুর থেকে প্রমথর বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া আর জোর আড্ডা দিচ্ছে সুজন আর অনন্ত। ওদের দুজনের […]

বাকিটা পড়ুন...
রূপা সেনগুপ্ত / সীতা

সীতা

লিখেছেন:রূপা সেনগুপ্ত

১ অশোক বাড়ি ফিরছিল রিক্সা করে। এভাবে রিক্সাভাড়া সচরাচর সে খরচ করে না। শিখা বলে সে নাকি কিপ্টে। অশোক মুচকি হেসে এড়িয়ে যায়। ব্যাংক কর্মী অশোকের একটা ছোট বাড়ি আছে। ব্যাংক লোন করে প্রথমে জমি কিনেছিল সে। পরে লোন শোধ হলে বাড়ির জন্য লোন নেয়। অশোক বেশ হিসেবী । একটা ডায়েরি তে সে সব হিসেব […]

বাকিটা পড়ুন...
ঘুম এনে দেবে কেউ / তন্বী মুখোপাধ্যায়

ঘুম এনে দেবে কেউ

লিখেছেন:তন্বী মুখোপাধ্যায়

ঘুম আর শেষঘুম এক নয়, শেষ ঘুম হলো মৃত্যু। শেষ ঘুম একবারে অজ্ঞান,এক্কেবারে নিস্তার। ঘুমও নিস্তার- কিছু সময়ের জন্য ভুল-ঠিক, কর্তব্যাকর্তব্য,মায়া না মতিভ্রম, সুমতি- কুমতির হাত থেকে বাঁচা। শেষ ঘুমে তাই হয়তো স্বর্গ আসে ও ঘুমের মাঝে দেখা দেয় স্বপ্ন নামে ক্ষণস্বর্গ। রিটায়ার করা- ইস্তক  প্রফুল্লবাবুর ঘুরে ফিরে ঘুম ছাড়া আর কিছুই ঠিক মনে হচ্ছে […]

বাকিটা পড়ুন...
বিন্দু বিসর্গ /দেবাশিস মজুমদার

বিন্দু বিসর্গ

লিখেছেন:দেবাশিস মজুমদার

গল্প আছে ?- রিষড়ার বাঙ্গুর পার্কের ফ্ল্যাটের সান্ধ্য দ্বিপাক্ষিক আড্ডার মধ্যেই  হটাৎ প্রশ্নটা ছুড়েছিল কলকাতার একটি নামী সংবাদপত্রের  সাব এডিটর পীযুষ আশ। গল্প তো আছেই ? খাস্তা, বাসি, টাটকা কোন গল্প শুনতে চাস বল?- চটজলদি পালটা প্রশ্ন ছুঁড়লো লেখক সদানন্দ। সবেমাত্র আই বি- র লার্জ পেগটা শেষ করে গ্লাস নামিয়েছে। সন্দিপনীয় ভাষায় উৎসব শুরু হয়েছে […]

বাকিটা পড়ুন...
দেবী আছেন ওদেশেও / দেবরাজ গোস্বামী

দেবী আছেন ওদেশেও

লিখেছেন:দেবরাজ গোস্বামী

মানুষের মনের ভিতরের যে অন্ধকার, যে আসুরিক প্রবৃত্তি তাকে দমন করবার ভেতর দিয়েই এগিয়েছে আমাদের সভ্য হওয়ার ইতিহাস। কিন্তু এই সভ্য হয়ে ওঠবার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে যে এখনো বহু যোজন পথ পাড়ি দিতে হবে তা বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না। অতি সাম্প্রতিক কালের ভয়ানক নারী নির্যাতনের ঘটনা এক নিমেষে সভ্যতার আপাত পরিশীলিত মুখোশকে ছিঁড়ে ফেলে […]

বাকিটা পড়ুন...
বুঝিনি সে নিরুচ্চার ভালোবাসা ছিল নিরন্তর / অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়

বুঝিনি সে নিরুচ্চার ভালোবাসা ছিল নিরন্তর

লিখেছেন:অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়

এক দুপুর থেকে একা একা কফি হাউসে বসে দু’তিন রাউন্ড ইনফিউশন শেষ কোরেও একটা লাইনেই আটকে থাকল পদ্যটা, ‘বুঝিনি সে নিরুচ্চার ভালোবাসা ছিল নিরন্তর’। আগে পরে আর কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নাহ্, আজ আর হবে না। বিকেলের দিকটায় উঠব উঠব করছি, এমন সময় দেখলাম প্রফেসর সাহেব ঢুকছেন, অনেকদিন পরে! আমার অনেক দিনের পরিচিত জন। […]

বাকিটা পড়ুন...
তান্ত্রিক, ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়

তান্ত্রিক

লিখেছেন:ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়

কথা ছিল পুরুলিয়া যাব পলাশ দেখতে। কিন্তু যাবার আগের দিন হুজুক উঠলো তারাপীঠ । আমি প্রথমে রাজি হচ্ছিলাম না গন্তব্য পরিবর্তনে।  শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছিলাম তারাপীঠ না যাওয়ার জন্য। কিন্তু মহিলা সদস্যদেরই জয় হলো। তারাপীঠ সম্পর্কে গল্প শুনে শুনে কেমন যেন একটা  অনাগ্রহ তৈরি হয়েছিল আমার মনের মধ্যে। এই অনাগ্রহের কারণ বলতে গেলে আমাকে অরুণের […]

বাকিটা পড়ুন...
গাছ কন্যা/সুদীপ ঘোষাল

গাছ কন্যা

লিখেছেন:সুদীপ ঘোষাল

গ্রামে গঞ্জে শহরের আনাচে-কানাচে কত যে ঘটনা ঘটে যায় তার খবর আমরা কি রাখি। কতটুকু রাখতে পারি।নদীর ধারে সাজানো-গোছানো গাছ গাছালি ঘেরা সেরান্দি গ্রাম। এই গ্রামে একটা হাই স্কুল ছিল। রুনু নামে, একটা মেয়ে পড়ত এই স্কুলে। যখন অঙ্কের ক্লাস হতো,  তখন দিদিমণি দেখলেন অংক না করে রুনু ছবি আঁকছে। আবার বাংলার ক্লাসে মাস্টারমশাই গেলেন […]

বাকিটা পড়ুন...
ইউটিউবে জানা-অজানার এক আশ্চর্য দুনিয়া

ইউটিউবে জানা-অজানার এক আশ্চর্য দুনিয়া

ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন ‘খোশখবর’ ইউটিউব চ্যানেলে [ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই ‘খোশখবর’ ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য […]

বাকিটা পড়ুন...

অনলাইনে অন্যরকম পাঠ,খোশখবর

সমাজ-সংস্কৃতি  থেকে শিল্প-সাহিত্য বাছাই খবর।। বিশেষ খবর।। বিচিত্র খবর জ্ঞানের খবর।। বিজ্ঞানের খবর জানা-অজানা ।। জ্ঞান-বিজ্ঞান ।। শিল্প-সংস্কৃতি ।। লাইফ-স্টাইল   ঢুকে পড়ুন জানা অজানার আশ্চর্য দুনিয়ায়  আমাদের ওয়েবসাইট  www.khoshkhobor.in অনেকের মধ্যে অন্যরকম… জানা অজানার আশ্চর্য দুনিয়া,ইউটিউবে অন্যরকম পাঠ – ‘খোশখবর’    ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে  https://www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg ইউটিউবে ‘খোশখবর’, সাবস্ক্রাইব ও শেয়ার করুন …………………………………… খোশখবরের […]

বাকিটা পড়ুন...

খোশখবর,ইউটিউবে অন্যরকম খবর

অনেকের মধ্যে অন্যরকম… জানা অজানার আশ্চর্য দুনিয়া,ইউটিউবে অন্যরকম পাঠ – ‘খোশখবর’    ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে  https://www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg সমাজ-সংস্কৃতি  থেকে শিল্প-সাহিত্য বাছাই খবর।। বিশেষ খবর।। বিচিত্র খবর জ্ঞানের খবর।। বিজ্ঞানের খবর জানা-অজানা ।। জ্ঞান-বিজ্ঞান ।। শিল্প-সংস্কৃতি ।। লাইফ-স্টাইল   ইউটিউবে ‘খোশখবর’, সাবস্ক্রাইব ও শেয়ার করুন ঢুকে পড়ুন জানা অজানার আশ্চর্য দুনিয়ায়  আমাদের ওয়েবসাইট  www.khoshkhobor.in

বাকিটা পড়ুন...

তুমিও গল্প বলো

লিখেছেন:সম্পাদকমন্ডলী

একটা ভালো গল্পের জন্ম হয় কিন্তু তার মৃত্যু নেই,এমনটাই বিশ্বাস আমাদের। একটা ভালো গল্প একজন পাঠকের বুকের ভেতর বেঁচে থাকে চিরকাল। সেই পাঠকের হাত ধরেই তা পৌঁছে যায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। এমনভাবেই তো হাজার বছর আগের গল্প আজও শুনে চলেছি আমরা। আমরা চাই একটা ভালো গল্প উন্মুক্ত হোক বহু পাঠকের কাছে। গভীর যত্নে, মমতায় প্রাণ […]

বাকিটা পড়ুন...

গল্পের সময় ।। আরও প্রেমের গল্প



গল্পের সময় ব্লগ

দুই সমরেশের গল্প

গল্পের সময় ব্লগ

রাজার দেউড়ির স্কুলের পদ্মাবতী

গল্পের সময় ব্লগ

‘রঙকানা’ রবীন্দ্রনাথ



গল্পের সময় বিজ্ঞাপন


বাংলার হাজার হাজার পত্র-পত্রিকার মত ‘গল্পের সময়’ও একটি লিট্‌ল ম্যাগাজিন। কাগজ ও কালিতে ছাপার বদলে এর বিচরণ অর্ন্তজালে,পার্থক্যটা এখানেই। অনান্য লিট্‌ল ম্যাগাজিনের মতই বেঁচে থাকতে,পথ চলার রসদ জোগাতে বিজ্ঞাপন গ্রহন করবে গল্পের সময়। তবে সচেতনভাবে লোক ঠকানো কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে না এই পত্রিকার পাতায়।

ভাল গল্পের ডালি নিয়ে অর্ন্তজালে ভেসে ভেসে বহু মানুষের কাছে পৌঁছোতে চায় ‘গল্পের সময়’। আমাদের সঙ্গী হয়ে আপনার প্রতিষ্ঠান, প্রকাশন সংস্থা, ব্যক্তিগত বই বা অন্য কোনও উদ্যোগের বিজ্ঞাপন অনেকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন আপনি। বাণিজ্যিক প্রকাশন সংস্থার মিনিট সেকেন্ডের টাইমফ্রেম বা স্কোয়ার-সেন্টিমিটারের চোখরাঙানি নেই। গোটা মাস/বছর ধরে ২৪X৭ লাইভ রাখুন আপনার বিজ্ঞাপন।

আকাশছোঁয়া মূল্য নয়, নামমাত্র খরচে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ থাকছে গল্পের সময়ে। বিজ্ঞাপন দিন সরাসরি ওয়েব লিঙ্ক অথবা তৈরি পেজ-এর মাধ্যমে। আরও বিস্তারিত জানতে চলে আসুন আমাদের বিজ্ঞাপনের পাতায়। প্রয়োজনে মেইল করুন galpersamay@gmail.com এ।

বিজ্ঞাপন



জনান্তিকে ভিন্নতর আলাপ ।। গল্পের সময় ব্লগ



গল্পের সময় সাক্ষাৎকার

গুরু পণ্ডিত রাজেন্দ্র গঙ্গানিজির সাক্ষাৎকার

দিল্লিতে একটি মৃত্যু

ডা.মালবিকা মিত্রের সঙ্গে আলাপে প্রতিভা দাস

কোনও শিল্পই নতুনত্ব ছাড়া বাঁচে নাঃ মালবিকা মিত্র




গল্পের সময়/ অনুবাদ গল্প



গল্পের সময় আকাশপথের উদ্দেশে হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

আকাশপথের উদ্দেশে

কর্মফল

দুটি গল্প / ধ্রুব বাগচী

দুটি গল্প

প্রক্সি

 

গল্পের সময়ের গল্প

ডাকে না ফেলা চিঠি

গল্পের সময়ের গল্প

একটি বালিশীয় গল্প

গল্পের সময়ের গল্প

কচুরিপানা

গল্পের সময়ের গল্প

সন্ধ্যা নামার আগে

 

গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা

সাত্যকি আর ফিরে আসে নি

গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা

জামতাড়া গ্যাং

গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা

নিশিযাপন

অভিনেত্রীর খোঁজে

 

কামড়ুম জংশন*

ঘুরে দাঁড়ানো

কালসর্প

একজন কুকুরের জবানবন্দি

 

বুমেরাং

স্বেচ্ছা নির্বাসন

Twitter

Facebook

Google

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2025 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ