চেনা জানা জগৎটাই আমাদের কাছে ধোঁয়াশা। এই জগতটারই কোন সঠিক চেহারা আমরা বুঝি না যতক্ষণ না অচেনা নানা কাহিনী, চেনার জগতের হাত ধরে আমাদের চেনা মানুষগুলোকে আরও ভালভাবে চিনিয়ে দিয়ে যায়। তাই অচেনা মানুষরা আমাদের পরিচিত জগতের মধ্যে যতটা না প্রভাব ফেলে চেনা লোকের নতুন নতুন না জানা ঘটনা আমাদের বেশি করে ভাবায়। লেখক পাঠকের ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ পাতার মধ্যে নিষ্প্রাণ অক্ষর গুলোর নির্মাতার নানা কাহিনী আমাদের ভীষণ ভাবে দুলিয়ে দিয়ে যায়। লেখকদের লেখার নানা বিচিত্র জন্মকথা নানা বিচিত্র জীবনযাত্রার নানা বর্ণনা নানা সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক অপ্রকাশিত থেকে গেছে। আবার কিছু ভবিষ্যতেও থেকে যাবে। কারণ এর কোন শেষ নেই । আবার পাশাপাশি আমাদের জানার আগ্রহেরও শেষ নেই। এমনই কিছু প্রায় অজানা গল্পই থাকছে এই গল্পের আসরে।
তবে গল্পের আসরে বাঙালির মতন নষ্টালজিক বোধহয় আর কেউ হতেই পারবে না। তাই ডাউন মেমারি লোকাল ধরে পৌঁছে যাই বহুদূরের ইংল্যান্ডে, রোমান্টিক কবি বায়রনের কাছে। খ্যাতির চূড়ায় ওঠা মানুষটির ব্যাক্তিজীবনে সরস কেচ্ছার অন্ত ছিল না। লোকের মুখে মুখে ফিরত তার বিলাস, বিহ্বলতা ও কেলেঙ্কারির গল্প। সেই মানুষটির অপকটে লেখা চারশো পাতার আত্মজীবনী নিয়ে তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল তাঁর মৃত্যুর পর সেটি যেন ছাপা হয় এবং তা কোথাও কোন সংশোধন না করেই । এই লেখার বছর পাঁচেকের মধ্যে বায়রনের মৃত্যু হয়। বায়রনের এই ইচ্ছায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বন্ধু হবহাউসের মত। হবহাউস বলেন এই আত্মজীবনী প্রকাশিত হলে বায়রনের পরিবার নানা ‘নোংরা’ আলোচনার শিকার হবেন। হবহাউস বন্ধুর পারিবারটিকে বাঁচাবার জন্য সিদ্ধান্ত নেন চারশো পাতার আত্মজীবনী ‘মাই লাইফ অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার’ পুড়িয়ে ফেলার। বইটি প্রকাশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সু -কবি টমাস মূর। তিনি কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন বইটির গুরুত্ব। কিন্তু বন্ধুর পরিবারের ভবিষ্যৎ যন্ত্রনার কথা বিবেচনা করে নিরুপায় হয়ে মত দেন হবহাউসের কথায়। অবশেষে সেই পান্ডুলিপি জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়। হারিয়ে যায় বিশ্ব সাহিত্যের এক অজানা ইতিহাস।
প্রায় এইরকম ঘটনার সমতুল্য আরেকটি ঘটনা হল কাফ্কার আত্মজীবনী প্রকাশ। লোকচক্ষুর আড়ালে বেঁচে ছিলেন চল্লিশটি বছর। একাকীত্ব, ব্যর্থতা, যক্ষা তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিল তার আয়ু আর বেশী দিন নেই। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ম্যাকস ব্রড্কে তিনি বলেছিলেন তার মত ব্যর্থ মানুষের সমস্ত পান্ডুলিপি যেন পুড়িয়ে ফেলা হয়। ম্যাকস ব্রড্ কিন্তু বায়রন- বন্ধু হবহাউসের ঠিক উল্টো কাজটি করেছিলেন। পান্ডুলিপি পুড়িয়ে ফেলা দুরের কথা কাফ্কার মৃত্যুর পর তা সাজিয়ে গুছিয়ে একে একে প্রকাশ করেছিলেন – ‘দি ট্রায়াল’, ‘দি কাসল্’ ‘আমেরিকা’ এবং ‘দি গ্রেটওয়াল অব চায়নার’ মতন দারুন সব বই। সেই সঙ্গে সম্পাদনা করে ছেপেছিলেন ‘কাফ্কার ডায়েরী’। অসামান্য এই বইগুলির কথা আজ আর কাউকে নতুন করে বলে দেবার নেই। বন্ধুর সিদ্ধান্তের হেরফেরে কিভাবে একজন লেখক বেঁচে গেলেন, আর একজন লেখকের অমর সৃষ্টি হারিয়ে গেল চিরতরে।
এবার বলি আর একটা মজার কাহিনী। ইংরাজী সাহিত্যের ওয়াল্টার স্কট বই- এর প্রকাশনা সংস্থায় প্রচুর টাকা ঢেলে শেষ বয়সে দেনার দায়ে ডুবতে বসেছিলেন। শরীর ও ভেঙে পড়েছিল। বিশ্রাম নেবার অবকাশ ছিল না একটুও। বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য বইকেই আশ্রয় করলেন। মাত্র ছ’ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে ফেললেন ‘গাই ম্যানারিং’। সে বই বিক্রিও হল, দেনাও মিটল। এত দ্রুত বই লিখে দেনা মেটানোর নজির বিশ্বসাহিত্যে কমই আছে।
দ্রুতগতিতে লেখা এক বিশেষ পারদর্শীতা। ড্যানিয়েল ডিফো নানা ধরনের চাকরি করতে করতে শেষে সাংবাদিক হিসাবে লেখালিখি শুরু করেছিলেন। ঔপন্যাসিক হিসাবে তার আত্মপ্রকাশ উনষাট বছর বয়সে। প্রথম উপন্যাস ‘রবিনসন ক্রশো’-তে বাজিমাত। অকল্পনীয় সাফল্য দেখে মাত্র একমাসের মধ্যে ‘রবিনসন ক্রশো’র দ্বিতীয় খন্ড লিখে ফেলেছিলেন। পরে অবশ্য এই লেখার গতি তিনি ধরে রাখতে পারেননি। ছ ‘বছরে লিখেছিলেন মোট ৬ টি উপন্যাস।
গতিতে গল্প লেখার গল্পকার আমাদের বাংলাসাহিত্যেও রয়েছেন এবং সেই ব্যাক্তি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ। ‘সাধনা’ পত্রিকায় প্রথম বছরে বারোটি গল্প লিখেছিলেন তিনি। তার মধ্যে ছিল খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন, সম্পত্তি সমর্পন, একরাত্রি এবং জীবিত ও মৃত –র মতন বিখ্যাত সব গল্প। প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর রবীন্দ্রজীবনীতে জানিয়েছেন যে ওই চার বছর সময়ে রবীন্দ্রনাথ সবমিলিয়ে চুয়াল্লিশটি গল্প লিখেছিলেন। কিন্তু ছোটগল্পের এই অতি ফলনকে রবীন্দ্রনাথ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁর সুদীর্ঘ জীবনে লিখিত গল্পের সংখ্যা চুরানব্বই। চার বছরে চুয়াল্লিশটি গল্প লিখে বাকী জীবনে লিখেছেন মাত্র পঞ্চান্নটি। তবে এই প্রসঙ্গে রবার্ট লুইস সিটভেনশনের একটি গল্প না বললেই নয়। তার অসামান্য কাহিনী ‘ডক্টর হেকেল এবং মিস্টার হাইড’ – তিনি শেষ করেছিলেন তিনদিনে। শোনা যায় তিনি নাকি কাহিনীটি দুঃস্বপ্নে পেয়েছিলেন। বিচিত্র এই চরিত্রটি প্রোটোটাইপ ছিল একটি। এই লেখাটির প্রথম রূপটি নাকি একটু থ্রিলার ঘেঁষা ছিল। স্ত্রী ফ্যানির এটি ভালো লাগেনি। সেকথা জানাতেই লেখক চটে উঠেছিলেন। আগুনে পুড়িয়ে দেন প্রথম পান্ডুলিপি। দ্বিতীয় দফায় কাহিনীটি লেখার জন্য লেগেছিল মাত্র তিনদিন।
আবার দ্রুত গতি নয়, নিজের প্রিয় জায়গা থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন লেখক জেমস জয়েস। পৃথিবী বিখ্যাত বই ‘ইউলিসিস’ যে শহরে রচনা শুরু সেই ডাবলিন ছেড়ে ১৯০৪ সালে মাত্র বাইশ বছর বয়সে তিনি চলে যান ইতালিতে। এবং ওখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার স্ত্রী নোরা জয়েসের ভাষায় জেমসের কাছে ডাবলিন সবসময় ১৯০৪ এর ডাবলিন হয়ে থেকে গিয়েছে। এমনকি ১৯৩১ –এ তাঁর বাবার মৃত্যু তাঁকে ডাবলিনে ফেরাতে পারেনি।
লেখকদের জীবন বড় বিচিত্র। বড় বিচিত্র তাদের মনের জগত। পাঠক সেই জগতের খোঁজ রাখেন কতটুকুই বা ? আর্নেস্ট হেমিংওয়ে খুব পরিচিত নাম। ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি’ –র লেখক হিসাবে নোবেলও জয় করেছিলেন। ওঁনার জীবনের নানা গল্প আমরা শুনেছি বা জানিও। জীবনের একটা সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসাবে বা কখনও বুল রানার হিসাবে কাজ করেছেন। দু-দুবার আফ্রিকান সাফারির সময় বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু নিজের জীবন শেষ করেছিলেন নিজের হাতের প্রিয় রিভালভারের গুলিতে।
এই রকমই প্রায় অজানা এক চমকপ্রদ কাহিনী আছে। ‘অ্যাডভেঞ্চারস অব টম সোয়্যার’- এর লেখক মার্ক টোয়াইনকে কেন্দ্র করে। নানা ধরনের বিচিত্র পেশায় কাজ করতে করতে তিনি নিজের আবিস্কৃত দুটি জিনিসের পেটেন্ট নিয়েছিলেন নিজের জীবদ্দশায় যা তাকে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ডলার রোজগারের পথ দেখিয়েছিল। সে যুগের বিচারে এই টাকা যথেষ্টর অনেক বেশি। তবে তার আবিষ্কৃত দ্রব্যটির নাম শুনলে চমকে যাবেন। তিনি বিভিন্ন জামাকাপড় বিশেষত অর্ন্তবাস দ্রব্যটিকে প্রয়োজনে ঢিলে করবার জন্য ‘স্ট্রেচেবল স্ট্র্যাপ’ জুড়ে দেওয়ার পদ্ধতি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন। ২টি মুখখোলা স্ট্র্যাপকে বিভিন্ন ঘরে প্রতিস্থাপন করে হালকা ও ঢিলে করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন পৃথিবী বিখ্যাত এই লেখক। বিশেষত মহিলাদের অর্ন্তবাসের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে তার অবদান অনেকের কাছেই অজানা।
একইভাবে এক অজানা অভ্যাসের কথা শোনা যায় ‘এ টেল অব টু সিটিজ’ –এর লেখক চার্লস ডিকেন্সের। তাঁর নাকি বিভিন্ন মর্গে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস ছিল। তিনি একজায়গায় লিখেছিলেন ‘Whenever I am at Paris I am dragged by invisivable fource in to the Morgue. I never went to go there. But I am always pulled there. শোনা যায় টেমস রিভার পুলিশ বা ওয়াটারলু ব্রিজ পুলিশের সাথে তিনি নানা সময়ে যোগাযোগ রাখতেন আত্মহত্যাকারীদের দেহাবশেষ দেখবেন বলে বা আত্মহত্যার পদ্ধতি শুনবেন বলে। সত্যিই কি বিচিত্র শখ, তাই না ?
কুখ্যাত হিটলারকে লেখক শিল্পীরা নানাভাবে কল্পনা করেছেন নানা সময়ে। কিন্তু সুরিয়ালিস্ট আন্দোলনে্র প্রবক্তা সালভাদর দালির মত হিটলারকে মেয়ে হিসাবে বোধহয় আর কেউ ভাবতে পারেনি। দালির ‘ডায়রি অব আ জিনিয়াস’-এ, দালি হিটলারের নারীরূপের চমকারিত্ব শুধু ব্যাখ্যা করেননি, অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে এমন সব কথা বলেছেন যা পড়লে চমকে যেতে হয়। দালির দিনলিপি দালির মতনই বৈচিত্রময়।
অনেক গেল বিদেশের গল্প। ফেরা যাক দেশের গল্পে। সাল ১৯১২। লন্ডন চেয়ারিং ক্রশ স্টেশন থেকে টিউব রেলে চলেছেন রবীন্দ্রনাথ, রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমাদেবী। গন্তব্য ব্রউমস্বেরি এলাকা। রথীন্দ্রনাথের হাতে একটি অ্যাটাচি। তার মধ্যে ছিল গীতাঞ্জলীর ইংরাজী অনুবাদের আস্ত পানডুলিপি। ট্রেন যাত্রার শেষে ব্রউমস্বেরির একটি হোটেলে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ । পরের দিন রবীন্দ্রনাথের যাওয়ার কথা রোটেনস্ট্যানের বাড়ি, পানডুলিপি সহ। খেয়াল হল অ্যাটাচি সমেত পানডুলিপি উধাও। অর্থাৎ ট্রেনেই রয়ে গেছে অ্যাটাচি সমেত পানডুলিপি। রবীন্দ্রনাথ ছুটলেন টিউব রেলের লস্ট প্রপার্টি অফিসে। জানা গেল কোনও সদাসয় ব্যাক্তি জমা দিয়ে গেছেন অ্যাটাচি সমেত পানডুলিপি। রথীন্দ্রনাথ তাঁর পিতৃস্মৃতি গ্রন্থে লিখছেন, ‘মাঝে মাঝে একটা দুঃস্বপ্নের মতন ভাবি, যদি ইংরাজী গীতাঞ্জলী আমার অমনোযোগ ও গাফিলতির দরুন সত্যি হারিয়ে যেত তাহলে …।‘
এরপর আসা যাক বিভূতিভূষনের গল্পে। পথের পাঁচালীর প্রথম পাঠক ছিলেন নীরোদ সি. চৌধুরী। কিন্তু প্রকাশের আগে নাম নিয়ে আপত্তি করেছিলেন নিরোদ সি.। ‘পাঁচালী’ শব্দটি বদলে ফেলতে বলেছিলেন। কারণ তাতে নাকি গেঁয়ো গন্ধ জড়িয়ে আছে। পাঁচালী শব্দটি বদলে দিতেও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু পাঁচালী নামে অমর থেকে যান বিভূতিভূষণ। ফলে আর বদল হয়নি। আর আজকের সেই ‘পাঁচালী’ হয়ে উঠেছে ইতিহাস। অন্যদিকে ‘ক্লার্ক ওয়েল সাহেবের ইস্কুল’ নামে বাংলা সাহিত্যে কোন বই নেই। অথচ বাংলায় এই নামে একটি বই থাকার কথা। বিভূতিভূষণ তার কলকাতার শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে যে উপন্যাসটি লিখেছিলেন তার নাম দিয়েছিলেন ‘ক্লার্ক ওয়েল সাহেবের ইস্কুল’। কিন্তু বিভূতি অনুরাগী গজেন্দ্র মিত্র বইটি ছেপে বার করার সময় নাম করেদিলেন ‘অনুবর্তন’। পাঠকের চোখ থেকে হারিয়ে গেল টুকরো একটি ইতিহাস।
একইভাবে বনফুলের জেদকে টলাতে পারেনি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। ঘটনাটি বনফুলের নাটক ‘শ্রীমধুসুদন’ –কে নিয়ে। রবীন্দ্রনাথ এই নাটকের স্বপ্ন দৃশ্যটি পালটে দিতে বলেছিলেন। বনফুল রাজি হননি। দুঃখ করে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘তুমি আমার কথা শুনলে না, কিন্তু নিবেদিতার কথায় আমি গোরার শেষ দিকটা বদলে দিয়েছিলাম’।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আবার একটি গল্পের নামকরনের ভার তুলে দেন চিত্তরঞ্জন দাসের হাতে। চিত্তরঞ্জন তাঁর বাংলা কাগজ ‘নারায়ন’-এর জন্য শরৎচন্দ্রের কাছে একটি গল্প চেয়ে পাঠান। শরৎচন্দ্র একটি গল্প লিখে পাঠিয়ে দিয়ে নামকরণের দায়িত্ব চিত্তরঞ্জনের হাতেই দেন। চিত্তরঞ্জন গল্পের নাম দিয়েছিলেন ‘স্বামী’। তা তার কাগজ ‘নারায়ন’-এ প্রকাশিতও হয়েছিল।
এরকম গল্পের শেষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। আরব্য রজনীর মতন শেষের সুতোয় বাঁধা থাকে আরেকটি গল্পের ভূমিকা। একটি শেষ হয় আরেকটি শুরু হয় সাহিত্যজীবনের অনন্ত যাত্রায় লেখক দের বিচিত্রপথের জীবনদর্শন। ফলে মানুষ লেখকের নানা ঘটনা জর্জরিত জীবনের টুকরো ঝলকই পাঠকের কাছে হয়ে ওঠে স্বপ্নদর্শনের মতন। এখানেই লেখকের দেবত্বে উত্তরণ। রক্তমাংসের খোলস ছেড়ে ,বই এর পাতা ছেড়ে সে তখন পাঠককে নিয়ে যায় তাপান্তরের মাঠ পেরিয়ে কোন এক অজানা প্রান্তে সেখানে রূপকথার ঘোড়া ছুটতে থাকে পাঠকের মনে গড়া স্বপ্নের জগতটাকে বিনির্মাণের লক্ষ্যে। তাই নয় কি ?
email:galpersamay@gmail.com
ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় on July 16, 2018
ভাল লাগল। গল্প পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে স্বাদ বদলানোর জন্যে এই ধরনের লেখা চমৎকার। এ রকম লেখা চলুক।
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।