14 Jan

দুটি অণু গল্প

লিখেছেন:অনিলেশ গোস্বামী


মাতৃরূপেন

 অফিসার চমকে উঠলেন, — ভেবে বলছেন ? মেয়েটা কিন্তু বলেছে ,অন্ধকারে চিনতে পারেনি ।
নিবেদিতার কঠিন স্বর, দেরি না করে চলে আসুন । ততক্ষণ আটকে রাখবো ।
দরজায় বেল বাজলো । বাড়িতে পুলিশ দেখেই  সজলের রক্ত হিম হয়ে গেলো । দেখলো রুদ্রানীর মতো তেজে জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তার দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করলেন মা । তাঁর প্রসারিত হাতটা যেন উদ্যত ত্রিশূল ।

কাঁটাতার

  দরজায় বেল বাজলো ।
বারোতলার সুসজ্জিত ফ্ল্যাটের ড্রেসিংগাউন পরা লাহিড়ীসাহেব বেরিয়ে এলেন । একজন মধ্যবয়স্ক
লোক কাঁচুমাচু মুখে দাঁড়িয়ে । দারোয়ান বললো ,
” স্যার , আসতে দিচ্ছিলামনা । কিন্তু বলছে আপনি চেনেন । বর্ডার পেরিয়ে অনেক কষ্টে এসেছে ।
লাহিড়ীসাহেব বেশ বিরক্ত ,
— কাকে চাইছেন ?
মানুষটি একটু কুন্ঠিত হয়ে তাকালেন ,
— অভিজিৎ , আমি মতিউল ইসলাম ।
কয়েকটি মূহুর্ত যেন কয়েকটি যুগ। ফেলে আসা তিরিশটা বছর একলাফে সামনে এসে গেলো ।
সিরাজগন্জে পাশাপাশি বাড়ি । স্মৃতি বাঙ্ময় হতেই অভিজিতের বুকে তোলপাড়। চিৎকার করে উঠলো ,
— মতিউলভাই , আমি ভাবতে পারছিনা ।
দীর্ঘ তিরিশ বছর পরে দুই বাল্যবন্ধু পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলো ।
দুজনের বাঁধভাঙ্গা চোখের জলের একমাত্র সাক্ষী রইলো অভিজিতের স্ত্রী সুলেখা ।

Tags: ,

 

 

 




  • খোঁজ করুন




  • আমাদের ফেসবুক পেজ

  • মতামত

    আপনার মন্তব্য লিখুন

    আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।




    Notify me when new comments are added.

    যোগাযোগ


    email:galpersamay@gmail.com

    Your message has been sent. Thank you!

    গল্পের সময় পরিবার
    সমীর
    অগ্নীশ্বর
    দেবাশিস
    চিন্ময়
    পার্থ
    মিতালি
    জাগরণ
    দেবব্রত

    © 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ