মনের ডায়েরি
মনের কথা প্রকাশ করার দুটো জায়গা ছিল তিন্নির।মা আর ডায়েরি।মাকে মুখে বলতে হতো না।মনখারাপে হাসি মুখে থাকলেও জাদুবলে ঠিক ধরা পড়তো অভিনয়। আর ডায়েরি লেখাটাও মার থেকেই পাওয়া।
আজ তিন্নিও মা।
মায়ের মৃত্যুর পর মায়ের ডায়েরিটা পড়ে কতবার কেঁদেছেও। কত কষ্ট করেছে মা সংসারে সবাইকে ভালো রাখতে গিয়ে।হাসিমুখে নিজের সব ইচ্ছা জলাঞ্জলি দিয়েছে, অথচ কেউ কোনোদিন বুঝতেও পারিনি।
তিন্নিও মনের ভালোলাগা, মন্দলাগা যেগুলোকে কেউ পাত্তাই দেয়না গোপনে নোটবন্দি করে।হয়তো কোনো দিন কেউ জানবে বা হয়তো জানবেই না। মুখে একরাশ হাসি নিয়ে কত মেয়েতো এভাবেই বেঁচে আছে। শুধু মন জানে মন কি চায়! আর জানে মনের ডায়েরি।
সংস্কার
অফিস যাবো বলে সবে গাড়িতে স্টার্ট দিয়েছি, একটা বিড়াল রাস্তা কাটলো। শুরু হলো মনে খচখচানি। একে দেরি, তারমধ্যে এই অশুভ লক্ষণ। ক্রস কেটে ঠাকুর নমস্কার করে ধীরেসুস্থে গাড়ি চালিয়ে অফিসে পৌঁছালাম।
ফিরলামও নির্বিঘ্নে।
আমি ও আমার গাড়ি সম্পূর্ণ অক্ষত আছি। কিন্তু বাড়ির সামনে বিড়ালটা মরে পড়ে আছে। কোনো গাড়িতে ধাক্কা লেগে ইহলোকের মায়া কাটিয়েছে বোধহয়।
মুখ দিয়ে একটাই আওয়াজ বেরোলো, ইস্। মনে হল আমিই বোধহয় বিড়ালটার জন্য বেশি অশুভ ছিলাম।
Tags: অণুগল্প সংখ্যা, মনের ডায়েরি ও অন্য গল্প, সায়ন্বিতা সরকার শেঠ
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।