চিলেকোঠার এই ঘরটা পুকাইয়ের সাম্রাজ্য ৷ এখানে সে এলোমেলো থাকার স্বাধীনতা পায় ৷ তা নইলে নীচের তিনখানা ঘরই যা সাজানো গোছানো, তাতে পান থেকে চুন খসবার জো নেই ৷ এই চিলেকোঠার ঘরে এলে পুকাই যেন নতুন করে অক্সিজেন পায় ৷ ঘরে মেসির বিরাট বড়ো পোষ্টার ৷ জানালা খুলে দিলেই সামনের রাস্তা দিয়ে লোকেদের চলাচল নজরে পড়ে ৷ সেসব দেখতেও পুকাইয়ের খুব ভালো লাগে ৷ কিন্তু নীচ থেকে মায়ের হাঁকডাকে তার চিন্তাসূত্র ছিঁড়ে যায় ৷ ” কিরে টিউশনের টাইম হয়ে যাচ্ছে , পড়তে যাবি না ? ”
পুকাই তখন মনে মনে মেগাস্থিনিস সেজেছিলো ৷ হেঁটে চলেছিলো অজানা সব মানচিত্রের বুকের উপর দিয়ে ৷ এক এক করে ইতিহাস আর ভূগোল একাকার হয়ে যাচ্ছিলো ৷ মায়ের চিৎকারে সরে এলো সেখান থেকে ৷ চিলেকোঠার জানালাটা বন্ধ করলো গোমড়ামুখে ৷ তারপর নীচে নেমে এলো ক্লাস সেভেনের সোমশুভ্র রায় ৷
Tags: অণুগল্প সংখ্যা, কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, চিলেকোঠা
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।