এই দুহাজার একুশে‘গল্পের সময়’ এসে দাড়িয়েছে ঠিক সেই বিন্দুতে যা অতীত লগ্ন থেকে ভবিষ্যৎ অগ্রগমনের প্রাগ্রসর মুহূর্ত।
কিছুটা পথ পেরিয়ে এসে এই একক কম্প্রমান দ্বীপের মতো মুহূর্তটিতে দাঁড়িয়ে প্রবহমান কালের অবিচ্ছিন্ন স্রোতকে যেন একবার বুঝে নেওয়া যায় হয়তবা।
‘গল্পের সময়’-এর দীর্ঘপথ অতিক্রণের কোনো মহিমান্বিত অভিজ্ঞতা নেই। সে পেরিয়ে এসেছে মাত্র চারটি বছর। আর এই চার বছরের মধ্যে দিনপঞ্জীর পাতায় সদ্য অতিক্রম করেছি আমরা,যে বছর (২০২০) আমাদের সমগ্র জীবন অভিজ্ঞতায়, আমাদের স্মৃতিতে তা এক গভীর ভয়াবহ চিরস্থায়ী ক্ষত হয়ে রইল।
আলো অন্ধকারে হেঁটে যেতে যেতে বারবার ফিরে ফিরে আসবে সেই সব দিন যাপনের সাদা কালো ছবি।
যখন আমাদের নাগরিক জীবন এক অজানা আশঙ্কায় ভীত,বিমূঢ়। কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রিত পারস্পারিক সংযোগ। যখন প্রতিটি সংবাদমাধ্যম বহন করছে কেবলই মৃত্যুর সংবাদ।আর এই কালান্তক ব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে প্রাণ দিচ্ছেন সেইসব চিকিৎসক,স্বাস্থ্যকর্মী।কোনো সাহসী অগ্রজ যাঁরা ব্যাধিজর্জর মানুষের শয্যার পাশে জীবন্ত ঈশ্বরের মতো।
শূন্য রাজপথ। মাঝে মাঝে দ্রুতগামী অ্যাম্বুলেন্সের হুটার বাজিয়ে ছুটে যাওয়া। আর জানলায় জানলায় ভেসে ওঠা ভয়ার্ত মুখচ্ছবি। দ্রুত এগিয়ে আসছে সংক্রমণ…।
২
মাইলের পর মাইল হাঁটতে হাঁটতে আর মরতে মরতে ফিরে আসছে মজুরি শ্রমিক। যাদের সমস্ত পরিচয় মুছে গিয়ে নতুন নাম হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক। আশ্চর্য! যদিও আত্মবিস্মরণ আর খণ্ড চেতনার এই কালে আশ্চর্য বলে কিছু নেই। তবু কিছু মানুষ আজও যাঁরা নিজেদের সমস্ত জীবনীশক্তি ক্ষয় করে মৃত্যুরই মতো এক সর্বব্যাপ্ত বানিজ্যিক আগ্রাসনের বিপ্রতীপে পথ হেঁটে চলেন – জীবনের যথার্থ মানের সন্ধানে। তাদের সেই চলার সঙ্গে আমাদের এবং আমাদের মতো আরও অনেকের চলাও এক ভিন্ন অর্থে অন্বিত হয়ে আছে। আর এই চলায় সেই সমস্ত অনুভবী পাঠক,মরমী মনস্বী লেখক আর যাঁরা আমাদের সকল সময়ের ভাবনাসঙ্গী, আজ দুহাজার একুশের ১লা জানুয়ারি ‘গল্পের সময়’-এর ৫ম বর্ষে এসে দাঁড়ানোর সূচনা মুহূর্তে তাদের সকলকে আমাদের ভালবাসা অভিনন্দন।
গ ল্পে র স ম য়
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।