বাংলা লোক সঙ্গীত সংহত সমাজের সৃষ্টি; শুধু সংহত সমাজের সৃষ্টি নয়, সংহত সমাজের জন্যে সৃষ্ট।তাই বিষয়বস্তু নির্বিশেষে আমাদের লোক সঙ্গীত সংহত সমাদের দ্বারা আদৃতও হয়েছে। আমাদের সমাজের অন্তর্গত হলেন মুখ্যতঃ হিন্দু এবং মুসলমান।তাই সংহত সমাজের সৃষ্ট লোক সঙ্গীত হিন্দু এবং মুসলমান ধর্মসম্প্রদায়ের নিজস্ব কিছু কিছু বিষয় স্থান পেয়েছে সত্য; কিন্তু ততোধিক সত্য হল উভয় সম্প্রদায়ই পরস্পরের সৃষ্ট সম্পদকে আন্তরিক ভাবে গ্রহণ করেছেন। আসলে আমাদের তথাকথিত শিখিত সমাজে সাম্প্রদায়িক ভেদ বুদ্ধি যতটা প্রকট, নিরক্ষর মানুষের ঐক্যবদ্ধ সমাজে সেই ভেদ বুদ্ধি ততটা প্রকট নয়। একই প্রাকৃতিক পরিবেশে, প্রায়একই রূপ জীবিকার অধিকারী হয়ে, একই ধরণের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী এই সব মানুষ ‘আজান’ এবং ‘হরিধ্বনি’কে সমান পবিত্র বলেই মানেন। এখানে পীরের দরগা এবং দেবতার পবিত্র স্থানের মধ্যেকার ববধান খুবই কম। বাংলার লোক সঙ্গীতে তচাই সম্প্রদায় বিশেষেরে নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা কিংবা বিশ্বাসের প্রতিফলন যাই ঘটে থাকুক শেষ পর্?ন্ত তা অ-সাম্প্রদায়িক সৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীর লোক সঙ্গীতে কতখানি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা অভিব্যক্ত হয়েছে সেই বিষয়ের আলোচনাতেই নিবন্ধটি সূত্রপাত।
ঐ না ক্ষীর নদী-সাগর,
সেখানে হারাইছে সেরা আলি খেলাড়ি পাথর॥
পশ্চিম দিক ‘আল্লার ধাম’ বলে যেমন সেই দিকের উদ্দেশে লোক-কবির সেলাম নিবেদিত হয়েছে, তেমনি আবার উত্তরে ‘দেবী মা’য়ের চরণের প্রতিও কবি তাঁর প্রণাম জানিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের একটি বাউল গানে আল্লা এবং হরি যে মূলতঃ এক, উভয়ের অস্তিত্ব সম্পর্কিত সর্বপ্রকার সশয় যে অর্থহীন, আন্তরিকভাবে যাঁরই স্মরণ নেওয়া যায়, তাঁরই করুণায় চিরাবাঞ্ছিত অরূপ রতনের সন্ধান লাভ ঘটে – এই সতটিকে প্রকাশ করে বলা হয়েছেঃ
ভোলা মন আমার, কেন তুমি অচেতন,
ও তোমার মনের কোণে সন্দেহ যে অকারণ॥
কেবা আল্লা কেবা হরি ভাব তুমি অকারণ।
সেই দীননাথ ভবের কাণ্ডারী,
ও মন, যারে ভজ তারেই পাবে মিলবে তোমার অরূপ ধন।
যথার্থ ভক্তি মার্গের পথিক যিনি,তিনি জানেন রাম-রহিমে কোন ভেদ নেই। আল্লা এবং হরিকে আমরা যতই কেন রূপগত বিচারে পৃথক করে দেখি স্বরূপে উভয়েই এক। একটি গাজীর গানে লোক-কবি আমাদের চেতনার রাজ্যে সত্যের সেই মর্মবাণীকেই উপস্থিত করেছেনঃ
মুসলমানে বলে গো আল্লা হিঁদু বলে হরি,
নিদানকালে যাবেরে ভাই একই পথেচলি (রে)
দোয়া-নি করিবা আল্লারে।
মুসলমান সমাজের ফকির সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত গানেও এই একই সত্য অভিব্যক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে অজ্ঞ ও ধর্মন্ধ মানুষ ধর্ম অথবা ঈশ্বর নিয়ে অর্থহীন যে দ্বন্দ্বের অবতারণা করে, ভক্ত কবির কাছে তা যে কতখানি মূল্যহীন, পরম সত্যকে যিনি একবার অন্তরে উপলব্ধি করেছেন, তাঁর কাছে কোন প্রকার জাগতিক সংস্কারই যে বড় হয়ে দেখা দিতে পারে না তার পরিচয়ও বর্তমান ফকিরী গানটিতে পাঔওয়া যায় –
আমি তোমার কাঙালী গো সুন্দরী রাধা
আমি তোমার কাঙালী গো
তোমার লইগ্যা কাইন্দা ফিরে
হাছন রাজা বাঙালী গো।
হিন্দুরা বলে তোমায়রাধা,
আমি বলি খোদা,
রাধা নামে ডাকলে
মুল্লা মুন্সীরে দেয় বাধা।
হাছন রাজা বলে আমি না রাখিব জুদা,
মুল্লা মুন্সীর কথা যত সকলই বেহুদা।
মালদহের একটি গম্ভীরা গানে শিবকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে যে তাঁর উপস্থিতি সর্বত্র, কখনও বা তিনি মক্কাবাসী আবার কখনও তিনি শ্মশানবাসী, কখনও আবার কালীর পাটে তাঁর অবস্থান –
বুড়া ভারী ঘুস্কিছিলান থাকে সব ঘটে,
কখন দেখি মক্কা, কাশী কখন শ্মশানঘাটে,
কখন কালীর পাটে,
(ও) বুড়া হোয়্যা কাজি, মক্কার হাজী আছে আড্যাতে চড্যা॥
নদীয়া থেকে সংগৃহীত একটি বাউলগান এবারে উদ্ধার করা গেল যে গানে পরম শক্তিমান ঈশ্বরকে জগৎ-সংসারের সবকিছু বলে অভিহিত করা হয়েছে। ঈশ্বর নিজেই ভাল, নিজেই মন্দ, তিনি কৃষ্ণ, তিনিই কালী, তিনি সৃষ্টির সর্বত্রই বিরাজমান, সর্বরূপে তাঁর স্থিতি, এমন কি তিনিই মুসলমান।
যে ভাবেতে রাখেন গো, সাঁই, আমি সেই ভাবে তাকি।
অধিক আর বলব কি॥
কখনও দুগ্ধ চিনি, ক্ষীর ছানা মাখন ননী,
কখনও নুন আমানী, কখনও আলবুলো শাক ভুকি॥
কুল আলম তোমারি ওহে কুদরত নিহারী,
তুমি কালী, তুমি কৃষ্ণ, তুমি হক বারী,
তুমি দাও, তুমি দেলাও, তুমি খাও তুমি খেলাও,
তৈয়ারী ঘর ছেড়ে তুমি পালাওঔ, আমারে ঘুরাচ্ছ দিয়ে ফাঁকি॥
তুমি সর্ব ঘটে রও, তুমি সর্বরূপ হও,
ভালকথা মন্দকথা, সকল তুমি কও।
তুমি হও রোগীর ব্যাধি, তুমি বৈদ্যের ওষধী
তুমি গো সকল জীবের বল বুদ্ধি,
তোমার ভাব বুধা বাঁকা ঠকঠকী।
ভবে দুঃখ দিতে তুমি, ভবে সুখ দিতে তুমি,
মান অপমান তোমার হাতে, সুনাম বদনামী।
কয়ছে বিন্দু যাদু, দয়াল, তুমি চোর তুমি সাধু,
দয়াল গো, তুমি মুসলমান হিন্দু,
আমি সে কুবির চাঁদ বলে ডাকি॥
অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন বিশেষ জাত নেই, তিনি সকল জাতের উর্দ্ধে। অথবা তিনি সব জাতের মধ্যেই বিদ্যমান।
আর একটি বাউল গানে উল্লিখিত হয়েছে যে ভগবান তাঁর ভক্তদের বিচার করেন ভক্তির নিরিখে, জাতের নিরিখে নয়। কথা বলে ভক্তের ভগবান – অতএব ভক্তিই হবে ভক্তের একমাত্র শক্তি যা তাকে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভে সহায়তা করবে –
ভক্তের প্রেমে, ওগো, বাঁধা আছে সাঁই
হিন্দু কি মুসলমান বল্যা
তার জাতের বিচার নাই।
ভক্ত ছিল কবীর জোলা ও যে পাইয়াছে ব্রজের কালা
ও তার সাধন জোরে পায়।
দেশে রামদাস মুচি ছিল সাধনে তার বুদ্ধি সিদ্ধ হৈল
ও আমি শুনি গুরুর ঠাঁই॥
জীব মাত্রেরই শেষ পরিণাম মৃত্যু। অতএব বিষয়বাসনা নিমজ্জিত থাকলে এবং সময়মত সাধনমার্গের সন্ধান লাভে বঞ্চিত হলে পরিণামে অন্তহীন দুঃখ ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। হিন্দু-মুলমান নির্বিশেষে সকলকে তাই সদ্গুরুর শরণ নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে –
ও চাঁদ-বদনে বল, ও গোঁসাই,
ও বান্দার এক দোমের ভরসা নাই।
আপন বাড়ী আপন বিষয়
সদাই রবে, দিন গেলরে আমার॥
বিষয় বিশ খাবি যেদিন হারাবি
এখন কাঁইদলে কি আর পাবি ভাই॥
চাঁদজ বদনে বল ও গোঁসাই॥
কিবা হেন্দু যুবনের চেলা
পথের পথিক চিনে ধর এই বেলা
পিছে কাল শমন ধইরবে তখন বিপদ ঘটিবে ভাই॥
চাঁদ বদনে বল ও গোঁসাই॥
এই মানব দেব ভাণ্ডাকেই বাউল সাধকেরা ব্রহ্মাণ্ডরূপে কল্পনা করেছেন। সাধনার জন্যে তাই বাউল সাধক অন্যত্র যাবার প্রয়োজন বোধ করেন না – এমন কি তীর্থক্ষেত্র বলে পরিচিত স্থানেও নয়। আমাদের দেহ যে পাঁচটি উপাদানে তৈরী, তা হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এবং ব্যোম। মৃত্যুর পর এই পঞ্চভূতে জীব বিলীন হয়েযায়। কিন্তু কই এই সব উপাদান গুলির তো পৃথক কোন জাতিগত পরিচয় নেই। সব মানুষের ক্ষেত্রেই উপাদানগুলি এক। তাই মুর্শিদাবাদ জেলার একটি বাউল সঙ্গীতে দেহসাধনার কথা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছেঃ
ও মন পাগলারে, তোর দেহের মধ্যে কত রং দেখরে চেয়ে।
এই যে দেহেতে আছে তারা পঞ্চ ভাই (আছে তারা পঞ্চ ভাই)
ওরা হিন্দু কিংবা মুসলমান পরিচয়ও নাই।
এই যে দেহেতে আজ নব নব নারী (আছে নব নব নারী)
দিন খাতিকে চিনে লও, মন, কার কোন বাড়ী।
এই যে দেহেতে আছে আছে গয়া গঙ্গা কাশী (আছে গয়া গঙ্গা কাশী)
বৃন্দাবনে কানাইয়া রাজার মোহন বাঁশী।
এইবার হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি নিয়ে রচিত কয়েকটি গান নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে বাংলা লোক সঙ্গীত প্রায়সবই ধর্মকেন্দ্রীক। এর কারণ আমাদের সংহত সমাজজীবনের অদ্যন্ত ধর্মীয় আচার-আচরণ-অধিকার করে আছে। অবশ্য বালার লোক সঙ্গীত সাধারণভাবে ধর্মকেন্দ্রিক হলেও এমন মনে করার কারণ নেই যে সমস্ত লোক সঙ্গীতেই গভীর অধ্যাত্ম ভাব প্রকাশিত। বরং অনেক ক্ষেত্রেেই দেখা যাবে ধর্মীয় আধারে সংহত সমাজ জীবনের আশা-আকাঙ্খা, ব্যর্থতা-নৈরাশ্য, আনন্দ-দুঃখই বেশি করে স্থান লাভ করছে। লোক-সঙ্গীত লোক-কবিদের আন্তরপ্রেরণাতেই রচিত, তাই এই সঙ্গীতের বক্তব্যে কোনপ্রকার কৃত্রিমতার স্থান নেই। লোক-কবিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গানগুলি রচনা করেছেন, কেউ বাইরে থেকে জোর করে সঙ্গীতের বিষয়বস্তপ চাপিয়ে দেয় না বা এই ব্যাপারে ির্দেশ দানেরও কোন প্রশ্ন ওঠেনা। তাই লোক-কবিরা যখন হিন্দু-মুসলমানের বিরোধে ব্যথিত হয়ে নিজেদের অন্তরের বেদনা প্রকাশ করেন কিংবা এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যেকার বাঞ্ছিত সম্প্রীতির জন্য আকাঙ্খা প্রকাশ করেন, তখন তা স্বভাবতই আমাদের অন্তরকে স্পর্শ না করে পারেনা।
পুরুষানুক্রমিক ভাবে যে বাস্তুভূমিতে মানুষ বাস করত, সাম্প্রদায়িক গোলযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেই বাস্তুভিটা ত্যাগে উদ্যত এবং বাস্তুভিটা ত্যাগী মানুষদের জন্যে একটি জারি গানে কি আন্তরিক দুঃখই না প্রকাশিত হয়েছে, সেই সঙ্গে বাস্তুত্যাগী মানুষদের প্রতি করুণ অনুরোধ উচ্চারিত হয়েছে যেন পিতৃপুরুষদের ভিটা ত্যাগ করা না হয় –
স্বাধীন দ্যাশে লোক পালাইল
এমন খবর শোনছ নি?
বাপ দাদার ওই ভিটা ছাইড়্যা,
চলছে সব বিদ্যাশে কি?
হিন্দু-মুসলমান একই জাত ভাই,
একই দ্যাহের দুইডা হাত,
কেউ কারু নয় শত্তুররে ভাই,
দুইয়ে, দুইয়ে মিত্তির হয়।
রোজ সকালে আজান গান,
আর বেরাম্বনের মোন্তর পাঠ,
সন্ধ্যাকালে নেমাজ পড়ে,
কুলনারী পীর্দূম দ্যায়,
এক সাথেতে রইছি মোরা,
এক সাথেতে করছি খেলা,
একই সঙ্গে চলছি ফিরছি
এখন ক্যানে ভিন্ন ভাব?
(ও ভাই) পরের কথায়পরের ভরসায়
ছাইড়ো না দ্যাশ মাথা খাও।
মালদহের গম্ভীরা গানে সাম্প্রদায়িক ঐক্যের কথা বড় বেশী করে স্থান পেয়েছে লক্ষ্য করা যায়। একটি গম্ভীরা গানে শিবের কাছে দুঃখ করে বলা হয়েছে, যে হিন্দু-মুসলমান গভীর সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করত এবং পূজার্চনায় অংশ গ্রহণ করত, এখন সেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কতই না অকারণ বিরোধ যার পরিণামে দুই সম্প্রদায়ের মানুষকেই ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে –
হায়রে আল্লা কি হোল, হিন্দু-মোসলেম দুই মোলো।
দেখছি জাতিয়ারী জাতিয়ারী কোর্যা দাঙ্গা-হাঙ্গামায় পোল॥
মোসলেম কোহছে হাম বাড়া, হিন্দু দেয় নাকো সাড়া।
ভোলা জোমার দেশে একুন ভেসে দোটানা ভাব দাঁড়ালো॥
ভোলা তুমি মুসলমানেমর আদব, হিন্দুর শিব শিব বোম্ বোম্।
হামরা দুয়োভায়ে করতুক পূজা
মানধোৎ কি মজা ছিল॥
লোক-২
অন্য গানেও ধর্ম নিয়ে অহেতুক বিবাদ-বিসম্বাদ সম্পর্কে একই সঙ্গে দুঃখ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে –
ধর্মের যাই বলিহারী, ধর্ম্ম লিয়া চলছে কিসের এত আড়াআড়ি।
আল্লা ঢাকের বোলে চট্টি তোলে আজানে কীষ্ট পালায়॥
কুণ্ঠে আল্লা ভগবান, কুণ্ঠে আছে আদ্যের থান,
মন্দিরে কি মসজিদেতে পূজা সিন্নি খান,
তোমার নূরেতে কি টিকিতে ব্যোসা তসবীর কি মালা ঘুরায়॥
শুন্যাছি যবন হরিদাস, ছিল চৈতন গোঁসায় দাস,
হরি-আল্লা একই ভাব্যা নদ্যাৎ করলে বাস,
শ্যাষে কাজীর বিচার হার মান্যাছে, দেখ্যা অর উপাসনায়।
আপাত দৃষ্টিতে দুই জাতির মধ্যেকার যত পার্থক্যই দযষ্টিগোচর হোক, আসলে যে দ্বি-জাতি তত্ত্বের কোন ভিত্তি নেই, সেই প্রসঙ্গে লোক-কবি নিজের উপলব্ধিজাত কয়েকটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করে বলেছেন –
যত ওপরে যাব ভাই, জাত কোহতে কিছুই নাই,
একের জন্য সবাই পাগল, একে চাহে সবাই,
যত নীচের পাগল হোয়্যা ছাগল ধর্মেতে শুধু ধাঁধায়॥
চাঁদ সূরুজ তোমার এক, নদী, বাতাস, আগুন এক,
দুনিয়ার মানুষ দেখছে শুনছে খাছে পিছে,
ঐ এক জনারই সিজ্জন করা সারা দুনিয়ায় একজনাই॥
শেষ পর্?ন্ত উভয় সম্প্রদাে.য়র বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্যে শিবের কাছে আন্তরিক ভাবে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে –
শিব মিটাও গণ্ডগোল, লাগাও আজান, ঢাক আর ঢোল,
আল্লা-আল্লা, হরি-হর ধর সবাই বোল,
একলা খলিফা শমীরকে হাজির রাখো তোমার গম্ভীরায়॥
Tags: বরুন কুমার চক্রবর্তী, বাংলা লোকসঙ্গীতের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।