” মানুষ অমিতাচারী । যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ততদিন অরণ্যের সঙ্গে পরিপূর্ণ ছিল তার আদানপ্রদান ; ক্রমে সে যখন নগরবাসী হল অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ সে হারাল; যে তার প্রথম সুহৃদ, দেবতার আতিথ্য যে তাকে প্রথম বহন করে এনে দিয়েছিল , সেই তরুলতাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করলে ইঁটকাঠের বাসস্থান তৈরি করবার জন্য । আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন যে শ্যামল বনলক্ষ্মী তাঁকে অবজ্ঞা করে মানুষ অভিসম্পাত বিস্তার করলে ।”
এই কথাগুলি রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন শ্রীনিকতনের হলকর্ষন ও বৃক্ষরোপন উৎসবে।
তিনি আজীবন সবুজ ধ্বংসের বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করে গেছেন। শিল্পের বিস্তারে নগরায়নের প্রয়োজনে বিভিন্ন কবিতা,গল্প , নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যথেচ্ছ গাছকাটার বিরুদ্ধে।
এই প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক চিপকো আন্দোলনের কথা মনে আসে। রাজস্থানের যোধপুর থেকে ১৩৬ কিলোমিটার দূরে জয়সলমিরের কাছে খেজরী গ্রামের বিশনয় সম্প্রদায়ের এক মর্মস্পর্শী কাহিনী। যোধপুরের রাজা একটি বিশাল প্রাসাদ নির্মাণের পরিকল্পনা করলেন। তখন চুন পোড়ানোর জন্য প্রচুর কাঠের প্রয়োজন হলো। কাঠুরিয়ার দল রাজার আদেশে খেজুরী গ্রামে চলে গেলো। খেজুরী গাছ কাটার বিরুদ্ধে গ্রামের মেয়েরা রুখে দাঁড়ালো। ১৭৩০ সালে সেখানকার কৃষকরমনী অমৃতার নেতৃত্বে ৩৬৩ জন মেয়ে উদ্যত কুঠারের সামনে জীবন বাজি রেখে প্রত্যেকে এক একটি গাছ জড়িয়ে ধরে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গিয়েছিলো। মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথের
” বনবানী” কবিতাটি :
‘মৃত্তিকার হে বীরসন্তান, মুক্তিদান
সংগ্রাম ঘোষিলে তুমি মৃত্তিকারে দিতে
মরুর দারুন দুর্গ হতে;যুদ্ধ চলে ফিরে ফিরে;
সন্তরি সমূদ্র-ঊর্মি দূর্গম দ্বীপের শূন্য তীরে
শ্যামলের সিংহাসন প্রতিষ্ঠিলে অদম্য নিষ্ঠায়,
দুরন্ত শৈলের বক্ষে প্রান্তরের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়’
প্রকৃতির বিপন্ন অস্তিত্ব নিয়ে ইদানিং অনেক বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বিস্তর ভাবনাচিন্তা করছেন। চিপকো আন্দোলনের কাহিনী নিয়ে একটি অসাধারণ নৃত্যনাট্য সৃষ্টি করেছিলেন বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী মঞ্জুশ্রী চাকী সরকার কারণ তিনি মনে করেছিলেন সেই আমলের রাজস্থানের কট্টর পুরুষতান্ত্রিক সমাজজীবনে অমৃতা নামের এক সামান্যা নারীর নির্ভীক ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশ রক্ষায় জীবনপন সংগ্রাম মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিৎ।
তাঁর নৃত্যনাট্য ” অরণ্য-অমৃতা” নৃত্যভাবনায় পুরুষ প্রাধান্য কেমন করে পরিবর্তন করা যায় সেটা নিয়ে উনি বেশ ধন্দে পড়েছিলেন। তারপরে তার সুরাহা হয়ে গেলো। ওনার ভাষায় :
” ভারতীয় নৃত্যে এই পুরুষ সার্বভৌম পরিবেশ প্রায় বৈপ্লবিক ভাবেই পালটে যাবার সুযোগ এল রবীন্দ্রনাথের নৃত্য ভাবনায়। ১৯২৬ এ ‘নটীর পূজা’ থেকে শুরু করে শাপমোচন , তাসের দেশ, চন্ডালিকা, চিত্রাঙ্গদায় তিনি যে নারীপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা করলেন তার একান্তভাবেই আধুনিক সৃষ্টি।”
এই নৃত্যটি রচনা করার সময় তাঁর মনে এসেছিলো রবীন্দ্রনাথের বৃক্ষরোপণ উৎসবের গানটি :
“আয় আমাদের অঙ্গনে
অতিথি বালক তরুদল
মানবের স্নেহ সঙ্গ নে ।
চল আমাদের ঘরে চল্ ।
শ্যামবঙ্কিম ভঙ্গীতে
চঞ্চল কলসঙ্গীতে
দ্বারে নিয়ে আয় শাখায় শাখায়
প্রাণ আনন্দ কোলাহল।”
বিশনয় নারী অমৃতার নাড়ীর যোগ তার আশেপাশের শিকড় বাকড়ের সঙ্গে। তার নৃত্যভাবনায় রবীন্দ্রনাথের ” বলাই ” গল্পটির কথা প্রাসঙ্গিক। রবীন্দ্রনাথের কথায় :
” এই ছেলের আসল বয়স সেই কোটি বৎসর আগেকার দিনে, যেদিন সমূদ্রের গর্ভ থেকে নতুন-জাগা পঙ্কস্তরের মধ্যে পৃথিবীর ভাবী অরণ্য আপনার জন্মের প্রথম ক্রন্দন উঠিয়েছে…।…বিশ্বপ্রাণের মূক ধাত্রী এই গাছ নিরবচ্ছিন্ন কাল ধরে দ্যুলোক দোহন করে ; পৃথিবীর অমৃত ভান্ডারের জন্য প্রাণের তেজ, প্রাণের রস, প্রাণের লাবণ্য সঞ্চয় করে…।”
রবীন্দ্রনাথের রচনায় বারেবারে বিভিন্ন আঙ্গিকে উঠে এসেছে পরিবেশ চেতনার কথা। গল্পগুচ্ছের বলাই চরিত্রে গাছকে ভালোবাসার যে কাহিনী আমাদের ভাবায় তা আজকের দিনে যেন বড়ো বেশি প্রাসঙ্গিক। এযুগের বিশ্বজোড়া জেটগতির নগরায়নের রথের চাকায় অবিরত নিষ্পেষিত হয়ে চলেছে সবুজ বনানী। সেই ধ্বংসলীলার মধ্যে গাছকে আলিঙ্গন করে দাঁড়িয়ে আছে বলাই। বৃক্ষনিধন কান্ডের উদ্যত কুঠারের সামনে বলাই এক নিরব কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ।
” পূর্বদিকের আকাশে কালো মেঘ স্তরে স্তরে স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়ায়, ওর সমস্ত মনটাতে ভিজে হাওয়া যেন শ্রাবন অরণ্যের গন্ধ নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে” – এই কয়েকটি কথায় বলাইএর মনটাকে বুঝে নিতে আমাদের অসুবিধা হয়না । বলাইকে
যখন একবার পাহাড়ে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা সবুজ ঘাসের ওপর বলাই আনন্দে গড়াগড়ি দিতো। সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে , শরীর দিয়ে সে নিজেও যেন ঘাস হয়ে উঠতো। এই প্রেম, এই আশ্লেস মনে করিয়ে দেয় জীবনানন্দের ” ঘাস ” কবিতাটি যেখানে তিনি লিখছেন :
” আমারো ইচ্ছা করে এই ঘাসের ঘ্রাণ হরিৎ মদের মতো / গেলাসে গেলাসে পান করি / এই ঘাসের শরীর ছানি – চোখে চোখ ঘষি / ঘাসের পাখনায় আমার পালক / ঘাসের ভেতর ঘাস হয়ে জন্মাই /কোনো এক নিবিড় ঘাসমাতার / শরীরের সুস্বাদ অন্ধকার থেকে নেমে।”
রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনায় পরিবেশ সম্পর্কিত চিন্তাগুলি আমাদের অনুপ্রাণিত করে। বহুদা সৃজনশীলতার সঙ্গে তাঁর মননে প্রকৃতি ও পরিবেশের অনন্য সংযুক্তি আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। আমরা দেখেছি সবুজ বনানী বিশেষকরে গাছ সমস্ত অনুভবজুড়ে তাঁর সমগ্র মননে জড়িয়ে ছিলো , তাই গাছের কথা অনেক লেখায় দেখতে পাই। ‘ ছিন্নপত্র’-র গদ্য রচনায় কবি আত্মবিস্মৃত না হয়ে সচেতন ভাবেই বর্ণনা করেছেন :
” এই পৃথিবীটা আমার অনেক দিনকার এবং অনেক জন্মকার ভালোবাসার লোকের মতো আমার কাছে চিরকাল নতুন। আমাদের দুজনকার মধ্যে একটা খুব গভীর এবং সুদূরব্যাপী চেনাশোনা আছে। আমি বেশ মনে করতে পারি , বহু যুগ পূর্বে যখন তরুণী পৃথিবী সমূদ্রস্নান থেকে সবে মাথা তুলে উঠে তখনকার নবীন সূর্যকে বন্দনা করছেন, তখন আমি এই পৃথিবীর নতুন মাটিতে কোথা থেকে এক প্রথম জীবনোচ্ছাসে গাছ হয়ে পল্লবিত হয়ে উঠেছিলুম।”
অরণ্য নিয়ে , গাছ নিয়ে অর্থাৎ সমগ্র বনভূমি নিয়ে তাঁর অজস্র লেখার মধ্যে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। এই অমূল্য সম্পদ রক্ষা না করে তাকে অবহেলার ফল যে কতটা মারাত্মক হতে পারে এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এখন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে অজয় নদের উচ্চ অববাহিকা অঞ্চলে ক্রমাগত বনভূমির অপসারণই অজয়কে বালির নদীতে রূপান্তরিত করার প্রধান কারণ। বন্যা প্রতিরোধের জন্য অজয় নদের দুই পাড়ে কৃত্রিম বাঁধের ব্যবস্থা করা হয় ষাটের দশকের গোড়ার দিকে যার ফলে নদীর স্বাভাবিক চলাচলে বাধা আসে। ১৮৯৮ সালে ” দুরাকাঙ্ক্ষা” কবিতায় তিনি লিখেছিলেন :
কেন মরে গেল নদী।
আমি বাঁধ বাঁধি তারে চাহি পরিবারে
পাইবারে নিরবধি,
তাই মরে গেল নদী।
কেন ছিঁড়ে গেল তার।
আমি অধিক আবেগে প্রাণপন বলে
দিয়েছিনু ঝংকার,
তাই ছিঁড়ে গেল তার।
তাই নদী আপনবেগে পাগলপারা হয়না।
অনেকবছর আগেই আমরা দেখেছি গোটা মানবসমাজের স্বার্থে পরিবেশ রক্ষার মতো একটি মানবিক বিষয়ের মধ্যে সরাসরি রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। পরিবেশের পতাকা হাতে নিয়ে সব বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলি নিজের নিজের ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। সেইসময় কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন – …Let the ecological debt be paid. May hunger disappear not man.
তখন এসব কথায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সবাই নিজের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া তখন আর কিছু ভাবেনি।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর পরিবেশ ভাবনা শুধুমাত্র কবিতা ,গল্প বা অসংখ্য প্রবন্ধে প্রকাশ করেছেন তাই নয়, মানুষের মনে তীব্র অভিঘাত সৃষ্টির জন্য নানারকম অনুষ্ঠানে র উদ্যোগ নিতেন। বনমহোৎসব, বৃক্ষরোপণ , হলকর্ষন ইত্যাদি সব উৎসব শান্তিনিকেতন প্রাঙ্গণেই শিক্ষক, ছাত্র সবাইকে নিয়ে পালন করতেন। সবাই মিলে গাইতেন , ” মরুবিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে হে প্রবল প্রাণ / ধূলিরে ধন্য করো করুণার পূণ্যে হে কোমল প্রাণ ”
সমস্ত আশ্রমজুড়ে সুপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষবিন্যাস করা হয়েছিলো তার ফলস্বরূপ আমরা দেখি সৌন্দর্যময় আম্রকুঞ্জ , শালবীথি ইত্যাদি।
পরিবেশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত প্রকৃতি। গাছ ও মাটির কাছে আমাদের অনেক কিছু প্রত্যাশা। তাই প্রয়োজন তার যত্ন। উনি বলতেন যে বৃষ্টির প্রয়োজন অবশ্যই কারণ মাটিকে চাষবাসের উপযুক্ত করতে হলে বর্ষণের দরকার। ঠিকমতো বর্ষণ না হলে চাষ হবেনা। দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে দেশে আকালের অভিশাপ নেমে আসবে। বর্ষণহীন শুস্ক ফাটা মাটি, ভয়ঙ্কর অনুর্বর ভূমির যেরকম চেহারা হয় তার একটা বেদনাবহ বাস্তব বর্ণনা পাওয়া যায় Pearl Buck এর Good Earth বইটিতে।
এবিষয়ে কবি বলেছেন – ” বর্ষণ যে হচ্ছেনা তা নয় কিন্তু মাটিতে চাষ দেওয়া হয়নি। সমস্ত দেশের শুস্ক তপ্ত দগ্ধ মাটি তৃষ্ণায় চৌচির হয়ে ফেটে উর্দ্ধপানে তাকিয়ে বলছে তোমাদের ভার আমাদের দাও, আমাকে যা দেবে শতগুণে তা পাবে। কবি বুঝতেন এবং বিশ্বাস করতেন জমিতে সামান্য প্রয়াস শতগুণে তার ফসলকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেবে।
পরিবেশ আর প্রকৃতি কবির জীবনচর্চা ও সমগ্র কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছিলো। দুটোই তাঁর কাছে ছিলো সমার্থক। তাই শান্তিনিকেতনের শিক্ষার পরিবেশে দেখা যায় প্রকৃতির ভূমিকা ছিলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে ছিলো স্বাধীনতা। কবি বুঝেছিলেন যে তোতা-কাহিনীর কথামতো ‘ borrowed cage that treat the students’ minds as captive birds ‘ কখনোই ছাত্রদের উপযুক্ত জায়গা হতে পারেনা। উন্নত মানসিক পরিবেশের জন্য তাদের জীবনরস সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করতেন প্রকৃতির পাঠশালা থেকে। বলতেন পরিবেশ থেকে আহৃত শিক্ষা শিশুকে করে তুলবে তাঁর ভাষায় ‘ vitally savage and mentally civilized’।
শান্তিনিকেতনে ছাত্রদের শাসনের বাঁধনে না বেঁধে তাদের উদার স্বাধীনতা দিয়ে ওখানকার গাছগাছালি সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতেন। তাঁর ভাষায় – The boys were allowed to run about, to climb difficult trees and often come to grief in their falls. They would get drenched out in the rain , they would swim in the pond.
রবীন্দ্রনাথ বলতেন প্রকৃতি আমাদের প্রাণময় চৈতন্যের সন্ধান দেয়। আমরা জানি সেই প্রকৃতি আজ বিপন্ন। পরিবেশ ধ্বংস করে তার ভারসাম্য নষ্ট করে নগরসভ্যতা আর শিল্পায়নের ধ্বজা উড়িয়ে চলেছি। ‘ যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো’ তাদের কোনো ক্ষমা নেই কবির কাছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং একদিনে হয়নি। আজ মানবসমাজের অস্তিত্ব বিপন্ন তাই আমরা একটু নড়েচড়ে বসেছি। নাহলে প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা আমরা তো কোনোদিনই ভাবিনি। এই প্রবণতার শুরু প্রাচীনকাল থেকেই। এই চরম উদাসীনতা নিয়ে অসাধারণ একটি লেখা আছে রবীন্দ্রনাথের। তার অংশবিশেষ উদ্ধৃত করছি :
“প্রকৃতির অভিশাপ না হতে পারতো, ভারতে যদি ভারতীয়গণ অধ্যাত্মচেতনায় মন না দিয়ে প্রকৃতির দিকে , পরিবেশের দিকে দিত। সে একচক্ষু হরিণীর মতো জানতোনা যে যেদিকে তার দৃষ্টি থাকবেনা , সেইদিক থেকেই ব্যাধের মৃত্যুবাণ এসে তাকে আঘাত করবে , প্রকৃতির দিকে সে অন্ধ ছিল বলে তাকে মৃত্যুবাণ মেরেছে।”
এইরকম ষ্পষ্টভাবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত ব্যক্ত করার ক্ষমতা একজনেরই আছে, তিনি রবীন্দ্রনাথ।
Tags: অনিলেশ গোস্বামী, রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্যে পরিবেশ চেতনা
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।