23 Sep

একটি শরৎকালের রাত

লিখেছেন:ভাষান্তর - ড: সুশোভন অধিকারী


শরৎকালের একরাতে আমাকে একবার এক অস্বস্তিকর কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। শহরের কাউকেই আমি চিনি না, আর পকেটে একটা পয়সাও ছিলো না  যে কোনো হোটেলে গিয়ে উঠব। ঘড়ি, আংটি,  কলম যা ছিল সব একে একে  বেচে দিলাম , যাতে কথা দিন অন্তত চলে। তারপর একেবারে কপর্দক শূন্য অবস্থায় “ইয়েস্তে” নামক বন্দরে গিয়ে হাজির হলাম। সিজনে জায়গাটা গমগম করে কিন্তু এখন! এই অক্টোবরের শেষ ভাগে জায়গাটা যেন খাঁ খাঁ করছে।

যাই হোক, ভেজা বালিতে হাঁটতে-হাঁটতে খাদ্যের সন্ধানে ব্রতী হলাম। আমাদের এই জমানায় মনের খিদে তাড়াতাড়ি মিটে যায়। কিন্তু পেটের খিদে ? সে যে মিটতেই চায় না । তুমি শহরের চারদিকে সুদৃশ্য বাড়ি দেখবে, ভেতর-বাইরে সূক্ষ্ম রুচির পরিচয় পাবে সেই সব দেখে তোমার মনে নানান চিন্তা জন্ম নেবে, কল্পনা পাখা মেলবে। তোমার মনের খিদে চট করে মিটে যাবে। নানান ভালো ভালো পোশাক পড়া লোকজন দেখবে , ভদ্র,  বিনয়ী,  আবার তারা কেমন সুন্দরভাবে তোমার উপস্থিতি অগ্রাহ্য করে তোমাকে এড়িয়েও যাবে। তাদের পেট যে ভর্তি ! আর তোমার ? একেবারে খালি। তাইতো বলি,  খালি পেটের মন অনেক বেশি পুষ্টিতে ভরা,  ভর্তি পেটগুলোর থেকে।

এদিকে সন্ধ্যের হাত ধরে আবার বৃষ্টিও এসে গেল ।  তার সঙ্গে ঠান্ডা কনকনে উত্তুর বাতাস। দোকানপাট ও রেস্তোরাঁর বন্ধ দরজা জানলায় সেই বাতাস আছড়ে পড়ছে। নদীর জল উথাল পাথাল এবং ঢেউয়ের সাদা ফেনা গা মুখ ভিজিয়ে দিয়ে আসন্ন শীতের আগমন বার্তা ঘোষণা করছে। কালো আকাশের পটভূমিকায় কিছু উইলো গাছ ভাঙাচোরা নৌকা জায়গাটিকে বিষণ্নবিধুর করে তুলেছে । জায়গাটিকে  যেন এক মৃত ধ্বংসস্তূপ মনে হচ্ছে।  আমার তখন আঠারো বছর বয়স।  জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।

ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আমি হাঁটতে লাগলাম। পকেটে পয়সা নেই , পেটে দানাপানি নেই,  এই অবস্থায় যখন বন্ধ খাবারের দোকান গুলোর সামনে কিছু খাদ্যের টুকরো-টাকরা পড়ে আছে কি না দেখছি,  হঠাৎ অতি বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম আরেকজন ! হ্যাঁ আরেকজন।  মনে হলো  মহিলার পোশাক পরা,  সে যেন মাটি খুঁড়ে কোন কিছুর সন্ধান করছে।  বৃষ্টিতে ভেজা পোশাক গায়ে যেন সেঁটে বসেছে । কাছে গিয়ে দেখতে লাগলাম কি করছে সে।  মনে হল বাসনপত্র রাখার জায়গার নিচে সে হাত দিয়ে বালি খুঁড়ছে।

– ‘ কি করছো তুমি’

সে অবাক হয়ে তাকালো আমার দিকে ।  চোখে ভয় । মনে হল আমারই সমবয়সী। সুন্দর মুখ কিন্তু মুখে তিনটি নীলচে দাগ।  দুটি চোখের নিচে দুটি ও আরেকটি কপালে ঠিক দুই ভুরুর মাঝখানে। মনে হচ্ছে যেন কোন শিল্পীর কীর্তি। আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মুখ থেকে ভয়ের চিহ্ন দূর হয়ে গেল ।  হাতের বালি ঝেড়ে নিয়ে মাথার টুপিটি ঠিক করে নিয়ে বলল-  “মনে হচ্ছে তুমি ও খাদ্যের সন্ধানে?  তাহলে বালি খোঁড়ো –  ঐ অবস্থায় ঐখানটায় ” বলে একটি বন্ধ দোকানের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করল।

ওখানে নিশ্চয়ই কোন রুটি পাবে, এমনকি দু- এক টুকরো সসেজও। ঐ দোকানটা মনে হয় আজকে খুলেছিলো।

আমি পাগলের মতো খুঁজতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ আমাকে লক্ষ্য করে সেও আমার পাশে এলো এবং খুঁড়তে লাগলো। নিঃশব্দে আমাদের খননকার্য চলতে থাকলো। আমাদের মনে শুধু একটাই চিন্তা ঐ ক্রেট গুলোর নিচে কিছু পাওয়া যাবে কি?

” এর তলা খুঁজে পাবো তো…..”

বুঝতে পারলাম না কি বলতে চাইছে, তাই নিরুত্তর থাকলাম। সন্ধ্যে গাঢ় হয়ে গেছে। কুয়াশাও আমাদের আচ্ছাদিত করছে ক্রমশ।

” বলি, কিছু খুঁজে পেলে?’।   ও বলল।

– ” মনে হচ্ছে একটা কাচ মতন কিছু …. একটা বোর্ড…. আমার আবার তালা দেওয়া….।’

-” ভেঙে ফেলো।  এই তালাগুলো অপলকা হয়।”

মেয়েরাও মাঝে মাঝে দারুন কিছু বলে। ভেঙে ফেললাম তালা। আর তারপর মেয়েটি যেন সরীসৃপের মতো গর্তে ঢুকে গেল।

-” কিছু পেলে!” এবার আমি বলি ।

-” কিছু বোতল,  একটা    সান শেডের  মত  বোর্ড, একটা লোহার পাত্র।…’ যাচ্চলে, এইসব তো মানুষের খাদ্যতালিকার বাইরে।

-“এই!  পেয়েছি!!”

-” কি পেলে ?”

– ” রুটি- রুটি !  এই নাও।

একটা পাঁউরুটি উড়ে এলো ওপারে। উঠে এলো আমার কমরেড সঙ্গীতা। সঙ্গে সঙ্গে রুটিতে কামড় দিলাম।

– ” আরে ! আমাকেও দাও কিছুটা ”

– ” হ্যাঁ নিশ্চয়ই।”

-” আর একমুহুর্ত এখানে নয়। চল চলে যাই। কিন্তু যাই কোথা?  চতুর্দিক অন্ধকার।”

-” ঐ যে দ্যাখো একটা ভাঙা নৌকো, ওখানে যাওয়া যাক।”

– ”  তাই চলো, ”

চোরাই পাউরুটি চিবোতে চিবোতে আমরা চুট লাগলাম। বৃষ্টিটা আর তেরে এলো। নদী ফুলে উঠলো। বাতাসের একটানা সোঁ সোঁ শব্দ শরৎ এর রাতকে আরো ভয়ার্ত করে তুললো। তাতে আমাদের হার্টবিট বন্ধ হবার জোগাড় কিন্তু তা সত্ত্বেও নিতান্ত লোভাতুরের এর মত পাউরুটি চিবিয়ে যাচ্ছিলাম।

– ” তোমার নামটা কি জানতে পারি?”  খেতে খেতে বললাম।

– ” নাতাশা গোগ্রাসে গিলতে গিলতে ছোট্ট উত্তর তার। আমি তার দিকে অপলক তাকালাম। তারপর তাকালাম সামনের ঘন কুয়াশার দিকে। মনে হোলো ভাগ্য আমার দিকে চেয়ে শয়তানের হাসি হাসছে। বড়ো শান্ত, বড়ো হেয়ালিতে ভরা সে হাসি।

নৌকায় প্রবেশ করলাম। বৃষ্টি পড়েই চলেছে। ছইয়ের উপর মৃদু অথচ চড়বড়ে শব্দ যেন ক্রমাগত বিষন্ন করে তুলছে পরিবেশ। এক-একটা ঢেউয়ে নৌকার পাটাতন গুলো ভৌতিক শব্দ তুলেছে।  ঢেউএর তীরে ক্রমাগত আছড়ে পড়ার শব্দও যেন অর্থহীন এবং একঘেঁয়ে মনে হচ্ছে,   এর সঙ্গে বৃষ্টির শব্দ মিলেমিশে এক কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের দীর্ঘস্থায়ী দীর্ঘশ্বাস সৃষ্টি করছে । আহা,  কোথায় সেই উজ্জ্বল গ্রীষ্ম আর কোথায় এই ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে  শরৎকাল।

নৌকার ভিতর আমাদের অবস্থান মোটেও সুখকর ছিল না । চিড় খাওয়া পাটাতন ভেদ করে ঠান্ডা জল ঢুকছে।  ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আমরা নিঃশব্দে বসে ছিলাম। আমার ঘুম পেয়ে যাচ্ছিল।

নাতাশা তার দুটো হাত দিয়ে দুটো হাঁটু মুড়ে তার ওপর থুতনি রেখে উবু হয়ে যথাসম্ভব কুঁকড়ে  বসেছিল। নদীর দিকে নিবদ্ধ । শূন্যে দৃষ্টি। তার উপর তার মুখমন্ডলে তিনটি নীলচে দাগ তার চোখ দুটিকে অসীম ও অনন্ত করে তুলেছিল। আমার মনে কেমন ভয়ের সঞ্চার হলো। কিছু একটা বলতে গেলাম , কিন্তু কি বলব ভেবে পেলাম না। নতাশাই  নীরবতা ভঙ্গ করলো।

-” কি অভিশপ্ত জীবন ।’

কণ্ঠস্বরে কোন অভিযোগ নেই। সাদামাটা অথচ গভীর এক ঘোষণার মত শোনালো কথাটা। এর কি উত্তর আমার জানা নেই।  তাই চুপ থাকলাম ।

-” যদি নিজেকে শেষ করে দিতাম,  তাহলে?’ আবার নাতাশার কন্ঠস্বর,  এবারেও কোন অভিযোগ নেই । মনে হল নিজের জীবনকে উপহাসের পাত্র না করে তুলে শেষ করে দেবার কথা ভেবেছিল । অথচ আমায় মনে এক তীব্র বেদনার অনুরণন হলো।      কষ্ট হল আমার। এরপরেও যদি যদি কিছু না বলি তাহলে আমার কথাকে চেপে রাখতে পারবো না। তাই বললাম –

-‘ কে সেই বদমাশ,  যে তোমাকে এমন ভাবে আঘাত করেছে?’

– ‘ পাস্কা,  এসব তারই কীর্তি।’

– ‘  কে সে ?’

-‘ একজন রুটিওয়ালা,  আমার প্রেমিক।’

-‘ সে তোমাকে প্রায়ই এমন ভাবে মারে?’

-‘ যখন মদ খায়….। প্রায়ই …..।’

এরপর সে হঠাৎ আমার দিকে ঘোরে তড়বড় করে বলতে শুরু করলো – ‘ ও একজন লাল গোফঁধারী  রুটিওয়ালা , ভালো ব্যাঞ্জো বাজাতো । হাসিখুশি,  ভালোভালো জুতো ও পোশাক পরত।  তো সেইসব দেখে আমি প্রেমে পড়ে গেলাম। এরপর সে ক্রমে আমার পাওনাদার হয়ে দাঁড়ালো। শেষমেশ আমার বন্ধুদের দেওয়া গচ্ছিত টাকায় হাত পরতে লাগল আমার । আর সে সেই টাকায় ফুর্তি করতে লাগল। মদে চুর হয়ে আমাকে ঠেঙ্গাতে শুরু করলো। সেটা তো সহ্য করা যায় ।, কিন্তু অন্য মেয়েদের পেছনে ছুটতে শুরু করলো আর সেটা আমার চোখের সামনেই!  এটা কি অপমান নয় ? আমি তাদের থেকে কোন অংশে দেখতে খারাপ নই।  তারপর এই তো পরশুদিন আমি আমার শিক্ষিকার কাজ থেকে ছুটি নিয়ে তার কাছে গেছি। দেখি সে ডিমকার সঙ্গে বসে ড্রিংক করছে!  আমি চিৎকার করলাম – স্কাউন্ড্রেল!’ আর তার উত্তরে সে আমার চুলের মুঠি ধরে লাথি কষাল আর বেদম মারলো। আমার চোখ মুখ ফুলে গেলো। আমার জামা, জ্যাকেট,  স্কার্ফ সব ছিঁড়ে ফর্দাফাঁই  হয়ে গেল। এই অবস্থায় শিক্ষিকার কাছে আর ফেরা যায় ?

ও, ভগবান!’  আমি যেন এই ঘন আঁধারে মধ্যেও ওর চোখ দুটি দেখতে পেলাম। ঠান্ডা বাতাস যেন আরো জোরে বইতে লাগল।

-‘  তোমরা পুরুষেরা কি নির্মম! আমি তোমাদের প্রত্যেককে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করব। কুঁচি কুঁচি করে কাটবো । তোমাদের মুখে থুতু ছেটাব। সব কটা লেজ নাড়া কুকুরের দল । হতভাগা লোফার ।

সে এইভাবে অভিশাপ দিয়ে গেল বটে,  কিন্তু তার হাবভাবে শব্দ উচ্চারনে কোন ঘৃণা ছিলো না।  তার উচ্চারিত শব্দের মর্মের সঙ্গে তার কন্ঠস্বর কিছুতেই ভাত খেলো না।  বরং সে উচ্চারণ ছিল অনেক শান্ত ও কিছুটা ক্ষীণ। যেন মৃত্যুপথযাত্রীর যন্ত্রণা। আমি ঠাণ্ডায় যতনা কাবু ছিলাম,  তার চেয়ে বেশি  বিধ্বস্ত হলাম নাতাশার ঐ কথায়।এবং সেই মুহূর্তে,  হ্যাঁ ঠিক সেই মুহূর্তে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটলো।  মনে হলো দুটি হাত যেন নেমে এলো আমার দেহে। একটি আমার কাঁধে আর অন্যটি দিয়ে আমার মুখটা তুলে ধরার চেষ্টা।

-‘ কি হল তোমার?’

আমার মনে হল এ নাতাশা নয়। এ বুঝি অন্য কেউ। কেমন নাতাশা একটু আগেই পুরুষ জাতির ধ্বংস কামনা করেছে। এবার আরও দ্রুত ও উৎকণ্ঠিত প্রশ্ন ধেয়ে এলো –  এই,  কি হল তোমার?  কথা বলছো না কেন ?খুব ঠান্ডা লাগছে? ইস ঠান্ডায় একেবারে জমে গেছো দেখছি?  সেই তখন থেকে ওই কোনায় নিঃশব্দে বসে আছো প্যাঁচার মতো।  আগে বলনি কেন,  তোমার ঠাণ্ডা লাগছে ? নাও শুয়ে পড়ো প্লিজ। সটান সোজা হয়ে শুয়ে পড়। আমি তোমার উপর আমার দেহের উত্তাপ দেবো কেমন হবে ? নিশ্চয়ই গরম হবে তুমি। তারপর তোমার পিঠ আমার পিঠ।

এই ভাবে সে আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে তার দেহের উত্তাপ দিতে লাগল। যাতে আমি একটু আরাম পাই। ওহ! পৃথিবীর কঠিনতম পরিহাস।  এই আমি,  যে আমি নিজেকে মনুষ্যত্বে ধারক ভাবতাম , সামাজিক পটবদলের দলের নেতা ভাবতাম,  রাজনৈতিক বিষয়ের বিপ্লবের কথা ভাবতাম,  বড় বড় পন্ডিতের এবং অপরিমেয় বিদ্বানদের বই পড়ে নিজেকে সামাজিক শান্তির আকর ভাবতাম, আমার অস্তিত্বের অধিকার নিয়ে ভাবতাম, তাকে কিনা সমাজের হাতে মার খাওয়া,  নিপীড়িতা এক মহিলা নিজের দেহের উত্তাপ দিয়ে সুস্থ করে তুলছে ! যার কিনা সমাজে কোন ঠাঁই নেই, জীবনের কোন দাম নেই। হোয়াট এ কনস্ট্রাস্ট!  উঃ, আমার কল্পনারও বাইরে যে তার নিঃশ্বাস আমার মুখের উপর পড়ছে, যদিও তাতে একটু ভদকার গন্ধ , কিন্তু তাতে কি ? পুরোটাই যেন স্বপ্নের মত বাস্তব। নাতাশা কিছু না কিছু কথা বলেই যাচ্ছিল এবং তা অত্যন্ত সুখানুভূতির সঙ্গে, যা মেয়েরাই শুধু বলতে পারে।

আমার চোখদিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জল বেরিয়ে এলো‌। হৃদয় হতে উদগত সে অশ্রু সেরাতের যাবতীয় দুঃখ , বেদনা , আর্জনা ধুয়ে  দিতে লাগল।

– ঠিক আছে,  দুঃখ করো না কিছু । ভগবান তোমাকে আবার সুযোগ দেবেন । সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি আবার তোমার সঠিক জায়গা ফিরে পাবে।’  সে ঘন ঘন চুম্বন করতে লাগলো আমায়।  প্রকৃতপক্ষে কোন মহিলার থেকে পাওয়া সেগুলি ছিল আমার জীবনের প্রথম চুম্বন এবং সত্যি কথা বলতে কি সেগলি ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম চুম্বন।

-‘ এসো,  দুঃখ করো না ।এখন ঘুমাও। কাল ভোরে আমি তোমাকে সাহায্য করবো, কোন জায়গা যদি না খুঁজে পাও আমি….’

আমরা যে যার শুয়ে পড়লাম। পরদিন ভোরে আমরা হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এলাম ছইয়ের ভেতর থেকে। শহরে গেলাম। বিদায় নিলাম একে অপরের থেকে।

তারপর অনেক খুজেছি তাকে, ছমাস ধরে শহরের সর্বত্র চিরুনি তল্লাশি করেছি, কিন্তু সেই কোমল হৃদয় নাতাশার খোঁজ পাইনি,  যার সঙ্গে একটি রাত আমি কাটিয়ে ছিলাম। যদি সে মারা গিয়ে থাকে, তাহলে বলব, তুমি  শান্তিতে ঘুমাও। যদি বেঁচে থাকে তাহলে বলব, তোমার আত্মার শান্তি হোক।

Tags: , , ,

 

 

 




  • খোঁজ করুন




  • আমাদের ফেসবুক পেজ

  • মতামত

    আপনার মন্তব্য লিখুন

    আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।




    Notify me when new comments are added.

    যোগাযোগ


    email:galpersamay@gmail.com

    Your message has been sent. Thank you!

    গল্পের সময় পরিবার
    সমীর
    অগ্নীশ্বর
    দেবাশিস
    চিন্ময়
    পার্থ
    মিতালি
    জাগরণ
    দেবব্রত

    © 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ