পূর্ব বন্দোবস্ত
প্রথম ঘটনাটা ব্যারিকেডের কাছেই ঘটেছিল। একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই নিযুক্ত করা হয়েছিল।
তার পরের দিনই ভাঁড়ার ঘরের সামনে আর একটা ঘটনা ঘটেছিল। ঐ কনস্টেবলকে দ্বিতীয় ঘটনা যেখানে ঘটেছিল সেখানেই বদলি করা হয়েছিল।
তৃতীয় ঘটনাটা লন্ড্রির কাছেই মাঝরাত্তিরে ঘটেছিল। যখন ইনস্পেক্টর কনস্টেবলকে নতুন জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সে একটা অনুরোধ করতে কয়েক মুহূর্ত নিয়েছিলঃ “দয়া করে আমাকে সেই জায়গায় নিযুক্ত করে দিন যেখানে এর পরের ঘটনাটা ঘটবে”।
কনসেশন
“দয়া করে আমার যুবতী মেয়েটিকে আমার সামনে মেরো না”…..
“ঠিক আছে তার অনুরোধটা রাখা হোক …। ওর (মেয়েটার) কাপড় চোপড় খুলে নাও আর তাকে অন্য দিকটায় ঠেলে দাও”।
সরি
ছুরিটা এককোপে নাভির পাশ দিয়ে পাকস্থলীটাকে বের করে ফেলল এবং বেল্টটা কেটে দিয়েছিল। মুহূর্তেই আক্রমণকারী সম্পূর্ণ অনুশোচনা করে উঠেছিল – “আহা! আমি একটা ভুল করব বলেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি”।
পার্থক্য
“আমি আমার ছুরিটা তার খাদ্যনালীতে রেখেছিলাম আর আস্তে আস্তে এক প্রান্ত থেকে অন্য দিকে ঘোরালাম”।
“কি নরকের কাজ করছ?”
“কেন?”
“কেন তুমি দোকান কসাই-এর মতন তাকে জবাই করলে?”
“কারণ আমি এভাবেই কাজ করতে ভালবাসি”।
“নরকের মতন! তোমার উচিত এক কোপে জবাই করে তার মাথা নামিয়ে দেওয়া ………
………… ঠিক এইরকমভাবে” আর দোকান কসাই-এর মাথাটা গড়িয়ে পড়ল।
মাল্যদান
জনতা মত বদল করল আর তীব্র ক্রোধে স্যার গঙ্গারামের আবক্ষ মূর্তির দিকে ঘুরল। ডাণ্ডা, ইঁট আর পাথর তাতে ছুঁড়তে লাগল। একটা লোক মূর্তির মুখটা কালো আলকাতরা দিয়ে লেপে দিল। অন্য একজন ব্যবহারে জীর্ণ হয়ে যাওয়া জুতোর মালা নিয়ে এগিয়ে গেল আর সেটাকে মূর্তির গলায় পরাতে যাচ্ছিল যখন পুলিশ তার কর্তব্য সম্পাদনে আসল আর গুলি চালাল। জুতোর মালা হাতে নেওয়া লোকটা আহত হয়েছিল। এবার চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালেই দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বিশ্রামের সময়
“যদিও এখনও সে মরেনি, দেখ এখনও তার একটু শ্বাস রয়েছে”।
“ওগো, ওটা (শ্বাস) টেনে বের করে নাও আমি পরিশ্রান্ত বোধ করছি”।
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।