বুড়ো বাড়িতে অশান্তি করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন এই প্রতিজ্ঞা করে যে তিনি আর ঘরে ফিরবেন না।হাঁটছেন তো হাঁটছেন। মাথার উপর খর সূর্য। চেনা রাস্তা শেষ হল। সঙ্গে আনা শুকনো চিড়ে শেষ হল। সূর্য পশ্চিমে ঢলে ঘরে ফেরার বার্তা দিল। পশ্চিমের লাল অনুরাগ গায় মেখে পাখিরা কলকাকলিতে দিনকে বিদায় দিয়ে নীড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। জলাশয়ে তাদের ছায়া পড়েছে। বুড়ো তাঁর দীর্ঘ ছায়া দেখে ভাবতে লাগলেন, একটু পরে তাঁর দীর্ঘ ছায়া মিইয়ে যাবে।দিনচরা মানুষ আকুল হয়ে সংসারের সংখ্যা মিলাবে। প্রথম প্রথম শূন্যতা হয়তো দীর্ঘশ্বাস টেনে আনবে। তারপর অভ্যাস হয়ে যাবে। আকাশের ইজেলে তারাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
নাতিটা খুব দুরন্ত। তাঁঁকে সামলাতে হয়। খাট থেকে পড়ে গেল না তো! আজ সন্ধ্যায় নাতনি অরুনার বিয়ের কথা পাকা হওয়ার কথা। বরপক্ষ যদি জিজ্ঞেস করে ওরা তো অস্বস্তিতে পড়বে। রতন মালি কি বকেয়া টাকাটা ওদদেরকে বিশ্বাস করে দেবে! বন্ধু অখিলেশের দিন ফুরিয়ে এসেছে। তাকে আজ দেখতে যাওয়ার কথা।
মাথার উপর থেকে কোন একটা পাখি একক বিষন্নতা নিয়ে নীড়ে ফিরে যাচ্ছে।ও কি নীড়ের সন্ধান পাবে! তবুও …
বুড়ো চোখ বুজলেন। অন্ধকারের প্রাচীর ভেদ করে তিনি ঘরের দিকে পা বাড়ালেন।
Tags: অণুগল্প সংখ্যা, কৃপাণ মৈত্র, ঘরে ফেরা
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।