অবসর মুহূর্তে অরিত্র ভাবে জীবনটা অন্য খাতে বইত কি?
কৈশোরের চৌকাঠ পেরিয়ে যৌবনে ভাবতো কাকে জীবন সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেবে? স্নাতকোত্তর পর্বে অরিত্রর চারজন সুন্দরীকে দুই অক্ষরী নাম ও ব্যাবহারের জন্য পছন্দ। তাদের নিয়েই কল্পনা ভবিষ্যতে জীবন কাটাবার … নিভা, প্রিয়া, প্রীতি, নাকি লিপি।
নিভার বিয়েতে গায়ে গতরে খেটেও ছিল ওর বাবার অনুরোধে। গায়েহলুদের আগের দিন ভোরবেলা জামাই বাবু দেয়ালের আড়ালে নিভাকে শরীরী ভাষায় সোহাগ করতে দেখেছে। বিয়ের দু বছর পরে অরিত্র লিপির কাছে শুনল নিভার স্বামী উভকামী। অরিত্র গত পঞ্চাশ বছরে নিভার কোন খোঁজ পায় নি।
প্রিয়ার বিয়েতে স্বরচিত দীর্ঘ কবিতা ক্যাসেটে নিজের স্বরক্ষেপন করে উপহার দিয়েছিল। ওর স্বামী অনুপস্থিত থাকার কারণে দুই বছরের মাথায় শ্রীবাস্তবের সুতিকাগার থেকে নবজাতক কন্যাকে নিয়ে বাপের বাড়ী পৌছেও দিয়েছে অরিত্র। আগের মাসে প্রিয়ার দাদা জানালো প্রিয়া মারা গেছে।
ডিসেম্বরের পিকনিক কোলাঘাটে। ট্রেন হাওড়া ছাড়লে প্রীতি হৈহৈ করে অন্যদের সরিয়ে অরিত্রর পাশে বসলো। উল্টো দিকে লিপি সারাক্ষণ বাঁদিকের জানালায় বাইরে তাকিয়ে। প্রীতি ইশারায় অরিত্রকে লিপির মুখভার দেখালো। রূপনারায়ণ নদীর ধারে গোধূলিতে প্রীতিই লিপিকে নিয়ে এসে অরিত্রর পাশে বসিয়ে দিলো।
স্বামী মারা যাবার দেড় বছর পর গতকাল লিপিকে ফোনে পেলো। কোমরের স্লিপ ডিস্কে খুব কষ্ট পাচ্ছে। পুরোনো কথা বলার সময় জানলো লিপির বাড়ির অসবর্ণ বিয়েতে আপত্তি ছিলো না।
অরিত্র এখন বানপ্রস্থে।
Tags: অণুগল্প সংখ্যা, বানপ্রস্থ, সুদীপ বসু
email:galpersamay@gmail.com
Sudip Basu on April 20, 2020
সম্পাদক সমীপেষু
আমারি অসাবধানতা বশত ও সময়াভাবে কিছু ভুল থেকে গেছে …
‘বানপ্রস্থ’ অনু গল্পে কয়েকটি সংশোধন হলে ভালো হয় …
নিচে সংশোধনী দেওয়া হল …
সুদীপ বসু
মুহুর্ত হবে – মুহূর্ত।
প্রীতি নাকি লিপি হবে – প্রীতি, নাকি লিপি।
গায়ে হলুদ হবে – গায়েহলুদ(গাত্রহরিদ্রা),
শরীরি হবে – শরীরী,
সারাক্ষন হবে – সারাক্ষণ।
অসবর্ণের বিয়েতে হবে – অসবর্ণ বিয়েতে।
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।