[ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় বাংলা শিশুসাহিত্য জগতে নক্ষত্র সমান। পঞ্চপাণ্ডবের স্রষ্টা প্রবীন এই সাহিত্যিক আজও ভ্রাম্যমান। হাওড়ার রামরাজাতলার বাড়িটা ওনার মতে বিশ্রামগৃহ।এখনও বছরের দশ মাস হিমালয়ের প্রান্ত থেকে প্রান্তরে ছুটে বেড়াতে ভালবাসেন। কয়েক মাসের বিশ্রাম নিতে ঘরে ফিরে আসেন। পঞ্চপাণ্ডবের অভিযান এখন লেখকের তীর্থভ্রমণে প্রাণ পেয়েছে। একইভাবে লেখকের কলম তাঁর মনের মতই সজীব। দু পায়ের মতই কলমও ছুটে চলে এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে। প্রানবন্ত মানুষটি ‘গল্পের সময়’-এর কথা শুনে এক কথায় দরাজ দিল। গল্পের সময় পরিবারের অন্যতম সদস্য দেবাশিস মজুমদার পুরনো সখ্যতার সুত্র ধরেই তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিলেন বেশ কয়েক ঘন্টা। উঠে এল তারাশঙ্কর থেকে শিশুসাহিত্য সবকিছুই। সেই আলাপচারিতার প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হল। বাকিটা সুযোগমত প্রকাশ করা হবে অন্য কোনও সংখ্যায়।]
প্রশ্ন – কার লেখা পড়ে প্রথম লেখক হওয়ার অনুপ্রেরণা পান ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা রামধনু নামে একটা বই আমাদের পাঠ্য হিসেবে ছিল, রামধনু থেকেই কালাপাহাড়, নটু মোহারের সওয়াল, ডাকহরকরা লেখাগুলো পড়ে অভিভূত হয়েছিলাম।
প্রশ্ন– আপনার আদি বাড়ি কি হাওড়ায় ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – আমার পৈতৃক বাড়ি বর্ধমান জেলার রায়নার কাছে নাড়ুগ্রাম। সেখানে ভিটেমাটি কিছু নেই। মাঝেমধ্যে গিয়েছি। আমার জন্ম হাওড়ায়। বাবার যখন চারবছর বয়স তখন ঠাকুমা মারা যান। বাবা এর ওর কাছে মানুষ। আমার জন্মের পাশাপাশি সবকিছুই হাওড়াতে। রামকৃষ্ণপুর, খুরুট ষষ্ঠীতলা, গোপাল ব্যানার্জী লেন।
প্রশ্ন-ছেলেবেলার কোনও মজার ঘটনা মনে পড়ে ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – আমাদের বাড়ির কাছেই থাকতেন অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তী। উনি ছিলেন আমার কাছে মূর্তিমান যম। ওনাকে দূর থেকে আসতে দেখলেই আমি দিদির গলা জড়িয়ে কান্না আরম্ভ করতাম।
প্রশ্ন– আপনি বিখ্যাত লেখক, আপনার লেখা গোটা বাংলার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ে। আপনি ছোটবেলায় কোন স্কুলে পড়েছেন?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – আমি হাওড়া রামকৃষ্ণপুর হাইস্কুলে ছোটবেলায় পড়াশুনো করেছি।
প্রশ্ন– ষষ্ঠীপদ নামটি আসল কীভাবে ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – আমাদের এলাকায় একজন মণিকার ছিলেন তিনি আমায় খুব ভালোবাসতেন। তিনি আমায় একটা রুপোর পদক তৈরি করে দিয়েছিলেন। তাতে খোদাই করা ছিল ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ‘চরণ’ কথাটি লিখতে চাননি। বলেছিলেন ওতে চাকরের নাম দাঁড়ায়, তাই ষষ্ঠীপদ করে দিলাম। স্কুলে ভর্তির সময় বাবা কবজের নাম অনুযায়ী নাম রাখলেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়।
প্রশ্ন-প্রথম লেখার অনুভূতি কী ভাবে এল ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – আমার বাবা–মা ছেলেবেলা থেকেই তীর্থেতীর্থে ঘুরতেন। আমার যখন ১৫ বছর তখন একবার কামাক্ষায় গিয়েছিলাম। তখনকার কামাক্ষা ছিল বনময়। চারিদিকে উঁচু পাহাড়, জঙ্গল আর জঙ্গল। সেইখানেই একদিন যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে, বনরাজি লাল হয়ে উঠেছে, তখন ভিতরে ভিতরে একটা ইচ্ছা হল আহা, যদি লিখতে পারতাম তাহলে লিখে দিতাম পাহাড়ে পাহাড়ে কে যেন মুঠোমুঠো আবির ছড়িয়ে দিয়েছে। সেই আমার লিখতে চাওয়ার প্রথম অনুভূতি। এভাবেই মনের মধ্যে লেখার বাসনা বা ইচ্ছা নড়ে উঠেছিল।
প্রশ্ন– প্রথম লেখা কোথায় প্রকাশিত হয় ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – দৈনিক বসুমতী বলে পুরোনো দিনে যে খবরের কাগজ ছিল তাতে ‘ডাকঘর’ বলে বাচ্ছাদের একটি পাতা ছিল। সেই পাতাতেই প্রথম আমার লেখা প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন-কী বিষয়ে লিখেছিলেন ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – লেখাটার নাম ছিল কালের কামাক্ষা, ভ্রমণ কাহিনী মূলক প্রবন্ধ। আমার তখন ১৭ বছর বয়স। মনে আছে যেদিন লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় তার কিছুদিন পর স্কুলে জানাজানি হতেই মাস্টারমশাইরা খুব হইহই করেছিলেন। মাষ্টারমশাই হরিপদ বাবু স্কুলে সব ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে লেখাটি পড়ে শুনিয়েছিলেন। লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার কারণে সেদিন বিদ্যালয় দুটোর সময় ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এতে আমি আরও উৎসাহ পাই এবং লেখা নিয়েই মেতে উঠি।
প্রশ্ন– শুধু পান্ডব গোয়েন্দাই নয় ভ্রমণ সাহিত্যও তো আপনার লেখা অন্যতম বিষয়বস্তু ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – হ্যাঁ, ভ্রমণের নেশা আমায় ছেলেবেলা থেকেই পেয়ে বসেছিল বাবার উৎসাহে। রামেশ্বর, কন্যাকুমারী থেকে বহু তীর্থস্থান সে সময় ঘুরে বেড়িয়েছি। ভ্রমণ সাহিত্য ছাড়াও রহস্য অ্যাডভেঞ্চার আমার সবচেয়ে ভাললাগে, এছাড়াও আছে ভূতের গল্প। পান্ডব গোয়েন্দাতো আছেই। যদিও প্রথম দিকে বেশ কিছু কবিতা ও ছড়া লিখেছিলাম। পরবর্তী কালে আর সে ভাবে ছড়ার চর্চা করা হয় নি।
প্রশ্ন– কিন্তু আপনাকে তো সবাই ‘পান্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা হিসাবেই চেনে। পান্ডব গোয়েন্দা রচনার ভাবনা প্রথমে এল কোথা থেকে ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – আমাদের গ্রামের বাড়িতে পঞ্চু নামে একটা কুকুর ছিল। সে খুব আমার ন্যাওটা ছিল। গেলেই লম্ফঝম্প করত, দুপায়ে উঠে দাঁড়াত। একবার ইঁটের আঘাতে ওর একটা চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এনিয়ে ওর মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। পরেরবার আমি দেশে গেলে ও আমার সঙ্গ নেয়। আমি বাসে ওঠার সময় ও জোর করে বাসে উঠে পড়ে। লোকজনের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও নানা কসরত করে ওকে হাওড়ার বাড়িতে নিয়ে আসি। তারপর ও হাওড়াতেই থেকে যায়। ওর নানা কাহিনী শুকতারার অফিসে গেলে ক্ষিরোদবাবুর কাছে করতাম। তারাই উৎসাহ দিতে শুরু করেন ওকে নিয়ে গোয়েন্দা কাহিনী লেখার।
প্রশ্ন– বসুমতী ছাড়া সে যুগে আর কোন কোন কাগজে লিখেছিলেন ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – জনসেবকে লিখেছি। যদিও ওটা ছিল পার্টির কাগজ কিন্তু ওরা খুব যত্ন নিয়ে সে সময়ে লেখাগুলো ছাপত। ২০ বছর বয়সে আনন্দবাজার রবিবাসরীয়তে প্রকাশিত হয় ‘ মহাকবি অশ্বঘোষ’। এরপরই আস্তে আস্তে শুকতারায় প্রবেশ আর পান্ডব গোয়েন্দার সৃষ্টি।
প্রশ্ন-সে যুগে কাদের লেখা আপনাকে খুব প্রভাবিত করত ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়– তারাশঙ্কর আর শরৎচন্দ্র ছড়া কারোর লেখাই আমি প্রায় পড়তাম না। আর আমি একটা সময় তারাশঙ্করের পরিবারের খুব ঘনিষ্টও হয়ে উঠেছিলাম। ওনার পুত্র সনৎবাবুর বহু সহায়তায় আমি জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। সে সব বিস্তারিত ভাবে নানা জায়গায় বলা আছে। তবে সে বয়সে খুব বেশী প্রভাব ফেলেছিল তারাশঙ্করের হাঁসুলিবাকের উপকথা।
প্রশ্ন– এছাড়া কারা কারা আপনার লেখক জীবনে প্রভাব রেখে গিয়েছেন ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – লেখকদের মধ্যে ‘অবধুত’- ওনার সঙ্গে নানা বিচিত্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমার। এছাড়া প্রকাশকদের মধ্যে শুকতারার প্রবীর মজুমদারের বাবা ক্ষিরোদ মজুমদার আর আনন্দবাজার পত্রিকার সুনীল বসু, রমাপদ চৌধুরী, সাগরময় ঘোষের নাম করতেই হয়।
প্রশ্ন– আপনার ‘পান্ডব গোয়েন্দা’ সমস্তই প্রকাশিত হয়েছিল ‘শুকতারা’য় আর রচনাবলী হিসাবে বেরোয় আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে। শুকতারা ছাড়লেন কেন ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – ক্ষিরোদবাবু মারা যাওয়ার পর নানা কারণে মতপার্থক্য হয়। মতপার্থক্যের কারণে আর অরূপ সরকারের অনুরোধে আনন্দবাজার প্রকাশন সংস্থায় লিখতে আরম্ভ করি। তবে ভ্রমণ কাহিনী লেখার উৎসাহ দেন সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আর সুনীল বসু। দেশ-এ প্রথম ভ্রমণকাহিনী প্রকাশিত হয় রামায়নের চিত্রপুট। সে প্রকাশেরও মজার ইতিহাস আছে।
প্রশ্ন-আর পান্ডব গোয়েন্দা’র সৃষ্টি?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – একদিন ফ্রি-স্কুল স্ট্রিট দিয়ে বেরোচ্ছি, ফুটপাথের উল্টো দিকে পুরোনো বইয়ের দোকানে একটি বড় বইয়ের প্রচ্ছদ চোখে পড়ল। একটি কুকুর তার পিছনে অনেকগুলো বাচ্ছা ছেলে মেয়ে দৌড়াচ্ছে। আইডিয়াটা মাথায় ক্লিক করে গেল। শুরু হয়ে গেল বাবলু, বাচ্চু, বিচ্ছু, ভোম্বল আর পঞ্চুর কাহিনি।
প্রশ্ন– নিজেকে কী বাবলুর পর্যায়ে রেখেছিলেন ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়– (একটু হেসে) প্রায় তাই।
প্রশ্ন– এখনও পর্যন্ত পান্ডব গোয়েন্দার মোট অভিযানের সংখ্যা কটি ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – ছাপা অক্ষরে বেরিয়েছে ৪১ টি। একই ভাবে ভূতের গল্প পঞ্চাশটি হয়ে গেছে। আর লিখব না।
প্রশ্ন– তাহলে এর পরে কী লিখবেন ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – শুধু ভ্রমণকাহিনী, অ্যাডভেঞ্চার ও রহস্য উপন্যাস।
প্রশ্ন-ঘুরতে কী খুব ভাল লাগে ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়– বছরের বেশীর ভাগ সময়টাতেই বাড়িতে থাকি না। পাড়ার লোকে বলে মাঝে মধ্যে নাকি বাড়িতে বেড়াতে আসি।
প্রশ্ন– আধুনিক কালে অন্য কোন লেখকের লেখা ভাল লাগে ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – তিন জনের লেখা খুব ভাল লাগে। সমরেশ মজুমদার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় আর একজন আধুনিককালের লেখক প্রচেত গুপ্তর লেখা। ভাল লাগে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প।
প্রশ্ন– পান্ডব গোয়েন্দা কী আপনার মতে ‘গোয়েন্দা’ ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – না, আমি গোয়েন্দা বলতে রাজি নই। আসলে ওরা সবাই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তদন্তকারী।
প্রশ্ন– পঞ্চপান্ডব নিয়ে সিনেমা করার কথা কখনও হয়েছে ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – হ্যাঁ, একবার হয়েছিল। আশির দশকের মাঝামাঝি। সমীর রায় বলে এক ভদ্রলোক সেবার এই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। খুব তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। ‘সোনার কেল্লা’র সিদ্ধার্থকে দিয়ে অভিনয় করাবার পরিকল্পনাও হয়েছিল। সত্যজিৎ রায় প্রচুর সাহায্যও করেছিলেন। তখন ওনার ‘ঘরে বাইরে’র শুটিং হচ্ছে। ‘ঘরেবাইরে’র সেটটাও ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। চিন্ময় রায়, ছায়াদেবী, তরুণ কুমার সবাইকে দিয়েই অভিনয়ের শুটিংও করা হয়েছিল। আরতি মুখার্জী ও মান্না দেকে দিয়ে Playback Recording ও করানো হয়েছিল। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে Producer এর নিজস্ব গোলযোগে সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। পরে রাজা সেন একবার উদ্যোগ নেন কিন্তু পঞ্চুকে ব্যবহার করা নিয়ে বন্যপ্রাণী দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওরা পিছিয়ে যায়।
প্রশ্ন– অ্যানিমেশন Film এ পান্ডব গোয়েন্দা এসেছে ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – হ্যাঁ, তা এসেছে। তবে সিনেমা হলে ভাল লাগত।
প্রশ্ন– আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শিশু সাহিত্য নিয়ে কী বলবেন ?
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়– খুব খারাপ অবস্থা। শিশু সাহিত্য প্রায় লেখা হচ্ছে না। আমার মতে শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্য যা লেখা হয়েছে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, যোগিন্দ্রনাথ সরকার, সুখলতা রাও আর আমি। বালক সাহিত্য বলে একটা ভাগ করি তাদের মধ্যে আছেন লীলা মজুমদার ও সুকুমার রায়। আর আমরা হলাম সেই অর্থে কিশোর সাহিত্যিক। আমাদের সঙ্গে রয়েছেন সত্যজিৎ রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার সবাই। তবে অবস্থা খুব খারাপ। এখন পরিণত কিশোরদের জন্য আর এক ধরনের সাহিত্য রচনার চেষ্টা অন্তত করে যাচ্ছি আমি। যেটা আঙ্গিকে একটু অন্যরকম হতে পারে বলে আমার মনে হয়। তবে যে হারে কম্পিউটার,ইন্টারনেট, সাইবার কাফে বাড়ছে, অভিমুখ দ্রুত বদল হবে বলে আমার বিশ্বাস। আর আমারও বয়স হচ্ছে। ভ্রমণকাহিনী ও রহস্য অ্যাডভেঞ্চারে বাকিজীবনটা কাটাতে চাই। আজ এ পর্যন্তই থাক অনেকক্ষণ কথা বললাম।
প্রশ্ন– দীর্ঘ সময় কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – আপনাকেও ধন্যবাদ
Tags: ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।