আপনার নাম?
স্যার বাবার দেয়া নাম মোসলেম উদ্দিন। এখন সবাই ‘অমানুষ’ নামে ডাকে।
ডাক্তার মাহমুদ রোগীর চোখের দিকে তাকালেন। মানুষটার ভেতর কোনো অস্বাভাবিকতা আছে বলে তার মনে হলো না। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতই। তবে চোখের ভেতর কি যেন একটা আছে, যেটা চট করে ধরা যায় না। ডাক্তার চোখ নামিয়ে নিলেন।
_ ‘অমানুষ’ তো কোনো মানুষের নাম হতে পারে না। আপনার খারাপ লাগে না নামটার জন্যে?
এবার মোসলেম একটু নড়েচড়ে বসল। গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলল – স্যার, পরথম পরথম খারাপ লাগতো। এখন ভালো লাগে।
_ আপনার বাড়িতে কে কে আছে? আমি বলতে চাচ্ছি আপনি কাদের সাথে থাকেন?
মোসলেম বোধহয় কথাটায় আনন্দ পেল। বেশ উৎফুল্ল গলায় বলল – স্যার এই দুনিয়ায় আমার কেউ নাই। আমি একলা থাকি।
_ আপনার একা থাকতে খারাপ লাগে না?
_ জি্বনা স্যার। একলা থাকতেই ভালো লাগে।
_ আপনার বাবা-মা-ভাই-বোন?
_ স্যার সবাই অনেক আগে ইন্তেকাল করেছে।
_ কোন দুর্ঘটনায়?
এবার মোসলেম একটু সময় নিল। হাত কচলাতে কচলাতে বলল- না স্যার, কোন দুর্ঘটনা না।
_ তাহলে?
মোসলেম কোনো জবাব দিল না। ডাক্তার মাহমুদের চোখে চোখ রেখে একটু মুচকি হাসি দিল। তারপর চট করে চোখ নামিয়ে নিল।
_ আচ্ছা ঠিক আছে, আপনাকে কিছু বলতে হবে না। এখন বলেন চা না কফি খাবেন?
মোসলেম কোনো জবাব দিল না। ডাক্তার মাহমুদ দু’ কাপ কফির অর্ডার দিলেন। সাথে সাথে কফি চলে আসল।
_ নিন কফি খান। খেতে খেতে আমরা গল্প করি।
মোসলেম যেন ভীষণ লজ্জা পেল। ঘরের মেঝেতে চোখ রেখে বলল- স্যার আপনার সামনে বসে কফি খাওয়া বিরাট অভদ্রতা হবে। আমি ছোট মানুষ।
ডাক্তার মাহমুদ কিছুটা অপ্রস্তুত হলেন। লোকটাকে তিনি বুঝতে পারছেন না। অথচ তার বোঝা উচিত এই মানুষটাকে।
_ আপনি লিখতে-পড়তে পারেন?
_ জি্ব স্যার। মেট্রিক দিয়েছিলাম। পাস করতে পারি নাই।
ডাক্তার মাহমুদ একটা প্যাড আর কলম এগিয়ে দিলেন তার দিকে।
_ আমি পাঁচ মিনিটে কফিটা শেষ করব। এই পাঁচ মিনিটের ভেতর আপনি আপনার সমস্যা গুলো প্যাডে লিখে ফেলুন।
মোসলেম চিলের মতো ছোঁ মেরে প্যাড আর কলমটা লুফে নিল। ঘজঘজ করে প্যাডের পৃষ্ঠা উল্টাতে লাগলো। তারপর প্যাডের মাঝামাঝি একটা পৃষ্ঠা বের করে কলম হাতে নিল। ডাক্তার মাহমুদ একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছেন আর ঘন ঘন কফির কাপে চুমুক দিচ্ছেন। লোকটাকে বুঝতে না পারলে তিনি স্বস্তি পাবেন না। এ রকম অদ্ভুত রোগী তার কাছে হরহামেশাই আসে। কিন্তু এই মানুষটাকে তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। অন্যদের থেকে একটু না, অনেকটা আলাদা যেন। তিনি দেখলেন লোকটা নিমগ্ন হয়ে লিখে যাচ্ছে। কোনদিকে তার খেয়াল নাই।
মাহমুদ সাহেবের কফি শেষ। তবু তিনি খালি কাপে চুমুক দিচ্ছেন- বেশ শব্দ করে। এখন লোকটাকে দেখতে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে যেন কোনো ধ্যানমগ্ন ঋষি। তার ধ্যান ভাঙা ঠিক হবে না। মাহমুদ সাহেব ঘড়ি দেখলেন। পাঁচ মিনিটের জায়গায় এগারো মিনিট শেষ। আর সময় দেয়া যায় না। তিনি কাশির মতো শব্দ করলেন।
_ আপনার লেখা কি শেষ?
মোসলেম চট্ করে মুখ তুলে চাইল। ঘরের চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিল। যেন সে এতক্ষণ এ ঘরটার ভেতর ছিল না। অন্য কোনো জগৎ থেকে হঠাৎ এসে উপস্থিত হয়েছে এখানে।
_ কই, দেখি কি লিখলেন। প্যাডটা দিন আমাকে।
মোসলেম অতি দ্রুততার সাথে প্যাডটা ডাক্তারের হাতে তুলে দিল। প্যাডের লেখা দেখে ডাক্তার ভীষণ অবাক হলেন। মানুষের হাতের লেখা এত সুন্দর হয়! ঝকঝকে লেখা, একটাও কাটাকুটির দাগ নাই। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, স্যার, আমার রাইতে ঘুম আসে না। সারারাত জেগে থাকি। একসময় ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করলাম। তবুও ঘুম আসে না। একটার জায়গায় দু্ইটা, তিনটা। এভাবে বাড়াতে লাগলাম। কিন্তু ঘুম আসে না। ওরা সারারাত বিরক্ত করে। আমার মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আত্মহত্যা করি। কিন্তু আত্মহত্যা করবার মতো সাহস আমার নাই। আমি আর পারতেছি না স্যার। আমার বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় এর থেকে মৃত্যুই ভালো।
লেখা শেষ। ডাক্তার মাহমুদ লক্ষ্য করলেন মানুষটা পুরোপুরি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে না, কিন্তু প্রতিটি লাইন শুদ্ধ ভাষায় লেখা। তিনি চোখ তুলে মোসলেমের দিকে তাকালেন।
_ আপনাকে রাতে কারা বিরক্ত করে? প্রশ্ন শুনে মোসলেম যেন কিছুটা উৎসাহ পেল।
_ স্যার কেউ আমার কথা বিশ্বাস করে না। তবে আপনারে বলি। আমার বাবা-মা-ভাই-বোন সবাই বিরক্ত করে। বেশী ঝামেলা করে বাবা।
_ বলেন কি। তারমানে আপনার মৃত বাবা-মা আপনাকে বিরক্ত করে?
_ জি্ব, স্যার। ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন,
_ আপনি যেটা বলছেন সেটা খুবই হাস্যকর ব্যাপার, এটা বুঝতে পারছেন? কোনো মৃত মানুষ কখনও জীবিত মানুষকে বিরক্ত করতে পারে না।
মোসলেম আবার মুখে কুলুপ এঁটে দিল। কোনো কথা নেই। মুখে সেই মুচকি হাসিটা লেগে আছে।
_ আপনি কথা বলেন। চুপ করে থাকলে আমি আপনার সমস্যাটা ধরবো কিভাবে?
_ স্যার আমার গল্পটা কিন্তু বড়। আপনি কি আমাকে এত সময় দেবেন?
_ আপনি সংক্ষেপে বলুন। আমি বুঝবো।
মোসলেম চেয়ারটা ডাক্তারের আরো একটু কাছাকাছি টেনে নিয়ে আরাম করে বসল। তারপর শুরু করলো তার গল্প।
_ স্যার শুনেন তাহলে। আমি বাড়ির বড় ছেলে। ভাই-বোন তিন জন। বাবা একটা কাপড়ের দোকানে কাজ করত। স্যার আমার মা ছিল এই পৃথিবীর সব থেকে নিরীহ মানুষ। তাঁর মতো ভালো মানুষ আমি আমার জীবনে দেখেনি। বাড়িতে থাকতো চোরের মতো ভয়ে ভয়ে। বাবা প্রতিদিন বাড়ি ফিরে মার সাথে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করত। কুৎসিত সব গালাগালি। প্রায় রাতে মাকে মার খাওয়া লাগতো। কিন্তু স্যার বিশ্বাস করেন একদিনের জন্যেও একটু শব্দ করেনি মা। আমার মায়ের ৯০% ভালোবাসা ছিল তার বড় ছেলের জন্যে, মানে আমার জন্যে। আমি যখন ক্লাস নাইনে উঠলাম তখন হঠাৎ বাবা টাকা-পয়সা দেয়া বন্ধ কর দিলো। স্যার আমি কিন্তু মোটের উপর ভালো ছাত্রই ছিলাম বলা যায়। মা ভীষণ আঘাত পেল। আমার উপর অনেক বেশি ভরসা করতো তো? মা প্রায়ই বলতো তুই পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি জোগাড় কর বাবা। আমি আর এই সংসারে থাকতে পারতেছি না। আমি তোর সাথে চলে যাব। স্যার আমি কিন্তু সিরিয়াসভাবে পড়াশোনা শুরু করে দিলাম। দুর্ভাগ্য, বাবা টাকা বন্ধ করে দিলো। তবুও মা কোথা থেকে কিভাবে যেনো অল্প কিছু টাকা প্রায়ই আমাকে দিত। আমার এত খারাপ লাগতো স্যার। আমি ভালো করে মার মুখের দিকে তাকাতে পারতাম না। ও, স্যার, আপনাকে বলাই হয়নি, আমার বাবা ছিল মদ্যপ। মদ খেয়ে বাড়ি এসে প্রায়ই মাকে পিটাতো বিনা কারণে। তার যত রাগ সব যেন মায়ের উপর। এই পর্যন্ত বলে মোসলেম থামলো।_ স্যার আমি কি এক গেলাস পানি খেতে পারি?
_ অবশ্যই। মোসলেম পানি খেয়ে আবার শুরু করলো। -স্যার এবার আসল গল্পে ঢুকবো। একদিন সকালে ঘুম ভেঙে দেখি বাবা ঘরের মেঝেতে বসে হাউ-মাউ করে কান্নাকাটি করতেছে। আমি দৌড়ে ঘরের ভেতর ঢুকলাম। যা ভেবেছিলাম তাই। মা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। বাবা বিলাপ করতেছে- তোর মা এইটা কি করে করতে পারল? এখন আমাদের কি হবে? স্যার আমি কিন্তু আসল ঘটনা বুঝে ফেললাম। বাবার হাতেই যে মায়ের মৃত্যু হবে এটা আমি কিভাবে যেনো বুঝে ফেলেছিলাম। না, না, স্যার, আমি একটুও কাঁদিনি। ওই মুহূর্তে আমি মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। বাবাকে আমি নিজের হাতে খুন করবো।
_ স্যার আপনি বিরক্ত হচ্ছেন নাতো?
_ না,না, আপনি গল্প শেষ করুন। গল্পের বাকীটা শুনতে আগ্রহবোধ করছি। আপনি বলুন।
_ ধন্যবাদ স্যার। এরপর থেকে আমার মাথায় নানান ফন্দি ভর করলো। কিভাবে বাবা নামের পশুটাকে খুন করা যায়। স্যার বয়স বেশি ছিল না তখন। কিন্তু খুব ঠাণ্ডা মাথায় যেকোনো কাজ করতে পারতাম। শেষমেষ একটা প্ল্যান বের করলাম, সহজ-নিরাপদ। কোনো রিস্ক নাই। মা মারা যাবার পর বাবা প্রতিদিন মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরতো। আগে মায়ের উপর যে অত্যাচার চলতো এখন সেটা আমাদের উপর চলতে লাগলো। মাতালের মার, স্যার বুঝেন তো। কোন হুঁশ-জ্ঞান থাকে না। ভীষণ কষ্ট হত। আমি দেখলাম, এভাবে চলতে থাকলে আমার ছোট ভাই দুটোও কোনদিন বাবার হাতে মারা যাবে। আমি আর দেরি করতে পারলাম না। সে রাতে ছিল অমাবশ্যা। রাত বারোটার দিকে চারদিকে অন্ধকার। আমার মনে হলো আজকেই মোক্ষম সময়। বাবা বাড়ি ফেরে রাত করে। আমি জেগে বসে থাকলাম বাবার ফেরার অপেক্ষায়। সেদিন অনেক রাতে ফিরল বাবা। আমি বাবার ঘরের সামনে একটা চেয়ারে বসে আছি । ও স্যার, আপনাকে তো বলতে ভুলে গেছি। আমরা একটা দোতলা বাড়ির নীচতলায় ভাড়া ছিলাম। মাত্র দুটো ঘর, খুপড়ির মতো। আমার মাতাল বাবা এতরাতে আমাকে বসে থাকতে দেখে ভীষণ অবাক হল। তারপর কুত্তার মতো হুংকার ছেড়ে বলল- এই শুয়োরের বাচ্চা, তুই এখানে কেন। যা, দুর হ, দুর হ। আমি কিন্তু স্যার চুপচাপ বসে থাকলাম। আমি চাচ্ছিলাম ওই পশুটা আরো রেগে যাক। পশুটা টলতে টলতে কোথা থেকে একটা রোগা- পটকা কাঠের টুকরা নিয়ে আসল। আমি কিন্তু সাবধান ছিলাম স্যার। আমারে লক্ষ্য করে যেই লাঠি চালাল আমি চট্ করে সরে গেলাম। বাবা হুড়মুড় করে চেয়ারের উপর পড়ে গেল। আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে তাকে বলতে লাগলাম তুমি কুত্তা, পশু, জানোয়ার। তুমি আমার মায়ের খুনি। আমিই তোমাকে খুন করবো, আজ। টলতে টলতে কোনরকমে উঠে দাঁড়িয়ে পশুটা আমাকে বলল, কি বললি শুয়োরের বাচ্চা। তোকেও তোর মায়ের কাছে পাঠাব আজ। এই বলে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমি তো এটাই চাচ্ছিলাম। ছাদের সিঁড়ি দিয়ে ধাপে ধাপে ছাদে পৌঁছে গেলাম। আমার পেছন পেছন পশুটাও আসল গোঁঙাতে গোঁঙাতে। আমি ছাদের কার্নিসে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। সেদিন অমাবশ্যার অন্ধকার। কিন্তু রোড লাইটের অল্প আলো এসে পড়েছিলো ছাদে। পশুটা আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। যেই না আমার পাশে পৌঁছে গেল, আমি এক লাফে তার পেছনে চলে গেলাম। তারপর শরীরের সমস্ত শক্তি এক করে ধাক্কা দিলাম পশুটাকে। কাজ হলো। একটা পতনের শব্দ শুনতে পেলাম। আমার কাজ শেষ। বিশ্বাস করেন স্যার, ঐ রাতে আমি একটানা ঘুমালাম, নিশ্চিত মনে। ঘুম ভাঙলো সকালে লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচিতে। স্যার আর এক গেলাস পানি খাব।
মোসলেম থামলো। কিছুক্ষণ নীরবতা। ডাক্তার মাহমুদ নীরবতা ভাঙলেন কেউ বুঝতে পারেনি আপনিই খুনি?
_ না, না স্যার। একদম না। সবাই ভাবল মাতাল মানুষ। অসাবধানে পড়ে গেছে। স্যার গল্প এখনও শেষ হয়নি। আমি কি আর বলব?
_ হ্যাঁ বলুন। শেষ করুন। বাবা মারা যাওয়ায় আমাদের আর কেউ থাকলো না। আমার ছোট ভাই-বোন দুটো সারাক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকলো খাবারের জন্যে। একদিন আমার যে কি হলো, মাথায় আবার খুন চাপল। রাতে ঘুমের মধ্যে ওদেরকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেললাম। তারপর ঐ রাতেই বাড়ি ছেড়ে পালালাম।
_ কোথায় গেলেন?
_ কোথাও যেতে পারিনি। দুই দিন এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করলাম। কিন্তু যেখানেই যাই, সেখানে দেখি আমার ভাই-বোন দুটো আমার দিকে হাত বাড়িয়ে ডাকছে। আমি অনেক চেষ্টা করেও ওদেরকে তাড়াতে পারলাম না। আমি আবার ফিরে গেলাম আমার বাড়িতে। বাবার ঘর থেকেই পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেল। মারধর করার দরকার হয়নি। আমি নিজেই সব বলে দিলাম। তখন নাবালক ছিলাম বলে জীবনে বেঁচে গেলাম স্যার। যাবজ্জীবন হয়ে গেল। আমার সাজা শেষ। এখন আমি স্বাধীন স্যার। আমার গল্প শেষ।
ডাক্তার মাহমুদ আরো এককাপ কফি নিলেন। মোসলেম এখন আবার মুখ নীচু করে মেঝের দিকে তাকিয়ে থাকলো।
_ হু, আপনার গল্প শুনলাম। এখন বলেন আমি আপনাকে কি সাহায্য করতে পারি? আমার কাছে কেন এসেছেন?
মোসলেম কোনো কথা বলল না। চুপচাপ বসে থাকলো, যেন ডাক্তারের কথা শুনতেই পায়নি সে। মাহমুদ সাহেব কফি শেষ করলেন। তারপর বললেন, ঠিক আছে আপনি চলে যান। আমার কাছে আর আসবার দরকার নাই।
মোসলেম অতিভদ্র লোকের মতো বিনা বাক্যে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। ডাক্তার মাহমুদ লক্ষ্য করলেন ফুলস্পিডে এসি চলা সত্ত্বেও তিনি ঘামছেন। ভীষণ অসুস্থ লাগছে। সিদ্ধান্ত নিলেন আজ আর একজন রুগীও দেখবেন না। একটু পর তিনি চেম্বার ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন। গাড়ির ড্রাইভার ছুটিতে। তিনি নিজেই ড্রাইভ করে রওনা দিলেন। এরপর কি হলো কারও জানা নাই। পরদিন সকালে একটি বিখ্যাত দৈনিকের প্রথম পাতায় একটি খবরে সবার চোখ আটকে গেল – ‘বিখ্যাত মনোচিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদ হাসানের রহস্যজনক মৃত্যু।’
Tags: দীপন জুবায়ের
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।