দুপুর প্রায় তিনটে নাগাদ এল শারুক খান। দীর্ঘদিন পর ফের তার স্বপ্নের মানুষটাকে দেখতে পেয়ে কুলকুল করে বয়ে চলা নদীতে ভোরের সূর্যের আলো পড়লে যেমন হয়, মনের ভেতর তেমনই ঝিলমিল করতে লাগলো শঙ্করীর। কয়েক ঘন্টা ধরে সামনের খোয়া ওঠা মলিন রাস্তাটার দিকে তাকিয়ে সে ভাবছিল আজও বোধ হয় শারুক খান আসবে না। ও এলেই এক মুঠো খুশিতে ভরে যায় দোকান ঘরটা। খুব ভাল লাগতে থাকে শঙ্করীর। ঠিক কীভাবে আপ্যায়ন করবে বুঝে পায় না। শারুক খানকে অবশ্য দোকানে ঢুকে আসার জন্য বলতে হয় না। দড়জায় যাতে মাথা ঠেকে না যায় সে জন্য একটু গুঁড়ি হয়েই সে ঢুকে আসে দোকানের মধ্যে। ভেতরে এসে দুদিকে পাতা দুটো আধ ভাঙা বেঞ্চের একটিতে বসে পড়ে। শারুক খান যে বেঞ্চিতে বসে সেটা দূরত্বের হিসেবে শঙ্করী যে জায়গায় চা করে, পাঁউরুটি কাটে বা ঘুগনির হাঁড়িটা রাখে তার বেশ কাছে। দূরত্বের হিসেবে কাস্টমার কাছাকাছি বসায় শঙ্করীর চা-পাউরুটি এগিয়ে দেওয়ার সুবিধেই হয়। তবে অঙ্কের হিসেব বাদ দিলেও শারুক খান কাছাকাছি বসায় ও খুশিই হয়।
মফস্বল শহরের প্রান্তে একটা বস্তির ধারে ইঁট-মাটি বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনোমতে দাঁড় করানো একটা চায়ের দোকান শঙ্করীদের। দোকানের ভেতরে দুটো বেঞ্চে সাত-আটজনের বসার বন্দোবস্ত। আশপাশের গাছপালার কারণে ভেতরটা কিছুটা আলো আঁধারি। তবে দুদণ্ড বসে মুড়ি-ঘুগনি-ডিমটোস্ট চা খাওয়া যায় বলে অনেকেই পছন্দ করে এই জায়গাটা। সকালে সন্ধেতে ভাল ভিড় থাকলেও দুপুরটা প্রায় ফাঁকা। আর ফাঁকা থাকে বলেই দুপুরবেলাটা মেয়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে স্নান-খাওয়া ও একটু হালকা ঘুমোবার বন্দোবস্ত করতে বাড়ি চলে যায় শঙ্করীর বাবা রবি কাহার। আর বছর খানেক ধরে এই পদ্ধতিতে একটু ভরসাও তৈরি হয়েছে বছর ২৫-এর মেয়েটির উপর। শঙ্করীর অবশ্য দুপুরের এই সময়টা দোকানে কাটিয়ে দেওয়ার অন্য আগ্রহও কাজ করে। সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন দুটো নাগাদ হাজির হয় শারুক খান। আলাপের পর নিজের নাম বললেও ওকে ছটফটে দুষ্টুমিষ্টি শারুক খানের মত লাগে শঙ্করীর। বয়সে ওর থেকে কিছুটা বড়ই হবে। গায়ের রং বেশ কালো, কিন্তু মিষ্টি দেখতে। সব সময় শশব্যাস্ত। ওই-ই শঙ্করীর শারুক খান। সে কোথা থেকে আসে তাও জানা হয় নি শঙ্করীর। ছেলেটি শুধু নিজেকে সাবান কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। দুপুরবেলা ঘেমে নেয়ে ক্লান্ত হয়ে শারুক খান যখন দোকানে আসে তখন শঙ্করী বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। দোকান প্রায় ফাঁকাই থাকে। আর থাকলেও দু-একজন ফ্লাইং কাস্টমার। শারুক খান এলে প্রথমেই দোকানের সবচেয়ে সুন্দর কাঁচের গ্লাসে জল এগিয়ে দেয় শঙ্করী। মুখে হাসি থাকে। তবে জল পেলেই যে সে ঢকঢক করে খেয়ে নেয় তা কিন্তু নয়। বেঞ্চে বসে ও একটু সময় নেয়। তারপর চোখে মুখে জল দিয়ে রুমালে মুখ মোছে।
শঙ্করী মিষ্টি করে জিজ্ঞাসা করে, আজকে কী দেব? আলুরদম না ঘুগনি ?
শারুক খান হয়তো বলে, আগের দিন তো আলুরদম খেয়েছি, আজকে ঘুগনিই খাই।
আলুরদম অথবা ঘুগনির কথা শুনে নেওয়ার পর পাউরুটির কথা আর আলাদা করে বলতে হয় না। এমনকি একটা কোয়ার্টার পাউন্ড পাউরুটিকে দু-টুকরো করে সেঁকে দেওয়ার কথাও নয়। ঘুগনি-পাউরুটি-চা অথবা আলুর দম-পাউরুটি-চা এর বাইরে এক পয়সাও বাড়তি বিল করে না শারুক খান। একটা ভাঙা বিড়ির নেশাও নেই তার। বাবা, কাকা ও বস্তির চারপাশের পুরুষদের নেশার বহর দেখা শঙ্করী বেশ অবাকই হয়। মনে মনে একটা ভালোলাগাও তৈরি হয়।
নিরিবিলিতে খেতে খেতে অল্প স্বল্প গল্পও করে শারুক খান। নিজের কাজের গল্প, সাবান কোম্পানির গল্প, রোজগারের গল্প। শঙ্করীও একটা ভালোলাগার বলয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। মোহিত হয়ে শোনে। কখনও বা নিজেই অনর্গল বলে ফেলে সারাদিনের জমিয়ে রাখা কথা। প্রথম প্রথম একজন অজানা অচেনা ছেলের সঙ্গে কথা বলতে অস্বস্তি হলেও এখন তা কেটে গেছে শঙ্করীর। শারুক খান হয়তো হালকা কৌতুহল জারি রেখে প্রশ্ন করে- আপনি বুঝি কোনও দিনই দুপুরে ঘুমোন না ?
ঠান্ডা মাথায় শান্তভাবে শঙ্করী জবাব দেয়, আহা তাহলে এই দোকান বন্ধ থাকতো না ? আপনি কোথায় টিফিন করতেন শুনি ?
শারুক খান কেমন যেন শিহরিত হয়। হালকা হেসে জবাব দেয় , ভারী বয়েই গেছে রোজ রোজ এখানে এসে শুকনো পাউরুটি আর ঠান্ডা ঘুগনি-আলুরদম খেতে। কাল থেকে না হয় অন্য কোনও জায়গাতেই খাব।
বাব্বা, বাবুর রাগ তো কম নয়! বিয়ে করে বউয়ের উপরে এমন রাগ দেখালে না, বউ ঝাঁটাপেটা করবে – চা করতে করতেই অনুযোগের সুরে বলে শঙ্করী।
বিয়ে আর বউ-এর কথায় শারুক খান যেন ব্যাকফুটে চলে যায়। শঙ্করীর কথাটা হজম হয়নি এমন ভাব করে বলে, আমাকে আর কে বিয়ে করবে ? একে কালো, তার উপর আবার এই সামান্য সাবান কোম্পানির ফেরিওলা।
এরপর আর কথা চলে না। শঙ্করী এবার আর মুখফুটে বলতেও পারে না যে শারুক খানকে বিয়ে করতে ও নিজেই রাজি। দুম করে মুখফুটে এসব কথা বলাও যায় না। এতদিন ধরে নিজের অজান্তেই এক রঙিন দুপুরের স্বপ্ন বুনে চলেছে সে। তবে স্বপ্নিল দুপুরের ভালোলাগা তৈরি হলেও তার আর শারুক খানের ভাবনার মধ্যে মিল থাকা নিয়ে কোনওভাবেই নিশ্চিত হতে পারে না শঙ্করী। তাই শারুক খান ওকে বিয়ে করতে রাজি কি না তা ও ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। একে এক চা দোকানির ফোর ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করা মেয়ে। যৌবনের ডালপালা মেলে দেখতে নজরকাড়া হলেও শারুক খানের বাড়ির লোক কি ব্যাপারটা মেনে নেবে ?
তোলপাড় যে শারুকের মনেও হয় না তাও নয়। এক ফালি রোদ্দুরের মতো চনমনে শঙ্করীকে ওর খুব ভাল লাগলেও সে সম্পর্ক যে বিয়ে পর্যন্ত এগোতে পারবে এমন আশা সে দেখতে পায় না। ও হয়ত সবার সঙ্গেই এইরকম মিষ্টি ব্যবহার করে। হঠাৎ বিয়ের কথা বললেই যে ও বেঁকে বসবে না এমন নিশ্চয়তাই বা কোথায় ? আর ওর বাবা-মা ই বা রাজি হবেন কেন ? এমন অনামী সাবান কোম্পানির সেলসম্যানের সঙ্গে কি কেউ মেয়ের বিয়ে দেয় ? মেয়ের ভবিষ্যৎটা তো দেখা দরকার। মনের অন্দরে এসব নিয়েই তোলপাড় চলে শারুকের।
কয়েকদিনের মধ্যেই একটা দারুন ঘটনা ঘটল। শঙ্করীদের দোকান লাগোয়া ম্যাড়ম্যাড়ে জায়গাটা একেবারে ঝকঝক করে উঠলো। বড় রাস্তার ধারেই বিশাল লোহার ফ্রেম বানিয়ে তাতে লাগানো হল ঢাউস একটা বিজ্ঞাপন। আরিব্বাস – এ যে গুরুর ছবি – প্রথম দর্শনেই ভেতরটা শিরশির করে ওঠে শঙ্করীর। তাদের দোকান থেকে দিব্যি দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞাপনটা। আদুর গায়ে তোয়ালে জড়ানো শাহরুখ খানের বক্ষলগ্না এক সুন্দরী। তার গায়েও পোশাক নেই বললেই চলে। সঙ্গে একটা বাচ্চা। পাশে বিশাল একটা গোলাকার সাবানের ছবি। সেই সাবানটা মেখে সবাই আনন্দিত। সবাই হাসছে। অর্থাৎ খুশি পরিবার, খুশি সংসার। রাতের বেলায় বিজ্ঞাপনটার মায়াবী আলোয় ভরে যাচ্ছে আশপাশটা। শঙ্করীদের বস্তিতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে জোর আলোচনা নায়ক আর সুন্দরীর লাইফ সাইজ উদোম ছবি নিয়ে। আর যতবার তার প্রিয় নায়কের নাম উচ্চারিত হয়েছে ততবারই রোমাঞ্চিত হয়েছে শঙ্করী। যেন নায়ক তার খুব আপন কেউ একজন। কদিন যেতে না যেতেই ঢাউস বিজ্ঞাপন থেকে বস্তির ঘরে ঘরে নেমে এল মোহময়ী সাবান। কম্পানি থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে নতুন সাবান। পরিবার পিছু একটি করে সাবান।একটি কাগজে সকলের নাম-ধাম লিখে নিচ্ছে সাবান সংস্থা থেকে আসা সুন্দর দেখতে ছেলে-মেয়েরা। দুপুর হলেই গণ স্নানের সৌজন্যে রাস্তার কলগুলতে ভুরভুর করতে লাগল সাবানের মিষ্টি গন্ধ। যারা যারা সাবান মাখতে পারছে তারা সবাই হয়ে উঠছে সুপারস্টারের সুখী পরিবারের অংশিদার। সাবান সাম্রাজ্যের এক সূত্রে বেঁধে যাচ্ছে পাড়া, বস্তি থেকে গোটা অঞ্চল।
অনেকদিন দেখা ছিল না শারুক খানের। প্রতিটি দুপুরেই সোজা রাস্তাটার দিকে তাকিয়ে থাকত শঙ্করী। রাস্তাটা বড় রাস্তায় গিয়ে মিশেছে। আর সেই সংযোগস্থলেই শাহরুখ খানের বিশাল হোডিংটা। দোকানে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে প্রিয় নায়কের দিকেই বারবার চোখ চলে যেত ওর। আসল নায়ককে ছোঁয়া যায় না তা ও জানে। কিন্তু যাকে ও মনের সবুজ ঘাসে ভোরবেলার শিশিরের মত স্থান দিয়ে ফেলেছে সে আসছে না কেন ? কোনও কি কঠিন অসুখ করেছে ? নাকি অ্যাক্সিডেন্ট ? বিছানা ছেড়ে কি উঠতেই পারছে না ? হাজারো প্রশ্ন ভিড় করে আসত শঙ্করীর মনে। ভাবে ঠিকানা বা ফোন নম্বর নেওয়া থাকলে ঠিক খোঁজ নেওয়া যেত। কেন যে সেসব নিয়ে রাখে নি, নিজেকেই দোষারোপ করত শঙ্করী।
আজকে শারুক খান এল প্রায় ছ-মাস পর। দুপুরে দোকানের বিস্কুট, গজা আর লাড্ডুর বয়ামগুলো একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখছিল শঙ্করী। হঠাৎই হাজির শারুক খান। হাতে সেই ওর কোম্পানির লেবেল সাঁটা সস্তা ধরণের কালো ব্যাগ। কোমরে চটা ওঠা কালো বেল্ট, পায়ে চটি। এতদিন পর মানুষটাকে পেয়ে একটা আশ্চর্য ভালোলাগা ডালপালা মেলল শঙ্করীর মনে। কিন্তু তাকে উচ্ছাসের রূপ দিতে নারাজ সে। যতটা সম্ভব অভিমান, অনুযোগ, অস্থিরতা চাপা দিয়ে বলল, কি ব্যাপার দীর্ঘদিন দেখা নেই যে ? এদিকটা বুঝি আর ভালো লাগছে না ?
শঙ্করীর সরাসরি প্রশ্নে কিছুটা ঘাবড়েই গেল শারুখ খান। একটু লজ্জিতভাবেই বলল, না না সেরকম কিছু না। এমনিই কদিন আসা হয়নি।
তবুও ভাল, আমি তো ভাবলাম কোনও বিশ্ব সুন্দরীকে খুঁজে পেয়েছেন বুঝি। বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। মুখে হাসি ধরে রেখে টোন কাটল শঙ্করী।
সরাসরি এর কোনও জবাব দিল না শারুক খান। আসল উত্তরটা এল অনেক পরে – নিয়মিত পাটিগণিতের সুত্র মেনে ঘুগনি-পাউরুটি-চা খাওয়ার পর।
শারুক খানের সাবান কোম্পানিটা আর নেই । ওদের মত কয়েকজন সেলসম্যান কলকাতার বড়বাজার থেকে মাল নিয়ে জেলা শহর থেকে অনেক দূরে ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে ঘুরে ঘুরে কোনওরকমে মাল বিক্রি করত। কিন্তু একের পর এক বহুজাতিক ও রাঘববোয়াল সাবান কোম্পানি এসে সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। সাবান বিক্রির জন্য আয়রন করা প্যান্ট-শার্ট-টাই-জুতো পরে ঝকঝকে ছেলেমেয়েরা বাজার ধরার আভিযানে নেমে পড়েছে মফস্বলের রাস্তায় রাস্তায়। দোকানে দোকানে চলছে ফ্রি ক্যাম্পেন। ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর শাহরুখ খানের মত তারকাদের বিশাল বিশাল হোর্ডিং-এ ভরে গেছে বিভিন্ন রাস্তার মোড়, রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড। লাভজনক নামী কোম্পানিরা এসে যাওয়ায় আর লোকাল কোম্পানির মাল তুলতে নারাজ ডিস্ট্রিবিউটরগুলো। আর এতেই ক্রমাগত লোকসানে চলতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে উত্তম কেমিক্যালস এর মত স্থানীয় কোম্পানি । নামী কোম্পানির সাবান বিক্রি করার মত ডিগ্রি বা ফটাফট ইংরেজি বলার মত কেতা কিছুই নেই মেঠো শারুক খানের। অর্থাৎ কাজ নেই শঙ্করীর দোকানে আসা সাবানওয়ালার – এখন সে বেকার ।
এমন কথা শোনার পর তার কি করা উচিত বুঝতে পারে না শঙ্করী। চা দোকানের মেয়ে হয়ে কীই বা করতে পারে সে। কেমন যেন কথা ফুরিয়ে যায় দুজনেরই। এত দিন পর এলেও মায়াবী আলোর বিকেলে ঝুপ করে অন্ধকার নামার পরিবেশ তৈরি করে বিদায় নেয় শারুক খান। যাওয়ার সময় চোখে চোখ রেখে বলে যায় আর আসা হবে না। অনেকদিন আগে শঙ্করিকে ফ্রি তে নিজের কোম্পানির কয়েকটা সাবান মাখতে দিয়েছিল সে। হোর্ডিং-এ লাগানো সাবানের মত অত ভুরভুরে গন্ধ না থাকলেও খারাপ তো নয়। কমদামি হওয়ায় বাড়ির লোকেরাও মাখতে শুরু করেছিল। পাড়ার দোকান থেকে কিনে মাখত বস্তির অন্য লোকেরাও। সাবানের ফেনা গায়ে নিয়ে মাঝে মধ্যে অন্য জগতে চলে যেত শঙ্করী। অনেক দূরের কোনও ঝরণা। তাতেই স্নান করছে সে। সাবান আর শঙ্করীর দেহের নিজস্ব গন্ধ একসঙ্গে মিশে ভুরভুর করছে চারপাশ। সেই মাদকতাতেই ডুব দেবে বলে ছুটে আসছে তার প্রিয় মানুষটি। দিব্যিইতো চলছিল । বড় রাস্তার মোড়ে চোখধাঁধাঁনো হোর্ডিংটাই তো পালটে দিল সবকিছু। খুব কী দরকার ছিল বড় কোম্পানির ওই সাবানটার। কেন এমন হয় কে জানে ? বড় রাস্তার দিকে তাকাল শঙ্করী। হাঁটতে হাঁটতে বড় হোর্ডিংটার ঠিক নীচে পৌঁছে গেছে শারুক খান। বলব বলব ভাবলেও মনের মানুষকে বলাই গেল না মনের কথাটা। শারুক খানও কী এতদিন পর বলতে এসেছিল কোনও না বলা কথা? শঙ্করীর জলে ভরা চোখে টলটল করতে লাগলো পাতা দুটো। ঝাপসা হয়ে এল ওপরের আলো ঝলমলে ঢাউস শাহরুখ খানও।
গল্পটি ‘যুবকণ্ঠ’ শারদ সংখ্যা ১৪২৩-প্রকাশিত। কিছুটা সংশোধিত আকারে ‘গল্পের সময়’-এ প্রকাশিত হল।
Tags: শারুক খান ও শঙ্করী, সমীর ঘোষ, সুগন্ধি সাবান
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।