গল্প নয়


  • পুরনো বাংলা প্রকাশনা

    অক্টোবর ১৪, ১৮৫৬, ‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকায় রামনিধি গুপ্ত রচিত ‘গীতরত্ন’ বইয়ের বিজ্ঞাপনঃ ‘এক্ষণে নিধুবাবুর গীতরত্ন বলিয়া মধ্যে ২ যাহারা বিজ্ঞাপন করিতেছে সে প্রতারণা মাত্র। সে গ্রন্থ সটীক নহে, অবিকল ছাপাইতে না পারিয়া বিস্তর ভুল করিয়াছে তাহাতে ভাবের এত অধিক ব্যত্যয় জন্মিয়াছে যে কোন প্রকারে ভাবগ্রহ হয় না অতএব গ্রাহক মহাশয়েরা এমত গ্রন্থ লইতে সাবধান হইবেন।…অতঃপর […]


  • আধুনিক বিদ্যাসাগর

    বর্তমান পৃথিবীর মানুষ ধর্মকেই একমাত্র আশ্রয় করে সম্প্রদায়গত বিদ্বেষ ও হানাহানিতে মেতে উঠেছে। সারা পৃথিবীর মত এদেশেও ধর্মই যেন একমাত্র সত্য আর বাকি সব মিথ্যা বলে মনে হয়। এখনও মানুষ বান মারা, ওঝাদের ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে। ডাইনি প্রথার প্রচলন এখনও অনেক গ্রামে দেখতে পাওয়া যায়। বাল্য বিবাহ এখনও বন্ধ করা যায়নি। শিক্ষিত বলে পরিচিত অনেকেই […]


  • বাবার কথা

    চৈত্র মাসে জন্মেছিলেন বলে হিমানীশ গোস্বামী নিজেকে বলতেন চৈত্রদিনের ঝরা পাতা। আমরা ঠাট্টা করে বলতাম ঝরা পাতার রং তো সবুজ হয় না, কিন্তু তুমি তো চিরসবুজ। ছেলেবেলায় তিনি খুব ফরসা ছিলেন। বাড়িতে মেয়েরা সে সময় হিমানী স্নো ব্যবহার করতেন। স্নো-এর রং সাদা। তাই সবাই তাঁকে হিমানী বলে ডাকা শুরু করলেন। সে নাম শুনে ছোটপিসিমা মঞ্জু […]


  • বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি সকাল

    ৭ এপ্রিল, ১৯৮৫। রবিবার। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসেছেন। এবং একটু ভাল আছেন শুনে সকালবেলা গেলাম তাঁর কাছে। ইচ্ছে ছিল জেনে নেব কিছু কথা। সঙ্গে ছিলেন ‘এসময়’-এর সম্পাদক সুমিত চট্টোপাধ্যায় আর কল্লোল দাশগুপ্ত। কিছু পরে এলেন কবি সমীর রায়। পরিচ্ছন্ন ছোট ঘরটিতে বালিশে ভর দিয়ে বসেছিলেন তিনি। শীর্ণ শরীর — নিশ্চয়ই কষ্টও ছিল কিছু। […]


  • ঋষি টলস্টয়

    ফিনল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত ‘শান্তি সম্মেলনে’ আমন্ত্রিত হয়ে আমরা কয়েকজন ভারতের প্রতিনিধি হেলসিঙ্কিতে আসি। সেখান থেকে আবার সোভিয়েট প্রতিনিধিগণের দ্বারা‍ আমন্ত্রিত হয়ে লৌহ যবনিকার দেশ সোভিয়েট রাশিয়ায় বেড়াতে এসেছি। দেখছি এখানকার অনেক কিছুই অদ্ভূত কীর্তি। প্রাক বিপ্লব যুগের জার-সাম্রাজ্যের চোখ-ঝলসানো অপরিমেয় ঐশ্বর্য, আর তারই পাশে পাশে বিপ্লবোত্তর সোভিয়েট রাশিয়ার গড়ে তোলা বিপুল গণসম্পদ। কিন্তু ‘মস্কৌ’ এসে পর্যন্ত […]


  • একটি রূপকথা

    (মৃদুল দাশগুপ্তের এই পাঠ-প্রতিক্রিয়াটি ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮, শিশির মঞ্চে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৭৯-তম জন্মদিনে পঠিত হয়েছিল) আজ এই সন্ধ্যায় কবি  বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ঊনবিংশতম জন্মদিনে, কবির স্মরণসভায়, তাঁর কবিতা সম্পর্কে আমাকেও কিছু বলার প্রশ্রয় দিয়েছেন স্মরণ কমিটির উদ্যোক্তারা, এজন্য আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলা কবিতার গতিপ্রকৃতি, কবিতার গভীর নানা তত্ত্ব, তার রূপ, কলা, বিভাব নানান ব্যাখ্যান […]


  • নেয়ারের খাট, মেহগিনি-পালঙ্ক এবং একটি দুটি সন্ধ্যা

    ডিসেম্বর, ২ । ১৯৫৬ খাট থেকে ধরাধরি করে যখন নামানো হল, তখন দুটি চোখই খোলা। কপালের ওপর আর কানের পাশে কয়েকটা শিরা কুঁচকে উঠেছে। ডান হাতটা প্রতিবাদের ভঙ্গীতে একবার নাড়লেন। চাউনিতেও তীব্র প্রতিবাদ ছিল। গলায় অস্ফুট শব্দ, যার কোনো ভাষা নেই কিন্তু যন্ত্রণা আছে। ডাক্তারীশাস্ত্র আমি জানি না, মনোবিজ্ঞানেও পারদর্শী নই। তবু খাট থেকে সেই […]


  • বিসর্জনের চিত্রকলা

    বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ বাংলাদেশ । বন্যা, খরা, মড়ক, দুর্ভিক্ষ, বর্গীর আক্রমন, মগ, হার্মাদ এই ভয়ঙ্কর সব দুর্যোগ বুকে নিয়েও উৎসবের আনন্দ থেকে বাঙালিকে কেউ বিরত করতে পারে নি । আর সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে যেদিন ইউরোপীয়রা এসে জাহাজ থেকে নামলো এই বঙ্গদেশে, তার কিছুকালের মধ্যেই তারাও মজে গেল বাঙালীর বারো মাসের তেরো […]


  • রবীন্দ্রনাথের রোগভাবনা

    ১৯৪১ সালের জুলাই মাস নাগাদ গুরুদেব খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন, শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন অবস্থায়। প্রস্রাবে জ্বালা, অল্প অল্প প্রস্রাব হওয়া, বারে বারে বাথরুমে যাওয়া, সেই সঙ্গে ঘুসঘুসে  জ্বর, ক্ষুধামান্দ, গা-বমি ভাব ইত্যাদি। নিজের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি-বায়োকেমিকে যখন কোন ফল মিলছে না, গুরুদেব বাধ্য হলেন অ্যালোপাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে। পারিবারিক চিকিৎসক ডাঃ রাম অধিকারী প্রথমে দেখেন গুরুদেবকে। তাঁর […]


  • দয়াময়ীর কথা

    হঠাৎ একদিন সন্ধ্যার পর উনি বাড়ি ফিরে আমাকে ডেকে বললেন – তোমাকে একটা কথা বলছি, দেখো, আমি সিনিক মেয়েদের ভালোবাসতে পারি না। … তবে আমি বিবাহ করেছি, তোমাকে আমি টাকা দেব  তুমি বাপের বাড়িতে থেকো। – আমিও চলে যাব। সাতপাকে বাঁধা পড়ার সাতদিনের মাথায়একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের স্বামী, রূপসী ও বিদুষী সহধর্মিনীকে দুমদাম অবলীলাক্রমে কথাগুলি বলে […]


  • ইস্কুলের ক্ষুদিরাম বা ক্ষুদিরামের ইস্কুল

    বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে একদা অভিন্নপল্লীনিবাসী ও অধুনা মুম্বাইপ্রবাসী ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু শ্যামল লাহার সঙ্গে বার্তালাপ চলছিল চ্যাটবক্সে…দুজন প্রৌঢ় মানুষের মধ্যে যেমন হয় আর কি…..আমাদের অক্ষর শহর শ্রীরামপুরের নানারকম পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ ! হঠাৎ দেখি শ্যামল মেসেঞ্জারে লিখেছে…..’আশিসদা আপনার কি ক্ষুদিরামকে মনে আছে ? সেই যে ক্ষুদিরাম….আমাদের স্কুলের টিফিনের সময়ে আমরা যার তৈরী ঘুগনি আর আলুরদম লাইন দিয়ে খেতাম […]


  • জীবন সড়কের মোড়

    নদীর ধার দিয়ে  নিত্য আমার আনাগোনা । গ্রীষ্মে দেখি শুকনো বালির বৈশাখী কালো রূপে আলো ঘেরা অভয় বাণী । বর্ষায় পরিপূর্ণ গর্ভবতী নারীরূপ । এই রূপে জলবতী নদীতে অতি বড় সাঁতারু ভুলে যায় কৌশল । আমি তখন নদীর বুকে দুধসাদা ফেনা হয়ে ভাসতে ভাসতে চলি বাক্যহারা হয়ে । এবার শরতে কাশ ফুলের কারসাজি। তার মাথা […]


  • দিব্যেন্দু পালিতের লেখালিখি

    গল্পের সময় ডেস্কঃ তিনি ছিলেন সাহিত্যিক, আবার কবিও। সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিহারের ভাগলপুরে যে দুর্গাচরণ স্কুলে পড়তেন সেখানেই ছোটবেলায় পড়াশুনো করেছেন তিনি। স্কুল বয়সেই লেখালিখির শুরু হাতে লেখা ম্যাগাজিনে। সেই সময়েই ভাগলপুরের বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ আয়োজিত একটি গল্প প্রতিযোগিতায় গল্প লিখে প্রথম পুরস্কার জিতে নেন বিচারক বনফুলের (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়) কাছ থেকে। সেই সাহিত্যপ্রতিভাকে চিনতে ভুল […]


  • নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে নিয়ে একটি গদ্য

    একদিন নীরেনদার সঙ্গে কী নিয়ে যেন কথা বলছি, হঠাৎ দেখি সংযুক্তা বিড়বিড় করতে করতে এসে নীরেনদার সামনে এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে, আচমকা কী মনে পড়তে ও যে দিক দিয়ে এসেছিল সে দিকেই হাঁটা দিল। ওকে যেতে দেখে নীরেনদা বললেন, কী হল, চলে যাচ্ছ যে! সংযুক্তা আমাদের বন্ধু। ওর বাবা একটানা আঠেরো বছর রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। ওর […]


  • অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার খোঁজে

    গল্পের সময় ডেস্কঃ নিজের ভেতর কোনও দুঃখ না থাকলে কোনও লেখক পরিপূর্ণ লেখক হয়ে উঠতে পারেন না – এমনটাই বিশ্বাস করতেন সাহিত্যিক অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়।একটি বিখ্যাত সংবাদপত্রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি একবার বলেছিলেন – দুঃখ আছে বলেই তো লিখি। সত্যিই সারাটা জীবন অনেক রকমের দুঃখের সঙ্গে লড়াই করে কাটিয়ে গেছেন মানুষটা। দেশভাগ হতেই ছিন্নমূল মানুষ হয়ে […]


  • চলচ্চিত্রে সমকালীনতা

    চলচ্চিত্রে সমকালীনতা বা Contemporaneity নির্ধারিত হবে কি ভাবে? টাটকা কোনো অর্থনৈতিক বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে ছবি তুললেই কি তাকে সমকালীন বলা হবে? না, ব্যবহার্য উপাদানের প্রতি চিত্রনির্মাতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই সমকালীনতা নির্ণীত হবে ? চলচ্চিত্রানুরাগীদের অনেকেই এই প্রশ্নের মীমাংসা করে ফেলেন অতি সহজেই – ট্রাম বাস হাল মডেলের মোটর গাড়ি ও মাথার উপর বিদ্যুৎ চালিত পাখা […]


  • পিতৃতর্পন

                  রোববারের আলসে সকাল ! হালকা শীতের মিঠে রোদটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ! বাঙ্গালীর রোববারের আড্ডা শুরু করার জন্য একেবারে সঠিক সময় ! মুখুজ্যেদের রোয়াকে বসে সবে ল্যেস-এর প্যাকেটটা খুলেছি, আমেরিকান সল্টেড চিপসটা  খেতে শুরু করবো, এমন সময় পাশের গলি থেকে একটা  লোক বেরিয়ে এলো !  দেখলে বছর পঁয়ত্রিশ ছত্রিশ মনে হয়, রগের পাশে […]


  • চেনা লেখক অচেনা কাহিনী

    লেখক শিক্ষক  বাংলা সাহিত্যে খুব বেশি  নেই বললেই চলে । লেখকদের  শিক্ষকের কথা বলছি না, বলছি এমন শিক্ষক মশাইদের কথা যাঁরা লিখতে  এসেছেন আর জগতজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন এমন সংখ্যা কম হওয়ার মূল কারণ শিক্ষক  সত্তার সঙ্গে লেখক সত্তার সহজাত  বিরোধ। এটি  যদিও  বহু  চর্চিত একটি  বিষয়  তবুও বর্তমান  প্রবন্ধের  আলোচিত  সাহিত্যিকের জীবন শিক্ষক সত্তায় বাঁধা  […]


  • আসল টেনিদার গল্প

    ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস… ইয়াক ইয়াক । প্যালা, হাবুল, ক্যাবলা আর গড়ের মাঠে গোরা ঠ্যাঙ্গানো পটলডাঙ্গার অবিসংবাদিত লিডার ভজহরি মুখুজ্জে ওরফে টেনিদাকে কে না চেনে । এক চড়ে তিনি প্যালার নাক নাসিকে অথবা ক্যাবলার কান কানপুরে পাঠাতে পারেন । ডুয়ার্স হোক বা ঝন্টিপাহাড়ী, চন্দ্রকান্ত নাকেশ্বর বা স্বামী ঘুটঘুটানন্দ, চারমূর্তির বীরত্বের সামনে সকলের অবস্থাই যাকে বলে […]


  • সাবিত্রী রায়ঃ রচনায় ও জীবনচর্যায়

    সাবিত্রী রায়ের সাহিত্য-তপস্যা তাঁর নির্জনতার প্রসুন আর অপরদিকে তা সুপরিণত ফলও। পথ চলতি ঘাসের ফুল তাকে বলা চলবে না। একদিকে এ-নীরব অনুভূতি ফুলের মত  ফুটে উঠেছে অন্তরের সূর্যালোকে আর অপরদিকে সেই সূর্যালোকে প্রাণদীপিত হয়েছে বহু মানুষের, বহু বনস্পতির, বহু তৃণের, বহু অরণ্যের। এত সব চরিত্র-চিত্রণ তাঁর পক্ষেই সম্ভব যিনি নিজেকে এতজনের মধ্যে দেখতে পান আবার […]


  • চেনা লেখক অচেনা কাহিনী

    সাহিত্যজীবন ব্যাপারটা নিয়ে নানা সময়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সাহিত্য জীবন কি সাহিত্যিকের ব্যাক্তিজীবন ? না সাহিত্যিকের ব্যাক্তিজীবন তাঁর সাহিত্যিকে কতটা প্রভাবিত করেছে তার বিচার। অনেকেই এ প্রশ্নের মীমাংসা করতে পারেননি। সাধুসঙ্গের আশায় যেমন পূর্ণ্যার্থী ঘোরেন, প্রকৃত পাঠকও তেমনই সাহিত্যিককে খুঁজে খুঁজে ফেরেন, নানা চাকায় ফেলে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে বিশ্লেষণ করেন। কতটা তাঁর পড়া পাঠের ওপর […]


  • ওল্ড ইজ নট গোল্ড

    আরে ছ্যা ছ্যা ছ্যা। আজকালকার এগুলি কি গান! কোথায় গেল সেই বাংলা গানের স্বর্ণযুগ! হেমন্ত, মান্না, সতীনাথ, ধনঞ্জয়……। কতনাম করব! সেই স্বর্ণযুগের গান শুনে যারা বড় হয়েছেন তাঁদের কাছে আজকের এই জীবনমুখী গান বা ব্যান্ডের বীভৎস চিৎকার বিভীষিকা বই কি! বর্তমান লেখকও সেই দলে। শুধু গান কেন? ট্রেনে বাসে, পাড়ার রকে, পারিবারিক আড্ডায়, মফঃস্বলের রেল […]


  • রমাপদ চৌধুরীকে আমি যেমন দেখেছি

    [আমাদের আলাদা রেখে সদ্য বাড়িটা বদলে ফেললেন সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী। লেখালিখির বিষয়ে একটা নিজস্ব দর্শন মেনে চলতেন তিনি। সেখানে কারও অনধিকার প্রবেশের জো ছিল না। তাই যখনই মনে করেছেন অবসর নিয়ে নিয়েছেন লেখালিখির জগত থেকে। বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্রসম এই মানুষটিকে তাঁর সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে এবং পরে ব্যক্তিগতস্তরের সখ্যতায় নানাভাবে দেখেছেন কবি ও লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ। […]


  • আফসার আমেদ : এক অনন্য কথাকার

    [ নিজেকে জাহির করার প্রচারসর্বস্ব এই লেখক দুনিয়ায় আশ্চর্য রকমের ব্যাতিক্রমী ছিলেন তিনি। তাঁর প্রাপ্য মর্যাদার সামান্যতম না পেয়েও কোনও অভিযোগ ছিল না তাঁর। তিনি  আফসার আমেদ। কিছুদিন আগেই কারো কাছে কোনও দাবি-দাওয়া পেশ না করেই তিনি হয়ে গেলেন ‘সেই নিখোঁজ মানুষটা’। মাটির কাছাকাছি থেকে মানুষের কথাকার হয়ে ওঠা আফসার আমেদের লেখালিখি নিয়েই কলম ধরলেন […]


  • দোস্তি

           [  এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না – এই স্পষ্ট উচ্চারণ তাঁর। তিনি বরাবরই ছিলেন সহজে কঠিন কথা বলার মানুষ। তিনি নবারুণ ভট্টাচার্য। আমাদের ফ্যাতাড়ু। শুদ্ধ সাহিত্য-সংস্কৃতির নামে ধামাধরা আতুপুতুদের তোয়াক্কা না করা পুরন্দর ভাট। জুলাই মাস ছিল এই ব্যাতিক্রমী সাহিত্যিকের মৃত্যু মাস। দীর্ঘ সময়ের ঘনিষ্টতা থেকে দেখা নবারুণের একটি কোলাজ চিত্র […]


  • বিভূতি স্যারের নোটস

    [প্রকৃতি তাঁকে অন্যরকম ভাবে টানত। তাঁর অনেক গল্প, অনেক উপন্যাসে নানা মায়াময়ী রূপে উপস্থিত হয়েছে প্রকৃতির পাঁচালি। অনেকে তাঁকে ‘প্রকৃতি -পাগল সাহিত্যিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।  সেপ্টেম্বর মাস তাঁর জন্মমাস। বিভূতিভূষণের স্মৃতিবিজড়িত ঘাটশিলায় গিয়ে প্রিয় লেখকের প্রকৃতি পাঠকেই স্মরণ করলেন তরুণ লেখক পূষন।] [এক] ‘ বিকেলের এই শেষ-না-হওয়া কবরখানায় আমরা দু’জন কেমন জীবন […]


  • অভিমানী বিদ্যাসাগর

    [এই সেপ্টেম্বর মাসেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন উনবিংশ শতকের  বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্যদিকে বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরণ করা হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে।প্রকৃতপক্ষে  বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক।কিন্তু একজন বিধবার বিবাহ দেওয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে […]


  • অন্তর্জলি যাত্রা-প্রাণের স্পর্শ পাই প্রবাহের পথে

    সমাজ রাজনীতির জীব আমরা। আমাদের সামাজিক সংস্কারে যা উত্তরাধিকার হিসেবে আসে, তাই আবার উত্তরপুরুষ লাভ করে। সেকারণেই বলতে পারি ‘History repeats itself ’ অন্তর্জলি যাত্রার কাহিনী বহতা জীবনের মধ্যে প্রোথিত সংস্কার সংস্কৃতি নির্ভর। প্রতীকী মানে নিয়ে উপস্থিত গঙ্গা সুরধুনী। রামপ্রসাদ থেকে রামকৃষ্ণে আমাদের বঙ্গজীবনধর্ম পুনঃপ্রকাশিত ও পুনঃপ্রসারিত হয়। গল্পের মধ্যে রয়েছে দুঃখ ব্যথার পুনঃসৃজন অথবা […]


  • বাঘ বাহাদুর

    [একটা রাস্তার কুকুর,কিছুই ক্ষতি করেনি আমার। তবুও তার তলপেটে ইঁট ছুঁড়ে,তার অসহায় কুঁই কুঁই ডাক শুনে আমার আনন্দ। যেন এটা আমার অধিকার। কয়েকমাস আগে কোথা থেকে যেন লালগড়ের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল একটা বাঘ। ব্যাস আর যায় কোথায়? আক্রমণ করতে পারে এই অজুহাতেই বাঘের বিচরণভূমিতে ঢুকে তাঁকে মেরে ফেলল একদল মানুষ। ‘মানুষখেকো’ নয় জেনেও এ কেমন […]


  • পাতালগড়ে রাত-বিরেতে

    ১ পাতালগড় মনে নেই! কি সব্বনেসে কথা!! হরিহরপুরের ছ্যাঁচড়াবাবু কথাটা বলেই লোমহীন ভ্রূ জোড়া কপালে তুললেন। হাসার কোন কারণ নেই, ছোট থেকেই মায়ের হাতের ছ্যাঁচড়া খেতে এতটাই ভালবাসতেন যে একবার গোটা থালাটাই চেঁটে হাফিস করে দিচ্ছেলেন; যাইহোক, এ হেন ছ্যাঁচড়াবাবু বলেই ফেললেন সেই রাতের কথা। ও হো, একটা কথা ছ্যাঁচড়া বাবুকে আমরা ছ্যাঁচড়া বলেই জানবো। […]


যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2023 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ