ব্লগ
‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।’
এহেন অনুভবের সঙ্গে একমত নন এমন গল্পকার সম্ভবত নেই। কাহিনী বা কিস্সার খোঁজে কোথায় না কোথায় যেতে হয় গল্পকারকে। দেশভাগ হোক বা মুক্তিযুদ্ধ, দাঙ্গা হোক বা নদী ভাঙন – গল্পের পটভূমি হতে পারে সবই। সময়ের সঙ্গেই গল্প লেখার প্রয়োজনে নিষিদ্ধপল্লী থেকে নির্জন সমুদ্র সৈকত, গ্যাঁটের পয়সা খরচা করে ছোটাছুটি করেছেন এমন গল্পকারের সংখ্যাও কম নয়। জীবনের প্রতিটি দিন, ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড রচিত হচ্ছে মানুষের গল্প, কালের কোলে লেপটে থাকছে মানুষের কথা। কোনও একদিন, হয়ত বা শতবর্ষ পরে চিত্রনাট্য রচনা করে কোনও এক চলচ্চিত্রকার ব্যস্ত হবেন সেই জনপদের অখ্যাত বা বিখ্যাত মানুষদের খুজঁতে। হয়ত বা উপন্যাস রচনায় হাত দেবেন কোনও ঔপন্যাসিক। হয়ত বা কিস্সা নির্মাণের সেই হুঁকোর জ্বলন্ত আগুনটা একটু উসকে দেবে এই বিভাগের ঘটনাগুলোই।
-
অংশহর
প্রথম পর্ব ওয়েস্ট এন্ড পার্কের যে ৫০ বছরের বাড়িটা থেকে আমরা মাস তিনেক আগে উঠে আসি, সেটা ১৯৬৭ সালের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতিতে আমার দাদু শ্রী সুবোধ চন্দ্র চক্রবর্তী তৈরি করেছিলেন। আসাম থেকে একপ্রকার পালিয়ে এসে। বংগাল খেদা ‘আন্দোলন’-এর শিকার হয়ে। আমি তারও ১৭ বছর পর ওখানে জন্মাই। সে অর্থে ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আমার মাদার পাড়া। ‘বাম’ […]