Tag Archives: অনিন্দ্য সৌরভ
-
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের মুখোমুখি
[বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ব্যতিক্রমী কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারটি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত। বিখ্যাত অনুবাদক ও সম্পাদক অনিন্দ্য সৌরভের অনুমতিক্রমেই এই মূল্যবান আলাপটি ‘গল্পের সময়’ এর পাঠকদের জন্য ফের প্রকাশ করা হল।] অনিন্দ্য: সাহিত্য সৃষ্টিতে কীভাবে এলেন? বাড়িতে কি লেখালেখির অনুকূল পরিবেশ ছিল? সিরাজ: জ্ঞান হবার পর থেকেই বাড়িতে প্রচুর বই-পত্র দেখেছি। এরই মধ্যে বেড়ে […]
-
মুক্তি
[প্রখ্যাত লেখক শৈলেশ মটিয়ানির জন্ম ১৪ই অক্টোবর, ১৯৩১, আলমোড়া জেলার বাড়েছিনা গ্রামে। উত্তরাখণ্ডের গ্রামীণ-পাহাড়ি জনজীবনের বিশিষ্ট কথাশিল্পী। কিছু সরকারি পুরস্কার ছাড়াও কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সাম্মানিক ডি. লিট. (১৯৯৪ সাল)। মৃত্যু: ২৪শে এপ্রিল, ২০০১, দিল্লি। উত্তরাখণ্ড সরকার তাঁর স্মৃতিতে প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের ‘শৈলেশ মটিয়ানি পুরস্কার’ দেয়।] কেবল পান্ডে সবে নদীটা অর্ধেক পেরিয়েছেন। চতুর্মাসের […]
-
পিন্টির সাবান
( গল্পকার সঞ্জয় খাতির জন্ম ৮ এপ্রিল ১৯৬২ আলমোড়া, উত্তরাখণ্ড। দিল্লির হিন্দি দৈনিক ‘নব ভারত টাইমস’-এর সম্পাদক।তাঁর প্রকাশিত গল্পের বই দুটি ‘পিন্টি কা সাবুন’, ‘বাহর কুছ নহি থা’। অনূদিত গল্পটি ১৯৯০ সালে প্রকাশ মাত্র সাড়া পড়ে যায় পাঠকদের মধ্যে।গল্পটি হিন্দি থেকে অনুবাদ করেছেন বিখ্যাত অনুবাদক অনিন্দ্য সৌরভ।) এমন ঘটনা আমাদের গ্রামে প্রথম ঘটেছিল। গ্রামের কেউ […]
-
বেলপাতা
[ গীতাঞ্জলি শ্রী হিন্দি ভাষার লেখক। তাঁর হাত ধরেই প্রথম আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার এসেছে ভারতীয় সাহিত্যে। গীতাঞ্জলির হিন্দি উপন্যাস রেত সমাধি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ডেইজ়ি রকওয়েল। ইংরেজি অনুবাদে সে উপন্যাসের নাম ‘ টুম্ব অব স্যান্ড’।গীতাঞ্জলি এবং ডেইজ়ি, দু’জনেই পুরস্কৃত হয়েছেন । ১৯৫৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরে জন্ম গীতাঞ্জলির। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম ছোটগল্পের বই […]
-
দিল্লিতে একটি মৃত্যু
চারপাশে কুয়াশা। এখন সকাল ন’টা তবু সমস্ত দিল্লি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত । রাস্তাঘাট, গাছপালা সব ভেজা। কিছুই ঠিকমতো চোখে পড়ে না । নানা ধরনের শব্দই এখন জীবনের স্পন্দনের প্রমাণ দিচ্ছে। বিল্ডিং এর চারপাশ থেকে প্রতিদিনের মতো আওয়াজ আসছে । বাসওয়ানির চাকরটা রোজকার মত স্টোভ ধরিয়েছে – দেওয়ালের ওপাশ থেকে তারই সাড়া শব্দ পাচ্ছি । পাশের […]
-
আলেকজান্দার আর একটি কাক
সামান্য মানুষের মতো জ্বরে কাবু হয়ে পড়লে সম্রাট আলেকজান্দারের মহত্ব রইল কোথায়? প্রশ্নটা নিয়ে বেশি চিন্তাভাবনার সাহস না হওয়ায় শুয়ে শুয়েই তিনি অষ্টধাতুর ঘন্টা বাজান । মুহূর্তের মধ্যে এক গ্রিক সৈন্য এসে হাজির। বর্ম আর শিরস্ত্রাণে আচ্ছাদিত সৈন্যেটির ডান হাতে তরোয়াল, বাঁ হাতে বল্লম। তিনবার কুর্নিশ করে সে আদেশের অপেক্ষায় থাকে। রুগ্ন আলেকজান্দার চোখ খুলে […]
-
দিব্যেন্দু পালিতের মুখোমুখি
[ সাক্ষাৎকারটি উত্তরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত ‘চিত্রকল্প’ পত্রিকায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত।সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর।লেখক,অনুবাদক অনিন্দ্য সৌরভের সৌজন্যে তা ‘গল্পের সময়’-এর পাঠকদের জন্য তা ফের প্রকাশিত হল।] অনিন্দ্য : লেখার সময় আপনার উপন্যাস কি অতর্কিতে বাঁক নেয়, নাকি সমস্তটাই আগে থেকে ছকে নেন ? দিব্যেন্দু : যে কোন লেখাই স্থিরীকৃত পথে না- চলার সম্ভাবনাই […]
-
সুইমিং পুল
কর্পোরেশন দপ্তরে এ নিয়ে যত চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার ফাইল এত মোটা হয়ে গেছে যে সেটা তুলতে পারা একজন মানুষের কম্ম নয়। ভি.আই.পি.কে বাড়িতে ডাকার আগেই মনে ভয় ছিল, মিসেস ওঁর সামনে নালার সমস্যা তুলে ধরতে পারে। কারণ আমি ওর মানসিক অবস্থা জানি। সেই জন্যই বুঝিয়েছিলাম, “দেখ, নালা-টালা তুচ্ছ জিনিস। ওটা ভি.আই.পির বাঁহাতের ও না,চোখের […]
-
আধুনিক ওডিসি
লিও তলস্তয় মহৎ শিল্পের স্বরূপ আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তা জ্ঞানী আর সাধারণ মানুষ সবাইকে সমানভাবে পরিতৃপ্ত করতে পারে। তবে তিনি বলেননি, মহৎশিল্পের আরেকটি লক্ষণ এই যে, তার বল্গাহীন অভিযান দেশ আর কালের বেড়াজাল ডিঙিয়ে যায় অনায়াসে। গ্রিকমহাকাব্য ‘ওডিসি’ তেমন মহৎশিল্পের অন্যতম দৃষ্টান্ত। রোমান কবি ভার্জিলের মহাকাব্য ‘ঈনিড’ অন্তরে ওডিসির সুগভীর প্রভাব গ্রহণ করে সম্পদশালী হয়ে […]
-
নৈশ-ভ্রমণ
(কৃষ্ণ বলদেব বৈদ – জন্ম ২৭ জুলাই’১৯২৭, ভিগা পাঞ্জাব। কয়েক বছর অধ্যাপনা করার পর ১৯৬৬ সালে উচ্চশিক্ষার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট। ১৯৮৫তে নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পদ থেকে অবসর নিয়ে ভোপালে ভারত ভবনের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১০ সালে ফিরে যান মার্কিন দেশে। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক আর সাহিত্য সমালোচনা গদ্যসাহিত্যের নানা মাধ্যমে স্মরণীয় কাজের […]
-
দেবেশ রায়ের মুখোমুখি -২য় পর্ব
[দেবেশ রায়ের জন্ম ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর অধুনা বাংলাদেশের পাবনার বাগমারা গ্রামে। তাঁকে বাংলা কথাসাহিত্যের সেই বিস্ময়কর লেখকদের একজন বলে মনে করা হয় যিনি আখ্যানের ফর্ম বা আঙ্গিক নিয়ে আজীবন সচেতন ভাবে ভেবেছেন। উপন্যাস বা আখ্যানরীতি নিয়ে তিনি ছিলেন একজন গভীর অন্বেষণকারী । এখানেই তিনি স্বতন্ত্র, সমুজ্জ্বল। মাত্র কয়েক মাস আগে ২০২০র ১৪ মে দেবেশ রায়ের […]
-
দেবেশ রায়ের মুখোমুখি
[দেবেশ রায়ের জন্ম ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর অধুনা বাংলাদেশের পাবনার বাগমারা গ্রামে। তাঁকে বাংলা কথাসাহিত্যের সেই বিস্ময়কর লেখকদের একজন বলে মনে করা হয় যিনি আখ্যানের ফর্ম বা আঙ্গিক নিয়ে আজীবন সচেতন ভাবে ভেবেছেন। উপন্যাস বা আখ্যানরীতি নিয়ে তিনি ছিলেন একজন গভীর অন্বেষণকারী । এখানেই তিনি স্বতন্ত্র, সমুজ্জ্বল। মাত্র কয়েক মাস আগে ২০২০র ১৪ মে দেবেশ রায়ের […]