Tag Archives: বিষ্ণু বিশ্বাস


  1. ঘুরে দাঁড়ানো

    কাগজে খবরটি পড়েই অন্তরাত্মা হায় হায় করে উঠেছিল। পরক্ষণেই ক্রোধ। প্রচণ্ড ক্রোধ। ক্রোধ প্রশমিত হওয়ার পর দাদাসুলভ সহানুভূতি। ভুল করলি ভাইটি। বড় ভুল। খুব ভালো রেজাল্ট করে খানাকুল না চাঁপাডাঙার ওদিক থেকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়তে এলি কলকাতায়। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সে। জানি তো আমাদের ইংরিজিতে ভুল হয়। গ্রামারে নয়। প্রোনানসিয়েশনে। আমরা গার্ডিয়ানকে বলি গার্জেন, কোয়েশ্চেনকে […]

  2. আগে বললেই হতো

    ধিনিকিস্টকে পাড়ার সবাই খুব সমীহ করে চলে । সমীহ মানে ভয়মিশ্রিত সমীহ বললেই বোধহয় ঠিকঠাক হয় । তার অনেক কারণও আছে । একটা টাইট গেঞ্জি আর বারমুডা পরা লোকটা যখন পাড়ার মধ্য দিয়ে দুলকি চালে ডিগডিক আওয়াজ তুলে বুলেট চালিয়ে যায় তখন পাঁচটা লোক দূর থেকে হাঁ করে দেখে । হ্যাঁ , দেখার মতোই বটে […]

  3. ব্যাঘ্র ও পালিত কুকুর

    অনেক শতাব্দী পূর্বকার কথা। তখন বৌদ্ধযুগ। বঙ্গ দেশে মহারাজ সিংহবিক্রম দর্পদলন রাজত্ব করিতেছেন। তিনি যে কেবলমাত্র প্রজাদরদী সুশাসকই ছিলেন এমত নহে। শিল্প এবং সাহিত্যের অকুণ্ঠ পৃষ্ঠপোষণও করিতেন। প্রাচীন ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পরবর্তীতে তাঁহার রাজত্বকালকেই সুবর্ণযুগ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়া থাকে। কবি, চিত্রকর, গায়কদের জন্য মহারাজ কালিদাস সদন, ভরত ভবন ও নারদ মহল নামে তিনটি […]

  4. যে বছর শীত কম পড়ায় আমরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম

    পৌষ ও মাঘ এই দুইমাস শীতকাল।  শীতকাল উৎসবের ঋতু। আমাদের শহর জুড়িয়া মেলা বসিয়া যায়। চর্মশিল্প মেলা, হস্তশিল্প মেলা, সুখাদ্য মেলা, পুস্তক মেলা প্রভৃতির সমারোহে সকলে মাতিয়া ওঠে। ময়দানে সার্কাস আসে। শিশুরা সার্কাস দেখিতে বড় ভালোবাসে। শীত পিকনিকের ঋতুও বটে। বাস ট্রাক ম্যাটাডোর লইয়া পিকনিক পার্টির লোকেরা হৈ হৈ করিয়া দূরদূরান্তে রওনা দেয়। তাহাদের কলধ্বনি […]

  5. গুরুদেব দয়া করো দীনজনে

    কতজন কতভাবেই যে রবি ঠাকুরকে নিয়ে ভেবেছেন, বলেছেন, লিখেছেন তার সবকিছু লেখাজোকা নেই। এত বছর পরেও থামার তো লক্ষণ নেই-ই, বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। ভেবে চলেছেন, বলে চলেছেন এবং লিখে চলেছেন। হবেনা-ই বা কেন ! প্রাজ্ঞ জনেরা বলেন, এত বড় বিস্ময় আমাদের জাতীয় জীবনে আসেনি। যাঁরা বেশি প্রাজ্ঞ তাঁদের মতে আর আসবেওনা। আমি প্রাজ্ঞ নই, […]

  6. হোমওয়ার্ক

      সমাজের নানাবিধ দুরাচার, অনাচার, ব্যভিচার রুখবার জন্য ইদানিং আমাদের অনেককেই ভয়ংকর মরিয়া হয়ে উঠতে দেখছি। ভরদুপুরে মনের হরষে মোমের বাতি জ্বালানোর শুভ সংস্কৃতি কিছুদিন আগেও তেমন চোখে পড়েনি। চারপাশের এত অধঃপতন আর অবক্ষয়ের মধ্যে এটা নিঃসন্দেহে এক অতীব ইতিবাচক লক্ষণ বলা যেতে পারে। কাগজে দেখছিলাম ঝাড়গ্রাম না মাড়গ্রাম কোথায় যেন পুলিশ গ্রামবাসীদের ডেকেডুকে এনে […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ