Tag Archives: মৃদুল দাশগুপ্ত
-
কামড়ুম জংশন*
[একটি গল্প, বা যে কোনও লেখাই, একবার পঠিত হওয়ার পর পাঠককে পুনর্পাঠের অনুরোধ করা যায় না। সেটা অন্যায়। একই নামে, ‘কামড়ুম জংশন’ গল্পটি সদ্যই যা এবছরের শারদ ‘নতুন গল্পপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর আমি আরেকটি গল্প হিসেবে একই নামে এই গল্পটি লিখেছি। কবে ভিন্নতা বোঝাতে এই গল্পটির নামের পাশে একটি (*) তারকা চিহ্ন দিয়েছি। যাঁরা […]
-
উজিতপুরের মাঠ পেরিয়ে
‘খবর্দার! তুমি ওদিকে যাবে না। এই না বলছি তো না। যাবে না, যাবে না, যাবে না।’ – শ্যামলী চোখ পাকিয়ে আমাকে বলল। বউয়ের বারণ। আমি পাজামার ওপর বিনা গেঞ্জিতে হাফ পাঞ্জাবি গলিয়ে সবে দরজা খুলে বেরিয়েছি, জানালা দিয়ে ওই বাঘিনীর গর্জন। আমি উজিতপুরের মাঠের দিকের রাস্তা না ধরে রেল স্টেশনের গ্যাঞ্জামের দিকের সড়কটি ধরলাম। পাখি […]
-
একটি রূপকথা
(মৃদুল দাশগুপ্তের এই পাঠ-প্রতিক্রিয়াটি ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮, শিশির মঞ্চে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৭৯-তম জন্মদিনে পঠিত হয়েছিল) আজ এই সন্ধ্যায় কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ঊনবিংশতম জন্মদিনে, কবির স্মরণসভায়, তাঁর কবিতা সম্পর্কে আমাকেও কিছু বলার প্রশ্রয় দিয়েছেন স্মরণ কমিটির উদ্যোক্তারা, এজন্য আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলা কবিতার গতিপ্রকৃতি, কবিতার গভীর নানা তত্ত্ব, তার রূপ, কলা, বিভাব নানান ব্যাখ্যান […]
-
মানসের বোন
হাঁটছিলাম। খান্না থেকে শ্যামবাজদার পাঁচমাথা কতোটুকুই আর পথ, সেখান থেকে বাসে উঠবো। পাঁচ মাথার মোড়ে গিয়ে রাস্তা পার হয়ে ওপারে বাস ধরবো, সিগন্যাল লাল হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, দেখি স্টার্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ট্যাক্সির দরজা খুলে একটা ছেলে উঠতে উঠতে ব্যস্তসমস্ত হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছে সিগন্যাল খোলা পেয়ে যেতে না পেরে পিছনের গাড়িগুলো হর্ন দিচ্ছে […]
-
পার্টি বলেছিল
বুর্জোয়া শিক্ষা ব্যবস্থায় যে যত পড়ে, সে তত মূর্খ হয় – কলেজ স্ট্রিটের দেওয়াল থেকে উড়ে এসে যখন আমাদের বালুরঘাট কলেজেরও দেওয়ালে ফুটে উঠল, তখন যে ঝাঁকটি বেরিয়ে পড়ল গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরতে, আমি ছিলাম তাদেরই একজন। আমি অবশ্য তখন ছাত্র নই। বুর্জোয়া কেমিস্ট্রি অনার্সের বুর্জোয়া সাম্মানিক স্নাতক। মা – বাবা গত, দাদার […]
-
একটি তেজস্ক্রিয় কাব্যগ্রন্থ
কবি দেবজীবন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার যে খুব একটা আলাপ ছিল, তা নয়। কিন্তু সে ছিল, সেই ধরনের মানুষ, যারা জোটের ভেতর, জমায়েত হট্টমেলার মধ্যে বসে, একটিও কথা না-বলে, হাসি হাসি মুখে, শান্ত ব্যাক্তিত্বে হয়ে ওঠে লক্ষণীয়। হয়তো সে আমাদের সকলকেই বন্ধু বলে মনে করত, আমরা, অন্তত আমি তাকে স্রেফ পরিচিত মনে করতাম। তুমুল আড্ডার মধ্যে […]