সকাল থেকে ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে । কয়েকদিনের গুমোট গরমের মধ্যে এই বৃষ্টিটুকু যেন খোদার আশির্বাদ । সারাদিন ঘরের মধ্যে বসে থেকে হামজা মোল্লার মন উসখুস শুরু হয়েছে । হামজা মোল্লা গ্রামের একমাত্র নামকরা কবিরাজ । সংসার খুবই ছোট । কিন্তু মনে সুখ নেই , সংসারে নেই শান্তি । হামজা সহজে হাল ছাড়ার লোক না । তবুও মাঝে মাঝে মনের মধ্যে হতাশার মেঘ গুড়গুড় করে ওঠে । আজ যেমন সকাল থেকে মনের মধ্যে বড় অশান্তি । সারাদিন অস্থির অস্থির লেগেছে । সকাল থেকে মনে হচ্ছে বৃষ্টিটা একটু ধরলেই বাজারে যেতে হবে । কিন্তু সারাটা দিন ঝিরঝির বৃষ্টির একটুও বিরাম নেই ।
বলতে নেই , এই গন্ডগ্রামে কবিরাজি করে একসময় হামজা মোল্লা বেশ নামডাক করেছিলো। আশে পাশের দু-দশ গ্রামের মানুষ এক নামে তাকে চিনত । হামজা মোল্লার বয়স কত তার সঠিক হিসাব সে বলতে পারেনা । তবে বয়স কম হয়নি সেটা সহজেই বোঝা যায় । মুখের চামড়া ঝুলুঝুলু ভাব , চুল-দাড়িতে যেন খুব যত্ন করে সাদা রং করা । জীবনের পড়ন্ত বেলায় শুধুই সুখের দিনের কথা মনে পড়ে ।
কি দিন গেছে একসময় । মুখে ভাত নেই , পরনে কাপড় নেই , থাকার জায়গা নেই, তবুও মনে টইটুম্বুর সুখ । আহ্ – সেই দিনগুলোর কথা মনে হলেই বুকের ভিতর বড় উথাল-পাথাল করে ।
ঘরের ভিতর শুয়ে আছে হামজা । বুড়ো হাড়ে বৃষ্টি সহ্য হয় না । চোখে ঘুম নেই । বয়স বাড়লে ঘুম এমনিতেই কমে যায় । তার উপর মনের ভিতর অশান্তি । একটা দীর্ঘঃশ্বাস ছেড়ে হামজা কবিরাজ তার পঙ্গু ছেলেটার দিকে তাকায় । বুকের মধ্যে বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগে । সুখের দিনগুলোর কথা বারবার মনে পড়ে । কোন অপরাধে হামজা কবিরাজের জীবনে এই শাস্তি বলা কঠিন । ছেলেটি জন্ম থেকে পঙ্গু, কথা বলতে পারে না । মুখ দিয়ে এক ধরনের গোঙানির মত শব্দ বের হয় । সেই জন্ম থেকেই ছেলেটা কত চেষ্টা করলো একটু কথা বলবার , একটু হাঁটবার । কিন্তু বিধি বাম । আল্লার মার সামলানোর ক্ষমতা কি মানুষের আছে ? একটাই সন্তান অথচ এই অবস্থা ।
হামজা উঠে বারান্দার দাওয়ায় এসে বসে । মনটা কিছুতেই বশে আনা যাচ্ছে না । বড় অস্থিরতা । “ হুম -হুম ” একটা শব্দ করছে ছেলেটা । ওর যখন খুব রাগ হয় , ক্ষুধা পায় তখন এরকম শব্দ করে । এই লক্ষন গুলো হামজার বড় চেনা । হামজা ছেলেটা কে কাছে ডাকে , “ আয় বাপ, বুঝি তোর রাগ হচ্ছে । কিন্তু আমি কি করবো বল ? বৃষ্টি তো আমার হাতে না । আয়, আমার পাশে আয় । ” হামজা ছেলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় । ছেলেটা সারাদিন বাইরে যেতে পারেনি তাই বোধহয় এত বিরক্ত ।
ময়না বিবি , হামজার বউ , ছেলের হাত ধরে ঘরের ভিতর টেনে নিয়ে গেল । ময়নার দিকে তাকালেই সংসারের দৈন্যতা একপলকেই বোঝা যায় । হাড় – জিরজিরে শরীরে একখানা ছেড়া – ফাটা শাড়ি , শরীরের খসখসে চামড়া আর জট বাধা চুলের উপর যেন দৈন্যতা চেপে বসেছে । শরীর জিরজিরে হলে কি হবে , চোপার জোর যে কোন একজন স্বাস্থ্যবান মানুষের থেকে অনেক বেশী ।
হামজা বারান্দায় বসে শুনতে পায় ময়নার কর্কশ কন্ঠ ,“ চুপচাপ বয় ছোড়া । এক পা নড়বি না , বাদরামি করবি না , এক আছাড় দেব । ”
ঘরে চাল – ডাল না থাকলে ময়নার চোপার চোটে বাড়িতে টেকা যায় না । সব রাগ ওই অবলা ছেলেটার উপরে ঝাড়ে । হামজা মিনমিনে সুরে বলল , “ আহ্ কি কর । ওর সাথে চোটপাট না করলে হয় না ?
ময়না বিবি আরও রেগে গেল ,“ তুমি চুপ কর । খাওয়াবার মুরোদ নেই আবার দরদ ” ।
মূহূর্তের মধ্যে হামজার মাথায় রক্ত চড়ে যায় । ইচ্ছে হয় উঠে গিয়ে ময়নার মুখে কয়েক ঘা লাগাতে । কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই । বুড়ো শরীরে শক্তিও নেই । হামজা প্রাণপনে চেষ্টা করে মাথা ঠান্ডা রাখবার । শরীরে জোর না থাকলে মাথা গরম করতে হয় না । হামজা সতর্ক হয় । জানে হাজার চেষ্টা করলেও ময়নার সাথে চোপার জোরে ও পারবে না।
হামজা আরও মিনমিনে সুরে বলে “ ময়না দ্যাখ তো ঘরে ছাতাডা আছে কিনা । দেখি একবার বাজারের দিকে যাব । কিছু চাল ডাল এনে রাখি । ” হামজা কথা গুলো বলে আর আড় চোখে ময়নার দিকে তাকায় । চাল – ডালের কথাটা বলা ময়নাকে খুশী করবার জন্য । চাল – ডাল কিনবে কি দিয়ে ?
হামজার চাতুরি ময়নার কাছে ধরা পড়ে যায় । গলা আরও একটু চড়িয়ে ময়না বলে , “ থাক – আর ন্যাকামো করতে হবে না । ঘরে এক পয়সা নেই, চাল-–ডাল । বাজারে সবাই বসে আছে ওনারে চাল -ডাল দেওয়ার জন্যি । ”
হামজা আবার দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়ে , নাহ্ ময়নার সাথে চালাকি করে পার পাওয়ার উপায় নেই।
শরীরে জোর নেই সেই সাথে বুদ্ধির ধারও গেছে কমে । আর পারা যায় না । মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়ে ছুড়ে একদিকে হাঁটা দেয় । কিন্তু অবলা ছেলেটা সব গোল মাল করে দেয় । বুকের মধ্যে কোথায় যেন একটা টান লাগে । বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ে । অবলা বলেই বোধহয় ছেলেটার উপর এত মায়া হামজার ।
হামজা উঠে ঘরের মধ্যে যায় । ঘরের এক কোনায় ছাতাটা ঝুলানো আছে । কত বয়স হলো ছাতাটার মনে নেই । তবে ছেঁড়াফাটা জায়গাগুলো দেখলে বোঝা যায় অনেক আগের। নাহ্ ঐ ছাতা নিয়ে বাইরে যাওয়া যায় না । তার চেয়ে বরং ভিজতে ভিজতে বাজারে গিয়ে একটা পাক দিয়ে আসা যায় । যদি কোন ব্যবস্থা করা যায় । হামজা ছেলেটার দিকে তাকায় । নাহ্ বাজারে একবার যেতেই হবে । আহারে, অবলা ছেলেটা সারাদিন উপোস ।
হামজা জামা খুলে ফেলে । মাথায় একটা আধ ছেড়া গামছা দিয়ে বাজারের দিকে হাঁটা দেয়। এমনিতেই হাত পা সর্বক্ষণ কাঁপে । এখন বৃষ্টির পানিতে শরীরের ভেতরের সব হাড় পর্যন্ত কেঁপে উঠছে । তবুও থামলে হবে না । বাজার যেতেই হবে।
বাজারে পৌঁছে হামজা কবিরের দোকানের ভেতরে গিয়ে দাড়ায় । সমস্ত শরীর ভিজে চাপচুপ হয়ে গেছে । ছেড়া গামছাটা দিয়ে শরীরটা একবার মুছে নেয় হামজা । কাষ্টমারের ভিড় । সন্ধ্যার দিকে একটু ভিড় বেশী থাকে । তার উপর আজ বৃষ্টির দিন । সারাদিন মানুষ ঘরে ছিল । হামজা চুপচাপ দাড়িয়ে আছে । ভিড়টা একটু কমে যাক । একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই বাজারে আসা । কবির দোকানদার শেষ ভরসা, যদি একটু দয়া করে । দোকানের এক কোনায় দাড়িয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে কবিরাজ ।
হাতের ছোট প্যাকেটটা সামনে রেখে একটানা সেদিকে তাকিয়ে থাকে কবিরাজ । কত স্মৃতি যে মনে পড়ে । ওস্তাদের দেওয়া রুপোর হামানদিস্তিটা বোধহয় আর রাখা গেল না । মনে বড় পাপবোধ আসে । কিন্তু পাত্তা দেওয়া যাবে না । স্মৃতি দিয়ে পেট ভরে না । পেটের ক্ষিধের কাছে সব পাপ পুন্য ভেসে যায় । এই শালার পেটের কাছে কোন ফন্দি – ফিকির খাটে না ।
দোকানের ভিড় একটু কমলে হামজা সর্তক দৃষ্টিতে চারদিকে একবার দেখে নেয় । তারপর নীচু স্বরে বলে , “কি কবির মিয়া, ব্যবসা কিরকম চলে?” কবির টাকা গোনায় ব্যস্ত ছিল । একবার আড়চোখে হামজার দিকে তাকিয়ে বলল “ মুদীর দোকানে আর ব্যবসা । সারা জীবন দিন আনা দিন খাওয়া গেল না। আরও আজ বৃষ্টির দিন । ”
সময় বুঝে কথাটা পাড়তে হবে কবিরের কাছে । চারদিকে আবার একবার সতর্ক চোখে দেখে নেয় কবিরাজ । কবিরের আরও একটু কাছে এসে ফিসফিস করে বলে “ মিয়া বড় বিপদে পড়ে তোমার কাছে আসলাম । একটু সাহায্য করা লাগে যে মিয়া ” ।
কবির এবার পূর্নঃদৃষ্টিতে কবিরাজের দিকে তাকায় । যেন মুখ দেখে মনের ভিতরের ফন্দি পড়ে ফেলার চেষ্টা করছে । তারপর বলে , “ হ্যাঁ বল চাচা কি ব্যাপার ” ।
হামজা বোঝে এইই মোক্ষম সময় । আর দেরি করা যাবে না । যা হবার হবে । কাগজের প্যাকেটটা খুলে রুপার হামানদিস্তিটা বের করে কবিরের কাছে ধরিয়ে দিয়ে বলে ,“ মিয়া এইটা রেখে কিছু চাল- ডাল দিতে হয় যে । সারাদিন না খাওয়া । বাড়ী একদানা চাল- ডাল নেই । একদম খাটি রুপো । আমি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আবার ছাড়িয়ে নেব । ” এই পযর্ন্ত বলে হামজা ব্যাকুল হয়ে কবিরের দিকে তাকিয়ে থাকে । কবির দোকানদার কোন কথা না বলে হামানদিস্তা—টা চোখের সামনে নিয়ে ভালভাবে পরীক্ষা করে ।
তারপর বলে , “ রুপো তো ? ”
হামজা মনে বড় কষ্ট পায় । কি যে দিন পড়ল । তাকে অবিশ্বাস করে । একসময় এই হামানদিস্তায় ওষুধ বানিয়ে কত মানুষকে সুস্থ করেছে সে । আবার মনের মধ্যে এক পাপবোধ উঁকিঝুকি মারে । হামজা গলায় একটু অভিমান নিয়ে বলে ,“ আমারে অবিশ্বাস করলা মিয়া ? এই হামানদিস্তায় বানানো ওষুধ তুমিও খাইছো ছোট বেলায় । তোমার মার কাছে শুনবা ।”
কবির হামানদিস্তাটা ক্যাশবাক্সের মধ্যে রেখে বলে , “ বল তোমার কি কি লাগবে ।” হামজা দ্রুত মনে করবার চেষ্টা করে ঘরের জন্য কি কি লাগবে। মনের মধ্যে আবার সেই পাপবোধটা উকি মারে । ভিতর থেকে কে যেন ব্যাঙ্গ করে । হামজার মাথার ভিতর চক্কর দিয়ে ওঠে । জ্বর আসবে নাকি ? জ্বর আসার আগে এমন একটা ঘোর ঘোর লাগে । হামজা কাঁপা হাতে অনেক কষ্টে একটা বিড়ি ধরায় । বিড়িতে টান দিতেই গা গুলিয়ে ওঠে । বমি হবে নাকি ?
হামজা কবিরের তাড়া দিয়ে বলে ,“ দ্যাও মিয়া , তাড়াতাড়ি কর, শরীলডা ভালো না । ”
কবির দোকানদার একটা প্যাকেট সুন্দর করে সব গুছিয়ে ওর হাতে ধরিয়ে দেয় । তারপর বলে ,“ চাচা তোমার সুবিধা মতন হামানদিস্তাটা ছাড়ায়ে নিও ।আমি যত্ন করে গুছায়ে রাখব ,চিন্তার কিছু নেই । ”
কবিরাজের মনটা হঠাৎ ভালো লাগে । যাক ছেলেটার মন আছে । এখনকার সময় এইটুকুই বা কে করে । জিনিসপত্রের প্যাকেটটা নিয়ে হামজা আবার পথে নামে। তখনও টিপটিপ বৃষ্টি বন্ধ হয়নি । মাথায় ছেড়া – গামছাটা ভালোভাবে জড়িয়ে নেয়। এবার কোনরকমে বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারলেই হলো ।সমস্ত শরীর ঠকঠক করে কাপঁছে । বোধহয় জ্বর আসবে । আসুক । এখন আর চিন্তা নেই । জ্বর আসে আসুক । না খেয়ে তো থাকা লাগবে না । পথে হাঁটতে হাঁটতে মনের মধ্যে আবার সেই পাপবোধটা উঁকি মারে। বুকের মধ্যে কে যেন জোরে কামড়ে ধরে । হামজা টলমল পায়ে হাঁটতে থাকে।
মাথার মধ্যে উথাল – পাথাল । বাড়ি যেতে পারবো তো ? হামজা ভাবে । মনের মধ্যে থেকে পাপবোধটা কিছুতেই যাচ্ছে না । হামজা জড়ানো গলায় হাক দেয় ,“ যা যা দুর হ , দুর হ – । হাত নাড়িয়ে যেন সামনে থেকে কাউকে যেতে বলছে । একটা গাছের নীচে দাড়িয়ে কবিরাজ কোমরে গুজে রাখা প্যাকেট থেকে একটা বিড়ি বার করে । অনেক চেষ্টা করেও বিড়িটা ধরাতে পারে না । দমকা বাতাসে আগুন নিভে যাচ্ছে । বিরক্ত হয়ে থুথু ফেলে বলে ,“ যা , ভাগ- দুর হ ”। আবার বাড়ীর দিকে হাঁটা শুরু করে । পা জড়িয়ে যাচ্ছে। অন্ধকারে কিছুই ঠাওর করা যাচ্ছে না । পথ হারিয়ে ফেললাম নাকি ? হামজা একমূহূর্ত দাড়িয়ে চিন্তা করে নেয় । না , না , তা কি করে হয় । আসলে মাথার মধ্যে কেমন ঝিমঝিম করছে । দাড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে । আজ বোধহয় জ্বরের হাত থেকে বাঁচা যাবে না ।
হামজা আরও জোরে হাঁটতে চেষ্টা করে । কোন রকমে বাড়ি পৌঁছাতে পারলে হয় । আহা রে , অবলা বাচ্চাটা সারাদিন না খেয়ে আছে । চাল – ডালগুলো পেয়ে ময়না খুশী হবে । নাহ্ মাথার মধ্যে আবার সেই এক পাপবোধ উঁকি মারে । হামজা যখন বাড়ীর সামনে পৌঁছে যায় তখন তার অজান্তে মুখ দিয়ে বলে যাচ্ছে ,“ যা দুর হ , তুই দুর হ -। হামজার গলা শুনে ময়না বিবি বাইরে আসে । কিছুটা অবাক হয়ে বলে,“ কারে গালি দ্যান ?”
ময়নার গলা শুনে কবিরাজ যেন সম্বিত ফিরে পায় । এখন তার একটু ভালো লাগে । যাক তাহলে বাড়ি পর্যন্ত আসা গেল । হামজা প্যাকেটটা ময়নার হাতে দিয়ে বসে পড়ে । ময়না আর্তনাদের মত করে চিৎকার দিয়ে ওঠে , “ কি হইছে আপনার ? ও আল্লাহ , আপনার কি হইছে ? গায়ে দেখি বিরাট জ্বর”। হামজার শরীরে আর বসে থাকার মত শক্তি নেই ।
চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে আসে । মাথার মধ্যে একটানা যেন ঝিঁ ঝি পোকা ডেকে যাচ্ছে । মনে হচ্ছে যেন অনেক দুর থেকে তার বউ চিৎকার করে উঠল । শব্দটা যেন কত দুর থেকে আসছে । জ্বরের ঘোরে উল্টো-পাল্টা কথা বলে যাচ্ছে । তার সব কথা ময়না বুঝতে পারছে না । কবিরাজ অচেতন হয়ে পড়বার আগে জড়ানো গলায় বলল , “ বউ আমি একটা পাপ করছি । আমার ওস্তাদ আমারে ক্ষমা করবে না । পাপ , দুর হ , দুর হ।”
ময়না বিবির তখন কোন দিকে খেয়াল নেই । মনের মধ্যে একটা কু ডাক ডেকে যাচ্ছে । এই বুড়ো লোকটার যদি ভালো – মন্দ কিছু একটা হয়ে যায়?
“হায় আল্লা আমার কি হবে গো” ময়না বিবি গলা ছেড়ে কান্না জুড়ে দেয়। অবলা ছেলেটাকে নিয়ে তার যে দাঁড়াবার মত কোন জায়গা নেই পৃথিবীতে । ঠিক তখন বাড়ীর সামনের আম গাছটার ওপর একটা ভেজা কাক দুবার কা-কা ডাক ছাড়ে । ময়নার মনে আবার কু ডাক ডেকে যায় । ও কান্নাজড়ানো গলায় কাকটার দিকে ফিরে বলে ওঠে,“ যা, দুর হ-দুর হ ”
Tags: কবিরাজ, গল্প, দীপন জুবায়ের
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।