অন্যদের মতো সিনেমা, স্বভূমি বা গঙ্গার ধারে নয়, সপ্তর্ষি আর লাবণী সাধারণত দেখা করে কাছাকাছি কোনও রেলস্টেশনে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাড়ার তালিকায় চোখ বোলাতে বোলাতে যে স্টাশনের নামটা ভাল লাগে, মনে হয়, এখানে গাছ আছে, আকাশ আছে, ফুরফুরে হাওয়া আছে, সেখানকার টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে পড়ে।
আজও ওরা এসেছিল তেমনই একটি জায়গায়। ফেরার জন্য টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। তার পর কী মনে হল, সপ্তর্ষি বলল, চলো না, রেল লাইন ধরে কিছুটা হাঁটি। ওর কোনও কিছুতেই কোনও আপত্তি করে না লাবণী। বলল, চলো।
দুজনে হাত ধরাধরি করে রেল লাইনের পাটাতনে পা ফেলে ফেলে এগোতে লাগল। দুজনেই দেখল, দূরে একটা আলো। লাবণী বলল, ট্রেন আসছে। সপ্তর্ষি বলল, আসুক। আমরা যদি সত্যিই বাকি জীবনটা এই ভাবে একসঙ্গে থাকতে চাই, দেখবে, ক’বিঘত আগে হলেও ট্রেনটা ঠিক দাঁড়িয়ে যাবে। আসুক ট্রেন, ভয় পেয়ো না।
এ কী! কোথায় গেল! সপ্তর্ষি দেখল, তার পাশে লাবণী নেই। এদিকে নেই, ওদিকে নেই, সেদিকেও নেই। ট্রেনটা একেবারে সামনে। মাত্র ক’হাত দূরে। তবে এই লাইনে নয়, অন্য লাইনে।
Tags: অবিশ্বাস, গল্প, সিদ্ধার্থ সিংহ
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।