অপ্রয়োজনীয়
ও তখন গবেষণা করছে। স্টাইপেন্ড যা পায় তাই দিয়ে দুজন কেন একজনেরও ঠিকমতো চলে না। আমার চাকরিটাই একমাত্র ভরসা। সেই ভরসাতেই বিয়েটাও হয়ে গিয়েছিল।
ওর এখন অধ্যাপনা, শতরঞ্চি, কফিহাউস, সাহিত্যসভা। সংসারে যা কিছু প্রয়োজনীয় সব মোটামুটি আছে। শুধু আমার চাকরিটা অপ্রয়োজনীয় সাব্যস্ত হয়েছে।
সাময়িক
এখন আর ব্যথা নেই। শুধু মনে আছে আঘাতটা জোরেই লেগেছিল। আর কান্না পায় না। শুধু মনে পড়ে বড্ড কষ্ট হয়েছিল। এখন আর আফশোসও হয় না। শুধু মনে হয় মস্ত ভুল হয়েছিল।
কথাগুলো শুনে তো ও অট্টহাস্য করে উঠেছিল। সত্যিই তো! বিয়ের মতো খেলো কথা পাড়া কি উচিৎ হয়েছিল? না হয় গত রাতে দেহের প্রতিটা রোমকূপ চিনত। তাই বলে মুখটাও সকালে মনে রাখতে হবে?
নেপথ্যে
-আপনার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কার? আপনার বাবার না স্বামীর?
-দুজনেরই কিছু কিছু ভূমিকা হয়তো আছে। মায়ের কথা বাদ দিলেন?
– আপনার মা তো যত দূর জানি হাউজওয়াই ছিলেন। উনিও কি আপনাকে বিজ্ঞানী হতে অনুপ্রাণিত করেছেন?
-মায়েদের থ্যাংকলেস ভূমিকাটা ঠিকঠাক পালিত না হলে কারও পক্ষেই কিছু হয়ে ওঠা সম্ভব হোত না। এই ভূমিকাটা এতটাই অযাচিত ভাবে আসে যে আমরা সেটাকে উল্লেখ করার যোগ্য মনে করি না।
– তাহলে কি মাকেই সবার ওপরে রাখতে চান?
– আর দুজনের কথাও বলতে হয়। বিজয়াদি আর মলিণা। ওরা না থাকলে ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘরবার আমি সামলে উঠতে পারতাম না। গবেষণা চালিয়ে যাওয়া তো দূর, চাকরিও ছেড়ে দিতে হোত। সব সফল মহিলারই সাফল্যের পেছনে এরাই নেপথ্যচারিণী।
Tags: কয়েকটি গল্প, গল্প, শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।