রবিবার আমাদের কাজের ছুটি। কী করব ভাবছি ,বিশাখার ফোন এল, চলে এস শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার খোলা থাকে। বুধবার ছুটির দিন। বিশাখা সংগীত বিভাগের অধ্যাপক। গানের গলাও বেশ চমৎকার । বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত যখন গায়,বিভোর হয়ে যায় গানের মধ্যে। চারপাশের শ্রোতারাও তখন তার গানের মধ্যে ডুব দেয়। বিশাখার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল একটা ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ শিবিরে। ক্লাসের শেষে সব বন্ধুরা যখন হোটেলের ছাদে বসে আড্ডা দিতে ব্যস্ত, সে সময় বিশাখা আসে ধীর লয়ে।ওঁর হাঁটার অপরূপ ছন্দ ও সুন্দর মুখশ্রী দেখে কেমন যেন একটা ভাললাগা তৈরি হয়ে গিয়েছিল প্রথম দর্শনেই। একেই কী বলে ‘লভ কামস এট ফার্স্ট সাইট’? একটা নয়, পরপর পাঁচটা।ওর গলায় গান শুনে আমাদের সকলেরই কেমন যেন একটা ঘোর লেগে গিয়েছিল। রাতের খাবার যে খেতে হবে সবাই ভুলে গিয়েছিলাম। বেয়ারা এসে জানাতেই সবার খেয়াল হল।খাবার খেয়ে বিছানা নিলে কি হবে ঘুম আর আসতেই চায় না। বিশাখার মুখটা ঠিক মনের বাঁধানো ফ্রেমে পাকাপোক্তভাবে সেট হয়ে গেছে।ইতিমধ্যে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে।আলাপচারিতা থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠলাম আমরা। সময়ের ব্যবধানে আজ বিশাখার ফোনটা পেয়ে আর দেরি করলাম না।চলে গেলাম শান্তিনিকেতনে। বিশাখা সঙ্গে নিয়ে বসল আম্রকুঞ্জের এক ছাতিমতলায়। প্রখর দাবদাহের মধ্যেও আম্রকুঞ্জের বয়ে যাওয়া শীতল সমীরণে, আহা কী প্রাণের আরাম! পাশে বসে বিশাখা গেয়ে উঠল ,’এই লভিনু সঙ্গ তব ,সুন্দর হে সুন্দর।’
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।