14 Oct

ঋকের সেতু

লিখেছেন:তপন মোদক


তাজপুরে পৌঁছাতে বেলা এগারোটা বেজে গেল। নন্দকুমার থেকে দীঘা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া হচ্ছে। তার জের। প্রচণ্ড জ্যাম। ভোর ছটায় বেরিয়েও লাভ হল না। আজকের দিনটাকে পুরোপুরি এনজয় করা গেল না, ঋক বেশ জোরেই কথাটা বলে ফেলল। কথাটা শুনেই তুলি বলল, কেন জারনিটা তো বেশ এনজয় করা গেছে – কোলাঘাটে অতক্ষণ ধরে টিফিন করার কি ছিল। কথাগুলো ঋকের কানে গেল না। ও তখন হোটেলের পার্কিং এ গাড়িটা সাইড করতে ব্যস্ত। গাড়িটা লক করে হোটেলের রিসেপশানের দিকে যেতে যেতে ঋক বলল, আবার বলছি তুলি, – এখন থেকে তোর নাম অনিমা – ঠিক আছে – অনিমা রায়। আই কার্ড আনতে ভুলে গেছিস। তুলি ঠোট চেপে হাসল। ঋক বেশ চাপে আছে, এটা ঋকের দিকে তাকালেই বেশ বোঝা যায়। তুলির এ অভিজ্ঞতা নতুন নয়। দুবার বকখালি একবার রায়চক। তখন অবশ্য সঙ্গে রণ ছিল। আর রণ এ ব্যাপারে দারুণ স্মার্ট। প্রতিবারই তুলি নিজের পরিচয়েই হোটেলের রেজিস্টারে নাম এন্ট্রি করেছে। আই কার্ডও দেখিয়েছে। হোটেলের লোকেরা এ সব ব্যাপার মাথা ঘামায় না। দু তিনগুণ বেশি ভাড়া পেলেই হল। ঋকের ইশারাতে ও রিসেপশনের সোফায় গিয়ে বসল। ঋকের অনলাইনে বুকিং করা ছিল। ওরা ওসব দেখলই না। একটা চাবি নিয়ে একটা বেয়ারা শ্রেণির লোক তুলির কাছে এসে লাগেজটা নিয়ে বলল, আসুন ম্যাডাম – একটু কষ্ট করে দোতলায় উঠতে হবে – জানলা খুললেই দেখবেন ঝাউবনের ফাঁক দিয়ে সমুদ্র আপনাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে – স্যারের জন্য আমরা বেষ্ট ঘরটাই রেখেছি। লোকটা প্রচণ্ড টকেটিভ। দোতলাতে মনে হয় চারটে ঘর। সবকটা ঘরেই তালা দেওয়া। লাগেজটা নামিয়ে লোকটা বাঁদিকের কোণের ঘরটা খুলে দিল। লোকটা লাইট আর এসি অন করে জানলার পর্দাটা সরিয়ে দিল। সত্যিই ভাবা যায় না – ঝাউবনটা দারুন। এখন সমুদ্র অনেক দূরে – এখন ভাটার সময় তো – বিকাল হতে না হতেই দেখবেন ম্যাডাম সমুদ্র আপনার পায়ের কাছে, লোকটি বলেই চলে। ঋক বলল, আপনি আসুন – দরকার হলে ডাকব। লোকটা চোখে একটা অশ্লীল মুদ্রা করে বলল, এখানে কেউ ডিসটার্ব করবে না স্যার – লাঞ্চ করবেন তো ? ঋক তুলির দিকে তাকাল। তুলি বলল, আমার ইচ্ছা করছে না। কোলাঘাটে শের-ই-পঞ্জাবে ব্রেকফাস্টটা চাপেরহয়ে গেছে – তুমি যা নেবার নাও। ঋক একটু অসহায় বোধ করে।  এই সব ব্যাপার তার মাথায় আসে না। শের-ই-পঞ্জাবে তুলিই অর্ডার দিয়েছিল। ও হাফও খেতে পারেনি। তুলি বলল, লাইট করে কিছু দিন। ঠিক আছে আমার ওপর ছেড়ে দিন ম্যাম – এক প্লেট জিরা রাইস – দু প্লেট পমফ্রেট ফ্রাই আর এক প্লেট স্পাইসি ক্রাব, লোকটা চোখে একই রকম ভঙ্গি করে বলল। ঋকের কাছে গিয়ে একটু চাপা স্বরে বলল, লিকার সঙ্গে এনেছেন – না থাকলে নো প্রবলেম স্যার – আমাদের এখানে সব পাওয়া যাবে। ঋক খুব আনস্মার্টলি উত্তর দিল, না না – শুধু লাঞ্চ হলেই হবে। লোকটা যাবার আগে বলল, ঠিক দুটোর সময় আস্তে করে দরজা নক করব – তখন ব্যস্ত থাকলে স্যার আবার আধ ঘন্টা পরে দরজা নক তখনও ব্যস্ত থাকলে – চোখে আরও অশ্লীল মুদ্রা করে বলল, এনজয় করুন স্যার। ইঙ্গিত স্পষ্ট। লোকটা চলে যেতেই ঋক দরজা লক করে দিল। তারপর তুলিকে কিছু বোঝার সুযোগ না দিয়েই দেওয়ালে ঠেসে ধরল। তুলি কোনও রকম প্রতিরোধই গড়ল না। নিজেকে পুরোপুরি ঋকের ওপর ছেড়ে দেবার আগে কেন যে মেয়ের মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠল কে জানে।

স্যার – আপনাকে যে আজ ধুতি পঞ্জাবী পরে আসতে বললাম, অরিত্র বেশ গম্ভীর ভাবে কথাটা বলেই হেসে ফেলল। অরিত্র ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি। সবে এক বছর হল ঢুকেছে। ঋকের বয়সীই হবে বোধ হয়। বেশ ভাল লাগে ওকে। আর ঋকের সঙ্গে অরিত্রকে মেলাতে গেলেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে নিজের অজান্তে। এর মধ্যেই অরিত্রর নেতৃত্ব দেবার কোয়ালিটি স্পষ্ট। বিতান জানে আজকে অনেক রকম অড সিচুয়েশন ওকে ফেস করতে হবে। সুদামটা এক বছর হল রিটায়ার করে গেছে। ও থাকলে আজ কোনও অসুবিধাই হত না। যদিও সুদামকে আজ আসতে বলা হয়েছে। বিতান কিছু বলেনি। অরিত্র সুদামকে ফোন করেছিল। এ থেকেই বোঝা যায় অরিত্র অনেক দূর যাবে। সুদাম আজ আসবে কথা দিয়েছে। অরিত্র বেছে বেছে বিতানের পছন্দের মানুষদের আসতে বলেছে। সুনীল, দেবাশিস, অলোকেশ। এরা কোনও না কোনও সময়ে বিতানের সঙ্গে কাজ করেছে। অফিসে সুদাম আর বাড়িতে রিনি – কেন যে বিতানকে একা ফেলে রেখে চলে গেল! অফিসের শেষ দিনে সপরিবার আসার রেওয়াজ। ছ’বছর হল রিনি চলে গেছে। আর ঋক অফিসের কাজে বাইরে। এত সব অরিত্ররা জানে না। বিতান কোনও দিনও খোলামেলা স্বভাবের নয়। আজ সকাল থেকেই রিনির কথা খুব মনে পড়ছে। এই ছটা বছর বিতান একা একাই কাটিয়েছে। ঋকও চার বছর দিল্লিতে স্টাডি শেষ করেছে। পুনায় চাকরিতে জয়েন করেই ছ’মাসের জন্য লন্ডনে কাটিয়ে এল। এক বছর হল কলকাতায়। তার মধ্যে বলা নেই কওয়া নেই ঋক হঠাৎ বিয়ে করে ফেলল। কোনও অনুষ্ঠান হয় নি। ওর অফিসের কলিগদের নিয়ে হোটেলে একটা পার্টি হয়েছিল। অনিন্দিনী কেমন মেয়ে বিতান এখনও বুঝে উঠতে পারে নি। সত্যি বলতে কি, বিতান বোঝার চেষ্টাও করেনি। ঋকের সঙ্গে বিয়ের দু মাসের মধ্যেই অনিন্দিনী নিউ টাউনে বাবার কাছেই থাকে। বিতান এ নিয়ে ঋককে কখনও প্রশ্ন করেনি। বিতান ভাবাবেগকে কখনও প্রশ্রয় দেয় না। মাঝে মাঝে ওর মনে হয়, রিনিকে কি ও সত্যিই ভালবাসতো। টু বি ভেরি অনেষ্ট, রিনি চলে যেতে ওর নিজেকে খুব হালকা লেগেছে। কোথাও যেন একটা মুক্তির আনন্দ বুকের মধ্যে ঘন্টা বাজিয়েছে। রিনি ছেলেকে নিয়ে খুব চাপে থাকত। ঋকের অ্যাডলোসেন্ট ষ্টেজটা খুব ট্রাবলসাম ছিল। বিতানের সঙ্গে তো বটেই পরের দিকে মা ছেলের মধ্যেও একটা দূরত্ব তৈরি হয়। তারই জের ঋকের মারাত্মক অ্যাক্সিডেন্ট। অন্ততঃ বিতান এর দায় অস্বীকার করতে পারে না। তখন ও আর রিনি চেন্নাইতে। খবরটা সুদামই ওকে দেয়। ঋকের মারা যাবারই কথা ছিল। নেহাৎ কিছু স্থানীয় ছেলে বুদ্ধি করে ঋকের মৃতপ্রায় দেহটা মল্লিক বাজারের ইনষ্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে দেয়। অ্যাক্সিডেন্টের দু’দিন পর ও আর রিনি হাসপাতালে পৌঁছায়। ততক্ষণে ঋকের তিনটে অপারেশন হয়ে গেছে। বাঁচার আশা ফিফটি ফিফটি। সেদিন রাত্রেই বাড়িতে ফিরে রিনির সেরিব্রাল স্ট্রোক। একদিকে ইনষ্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স অন্যদিকে ঢাকুরিয়ার আমরিতে রিনি। সেই সময়টা সুদাম খুব সামলেছিল। অফিসের অন্যান্যরাও পালা করে সময় দিয়েছে। ঋকের সুস্থ হবার সম্ভাবনা যত দেখা দিয়েছে – ততই রিনি আস্তে আস্তে কোমার দিকে ঢলে পড়েছে। আশ্চর্য সমাপতন। ঋকের ছাড়া পাবার পনেরো দিন আগেই রিনি চলে গেল। বিতান কোনও দিনই ভাববাদী নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়, রিনি বোধ হয় নিজের জীবনটা ছেলেকে দিয়ে চলে গেল।

কি হল স্যার রেডি হয়ে নিন, অরিত্রর কথায় বিতান একটু অপ্রতিভ বোধ করে। বাবাকেও দেখেছি স্যার, রিটায়ারমেন্টের দিনে প্রচণ্ড সেন্টিমেন্টাল হয়ে পড়েছিলেন – কিছু মনে করবেন না স্যার – টেক ইট ইজি, বাবাকেও স্যার এই কথা বলেছিলাম, অরিত্র এক নাগাড়ে বলে যায়। স্যার, আমরা কয়েকজন ঠিক করেছি – আপনাকে আমরা আজ বাড়িতে পৌঁছে দেব। এইবার বিতান বেশ অসহায় বোধ করে। ওদের কোথায় নিয়ে যাবে! বাড়ি মানে কি শুধু কয়েকটা ঘর ! বিতান ভাবে এবার সুদামকে দরকার। ও ছাড়া কেউ ম্যানেজ করতে পারবে না। বিতান অরিত্রকে খুব ক্যাজুয়ালি বলে, সুদাম এসেছে। হ্যাঁ স্যার, সুদাম স্যারই তো আজকের ফেলিসিটেশনে সভাপতি। বিতান খুব স্মার্ট হবার চেষ্টা করে বলল, লেটস গো।

তুলিকে কখনোই কচি বালিকাটি বলা যাবে না। মাত্র ছাব্বিশ বছরেই সে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্না নারী। একুশ বছরে বিয়ে। তার আগেই দু’জনের সঙ্গে রেগুলার সেক্স হয়ে গেছে। অভির পাগলামিতেই বিয়েটা হয়ে যায়। অভির মত হাই ফাই ছেলেকে কোনও মেয়ের পক্ষেই হাতছাড়া করা সম্ভব নয়। বিয়েটা সেরে ফেলতেই হয়। আর বিয়ের দু বছরের মধ্যেই ঝিম চলে এল। অভি এখন মুম্বাইতে পোষ্টিং। মুম্বাইতে তুলির পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। ভাগ্যিস ওর কোম্পানির মুম্বাইতে কোনও ব্রাঞ্চ নেই। মায়ের কাছে ঝিমকে রেখে অখণ্ড স্বাধীনতা। একটা গেট টুগেদার পার্টিতে ঋকের সঙ্গে আলাপ। আর ঋকের তাকানো দেখলেই বোঝা যায় ও কি চায়। ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। হাই ফাই চাকরি। অভির চেয়েও বেটার। আর কপালে অ্যাক্সিডেন্টের কাটা দাগটার জন্য ওকে আরও সেক্সি লাগে। ব্যাস, বিছানায় যেতে সপ্তাখানেক লেগেছিল। ঋকের বাড়িতে। ওর মা নেই। বাবা একটা আধা সরকারী কোম্পানির মাঝারি এক্সিকিউটিভ। রিটায়ারমেন্টের মুখে। তুলির ফ্ল্যাটেও রাত কাটানো যেতে পারে – তবে, সামনের ফ্ল্যাটের মাসিমার কান খুব সজাগ। দরজায় খুট করে শব্দ হলেই হল। আপাতত ঋকের বাড়িটাই দিনের বেলায় সেফ। ঋক প্রথম দিন থেকেই বলে আসছে – আউটিং’এ চল। ঋক বিছানায় ভয়ঙ্কর অ্যাগ্রেসিভ। একটা হাঙর। আর এই অ্যাগ্রেসিভনেস ওর ভাল লাগে। বিয়ের কদিনের মধ্যেই বোঝা গেল অভি একটু সেকেলে টাইপের। বিছানাতেও। একদম ইনোভেটিভ নয়। আর বলে বলে করিয়ে নেওয়ার মধ্যে কোনও চার্ম নেই। সেদিক থেকে ঋক একদম বিপরীত মেরুর।  ভয়ঙ্কর সেক্স স্টার্ভড। সেই জন্যই বোধহয় ওর বউ পালিয়েছে। তাজপুরের সন্ধানটা ওই ঋককে দিয়েছে। হোটেলের দরজা বন্ধ করার পর ঋক যেটা করল – অভি কোনও দিন চিন্তাও করতে পারবে না। একটা হাঙর যেমন শিকারের ওপর হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে এক নিমেষে মুখের মধ্যে পুরে নেয় – অনেকটা সেই রকম। তবে শরীরের আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না – একটা যন্ত্রণা ঠোঁটের মধ্য দিয়ে নাভির দিকে নেমে গেল। হাজার শক্তির কারেন্টের আঘাত ছিন্নভিন্ন করে দিল যেন গোটা শরীর। একটা পাশবিক শক্তি যেন ছিঁড়ে খুড়ে এক্কাকার করে দিচ্ছে ওর গোটা সত্তা। একটা ভয়ঙ্কর চিৎকার ওর গলা থেকে বেরিয়ে এসে হোটেলের দরজা-জানলা-সিলিং ভেদ করে আছড়ে পড়লো হোটেলের দেওয়ালে সিলিং’এ। এতে ঋকের সম্বিত ফেরে। তুলিকে ছেড়ে দিয়ে বিছানায় মাথা নীচু করে বসে হাঁফাতে থাকে। ঋক ছেড়ে দিলেও তুলির শরীরের শিরায় শিরায় আতঙ্ক। ও ভেবে পায় না যাকে স্বেচ্ছায় সব কিছু দেবার জন্য ও এখানে এসেছে তাহলে এই রকম ছিনিয়ে নেবার পাশবিত প্রবণতা কেন! একটু ধাতস্থ হয়ে টলতে টলতে তুলি বাথরুমে চলে যায়। ছেঁড়া টপটা একটানে আরও ছিঁড়ে গা থেকে নামিয়ে দিয়ে শাওয়ারটা চালিয়ে দেয়। আর শাওয়ারের জলের শব্দ ছাপিয়ে ও স্পষ্ট শুনতে পেল ঠিক কানের পাশটিতেই ঝিম ‘মা’ বলে ডেকে উঠল।

Psychologists claiming that impotent men are highly abusive and a threat to women and that they resort to violence to cover up for their own deficiency. নেট ঘেঁটে ঋক এর চেয়ে বেশি কিছু পেল না। প্রায় সবাই sexual violence’র জন্য impotencyকেই দায়ী করছে। কিন্তু ও যে impotent নয় এটা ওর চেয়ে ভাল করে কে জানে। তুলি ওকে pervert বলেছে। এটা অনেকটাই মেনে নেওয়া যায়। সত্যি বলতে কি বাপ ঠাকুর্দার থেকে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। সেক্সের ব্যাপারেই বা সবাই এত কনজার্ভেটিভ হবে কেন। তুলি অন্য সব সংস্কার ঝেড়ে ফেলে দিলেও সেক্সের ব্যাপারে সেই মা ঠাকুমার আমলেই পড়ে আছে। তুলির সঙ্গে মিশে ভেবেছিল ও ঋকের সব আবদার মেনে নেবে। ও প্রাথমিক ধাক্কাটাই কাটিয়ে উঠতে পারলো না। তাজপুরে আবার তিন বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিল। অনিন্দিনীর সঙ্গে বিয়ের আগে যে ভাবে মিশেছিল বিয়ের পর আর সে ভাবে মেশা গেল না। ফুলশয্যার রাতেই ও একশ আশি ডিগ্রি ঘুরে গেল। এটা জানলে ঋক অনিন্দিনীর সঙ্গে বিয়ের ডিসিশানটাই নিত না। লন্ডনে কদিন কাটিয়ে ঋক এটা বুঝেছে স্পেড কে স্পেড বলাই ভাল। সাদামাটা জীবন ঋকের পছন্দ নয়। টাইম ইজ টু সর্ট। প্রতিটা মোমেন্ট এনজয় করতে হবে। এটা অনিন্দিনীকে কিছুতেই শেযার করতে পারে নি। অনিন্দিনীর সব কিছু ওর বাবার সঙ্গে শেয়ার করে। ঋক কোনও দিনই ড্যাড আর মাম-মামের সঙ্গে কোনও কিছু শেয়ার করতে পারে নি। মাম-মাম এক্সপায়ার করার পর ড্যাডের সঙ্গে দুরত্বটা আরও বেড়ে গেল। ও ড্যাডের কোনও খোঁজ রাখে না – ড্যাডও না। অনিন্দিনী বিয়ের এক উইকের মধ্যে ওর বাবার সঙ্গে সব শেয়ার করে। আঙ্কেল একদিন ঋককে ডেকে পাঠায়। মধ্যযুগীয় ব্যাপার-স্যাপার আর কি। ঋক প্রথমে যাবে না ভেবেছিল – তারপর চলেই যায় একদিন। আঙ্কেল খানিকটা চিট-চ্যাট করার পর জানায় ওদের বিয়েটা ভুল হয়ে গেছে, অনিন্দিনী আর চায় না ওদের বিয়েটা এক্সজিস্ট করুক। শেষে আঙ্কল অনিন্দিনীর সামনেই জানায়, অনিন্দিনী আর ঋকের সঙ্গে বিছানা শেয়ার করবে না। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। তারপর সম্পর্ক আর বয়সের সুযোগ নিয়ে ভদ্রলোক জ্ঞান দিতে শুরু করলেন। ঋকের একজন সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। আর ঋক বসে থাকতে পারে নি। গুড বাই জানিয়ে চলে এসেছে। অনিন্দিনীর কাছ থেকে চলে আসাটা ঋক ভেবেছিল ড্যাডের সঙ্গে শেয়ার করবে – পারে নি। আফটার অল এ বাড়ির গার্জেন ড্যাড। আজ অফিস বেরোনোর সময় ঋক দেখল ড্যাডের ঘরের দরজা খোলা – টিভি চলছে। কি মনে করে ড্যাডের ঘরে ঢুকে দেখল ড্যাড টিভি দেখছে। কি হল আজ অফিস যাবে না, ঋক এটা হার্টিলিই জিজ্ঞেস করল। ড্যাড খানিকক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থাকল। তারপর বলল, তোমাকে বলা হয় নি – লাস্ট ফ্রাইডেতে আমার রিটায়ারমেন্ট হয়ে গেছে। ঋক একদম আকাশ থেকে পড়ল। তারপর ভাবল, এটা তো একদম স্বাভাবিক ঘটনা – একটা এজ-এ সবাই রিটায়ার করবে – নাথিং নিউ। বলল, ফাইন – নাউ উ ট্রাই টু এনজয় ইওর সেকেন্ড লাইফ। বলেই বুঝল একটা নো বল দেওয়া হয়ে গেছে। ওকে ড্যাড আমার গাড়ি হর্ণ দিচ্ছে, সি ইউ, বলেই দ্রুত সিঁড়ি ভাঙ্গতে লাগল – আর হঠাৎ বুঝতে পারল, ড্যাড অনেকটাই বুড়ো হয়ে গেছে।

আসবো স্যার, হ্যাঁ বা না বলার সুযোগ দিয়ে এক মধ্য বয়সী ঝকমকে মহিলা ঋকের চেম্বারে ঢুকে পড়ল। ঋক একটু হতভম্ব হয়ে গেল। এ অফিসের এটা কালচার নয়। কে এই মহিলা। ভিজিটারস চেয়ারে বসেই মহিলা বলতে শুরু করল, রডরিগস বলল একটা বাচ্ছা ছেলে সেক্টর ফাইভে এ জি এম হয়ে এসেছে – তাই দেখতে এলাম – এতটা ইয়ং বুঝতে পারিনি। ঋক বুঝতে পারল, ভদ্রমহিলা পার্ক স্ট্রিটের।  মিঃ রডরিগস ঐ অফিসের জিএম। ঋক বলল, মিঃ রডরিগস তো আমাদের সেলসটা দেখেন – আপনি কি সেলসে? এই যা আমার পরিচয়টা দেওয়া হয় নি, আমি শুভদীপা রয় – ম্যানেজার সেলস। ঋক ভদ্রমহিলার সাহস দেখে অবাক হয়ে গেল – এই অফিসের ম্যানেজাররা ঋকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না করে চেম্বারে ঢোকে না। ঋক ভদ্রমহিলাকে একটুও বুঝতে না দিয়ে হাসিমুখে বলল, আই অ্যাম সায়ন বোস – গ্লাড টু মিট ইউ – আপনি কি আজ লিভে আছেন ? শুভদীপা একটুও বিব্রত না হয়ে বলল, নট এট অল – সেক্টর ফাইভে একটা পার্টি ভিজিট করতে এসেছিলাম – ভাবলাম দেখা করে যাই তোমার সঙ্গে – সরি – আপনার সঙ্গে। ইটস ওকে – কি নেবেন চা, কফি অর এনিথিং এলস, ঋক শুভদীপার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল। ইতিমধ্যে ঋক শুভদীপাকে মেপে নিয়েছে। বয়স সম্ভবতঃ থার্টিফাইভের আশপাশ হবে – অসম্ভব ভালো কমপ্লেক্সান – সেটা স্লেট কালারের শাড়িতে আরও বেশি খুলেছে – একই রঙের টাইট স্লীভলেস ব্লাউজে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পাচ্ছে। লিপস্টিক – কপালে বেশ বড় একটা টিপ আর হেয়ার স্টাইলে একটা মারমার কাটকাট ব্যাপার রয়েছে। শুভদীপা ঋকের অবজার্ভেশানটাকে আরও এলাবরেট করতে অসতর্ক স্টাইলে আঁচলটা একটু সরিয়ে দিয়ে বলল, আপনার কি উচিত হচ্ছে একজন পাতি ম্যানেজারকে চা অফার করা। হোয়াই নট – আফটার অন ইউ আর মাই কলিগ – প্লাস – কি বলে যেন – একজন বিদুষী ভদ্রমহিলা। বা ফ্লাটারিংটা দারুন রপ্ত করেছেন, বলেই শুভদীপা খিল খিল করে হেসে উঠল। তাজপুরের ঘটনাটার পর থেকে ঋক একটু গুটিয়ে ছিল। আজ আস্তে আস্তে নিজেকে আবার ফিরে পেতে শুরু করলো। তাজপুর থেকে ফিরে তুলিকে বার দুয়েক ফোন করেছিল। তুলি ফোন রিসিভ করে নি। ঋক নারীহীন জীবনের কথা ভাবতেই পারে না। শুভদীপাতে আরও কালটিভেট করার জন্য বলল, আপনার বাড়ি কোথায় – আই মিন অফিসের কাছাকাছি থাকেন নাকি। শুভদীপা একই রকম ভাবে হেসে উঠল। তারপর বলল, ধীরে বৎস ধীরে – আজকেই সব জেনে নেবেন নাকি। তারপর যেমন ভাবে এসেছিল সেই ভাবেই বেরিয়ে গেল। চা-কফি বলার সুযোগই দিল না। ঋক বেশ বুঝতে পারল এসি চেম্বারে এই চিলড ওয়েদারে সে বেশ ঘেমে উঠেছে। না শুভদীপাকে ছাড়া চলবে না। একটু পরে বেল টিপতেই বঙ্কিমদা এসে হাজির। ঋক এ জি এম সুলভ গাম্ভীর্য নিয়ে বলল, মহিলাটিকে দেখলে – কেন এল কিছুই বুঝলাম না। বঙ্কিমদা এই অফিসের সবচেয়ে পুরনো স্টাফ। এম ডি পর্যন্ত বঙ্কিমদাকে সমীহ করে কথা বলে। অফিসের সমস্ত ফাইল মায় পারসোনাল ডাটা ওর নখদর্পণে। বলল, দীপা ম্যাডামের কথা বলছেন তো। ঋক খুব ইনোসেন্টলি বলে উঠল, হ্যাঁ হ্যাঁ শুভদীপা নামটাই তো বলল। ও সব শুভ টুভ বুঝিনা, আমরা দীপা ম্যাডাম বলেই জানি, বঙ্কিমদা তার স্বভাব সুলভ কায়দায় বলল। তারপর গড়গড় করে বলে চলল, নতুন কোনও সাহেব এলেই দীপা ম্যাডাম এসে হাজির হবেন – ছেলে হস্টেলে থাকে আর বর কি করে কেউ জানে না – তাকে কেউ দেখেই নি কোনও দিন – দেখুন না আজকালের মধ্যে আবার আসবে আর আপনাকে ওর সঙ্গে হোটেলে খেতে বলবে। তারপর গলা নামিয়ে বলল, সাবধান টাকা পয়সা দিয়ে ফেলবেন না যেন – এ ব্যাপারে দীপা ম্যাডামের খুব সুনাম নেই।

পরদিন বিকাল ছটায় যখন ঋক উঠবো উঠবো করছে ঠিক তখনই এক রাশ সুগন্ধ নিয়ে শুভদীপা দরজা খুলে বলল, আসতে পারি স্যার।

কাল এক জনের লেখায় পড়ল, ফ্রয়েড সাহেব নাকি বলছেন পুরুষ মানুষ সারা জীবন মাতৃস্তনের অভাব বোধ করে। আর এই অভাব বোধে সে নানা রকম নেশায় জড়িয়ে পড়ে। ফ্রয়েড সিগারেটের উদাহগণ দিয়েছেন। হঠাৎ হঠাৎ সিগারেট ধরানো নাকি এই অভাব বোধ থেকে। ঋক স্মোক করে না। মদ মাঝে মাঝে খায় বটে তবে তা থেকে কোনও আনন্দ পায় না। তবে কি ওর সেই অভাব বোধ নেই। ঋক তন্ন তন্ন করে গুগুল সার্চ করে দেখেছে তার যে এই সেক্সের প্রতি অবসেসান তা কি সেই অভাব বোধ থেকে ! ঋক এর কোনও উত্তর পায় নি। তবে ইদিপাস কমপ্লেক্স’এ এই রকমই একটা কথা বলা আছে। পুরুষ তার নারীদের মধ্যে তার মাকে খুঁজে চলে। অদ্ভূত। তবে কি ঋক – না, ঋক আর ভাবতে পারে না। মাম-মামের কথা মনে পড়লেই বুকের ভেতরটা কেমন টনটন করতে থাকে। ড্যাড আর মাম-মাম যদি ওকে জোর করে সাউথে বেড়াতে নিয়ে যেত তবে ওর অ্যাক্সিডেন্টটা হোত না আর মাম-মামকেও এত হঠাৎ চলে যেতে হোত না। মাম-মাম অসম্ভব বুদ্ধিমতী ছিল। ঋকের কোনও অ্যাকটিভিটি মায়ের নজর এড়াতে পারতো না। মাম-মাম বেঁচে থাকলে জীবনটা হয়তো অন্য খাতে বইতো বা অন্য ডাইমেনসান পেত। ড্যাডও এতটা দূরে সরে যেত না। একই ছাদের নীচে বাস করেও ড্যাডের সঙ্গে তার সপ্তাহে একটা কথাও হয় না। ড্যাড নিশ্চয় মাম-মামের মৃত্যুর জন্য ঋককে দায়ী করে। শুধু ড্যাড কেন ঋক নিজেও একথা বিশ্বাস করে। আর মাম-মামের কথা মনে পড়লেই মনটাকে আদারওয়ায়িজ ডাইভার্ট করে উপায় থাকে না। রাতটা দিনকে দিন ঋকের কাছে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। কতক্ষণ আর পর্ণোতে কনসেনট্রেট করা যায়। দিনে দিনে পর্ণো ফিল্মের নায়িকারা হলিউডের নায়িকাদের মত স্টারের মর্যাদা পাচ্ছে। সানি লিওন বলিউডে বেশ জাঁকিয়ে বসে গেছে। এখনও ওর পর্ণো সাইটে লক্ষ লক্ষ লোক ভিজিট করছে। আরও অনেক পর্ণো স্টার নাকি বলিউডে আসার অপেক্ষায়। যে যত বেশি হার্ড কোন পর্ণোতে অ্যাকটিং করবে তার রেটিং নাকি তত বেশি। আর ইদানিং হার্ড কোর ছাড়া ঋক উত্তেজিত হতে পারে না। পুরুষ খেটে মরবে আর নারী শুয়ে শুয়ে এনজয় করবে এই সব মধ্যযুগীয় চিন্তা ভাবনা থেকে যুগ অনেক এগিয়ে গেছে এটা পর্ণো সাইটে বেশ বোঝায় যায়। তবে হঠাৎ হঠাৎ ঋকের কি যে হয়। তুলির সঙ্গে তিনদিন কাটানোর কথা ছিল। প্রথমেই এমন একটা কাণ্ড হয়ে গেল যে ঋক তৎক্ষণাৎ ফিরে আসতে বাধ্য হয়। বাস্তবিক তুলিকে ও ভাবে ঋক এনজয় করতে চায় নি। তুলি বেশ ভালো মেয়ে। অবশ্য ঋক কোনও মেয়েকেই খারাপ ভাবতে পারে না। ও বিশ্বাস করে প্রত্যেক মেয়ের মধ্যে একজন ইভ লুকিয়ে আছে – সেই ইভকে টেনে বার করাটাই ঋকের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। বিয়ের আগে অনিন্দিনীর মধ্যে ইভকে খুঁজে পেয়েছিল ঋক। অনিন্দিনী বিয়ের পর ইভকে আর বার করতে দিল না। চুম্বনের মধ্যে নাকি সেক্স নয়, পবিত্র – স্নিগ্ধ ব্যাপার স্যাপার লুকিয়ে আছে। আলিঙ্গনের মধ্যে প্রেম! ধুস্ – ভালোই হয়েছে। অনিন্দিনীকে ঋক বলেছিল, চল তোমাকে একটা মন্দির করে দিই – সেখানে তুমি দেবীর আসনে বসে থাকবে – আর অফিস যাবার সময় রোজ ফুল আর বেলপাতা দিয়ে তোমায় পুজো করে যাব।

অনিন্দিনীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ। সম্ভবতঃ তুলির সঙ্গেও কাট অফ হয়ে গেল। এবার! তবে শুভদীপা মনে হচ্ছে এই শূন্যতাটা পূরণ করবে। দুদিন শুভদীপার সঙ্গে রেস্তোঁরায় ডিনার করতে গিয়ে দেখেছে ওর প্রচুর কানেকশন। লাষ্ট ফ্রাইডে রেস্তোঁরায় ঢোকার সময় একজন বেশ সিনিয়র ভদ্রলোক, হাই দীপা, বলে ওর পিঠে হাত রাখলো। শুভদীপা বেশ কায়দা করে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য কথায় চলে গেল। ভদ্রলোক – নামটা সম্ভবতঃ মিঃ মিত্তির – ঋককে ইঙ্গিত করে বলল, নতুন। ওই আর কি – আমার অফিস বস, শুভদীপা খুব স্মার্টলি উত্তর দিল। ঋকের বয়সটা আর থেমে নেই। ওর অভিজ্ঞতা বাড়ছে। অফিসে বঙ্কিমদার কাছ থেকে ব্যাক আপ নিয়ে আর দুদিন ডিনারে সঙ্গী হয়ে ঋক শুভদীপাকে অনেকটাই মেপে নিয়েছে। শুভদীপা সম্ভবতঃ সোসাইটি গার্ল। এই ধরনের মেয়েরা কেরিয়ার আর টাকার জন্য সব কিছু করতে পারে। ঋক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে থাকলেও শুভদীপার কেরিয়ার নিয়ে কিছু করার ক্ষমতা নেই। এটা শুভদীপাও নিশ্চিত জানে। তবে ? সার্টেনলি মানি। শুভদীপার ফ্যামিলি ম্যাটার নিয়ে ঋক কোনও প্রশ্ন করেনি। তবে ভদ্রমহিলার সেক্স অ্যাপিল মারাত্মক। আর ঋকের অ্যাডোলেসেন্ট স্টেজ থেকে এজেড মহিলাদের দিকে টানটা বেশি। হাজার নেগেটিভ মার্কিং থাকলেও শুভদীপাকে উইদিন এ ভেরি সর্ট পিরিয়ড ঋকের বিছানায় আসতে হবে। তবে হ্যাণ্ডেল উইথ কেয়ার। অফিসের জরুরী ফাইলটা একপাশে সরিয়ে দিয়ে ঋক বুকের ওপর ল্যাপটপটা নিয়ে প্রথমে গুগুল ইমেজে ক্লিক করে ‘বেঙ্গলি হাই সোসাইটি ম্যাচিওরড গার্ল’ টাইপ করে বারমুডাটা কোমর থেকে নামিয়ে দিল।

ডামন্ডহারবারে এই রিসর্টটা একেবারে অন্যরকম। শুভদীপার লিফট থেকে নেমে মুভমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়, ও আগে এখানে এসেছে। ঋক মাথায় এইসব চিন্তা আসলেই ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। দু একটা ছোট খাটো হাগ আর কিসিং ছাড়া শুভদীপার সঙ্গে কিছুই ঘটেনি। একটা বড় লড়াইয়ের জন্য ও প্রস্তুত হচ্ছে। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে হার্বাল ট্যাবলেট ‘মোর স্টেয়াল’ ওর বুক পকেটে। ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী একঘন্টা আগে খেতে হবে। এখনো সুযোগ পায় নি। প্রথমেই শুভদীপাকে ফ্রেশ হবার জন্য বাথরুমে ঢোকাতে হবে – আর তখনই ট্যাবলেটটা খেয়ে নেবে। রুমে ঢুকে দরজা লক করে ছোট লাগেজটা রেখে দিয়েই শুভদীপা ঋককে জড়িয়ে ধরল – ঠোঁটের কাছে ঠোঁটটা এনে হাস্কিং ভয়েসে বলল, ইয়ং ম্যান আর ইউ রেডি ফর দ্য ব্যাটেল – আমি তোমাকে হাউ টু মেক লাভ’এর ক্লাস নেবো – তুমি ওবিডিয়েন্ট স্টুডেন্টের মত লেসন নিও – কেমন – বাট দিস ইজ দ্য ফার্স্ট টাইম অনলি। নেক্সট সেসনে তোমার এক্সাম নেবো আর আমি টোটালি ইনঅ্যাকটিভ থাকবো। বলেই ওকে ছেড়ে দিয়ে হাসতে হাসতে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। ঋক ভাবল, আজ ওর মধ্যের পশুটাকে কিছুতেই বার হতে দেবে না – খুব ইনোসেন্ট থাকতে হবে – যেন সেক্সের অভিজ্ঞতা ওর নেই। অফিস কলিগের পরিচয় ছাড়া ঋক শুভদীপার হোয়ার অ্যাবাউটস কিছু না জানলেও হাম্বাগের মত নিজের সব কিছু জানিয়ে দিয়েছে। তবে অনিন্দিনীর সঙ্গে সেপারেশনের আসল কারণটা চেপে গেছে। ট্যাবলেটটা আধঘন্টা হল নেওয়া হয়েছে। মাথার মধ্যে একটা ঝিম ধরা ভাব আস্তে আস্তে বাড়ছে। একটা অন্য রকম অভিজ্ঞতা – একটা যেন ঘোর। একি তুমি রেডি হওনি এখনও – আর একটা ওয়াশরুম তো ছিল, শুভদীপা একটা রাত পোশাক পরে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েই প্রশ্নটা করল। আর একটা ওয়াশরুমের কথা ঋক খেয়াল করেনি। সেটাই বলল। শুভদীপাকে বিনা প্রসাধনে আরও সেক্সি লাগছে – ঠিক সেক্সি নয় – মোর দ্যান দ্যাট – বাঙ্গালায় মোহময়ী শব্দটা সবচেয়ে সুপ্রযুক্ত। কি হ্যাবলার মত দেখছিস, বলেই একটু এগিয়ে এসে বলল, তোকে ফ্রেশ হতে হবে না – এই ম্যানলি গন্ধটা চলে যাবে। একদম কাছে এসে বলল, দুটো কণ্ডিশন – নাম্বার ওয়ান এই রুমে তোকে তুই বলে ডাকব, আর তুইও আমাকে তুই বলবি – কেমন – আর শুভদীপা নয় দীপ – শুধু দীপ। ঋক ঝিম ধরা ভাবটাকে সরিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বলল, আর সেকেন্ড কন্ডিশন? সেকেন্ড – তুই কিচ্ছু করবি না – সব আমি করব। শুভদীপার গলার স্বরে ঋকের ভেতরের পশুটা গর্জন করতে লাগল। ঋক ভেতরের পশুটাকে শান্ত করতে করতে হেসে ফেলল। শুভদীপা ঋককে জানে না। শুভদীপা নিজের রাত পোশাকটা নামিয়ে দিয়ে ঋকের শার্টের বোতামগুলো আস্তে আস্তে খুলতে লাগলো আর এই প্রথম ঋক একজন নারীর কাছে সম্পূর্ণ নিবেদন করে দিল নিজেকে।

তা ইন্ট্রোভার্ট বাবু সময় কাটছে কি করে, সুদাম মজা করে কথাটা বলল। রিনি মারা যাবার পর এই প্রথম সুদাম বিতানের কাছে এল। বিতান বলল, সত্যিই রে সুদাম – খুব কোয়ালিটা না থাকলে ইন্ট্রোভাট হওয়া মানায় না। ভেতরটা ঝাঁঝরা হয়ে যায়। একটু থেমে আবার বলল, রবীন্দ্রনাথকে ধার করে বলা যেতে পারে – আমার সবার সঙ্গে মিশতে না পারার অক্ষমতাকে অন্তর্মুখীনতার আড়ালে লুকিয়ে রাখি। দারুন বলেছিস তো – তা যখন এই বোধটুকু তোর আছে – তাহলে ভেতরটা ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়াটা তোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, সুদাম বেশ জোরের সঙ্গে কথাটা বলে। তারপর বিতানের একমাত্র বন্ধু বিতানের খাওয়া-দাওয়া – রান্নার মাসির রান্না – বাজার করা – মানে যাবতীয় সাংসারিক খুঁটিনাটি বিতানকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জেনে নেয়। এরপর সুদাম যখন ঋকের প্রসঙ্গে এল বিতান বেশ অসহায় বোধ করল। ঋকের স্ত্রী এখন যে এ বাড়িতে থাকে না এ তথ্যও সুদামের কাছে নতুন। সব শুনে সুদাম বলল, দেখ এখন কেউ তার পারসোনাল ব্যাপারে অন্য কাউকে এলাও করে না। তবুও আমি করব – কারণ এখানে ভিকটিম হচ্ছিস তুই – আর তুই স্বীকার করিস না করিস একদম চাকরী জীবনের প্রথম থেকে তোর সমস্ত ব্যাপার আমার নিজের ব্যাপার বলে মনে করে এসেছি। আমি স্বীকার করছি যে রিনি ছিল এই সংসারের ব্রীজ তা ও যখন নেই সেই সেতুর একটা দিক তোকে ধরে রাখতে হবে। আমি ভাবতেই পারছি না ঋকের সঙ্গে তোর সপ্তাহে এক আধবার কথা হয়, সুদাম একজন প্রকৃত শুভানুধ্যায়ীর মত বলে চলে। বিতানের ভাবনা অন্য স্রোতে বয়। গত পরশু রাত তিনটের সময় বিতানের ঘুম ভেঙে যায়। টয়লেট থেকে ফেরার পথে দেখে ঋকের ঘরে আলো জ্বলছে – দরজা খোলা। চুপিসারে দরজার কাছে গিয়ে দেখে, ঋক খুব বাজে ভাবে হাত পা ছড়িয়ে গভীর ঘুমে নেতিয়ে পড়ে আছে। ল্যাপটপটা বিছানায় কাত হয়ে পড়ে আছে। হাফপ্যান্টটা পায়ের নীচে নামানো। বিতানের বুকটা কেমন হু হু করে উঠল। তার মা-মরা বউ-পালানো একমাত্র সন্তান। আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকলো বিতান। হাজার চেষ্টা করেও ঋকের পেটের নীচের দিকে তাকাতে পারলো না। ল্যাপটপে একটা ভয়ঙ্কর অশ্লীল ছবি চলছে। এখন কি করা উচিত, বিতান ভেবে পেল না। যেমন ভাবে এসেছিল আবার তেমনভাবে বেরিয়ে গেল। সেই থেকে দু রাত চোখে ঘুম নেই। সুদামকে এসব কথা বলা যায় না। অন্তত বিতান বলতে পারবে না। কি হল আমার কথা শুনছিস না মনে হচ্ছে, সুদামের ধমকানিতে সম্বিত ফেরে। বিতান তবুও খানিকটা বলার চেষ্টা করে, আসলে রিনি ঋকের সবটা দেখতো – আমি সেভাবে সংসারটা কোনও দিন করে উঠতে পারিনি সুদাম। বলতে বলতে বিতান হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে। কান্নার উৎসে যেমন আছে রিনির মৃত্যু তেমনি আছে ছেলের একাকীত্ব। সুদাম এ বিতানকে একদমই চেনে না। অফিসে সংসারের বহু যুদ্ধের সৈনিক সুদাম বুঝে উঠতে পারে না এ পরিস্থিতি কি ভাবে সামাল দেবে। বিতান একটু সামলে নিতে সুদাম বলল, নে একটু চেঞ্জ করে নে তো – বাইরে একটু ঘুরে আসি।

অফিসে ঢুকতেই বঙ্কিমদা বলল, স্যার – কাল আপনি বেরিয়ে যাবার পর আপনার নামে ক্যুরিয়ারে একটা চিঠি এসেছে – আপনার টেবিলে দিয়ে দিয়েছি। ঋক ভাবে, অফিসিয়াল চিঠি হবে হয়তো। প্রচুর কাজ পেণ্ডিং পড়ে আছে, ওগুলো আগে ছাড়তে হবে। লাষ্ট কনফারেন্সে এম ডি খুব ঝেড়েছে। ওর একটা ভুলে কোম্পানির একটা নিউ প্রজেক্ট ডিলে হয়ে গেছে। সাপ্লায়াররা ইন্টারেস্ট ক্লেম করেছে। সেইটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। কালই স্টাফ কমিটির লিডার দেখা করে জানিয়েছে দুজন রিটায়ার্ড স্টাফের সেটেলমেন্ট দুমাস হল ডিউ হয়ে গেছে। অন্যান্য রেগুলার ব্যাপার তো আছেই। লাঞ্চের ঠিক আগে চিঠিটা চোখে পড়ল। ফ্রম এবিসি ফাইনান্স কোম্পানী। এদের সঙ্গে তো এই কোম্পানীর কোনও ট্রানজাকসন নেই। দেখা যাক। চিঠিটা পড়েই ঋক লাফিয়ে উঠল। শুভদীপা রয় দু কোটি টাকার একটা পারসোনাল লোন নিয়েছে ওই কোম্পানী থেকে, তার একমাত্র গ্যারেন্টার মিঃ সায়ন বোস, এ জি এম তারপর ঋকের কোম্পানীর নাম। কাষ্টমার মিসেস রয় লাষ্ট ছ মাস কোনও ইনস্টলমেন্ট দেয় নি। দেয় ঠিকানাতেও কাষ্টমারকে ট্রেস করা যাচ্ছে না। গ্যারেন্টার মিঃ সায়ন বোসকে সুদ সমেত দু কোটি তেইশ লক্ষ টাকা একমাসের মধ্যে দিয়ে দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে এগ্রিমেন্টের একটা জেরক্স – তাতে সায়ন বোসের সইটা ব্রাইটনার দেওয়া আছে। ঋক দরদর করে ঘামতে লাগল। একমাস শুভদীপার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। হঠাৎ ভ্যানিস হয়ে গেছে। ফোন করলে সুললিত কণ্ঠে, ‘দিস ফোন নাম্বার ডাস নট একজিস্ট’। একই সময় থেকে অফিস থেকেও বেপাত্তা। লাষ্ট উইকে রেজিগনেশন লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে। সেটার কপি এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসেও এসে গেছে। ঋক সমস্ত ঘটনাটার মধ্যে একটা ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছে। হ্যাঁ, ওটা ঋক’এরই সই। এর মধ্যে কোনও জালিয়াতি নেই। শুভদীপার সঙ্গে ছমাসের উদ্দাম জীবনের এক দুর্বল মুহূর্তে ঋক ওটা সই করে দিয়েছিল। তবে শুভদীপা দু লাখ টাকার কথা বলেছিল, যেটা ঋকের পক্ষে অ্যাফোর্ডেবল। ঋক নিজেই দিতে পারতো। কিন্তু শুভদীপা ওর কাছ থেকে টাকা নিতে চায় নি। বলেছিল, আমাদের রিলেশানের মধ্যে যেন কখনও টাকার লেনদেন না হয় সায়ন। একটা জ্বালা তল পেট থেকে শুরু হয়ে বুকের মধ্যে বার বার আঘাত করতে লাগলো। না এখন অফিসে থাকা যাবে না। সিন ক্রিয়েট হয়ে যাবে। বঙ্কিমদাকে ফেস করা খুব মুসকিল। ইনডাইরেক্টলি বঙ্কিমদা অনেকবার বারণ করেছিল। ঋক চিঠিটা ব্রিফকেসের মধ্যে ঢুকিয়ে ড্রয়ারে চাবি দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ল। অফিসের গাড়ি না নিয়ে একটা ট্যাক্সিতে উঠল। ড্রাইভারকে বলল প্রিন্সেপ ঘাট। কেন প্রিন্সেপ ঘাট বলল ঋক নিজেও জানে না। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। আকাশের অবস্থা ভাল নয়। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি পড়ছে। এই ওয়েদারে দুপুর দুটোয় প্রিন্সেপ ঘাট প্রায় ফাঁকা। ঋক এটাই চেয়েছিল। অনেক ছোট বেলায় মাম-মাম আর ড্যাডের সঙ্গে এই প্রিন্সেপ ঘাটে এসেছিল। তখন এত ডেকরেটিভ ছিল না। তবে স্মেলটা পাওয়া যায়। ঋক এক প্যাকেট সিগারেট কিনে অনভ্যস্ত হাতে একটা ধরায়। দু তিনটে টান দেবার পর অস্থিরতাটা একটু কমে। তারপর অদ্ভূত ব্যাপার! শুভদীপার ওপর কোনও রাগ বা ঘৃণা আসছে না। বরং একদম বিপরীত। শুভদীপার সঙ্গে মিলনের এক একটা দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে আসছে। বিছানায় শুভদীপার খুব ফেবারিট একটা খেলা ছিল, নখে করে ঋকের পিঠটা আঁচড়ে দেওয়া। রক্তাক্ত না হলে ওর খেলা শেষ হোত না। এখনও গেঞ্জি খুললে ঋকের পিঠে আঁচড়ের দাগ দেখা যাবে। আরও আশ্চর্যের যেটা – শরীরটাও আস্তে আস্তে উত্তেজিত হচ্ছে। না, এবার সত্যিই একজন মনোবিদের কাছে যেতে হবে। কদিন আগে সুদাম আঙ্গেলও ঠারেঠারে এই কথাটা বলছিল। আবার টাকার পরিমাণটার কথা মাথায় আসলে তলপেটের সেই ব্যথাটা ফিরে ফিরে আসছে। একটা শূন্যতা যেন গ্রাস করে নিচ্ছে ওকে। সেই শূন্যতার মধ্যে একটা বড় জিজ্ঞাসা চিহ্ন। ঋকের স্গে এই ব্যাপারটা শেয়ার করার মত কেউ এই গ্রহে নেই। যা করার ওকে একাই করতে হবে। একটা উকিলের সঙ্গে কথা বললে কেমন হয়! ড্যাডকে বলতে পারবে না। সুদাম আঙ্কেলকেও নয়। তাহলে! ঋক এই প্রথমবার বুঝতে পারলো ওর কোনও বন্ধু নেই। একটা পাথর বোঝাই স্টিমার ভোঁ ভোঁ করতে করতে গঙ্গার ওপর দিয়ে বেশ দ্রুত ঋকের চোখের বাইরে চলে গেল।

১০

পরদিন ঋক অফিস গেল না । কাল রাতে ল্যাপটপটা অন করার ইচ্ছে পর্যন্ত করেনি । সকালে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছাও করল না । আটটার সময় রান্নায় মাসি দরজার সামনে এসে জানতে চাইল ও অফিস যাবে কিনা । ঋক কোনও উত্তর দিল না । বেলা এগারোটার সময় হঠাৎ তুলির মেয়ে ঝিমের কথা মনে এল । মেয়েটা ওর কাছ একটা টয় কার চেয়েছিল । তুলির সঙ্গে তাজপুর বিশ্রি ব্যাপারটা হওয়ার পর পুরো ব্যাপারটাই ভুলে মেরে দিয়েছে । ঝিমের কথা মনে আসতেই মনটা বেশ ভাল হয়ে গেল । যেভাবেই হোক ঝিমকে ওর টয় কারটা  পৌঁছে দিতে হবে । আজ বিক্ষিপ্ত ভাবনার দিন । মনকে ডাইভার্ট করার জন্য ঋক ওয়ান বাই ওয়ান তাদের ইনভাইট করতে লাগলো । সত্যি অনেক দিন এই ভাবে নিজের দিকে তাকানো হয়নি । বেলা একটার সময় হঠাৎ এক ঝটকায় উঠে পড়ল । ড্যাড? ড্যাড তো একবারও খোঁজ নিল না ও অফিস গেল না কেন । ড্যাড কি বাড়িতে আছে । মাম মাম বেঁচে থাকলে প্রশ্নে প্রশ্নে অস্থির করে আসল তথ্য টা বার করে নিত । হঠাৎ পেটের যন্ত্রণাটা গলার দিকে উঠে এল। কে যেন দুহাত দিয়ে ওর গলাটা টিপে ধরেছে । একটা ভয়ংকর কান্না সারা শরীর থেকে ফেটে বেরোতে চাইছে । কাঁদতে পারলে ঋক বেঁচে যায় । খুব কাছেই কতগুলো কুকুর চিত্কার করছে । এর মধ্যে ঋক একবার  মোবাইলটা দেখল । না অফিস থেকে কোনও ফোন আসেনি । মোবাইলটা সুইচ অফ করে দিল । একটা ঘোরের মধ্যে ঋক মাম মামের  গলা শুনতে পেল,  ঋক একা একা অত দূরে যেও না। পরিষ্কার মাম-মামের গলা। জায়গাটা ঠিক কোথায় বোঝা যাচ্ছে না। দুটো পাহাড়ের মাঝে একটা ব্রিজ। সাদা রঙের। নীচ দিয়ে একটা নদী বয়ে যাচ্ছে। এই ব্রিজটা ঋক প্রায়ই স্বপ্নে দেখে। খুব চেনা। ব্রিজের ও প্রান্তের রাস্তায় ড্যাড দাঁড়িয়ে আছে। নীচে ঝুঁকে কি যেন দেখছে। ঋক ছোট্ট ছোট্ট পায়ে সেতু বরাবর এগিয়ে যাচ্ছে। পিছনে মাম-মাম চিৎকার করছে, ওগো ছেলেটা একা যাচ্ছে ওকে একটু ধরো – আমি যেতে পারছি না। ড্যাড শুনতেই পেল না। নীচের দিকেই তাকিয়ে আছে। হঠাৎ একটা অজগরের মত ব্রীজটা নড়ে উঠল। মাম-মাম চিৎকার করেই যাচ্ছে। এরপর ব্রীজটা মাঝখান থেকে ভেঙে দু পাহাড়ের গায়ে ঝুলে পড়ল। আর ঋক ছিটকে নীচের নদীতে পড়ে যেতে যেতে দেখল ড্যাড তখনও ব্রিজের নীচের দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখছে।

Tags: , ,

 

 

 




  • খোঁজ করুন




  • আমাদের ফেসবুক পেজ

  • মতামত

    আপনার মন্তব্য লিখুন

    আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।




    Notify me when new comments are added.

    যোগাযোগ


    email:galpersamay@gmail.com

    Your message has been sent. Thank you!

    গল্পের সময় পরিবার
    সমীর
    অগ্নীশ্বর
    দেবাশিস
    চিন্ময়
    পার্থ
    মিতালি
    জাগরণ
    দেবব্রত

    © 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ