রোদটা একটু পড়ে যেতেই মনীষা হাতড়ে হাতড়ে একটা চেয়ার টেনে এনে বসলো দোতলার ঝুল বারান্দাটায়। আগে আগে বেশ অসুবিধা হতো। সন্দীপ তখন সাহায্য করতো। হাত ধরে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসাতো।
মনীষা চোখে দেখতে পায় না। সব সময় চোখে একটা কালো চশমা পরে থাকে। এক এক করে ৩৫টা বছর কেটে গেছে এভাবে। ওর এখন বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই। সন্দীপ ওর থেকে বছর চারেকের বড়।
চেয়ারটা টেনে এনে বসতে না বসতেই শুনতে পেল দূর থেকে মাইকে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের ভরাট গলায় ভেসে আসছে চণ্ডীপাঠের ধ্বনি। বোধহয় কোনো পুজোমণ্ডপে রেকর্ড বাজছে। মাইকে তার ধ্বনি আকাশ বাতাস মুখরিত করে দূর থেকে ভেসে আসছে।
মনীষার খেয়াল হল যে আজ অষ্টমী পুজো। বাতাসে কাশফুলের গন্ধ ভেসে আসছে। চোখে দেখতে না পেলেও মনে তার একটা সুন্দর ছবি গেঁথে আছে সেই ছোটবেলা থেকে। পাড়ায় দুর্গাপূজা হতো। স্কুলে থাকতে থাকতে মনীষা কেবল পালাই পালাই করতো পূজা মণ্ডপের আশপাশে যেখানে মৃৎশিল্পী কি সুন্দরভাবে মায়ের মুখ ফুটিয়ে তুলছে, চোখ আকঁছে। সুন্দর ডাকের সাজ পরাচ্ছে মাকে। গহনা পরাচ্ছে। এসব দেখতে তার কি যে ভাল লাগতো বলার নয়। পড়াশুনো সব তাকে তুলে দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে এই সব দেখতো। নাওয়া-খাওয়া প্রায়ই ভুলে যেত। মা-বাবার বকুনি খেয়ে বাড়ি ফিরে যেত ভারাক্রান্ত মনটা নিয়ে।
ওদের বাড়ির সংলগ্ন মাঠে পুজোমণ্ডপ। হীরকবন্দরের কুনগোলা পাড়ার পুজো বিখ্যাত। ফি বছরই কিছু না কিছু পুরস্কার জুটে যেত এই পুজোমণ্ডপের কপালে। বাবা, কাকা, জ্যেঠা, দাদা ও পাড়াপড়শিরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়তো পুজোর কটা দিন। মা-কাকিমা-জ্যেঠিমা-মাসিমা-পিসামারাও বাদ যেত না। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কটাদিন যে কিভাবে কেটে যেত বোঝাই যেত না।
নবমীর দিন রাতে জলসা হত। মনীষা ভাল গান গাইতে পারতো বলে ওর ডাক পড়তো গান গাওয়ার জন্যে। মনে পড়ে যায় ওর সেই দিনটার কথা। মনীষা তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। বয়স ১৪-১৫ এর কাছাকাছি। দিনকে দিন ভাল গান গাইবার জন্যে প্রায়শই এখানে ওখানে ডাক পায়। বাবা আবার খুব কড়া ধাতের মানুষ ছিলেন। সব জায়গায় যেতে দিতেন না। বাবার ধারণা ছিল এখানে ওখানে গেলে নারীর লজ্জা চলে যাবে। বলতেন, ‘নারীর যদি লজ্জা না রইলো তবে থাকলোটা কি? লজ্জা নারীর ভূষণ’। সেকালের মানুষ। রাশভারি স্বভাব। মুখের ওপর কথা বলার সাহস হতো না কারোর।
সেবারে নবমীর রাতে পাড়ার জলসায় বেশ কয়েকটা গান গেয়েছিল মনীষা। তার গান যে ভাল হয়েছিল পরের দিন সেটা জানান দিয়েছিল সন্দীপদা। সন্দীপদা তার থেকে বছর চারেকের বড়। পড়ে ফকির চাঁদ কলেজে পদার্থবিদ্যায় অনার্স নিয়ে। সব দিক থেকে চৌকস। কি পড়াশুনায় কি খেলাধুলায়। লম্বা চওড়া চেহারা। গায়ের রঙ দুধে আলতার মতো। এককথায় মেয়েদের হৃদয় মোচড়ানো চেহারা। যে কেউ একবার দেখলে প্রেমে পড়ে যাবে।
সন্দীপদা হঠাৎ এসে বলল, ‘খুব ভাল গেয়েছো মনীষা। মন একদম ভরে গেছে। দেখো, তুমি একদিন খুব বড় গায়িকা হয়ে উঠবে।’
সন্দীপদার মুখে প্রশংসা শুনে মনীষার মুখ লজ্জায় রাঙা হয়ে গেছিল। কেমন একটা ভাললাগার আবেশ তৈরি হয়েছিল যে মুখের দিকে তাকাতেই পারছিল না। কোনরকমে বলেছিল, ‘থ্যাক্স সন্দীপদা’, সেই শুরু। বিসর্জনের দিন তো সবাই লাগামছাড়া হয়ে যায়। বাড়ির অনুশাসন তখন কিছুটা শিথিল হয়ে পড়ে। পুজোর কটাদিন সবাইকে ছাড় দিয়ে দেয়।
হীরক বন্দরের বিসর্জন ছিল দেখবার মতো। রাজপথে শোভাযাত্রার সময়ে একপ্রস্থ নাচানাচি, লরিতে গায়ে গা ঠেকানো আর দাপাদাপিতে কখন যে সন্দীপদার মনের কোণে জায়গা করে নিয়েছে বুঝতে পারেনি। বুঝতে পেরেছিল ঠাকুর ভাসানোর সময়ে। বিসর্জনের দিনে রাস্তায় শোভাযাত্রা সেরে সবাই জড়ো হয় গঙ্গার ধারে। গঙ্গাবক্ষে একদফা নৌকোয় ঠাকুর নিয়ে ঘোরাঘুরি হয়। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। গঙ্গাবক্ষে নৌকোয় চেপে মা ভেসে বেড়াচ্ছেন। সঙ্গে ঢাক আর বাদ্যির সুমধুর বাজনা। সেইসঙ্গে চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাই। পাশের মিলিটারি ক্যাম্প থেকে গঙ্গাবক্ষে ফেলা হয় সার্চ লাইটের তীব্র আলো। কোথাও যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। তালে তালে পা মেলানো। গোটা গঙ্গারধারটা তখন আলোয় ভেসে যায়। পাড় থেকে হাজার হাজার মানুষ সে দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে।
সে বছরে মনীষা উঠেছিল নৌকোয়। সন্দীপদাই হাত ধরে তুলে নিয়েছিল। সন্দীপদার হাতের ছোঁয়ায় সারা দেহমন জুড়ে কেমন একটা উষ্ণ স্রোত বয়ে গিয়েছিল। এক অজানা পুলকে বুকটা ঢিপঢিপ করলেও সন্দীপদা পাশে আছে জেনে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছিল। ভাসতে ভাসতে যখন তাদের নৌকোটা মাঝগঙ্গায়, একটা উটকো বখাটে ছেলে নাচতে নাচতে ওকে এক ঠেলা দিতেই সরাসরি গঙ্গায় পড়ে যায় মনীষা। মনীষা সাঁতার জানতো না। ভয়ে চিৎকার করে ওঠে, ‘সন্দীপদা আমায় বাঁচাও , বাঁচাও প্লিজ’।
সন্দীপদা এমনিতে একজন ভালো খেলোয়াড় শুধু নয়, একজন পাক্কা সাঁতারু। ওদের পাড়ায় ‘কল্প-পুকুর’ বলে একটা খুব বড় দীঘি ছিল। এপার ওপার প্রায় দেখা যায় না। সে পুকুরে রোজ সাঁতার কাটতো এক ঘন্টা করে। কালবিলম্ব না করে সন্দীপদা সেদিন মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিল তার প্রিয়তমা মনীষাকে বাঁচানোর জন্যে।
নৌকোয় বাজনা তখন সব থেমে গেছে। সবাই খুব উৎকণ্ঠিত, তটস্থ। অজানা আশংকায় ভীত সন্ত্রস্ত। তবে কিছুক্ষণ চেষ্টার পরে সন্দীপদা ওকে জল থেকে তুলতে পেরেছিল নৌকোয়। ওই ঘটনার পরে চীৎকার চেঁচামেচিতে অন্যান্য নৌকোর বাজনা থেমে গিয়ে ওদের নৌকোর কাছাকাছি চলে এসেছিল। তাই খুব বিপদ ঘটতে পারে নি। ভয় পেয়ে হোক কিংবা গঙ্গার ঠাণ্ডা জলের স্পর্শে, নৌকোয় উঠেই জ্ঞান হারিয়েছিল মনীষা।
জ্ঞান ফেরার পরে দেখে মনীষা সে শুয়ে আছে ডায়মন্ড হারবার সদর হাসপাতালের মহিলা বেডে। মুশকিল হল চোখ মেলে দেখছে সব অন্ধকার। কিন্তু শুনতে পাচ্ছিল সন্দীপদার গলা, বাবার গলা, মায়ের গলা, কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছিল না। জ্ঞান ফিরতেই ডাক্তারবাবু এলেন। তাকে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন। পরে গম্ভীরভাবে বাবা-মাকে জানিয়ে দিলেন মনীষা চোখের দৃষ্টি সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছে। নৌকো থেকে পড়ে গিয়ে অকস্মাৎ মানসিক আঘাতে সে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। কথাটা জানলো যখন মনীষা, তখন তার দু-চোখ বেয়ে বন্যার মত অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়তে লাগলো। পাশে দাঁড়ানো সন্দীপদা তখন শুনিয়েছিল আশ্বাসবাণী, ‘তুমি ভেঙে পড়ো না মনীষা, তোমার সারাজীবনের ভার আমি নিলাম আজ থেকে। যেখানে যত বড় চোখের ডাক্তার আছে সবাইকে দেখাবো তোমায়।’
কথা রেখেছিল সন্দীপদা। তার সাধ্যমত বড় বড় চোখের ডাক্তারবাবুদের দিয়ে দেখিয়েছিল মনীষাকে। প্রত্যেকের এক কথা, ওর চোখের অপটিক নার্ভটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গঙ্গার জলে পড়ে গিয়ে। এই জীবনে আর কোন সুযোগ নেই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার। চোখের রেটিনা, কর্ণিয়া বা স্কেলেরার কোন অসুখ হলে তাকে উচ্চপ্রযুক্তির কল্যাণে সারানো সম্ভব। কিন্তু অপটিক নার্ভ অকেজো হয়ে গেলে তাকে সারিয়ে তোলার করার কোন চিকিৎসা নেই বর্তমানে।
প্রথমটা খুব কষ্ট হতো। স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। সেইসঙ্গে পড়াশুনাটাও। কিন্তু সন্দীপদা হাল ছাড়তে রাজি নয়। তাঁরই জেদাজেদিতে গানের চর্চাটা বজায় রেখেছিল মনীষা। সবচেয়ে খুশির খবর গানের মধ্যে দিয়ে সে তার পথের দিশা পেয়েছিল। ভগবান যখন একটা দিক বন্ধ করে দেন তখন অন্য দিকগুলোও খুলে দেন উজাড় করে। মনীষার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।
সন্দীপদা এই টানা-পোড়েনের মধ্যেও ফকিরচাঁদ কলেজে পদার্থবিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত হয়েছিল। একদিন মনীষার বাবা-মাকে প্রস্তাব দিল যে মনীষাকে সহধর্মীনী করতে চায়। সে এখন ভাল চাকরি করে। মনীষার ভরণপোষণ করতে কোন অসুবিধে হবে না।
সন্দীপদার বাড়ি থেকে আপত্তি উঠেছিল। একটা অন্ধ মেয়েকে নিয়ে কিভাবে সারাটা জীবন। কারোর আপত্তিতে কান না দিয়ে একদিন এক শুভদিনে মনীষাকে বিয়ে করে ফেলল সন্দীপদা। সে হয়ে গেল তার একান্ত নিজের সন্দীপ। ফুলশয্যার রাতে শুনিয়েছিল তার ভালবাসার কথা। ‘যেদিন তোমায় স্কুল ড্রেসে প্রথম দেখি – সেদিনই তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। লাফ কামস্ অ্যাট ফার্স্ট সাইট-এর মতো। তোমার গান শুনে তো প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। উপররন্তু তোমার রূপ-যৌবন ও সুন্দর মন আমাকে অস্থির করে দিত তোমার কাছাকাছি আসার জন্য। যখন তুমি পুজো মণ্ডপে ঘন্টার পর ঘন্টা মায়ের মুর্তির সামনে দাঁড়িয়ে থেকে ঠাকুরগড়া দেখতে তখন বুঝতাম তোমার মধ্যে মা দুর্গার পরশ রয়েছে। তাইতো কোন দ্বিধা বোধ করিনি তোমায় বিয়ে করে ঘরে আনতে। বাইরের রূপটা বড় কথা নয়, অন্তরের রূপই সবচেয়ে বড়। যেটা অনেকের মধ্যে নেই। তোমার মধ্যে আমি তা দেখতে পেয়েছি। ঠিক যেমনটা রবি ঠাকুর তাঁর ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্যের মধ্যে দেখিয়েছিলেন অরূপের মধ্যে রূপের সন্ধান। জীবনের যতগুলো দিন বেঁচে থাকবে ওই অন্তরের দৃষ্টি দিয়ে দেখো। আর আমি তো রইলাম তোমার পাশে সারাজীবনের জন্যে। গান ছাড়বে না। গানই তোমার জীবনের এক বড় আশীর্বাদ।’
তারপর থেকে সন্দীপ মনীষার সব ভার তুলে নিয়েছিল স্বেচ্ছায়। অফিস থেকে ফিরে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, গানের আসরে নিয়ে যাওয়া থেকে সব কাজ করতো হাসিমুখে। মনীষা যখন দুঃখ করে জানাতো, ‘তোমার এত খাটুনি কি সহ্য হবে? অসুখে পড়ে যাবে যে।’
প্রত্যুত্তরে জানিয়েছিল সন্দীপ, ‘মনীষা তোমাকে পেয়েই আমার জীবনের পূর্ণতা এসেছে। তুমি পাশে আছো এটাই আমার কাছে এক বড় পাওনা।’
সন্দীপের ভালোবাসায় তার সংসারজীবনেও পূর্ণতা এসেছে। একে একে ছেলে বুবাই ও মেয়ে সোনাই এসেছে তাদের জীবনে। তারাও মা অন্ত প্রাণ। দৃষ্টিশক্তি হারানো ছাড়া জীবনের সব দিকটাই পূর্ণ হয়ে গেছে। আর যার জন্যে তার জীবনের এই বড়সড় ক্ষতি সেই পাড়ার বখাটে কালু একদিন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটিতে বিরোধী পক্ষের গুলি খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে। মনীষা ভাবে কি মর্মান্তিক পরিণতি কালুর? পাপ বোধহয় কোনদিন বাপকেও ছাড়ে না।
আজ অষ্টমী। সুখ-দুঃখের স্মৃতি রোমন্থনের অবকাশে কখন যে সন্দীপ তার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে টেরও পায়নি। মাথায় সন্দীপের স্নেহের পরশ পেয়ে চমক ভাঙে মনীষার। ‘কি এত ভাবছো’ এই পুজোর দিনে?
‘না, সেরকম কিছু নয়’, জানায় মনীষা। জানো তো আর দুদিন বাদে মায়ের বিসর্জন। সবাই ভাবে মাকে জলে ভাসিয়ে ‘বিজয়া’ রক্ষা হয়ে গেল। বাস্তবিক তা তো নয়, আসলে বিজয়া মানে বিসর্জন নয়, এর অর্থ হ’ল বিশেষভাবে অর্জন করা। পঞ্চমীর বোধনে যে মৃন্ময়ী মায়ের পূজা শুরু হয়, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী পার হয়ে দশমীর দিন সেই মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ী রূপে হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করার অর্থই হল বিশেষ ভাবে অর্জন করা অর্থাৎ বিজয়া বা বিসর্জন। আর হৃদয়ে বিশেষভাবে অর্জনের ফলে ছোট-বড়, মায়েরা-মেয়েরা কেমন বিভেদ ভুলে গিয়ে সিঁদুর খেলায় মাতে। ছোটরা বিসর্জনের পরে বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, সমবয়সীরা পরস্পরে কোলাকুলি করে সব ঝগড়াঝাটি, অশান্তি ভুলে গিয়ে। শত্রু-মিত্র পরস্পর পরস্পরকে আলিঙ্গন করে বিজয়ার মিষ্টি খাওয়ায়। তাইতো মা বছরের এই সময়ে এসে সব অহংভাব মুছিয়ে দেয়, সব অন্যায়কে প্রশমিত করে, সাব রাগ অভিমানের ক্ষেত্রে জল ঢেলে দেয়। চারিদিকে আবালবৃদ্ধবণিতা এক মিলনক্ষেত্র তৈরি করে ও সকলের মধ্যে সদ্ভাব ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এটাই তো এক পরম পাওয়া। এই পাওয়ার মধ্যে দিয়ে সব সময় মনে হয় সত্যসুন্দর শিবের কথা যার স্বরূপ হয়ে তুমি আমার জীবনে এসেছো। সেই সত্যসুন্দর শিবরূপী সন্দীপকে আজ জানাই আমার হৃদয়ের অন্তরস্থলের বিনম্র শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা। আপন মনে গেয়ে ওঠে মনীষা. ‘সখি ভালোবাসা কারে কয়? সে কি কেবলই যাতনাময়?’
Tags: গল্প, ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস, ভালোবাসা কারে কয়
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।