01 Oct

ভাইরাস

লিখেছেন:রামকিশোর ভট্টাচার্য 


একটানা প্রায় ঘন্টা দুয়েক বকবক লোকাল চালানোর পর থামল জনি । একটা মাঝারি অক্সি-ক্যান থেকে এক ফুসফুস অক্সিজেন ইনটেক করল,  এই কোম্পানির অক্সিজেনটা অনেক ফ্রেস।   ঠিক যেন হাজার বছর আগের ভোরবেলার অক্সিজেন । এই ব্র্যান্ডটাই ব্যবহার করে  জনি । তাই এই সতেরতেও বেশ ইয়াংই আছে জনি।

জনি রয়।  বিখ্যাত রয় অ্যান্ড  রয় কোম্পানির মালিক মিস্টার টনি রয়ের ক্লোন । ক্লোন হলেও জনার ব্রেন অনেক শার্প।   আর তাই এই মৃত বঙ্গোপসাগরের ওপর গড়ে ওঠা দুশো বছরের পুরনো কোম্পানির মালিক কাম ডিরেক্টর জনিকেই মেনে নিয়েছেন ,  মারা যাবার আগে টনি । এই কোম্পানির রোবট এখন চারটে গ্যালাক্সির প্রায় সাতশো ব‌ত্রিশটা প্লানেটে  সাপ্লাই হয় ।

সামনের বড় স্ক্রিনটার দিকে চোখ রাখে জনি। মাইন্ড-স্ক্রীন । এটা টনির বাবা সুরেশ রয়ের ব্রেইন চাইল্ড হলেও জনিই এটাকে অনেক ডেভলপ করেছে।   আর তাই বহু গ্রহেই জনির রোবটের চাহিদা অনেক বেশি।

বকবক লোকাল চালানোর সময় জনি একটা কবিতা বলেছিল,  সামনে মাইন্ড-স্ক্রিনে তারই ছবি ফুটে উঠেছে— কবিতার ছবি,   সভ্যতা দুলছে দোলক।  অস্থির সূর্য হেঁটে চলেছে পূর্বপ্রেম থেকে পশ্চিমে প্রেমে….

‘প্রেম’  নামক কেমিক্যালটা সম্প্রতি মিউজিয়ম থেকে সংগ্রহ করেছে জনি। তাও মাত্র তিনশো বছরের পুরোনো। অনেক ডাইলিউট।

হাজার বছরের পুরোনো কেমিক্যালটার মতো ঘন নয়।  তাই এটা ওটা ব্রেনে ব্যবহার করে কিছুটা অন্যরকম ফিলিং হলেও,  হাজার বছরের পুরোনো হলে আরো আবেগঘন হতে পারত।  ‘আবেগ’ শব্দটা সাউন্ড মিউজিয়াম থেকে হঠাৎ একদিন পেয়েছে জনি আর তারপর থেকেই কেমন সুরে কথা বলতে ইচ্ছে করে তার।

এবার পথকে ডাকে জনি।   পথ জনির বন্ধু ।বহুদিন আগের জনির যখন যৌবন অর্থাৎ ন-দশবছর বছর তখন এক অন্ধকার মধ্যদিনে একটা আলো এনে দিয়েছিল, আলোহারি দোকান থেকে।    রংটা ছিল বেগুনি।  সেই আলো চোখে পড়তেই কেমন একটা নেশা নেশা ভাব এসেছিল।  ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল মাথাটা। মাইন্ড স্ক্রীনটায় ভাবনার ছবিগুলো আবছা হয়ে গিয়েছিল।  সেই থেকে পথ জনির একা সময়ের বন্ধু।    তার এই সতেরো বছরের প্রৌ‌‌ঢ় জীবনে পথের সঙ্গে তার পথিক সম্পর্ক।  আর তো মাত্র সাত আটবছর তার পরেই নিজের একটা ক্লোন রেখে চলে যেতে হবে জনিকে।  শুনেছে বহুদিন আগে মানুষ বাঁচত একশো বছরেরও বেশি।  এখন ?  মনে মনে হাসে জনি—— পঁচিশ  বছর‌ই পার হয় না।  বার্ধক্য গ্রাস করে ।

আজ পথ এল অর্ধবৃত্তাকারে।  দেখে অবাক হয় জনি। আট বছরের পরিচয়।  পথের এরকম রূপ দেখেনি জনি।  দেখে মনে একটা জার্ক লাগে।   তবে কি পথ হারানোর এখান থেকেই শুরু।   সোজা পথটা কি শুধুই ধাঁধা।   সামনে মাইন্ড স্ক্রিনে পুরনো সুরের একটা ভাইরাস
সামনে মাইন্ড স্ক্রিনে পুরনো সুরের  একটা ভাইরাস বিপ্  বিপ্ করছে,  এটা ব্রেন কোষে ঢুকলো কি করে ! ভ্রূ কুঁচকে পথকে বলে—-

— তোমার এই আধখানা চাঁদ আকার কেন ?

–কাল বিপ্লবের সঙ্গে গিয়েছিলাম, ব্ল্যাক হোলে।  এটা নতুন মহাকাল জোনের একটা। কী ভীষণ তাপ । আকার বলে কিছুই থাকছিল না।  শেষে  গড়িয়ে গেলাম মিল্কি পথের দিকে। আমার পুরোনো বান্ধবী । আদর আর  আভায় কিছুক্ষণ থাকার পর এই আকার ।  তোমার অসুবিধা হবে না । সোজা পথের ধাঁধাটা গেল কেটে ।

সামনের মাইন্ড স্ক্রিনে জনি দ্যাখে আর ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যেই তার খিদে পাবে। খিদে  আসে।  বেশ মন কাঁপানো খিদে। রুবু  জনির অনেকদিনের রোবট ওর হাতেই জনির জন্ম ।জনির ইচ্ছে ওর ক্লোনটির  জন্মও রুবুর হাতেই হোক । রুবু জানে জনির  কখন খিদে পাবে।  তাই চারটে মিডিয়াম সামার টোস্ট অর্থাৎ মোটা মোটা আলুর পিস রোদে সেঁকে নিয়ে কিছুটা সামার সল্ট আর ক্রিম দিয়ে সঙ্গে এক কাপ জুসি । এই জুসিটা রুবু নিজে বানায়।  গ্রীনগ্রাস আর কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে স্কাই ব্লু মিশিয়ে ।  বেশ টেস্টি হয় । আসলে জনি খেতে ভালোবাসে।  আর তাই তার বান্ধবী থই  ওকে পেটুক বলে ।

পেটুক শব্দটা যে থই কোথা থেকে সংগ্রহ করলো কিছুতেই বলে না।  জিজ্ঞাসা করলে বলে,  ওটা শুধু তোমার জন্যে খুঁজে পেয়েছি ।ব্রেনের মধ্যেই ছিল।  জনি থই-এর মাইন্ড স্ক্রীন দেখেছে।  ওখানে অনেক শব্দ স্টোর করা আছে একটা হিডেন সেলে।   থইকে দেখলে জনির কেমন একটা অনুভুতি হয়।  ভেতর থেকে সব এলোমেলো হয়ে যায়।  একটা কোষ রিন রিন হয় ব্রেনে,   ‘তোমার ছোঁয়ায় নক্ষত্র বেজে ওঠে জোছনা রাগে। / তুমি প্লুতরেণু অকাল যাত্রায়।  ঠোঁটে ঠোঁট গলে যাই।  রমণে এসো কোকিলকণ্ঠী নদী।’

ওয়ার্ড মিউজিয়মে শুনেছে তিনশো বছর আগেও এগুলোকে কবিতা বলা হত।  এখনও পৃথিবীর কিছু প্রজাতি এই ভাবেই কথা বলে। তারা কেউ ক্লোন নয়।  তাদের নাকি গর্ভে শিশু জন্মায়।  সরকার তাদের লুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসেবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।  দু-একবার থই তাকে শরীরে শরীরে যৌন ক্রিয়া করতে বলেছিল।   কিন্তু সে বড় যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। তাছাড়া এটা নিষিদ্ধ নিয়ম ।

কোকিলকন্ঠি নদী,  নদী কোনদিন দ্যাখেনি জনি,  মাচুপিচুর একটা সেমিনারে শুনেছিল পৃথিবীতে একসময় প্রচুর নদী ছিল।  আর সেগুলিই ছিল বৃষ্টির উৎস।   এখন তো সমুদ্রই প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।

জনির খুব ইচ্ছে করে একটা নদী বানাবে ।একবার থইকে  ডেকে বলেছিল—-

— একটা নদী বানালে কেমন হয়? এই দশ-বারো ফুট নদী ?

— কেন নদী কি হবে ?

–ভাটিয়ালি বাজাব। শব্দ টা সেদিন মাচুপিচুর সেমিনারে শুনলাম।

—কোথায় করবে ?

–আমার আন্ডারগ্রাউন্ড বাগানে।

— কিন্তু জল তো এখন কুড়ি হাজার টাকা লিটার।  তবে এক্স গ্রহের জলটা সস্তা –দশহাজার টাকা লিটার

— তা হোক বানাবো

ইচ্ছে থাকলেও তা হয়নি । সরকার অ্যালাও  করেনি। জল ওয়েস্টেজ এখন ক্রিমিনাল অফেন্স ।

বাইরে টেম্পারেচার সাতাশি  ডিগ্রি সেলসিয়াস ।এই সময়টাতে এরকমই থাকে ।  তবে শীতের মাসে এটা যখন চল্লিশ -বিয়াল্লিশ  নামে তখন জনির খুব আনন্দ হয়।   এই জ্যাকেট-ট্যাকেট আর পরতে হয় না,   জানলার ধারে এগিয়ে গেল জনি।   বন্ধ জানলার কাঁচের মধ্যে দিয়ে বাইরে তাকাল।  ঘরের ভেতর টেম্পারেচার মাত্র পঞ্চাশ।   নর্মাল।     অথচ বাইরে কি ভীষণ অবস্থা।   মগজ এর ভেতর কেমন একটা অনুতাপ শুরু হল ।  সামনের পর্দার উপর দেখল অনু আর  তাপ ভেঙে নতুন একটা কিছু তৈরি হতে যাচ্ছে।

আজ একবার বাইরে যেতেই হবে।   এক্স গ্রহের রিজার্ভেশন করতে পারমিট নিতে হবে ।এক্স জনির প্রিয় জায়গা।  সমস্ত মাটি কেমন ভেজা ভেজা থাকে ।  ওখানকার মানুষগুলো এখনো পাঁচশো বছরের পুরনো পৃথিবীর মানুষের মতো ।ওখানে গেলেই ব্রেনের ডরম্যান্ট সেলগুলো কেমন জেগে ওঠে ।  মাইন্ড স্ক্রিনের কবিতার ছবি ফুটে ওঠে—– ‘মনে হাত ডোবাই চলো।    খুব শান্তি পাবে/ মগজে চোখ রাখি বয়ে যাবে দৃষ্টি স্রোত।’

কেমন যেন ভিজে যায় মগজটা। মনটা টলমল করে ওঠে।  থই বলে ——

— এসময় মনে নাকি একটা নৌকা ছেড়ে দিলে ভাটিয়ালি নাচ দেখা যাবে মাইন্ড স্ক্রিনে।

কোল্ড জ্যাকেটটা পরে নেয় জনি। ফুসফুসে এক ক্যান অক্সিজেন ভরে নেয়।  আবার সামনে তাকায় ।  জানালা দিয়ে দ্যাখে।   হঠাৎ গ্রীন আলো ছড়িয়ে পড়েছে একটা জায়গায়।   চারটে লোক সবুজ হয়ে যাচ্ছে ,  পাল্টে যাচ্ছে তাদের আকৃতিও।   এবার হলুদ হবার পালা।   চারটে লোক দিগন্তে সাজিয়ে রাখা দিন এবার ছুঁয়ে ফেলবে।  এই তো হলুদ হয়ে গেল ।   তারপর ঝুরঝুর ছাইয়ের মতো ঝরে গেল ।  এভাবেই শেষ হয়ে যায় মানুষের ক্লোন জীবন। পঁচিশ ত্রিশ বছরের জীবন ।

জনি নেমে আসে ওপরের ফ্ল্যাট থেকে। লংশটে একবার সামনের দিকে দ্যাখে।  গত আড়াই বছর ন্যাচারাল বৃষ্টি হয়নি।   এবার বৃষ্টির জন্য জোন ভাগ করা হয়েছে।  জনি যে জোনে থাকে সেখানে আজই বৃষ্টি হবার কথা।  দুটো ফ্লাটের  মাঝে আটফুটের আকাশ।  বেশ কালচে হয়েছে। এখন টাইম আছে একঘন্টা। দেখতে দেখতে ফ্লাইং ডিস এসে গেল।   ওই আট ফুট  বেয়ে।  জনি  চেপে বসে।

অথবার সংসারে মোট তিনজন লোক।  অথবা তার মা আর দিদিমা। অথবা  মা দিদিমার ক্লোন , অথবা তার মা নেহার ক্লোন।  অথবার মা একটা হট এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মালিক।  বহু- গ্যালাক্সিতে কিছু গ্রহ আছে আইস এজ চলছে।  সেখানে পৃথিবী থেকে হট এক্সচেঞ্জ করে এখানে ঠান্ডা টেম্পারেচার আনেন।  বাড়ি বাড়ি সাপ্লাই দেন।   অথবার বাবা এক্সগ্রহে থাকেন।  অথবা জনিকে পছন্দ করে । কিন্তু মাঝখানে থই একবার খুব হল্লা করেছিল বলে,  জনিকে কিছু বলতে পারে না।

তবে থই না হয় জনিকে একটু বেশি ফেবার করে তাতে হলটা কি।  অথবাও করতে পারে। মেন্টাল সেক্স ব্যাপারটা নিয়ে এত ঝামেলা কিসের। এখন তো আর  ফিজিক্যাল সেক্স ব্যাপারটা নেই।  সরকারি নির্দেশে বন্ধ।  তবু গোপনে থই  জনির সঙ্গে তা করতে গিয়ে জনি যন্ত্রণা পেয়েছে।  মাইন্ড স্ক্রিনে তার একটা শ্যাডো দেখেছে অথবা।

জনি এসে ঘরে ঢোকে।  অথবা জনির অফিস- সেক্রেটারী। জনির কি হয় যেন,  অথবাকে দেখে বলে ওঠে — ‘এই গ্রহের জীবন বড় উপমাবিহীন। কোন ঝংকার নেই, সুরযাপন নেই ।  চলো আমরা এক্সেই যাই ।’

জনির এই অবস্থার কারণটা অথবা বুঝল।  এসবই এক্সের প্রভাব।  এক্স এখনো  পুরনো পৃথিবীর মতোই প্রায় সবকিছু।  অথবা ওখানে একটা   গাছের ফুল  দেখে ভেবেছিল গাছে আগুন লেগেছে।  অথবার পালক বাবা লাগিয়েছিলেন হর্টি মিউজিয়াম থেকে এনে।  তিনিই বলেছিলেন ওটা কৃষ্ণচূড়া । পৃথিবীতে আগে অনেক ছিল।  ওখানে একবার ন্যাচারাল বৃষ্টিতে খুব ভিজেছিল অথবা তার জনি।  জনির মন গুনগুন করছিল।  কী সব হৃদয় নাচার কথা বলছিল।  কিন্তু হৃদয় ব্যাপারটাই অথবা বোঝেনি ।  কেমন দেখতে,   তার আবার নাচ !জনির মগজ যে কত ভাইরাসে ভর্তি । অথচ অথবার পালক বাবা জনিকে এইজন্যই পছন্দ করেন । অথবাও দ্যাখে এই সতেরো  বছরের প্রৌঢ়  জীবনে জনির মধ্যে কেমন আট ন বছরের যৌবন টগবগ করছে।

একদিন হাইজোন থেকে ফ্লাইং ট্যাক্সিতে বাড়ি ফিরছিল অথবা । মাসটা বাসন্তী।  বাইরে টেম্পারেচার বিয়াল্লিশ  – তেতাল্লিশ ডিগ্রী। জনি ফিরছিল ফ্লাইং ডিস্কে।  থই ছিলো সঙ্গে। অথবাকে দেখিয়ে দেখিয়ে জড়িয়ে ধরছিল বারবার থই।   জনি এটা মোটেই পছন্দ করছিল না।  আর তাই হঠাৎ ডিস থামিয়ে নেমে গিয়েছিল জনি।  থই ব্যাপারটার জন্য প্রস্তুত ছিল না।  অথবা তার ফ্লাইং ট্যাক্সি নিয়ে উড়ে গিয়েছিল।  যেন কিছুই দেখেনি ।

রিংরিং সামনে প্রজাপতিটা পাখা নাড়ছে।  কল এসেছে।  সিঞ্চন গ্যালাক্সি থেকে কল।  জেড জেড গ্রহে কিছু রোবট আনন্যাচারাল বিহেভ করছে।   কিছু ক্লোনড মানুষও ভাইরাসে আক্রান্ত। জনি অথবাকে বলে—– রেডী ? এক্ষুনি জেড জেড– এ যেতে হবে।  তবে আইবল দুটো বদলে নাও।   আমার জন্য দুটো হাই পাওয়ার আইবল দাও।   কিছু এক্সট্রা অক্সি ক্যান নিয়ে নিয়ো।

মাধ্যাকর্ষ ছাড়তেই স্পেস কার সামনের ওজোন পর্দার ফাঁক দিয়ে হুস করে বেরিয়ে গেল।   কিছুদূর যেতেই সামনে স্পেস স্টেশন।  স্পেসা অর্থাৎ অন্য গ্রহে থাকার অনুমতি নিতে হবে ।জনি অথবাকে বলে—

— ডিউটি ফ্রি  জোন থেকে কয়েকটা এক্স মার্কা অক্সি – ক্যান  নিয়ে নাও।  আমি স্পেসাটা করিয়ে আনি।

ফরম্যালিটিস শেষ করে পৃথিবীর হিসেবে একদিন হলেও স্পেস হিসেবে কয়েক সেকেন্ড লাগল।  আবার স্পেস কারে ছুটল জেড জেডের দিকে।  একটু একটু করে সামনে ফুটে উঠেছে জেড জেড– এর ছবি ।

জেড জেড।  রোবোদের বসিয়ে রাখা হয়েছে একটা চেম্বারে। ক্লোনডদের আরেকটায়।  একটা রোবো একটা ক্লোনড মেয়েকে ডাকছে হাত নেড়ে।  জনি সামনে দাঁড়ায়।  একটু অবাক হয় ।সামথিং হ্যাজ হ্যাপেন্ড । এটা যে ভাইরাস তাতে সন্দেহ নেই ।  কিন্তু এলো কি করে।  ভাবতে থাকে জনি। দূরে থ‌ই দাঁড়িয়ে।  ও এখানে?  তার মানে এটা ওরই কাজ? জনি এগিয়ে যায় থই এর দিকে। থ‌ই হাসছে।    ওর আই বলটা একটু অন্যরকম লাগছে ।  জনি এবার তাকায় অথবার দিকে।  ওর দিকে একদৃষ্টে দেখছে।  জনি অথবাকে বলে চেম্বারের দরজাগুলো খুলে দিতে।  রোবোরা বেরিয়ে আসে,  ক্লোন মানুষগুলোও।    বাইরে খুব ন্যাচারাল বৃষ্টি হচ্ছে।  থার্মোস্টিকারে টেম্পারেচার মাত্র পঁচিশ  ডিগ্রি ।  থ‌ই- অথবা , অথবা -থই।  মাথার মধ্যে কিছু একটা হচ্ছে।  থই এগিয়ে আসছে জনির দিকে।  অথবা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে জনির মনের দিকে।   জনির মন যেন টলমল করছে ।জনির পাওয়ারফুল আইবলের সামনে রোবটগুলো জেন্ডার অনুযায়ী বৃষ্টিতে ভিজে কেমন মানুষের মতো হয়ে যাচ্ছে।   জনি খুলে ফ্যালে পৃথিবীর ভারী জ্যাকেট।   ওরা সবাই এখন পুরোনো পৃথিবীর মানুষের মতো আচরণ করছে।   সামনে মাইন্ড স্ক্রিনে শুধু আনন্দের ছবি। এ এক নতুন ভাইরাস।

 

[বানানবিধি/মতামত লেখকের নিজস্ব]  

Tags: , ,

 

 

 




  • খোঁজ করুন




  • আমাদের ফেসবুক পেজ

  • মতামত

    আপনার মন্তব্য লিখুন

    আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।




    Notify me when new comments are added.

    যোগাযোগ


    email:galpersamay@gmail.com

    Your message has been sent. Thank you!

    গল্পের সময় পরিবার
    সমীর
    অগ্নীশ্বর
    দেবাশিস
    চিন্ময়
    পার্থ
    মিতালি
    জাগরণ
    দেবব্রত

    © 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ