দিনগুলি বৃষ্টির মতই ফোঁটাফোঁটা গলেগলে পড়ে গেলো। বাদলের মেঘ- ঘন আকাশ। পিঁপড়েগুলো। সাদা ডানায় পরি হলো। মুঠো থেকে পড়ে গেলো পাতা ঝরার বয়স। আর্যর কতোক পাতা মিশে গেছে মাটির মধ্যে। কতোক পুড়ে গেছে। কতোক আদপোড়া হয়ে নিভে গেছে।
তারপর?
কলমি শাকের বিছানা। পটলের বালিশ। স্নানযাত্রা। অরোনা …
ছুটির দিনে আর্য যখন ঘরের কৌটো-বাওটা ম্যাগাজিন পুরানো কাগজ ছেড়া বস্তা ধরে টানা হেঁচড়া করছিলো তখন একটা ইঁদুর কামড়ে দিয়েছিলো ওর আঙুলে।
একটা খাঁচা কিনেছিলো আর্য। আর ইঁদুর কলে ধরা পড়েছে একটা ধেড়ে। যন্ত্রটার মধ্যে আলু খেতে গিয়ে মরণজ্বালা। হজম হবে, না পাঁচফোড়ন হবে ও জানেনা।
খাঁচার দিকে তাকিয়ে আর্য বলেছিলো অফিস থেকে ফিরি তারপর তোর ব্যবস্থা হবে। ইঁদুর বলেছিলো তোমায় চিনি। বছর খানেক আগে ট্রেন কমপার্টমেন্টে দেখেছি। ইঁদুর ভাবে যতক্ষণ বেঁচে আছি জীবনটাকে উপভোগ করতে অসুবিধা কোথায়? বন্দী জীবন মানে পরমায়ু শুকিয়ে যাওয়া। অমন পুতনা রাক্ষসী যার কিনা ধেড়ে গতর তার বুকের দুধ সাবাড় মানে পরমায়ুও সাবাড়। মানে শক্ত মাটিটাই শ্যাওলা, হড়কালেই পাতাল।
খাঁচার পাশে একটা আয়না। রোদুরে ঝলসাহে একটা শানিত তরোয়াল। ইঁদুর ভাবে এখন সময়টা আলাদা। কমজোরি হলে ব্যাটারি লাগিয়ে টোটোর মতো জোর বাড়িয়ে দেওয়া যায়।
একবার ট্রেনে যাত্রা করছিলো সে। একজন হকার প্লাসটিকের ফোঁদল, ন্যাপথলিন, চা ছাকনি, মান্থলি কার্ড, সেফটিফিন, রেশনকার্ড, এ টি এমের কভার বিক্রি করছে। তাকে আর এক হকার বলছে বাসি-পচা বেচিসনি। বেচলে টাটাকা বেচ।
জানলার ধারে একটি লোক পাশের ছোকরাটিকে বলছে ভিক্ষা শব্দটি এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। হেল্প হয়েছে। এগুলো টেকনিক। টেকনিক মানে টপকে যাওয়া। কাষ্টমার তৈরি করতে গেলে মজা করো। তাহলে মানুষের মাথা থেকে রস গড়িয়ে পড়বে। এরপর বললো তোমার এমনও মনে হতে পারে এখন বেঁচে থাকার যে ছবি সেটা পৃথিবীর মাঠে একটা উনুন পেতে রান্না করা। ঝড়ে জলে নিভে গেলে আবার কাঠকুঠোকে জ্বালাতে হবে।
লোকটি বললো তোমার মতই একটা ছোকরা— সাইকেল গ্যারেজে একটি মেয়ের দিকে তাকিয়েছিলো। এই দেখে আর একজন ছোকরা ওই ছেলেটির কানের কাছে মুখ রেখে বললো মেয়েটার ভোটার কার্ড দেখে ওর বয়সটা জেনে নে। লোকটা লম্বা একটা হাইতুলে বললো মেয়েটি একদিন মা হবে। ছোকরাটি বাবা। আর্য বললো তা না হয় হলো – কিন্তু আপনাকে তো গল্পটাকে বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।
জানলার ধারে লোকটিকে খুব বিমর্ষ মনে হলো। মনে হলো বস্তিতে টাইম কলের কেরোসিনের রেশনের লাইনে রাখা ভাঙা ইটের টুকরোটা গায়েব। পাঁচের পর ছ’নম্বরে ছিলো নিশানা। সবারটা ঠিকঠিক আছে শুধু ওরটাই নেই। লোকটি বললো একটা গল্প তৈরি করা মানে বুকের কথাগুলো আটকে যাওয়া।
আর্য বললো কি ভাগ্যিস আপনি বলেননি একটা নদী পাহাড় থেকে মোহনায় যেতে কতো মাটিকে সমুদ্রে নিয়ে যায়।
লোকটি বললো একটা গল্প মানে পাথর চাপা গুহায় নিজেকে নির্মাণ। যদি মুক্তি পায় তবেই রচনাটি আলোর মুখ দেখবে। লোকটি গল্প বলা শুরু করল। গ্যারেজে ছেলেটির অমন আগ্রাসী জঙ্গি চোখের দিকে তাকিয়ে মেয়েটির মুখে হাল্কা হাসি ছড়িয়ে পড়েছিলো। এমন একটা হাসি দেখতেই পৃথিবীতে আসা। মৈনাকের বুকের মধ্যে যে ছায়াছায়া জমানো অন্ধকার ছিলো মেয়েটির চোখের ইশারায় সরে গেলো। গ্যারেজ থেকে ওরা দুজন উঠে এলো রাস্তায়। রাস্তার দু’দিকে শিরীষ, অশ্বথ, ঝাউ, কদম, কৃষ্ণচূড়া গাছের ছায়া।।
মেয়েটি বললো ওভাবে কি দেখছিলেন ?
আমি নিজেকে আঁকছিলুম। মেয়েটি বললো সেটা কেমন? মৈনাক বললো তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হলো একটা মরুভূমির উপর দাঁড়িয়ে আছি। মাথার ওপর জলভরা মেঘ। মেঘের নীচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ঝাঁকঝাঁক পাখি। দেখছিলুম তুমি সেই জলের পাখি— মেঘের পাখি। মেয়েটি বললো পাখির ডানা জলে ভিজে গেলে অতখানি মরুভূমি পার হবে কিভাবে? মৈনাক বললো ধরো সে পাখির মেঘের ভিতরেই বাড়িঘর। জীবনের শূন্যতা দিয়ে এমন ভালবাসা আঁকা যেতেই পারে। মেয়েটি বললো ও মরুভূমিতে যদি জল জমে আমি কাগজের নৌকো ভাসাবো।
মৈনাক বললো তুমি বিকালের কনে দেখা আলো। প্রাচীন শহর। সবুজ গ্রাম। বহু পুরাতন আমার দেশ।
মেয়েটি বললো গোধূলির পর সন্ধ্যা নামবে। তারপর অন্ধকার। তোমাকে কোথায় খুঁজবো? মৈনাক বললো একবার পাওয়া হয়ে গেলে আবার খুঁজবে কেন? তখন কেউ কাউকে ছেড়ে দূরে থাকবেনা।।
মেয়েটি বললো কোন দিকে যাবেন, আপ না ডাউন? যেতে যেতে বললো আপনি যখন তাকিয়েছিলেন তখন মনে হচ্ছিলো কি আছে আমার? না রূপ না গুণ। ভাবছিলাম আমাকে দেখার জন্য কারো এতখানি সময় লাগে ? দেখছিলুম তোমার চোখের ভিতর কত কান্নার জল।
আমি কি কাদছিলুম? কই এখনও পর্যন্ত আমি কেঁদেছি বলে নিজেই জানিনা। মৈনাক বললো মানুষের চোখ দুটো হলো তার কবিতা। আর কবিতা হলো একটি মানুষের ভালাবাসা।
তেমন কোন ভালবাসার কবিতা লিখেছেন? মৈনাক বললো আমি একজন দুর্বল মানুষ। মহৎ কবিরাও। প্রেমকে আঁকতে পারেনি। লোকটির রসায়নে এবার আগুন জ্বলে উঠলো। বললো গল্পটাকে বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া একটা উপন্যাসের ঘরানা। ছোটগল্পে বিষয়টা জীবনের স্বীকৃতি পর্যন্ত যেতে পারে। গল্পের মন মেঘেদের ঘরবাড়ি। পাঁচিল নেই।
মেয়েটি বললো আপনি নিশ্চই হাওড়া। আমি পাঁচটা স্টেশন। শ্রীরামপুর নেমে যাবো। মৈনাক বললো যদি বলো আমিও নামতে পারি। আজকে নাহয় অফিস যাবো না। মেয়েটি বললো আমি এতোটা আশা করতে পারিনি। তারপর খুব দুঃখের গলায় বললো এই যে হাতটা বাড়িয়েছেন, আমার সবটা শুনলে নামিয়ে নেবেন। মৈনাক বললো মনে একবার রঙ ধরে গেলে তাকে মুছে ফেলা যায় না। মেয়েটি বললো আপনার হাতখানি ছোঁয়ার কোন যোগ্যতাই আমার নেই। মৈনাক বললো যখন তুমি গ্যারেজের মধ্যে ইশারা করলে তখনই তুমি দুহাত দিয়ে আলিঙ্গন করলে আমায়। মেয়েটি বললো আমার সারা শরীরে যন্ত্রণা। কালিময় ঢাকা। অতৃপ্ত বিকার তামাটে মনোরোগীদের জন্য আমি একটা খেলনা পুতুল। সৌভাগ্যের জীবন আমার নয়। তাছাড়া দু’জনে যখন দু’জনকে সবটা জেনে যাবো তখন একটা গেরো পড়বে। আর খোলা যাবে না। তারপর হঠাৎই দৌড়। মুহূর্তেই উধাও হয়ে গেল সে।
দুবছর তিন বছর হয়ে গেলো মেয়েটির সঙ্গে দেখা নেই। ওকি জলে ডুবে গেছে না পাচারকারিদের খপ্পরে… মেয়েটি নিজের কাছে খুব সৎ। ওর দিনের কথা রাতের কথা এক। মেয়েটি জানে ঘৃণার জীবন হলো। নিজের অপমান। ওর কথা মনে হলে চোখের সামনে অন্ধকার নামে। মেয়েটির নাম কি অপর্ণা? ওর নিরুদ্দেশের কথা কারো কাছে জানতে চায়নি মৈনাক। বুকফাটা সে এক কষ্ট। জানতে চাইলে যদি হিতে বিপরীত হয়ে যায়। যদিও এই তল্লাটে দু’তিন বছরে কোন খুন, ডুবে যাওয়া বা আত্মহত্যার ঘটনা শোনেনি। তবে বাইরে যদি কিছু ঘটে থাকে? সে কথা ভেবে ওর শরীরটা শীত শীত করে।
যুবকটি লোকটিকে বললো আমাদের অফিসের ইন্দ্রনীলবাবু নিজের চেম্বারে কাজ করতে করতে কাদেন। মাঝে মাঝে নিজের গালে চড় মারে আর বলে বিয়ে করে কি ভুল করেছি।
আর্য বললো আমি একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলুম আপনারা একই বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন। ইন্দ্রবাবু বলেছিলেন কাচের বাসন ফেটে গেলে থাকেনা। আমাদের সম্পর্কটা ওইরকম। ফাটা প্লেটটা বসানো আছে। বলেছিলো একটা ঘরে দুটো খাট। দুটো আলমারি। একটা ওর একটা আমার। রান্নাঘরে দুটো ওভেন। হাঁড়ি কড়া খুন্তি থালা বাসন যে যার। বাড়িতে যে মেয়েটা কাজ করে সে দু’জনের আলাদা রান্না করে। তার মাইনের অর্ধেক টাকা আমি দিই অর্ধেক ও দেয়।
আমার জ্বর সর্দি কাশি নিমোনিয়া টাইফয়েড ডাইরিয়া হলে ও ফিরেও তাকায় না। আর্য বললো আমি ইন্দ্রবাবুকে বলেছিলুম মিসেস দত্তর যদি কিছু হয় আপনিও কি ওনার আয়না মুখ দেখবেন?
উনি বললেন বছর খানেক আগে ওর জনডিস হয়েছিলো। খুব বাড়াবাড়ি। কাজের মেয়েটি রাত্রে থাকছে। আমি একবার গিয়েছিলুম। আমাকে দেখে চিৎকার করে বলে উঠলো এখানে কি দরকার?
আমি বলেছিলুম এতোটা ঘেন্না!
ও বলেছিলো আমরা কেউ কাউকে কোথাও নমিনি করিনি। শুধুশুধু চোঁয়া ঢেকুরের দরকার আছে কি?
ওকে বলেছিলাম আমার হতভাগ্যের জীবন। মলি বলেছিলো বিসর্গর জোড়া চাঁদ তবে জ্যোৎস্না নেই। তারপর হঠাৎই ইন্দ্রনীলবাবু হাতটা চেপে বলে উঠলো আর্য তুই যেন বিয়ে করিসনি। ওনার কথায় আমি ভয়। পেয়ে যাই। তারপর ইন্দ্রবাবুকে দেখলেই একটা ভয়ের ছবি ভেসে উঠতো মনে। আর অরোনার ভালবাসা। থেকে একটু একটু করে মনটা সরে যেত। যৌবনের ছলাৎ নদীটা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে থাকলো। অফিস। থেকে ফিরে আমিও নিস্পৃহ একটি মানুষের মত নিশ্বাস ফেলতুম ঘরে।
লোকটি আর্যকে জিজ্ঞাসা করেছিলো তোমার পরিবর্তন দেখে অরোনা কিছু বলেনি? আর্য বলেছিলো অরোনা আধুনিক মেয়ে। সে তাদের ভালবাসার ভিতর আর একজনের মাতব্বরি মানবে কেন? আর্য বললো। প্রথম দিকে যখন ইন্দ্রনীলদার কথা বলতুম ও বলতো লোকটাকে দেখলে মনে হয় শ্যামবাজারের শশীবাবু পরে বলেছিলো পোড়া মুড়ি। সেদিন বললো ওদের সমস্যাটা আমাদের জীবনে একটা পাঁচিল তুলেছে। বলেছিলো ওরা দুজনে ভালো পোস্টে সরকারি চাকরি করে। তবে ইন্দ্রনীলবাবু ভেতরে একজন অসুর। আর মলি বউদি পাকা চোর। ওদের খুব অহঙ্কার। দু’জনেই পচা শিকড়ের গাছ।
আর্য লোকটিকে বললো যখন চাকরি পাইনি কি তীব্র টান ছিলো আমাদের। খুব কাছে আসা চাই। মোমের মত নরম ওর শরীর। একদিন অরোনা জানতে চেয়েছিলো তোমাদের ইন্দ্রনীলবাবু কেমন পুরুষ মানুষ? যে নিজের অক্ষমতা অযোগ্যতাকে অপরের কাধে তুলে দেয়? আর্য বলেছিলো ওসব কথা থাকা। ফোঁস করে উঠেছিলো অরোনা। বলেছিলো তোমার ইন্দ্রবাবুকে বলো আমাদের বাসর ফুলশয্যার ঘরে বিষাক্ত কাটা, সাপের খোলশ, ভাঙা কাচ, জং ধরা পেরেক দিয়ে সাজিয়ে দিতে। তারপর গান গেয়ে উঠলো অরোনা। লখিন্দরের সোলার ভেলা জলে ডুবে যায়/বাসর ঘরে যাবার আগে কালসাপে খায়/চুলের কাটা গিথে আমি চোখ করবো কানা/ মায়ার দড়ি ভালবাসা কুলোপনা ফণা।
গানটা শেষ করতে পারেনি। গলা বুজে গিয়েছিলো। তারপর হঠাৎই চোখে মুখে আগুন। বলেছিলো ওই পচা শিকড়ের শুকনো গাছের আগুন তোমাকে পুড়িয়ে ফেলবে। বলেছিলো জীবনটা মরুভূমি হয়ে উঠছে। শুধু মরীচিকা আর আলেয়া। আর্য বললো আমি অরোনাকে বলেছিলুম এখনই এতো ভেঙে পড়ার মত কিছু ঘটেনি। বলেছিলুম একা থাকার জীবন আমার নয়। অরোনা বলেছিলো এই স্তোকবাক্য আমার ভালবাসার শিকে ছেড়ার প্রতীক্ষা। সে নাও ছিড়তে পারে। বলেছিলো সাধু না হয়েই তুমি সমাধিতে চলে যাচ্ছো। ভয় পেয়ে সরে থাকতে চাইছো। খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছি তুমি খাটের উপর শুয়ে আছো আমি মেঝেয় পড়ে আছি। একটাও কথা বলছোনা আমার সঙ্গে। লোকটি বললো আমার স্টেশন আসছে নেমে যেতে হবে। বললো অরোনা কি কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে?
আর্য বললো সেটা একটা ধোঁয়াশা। বলেছে মিথ্যা যদি মাথা চাড়া দেয় সেটা সত্যের অপমান। খুব কঠিন অঙ্ক। বোঝা কঠিন। বোঝানোও কঠিন।
………………
পৃথিবী থেকে বিদায় নেবার আগে এই দুটি গল্প বুকের মধ্যে জ্বালাজ্বালা করে ইঁদুরের। মানুষের ভালবাসায় আগুন আর প্রতিহিংসা দেখে শিউরে ওঠে। অল্প সময়ের মধ্যে যার মৃত্যু আসন্ন তারই শোক প্রস্তাবে একটা ছায়া পড়েছে পৃথিবীর পথে। ওখানে বর্ণপরিচয়ের অক্ষরগুলো এক একটা মাইলস্টোন। সেদিকে চোখ রেখে ইঁদুর বলেছিলো দিদিমনি তুমি কি করবে? ইন্দ্রনীলবাবু হাই প্রোফাইল। শুধু বর্ণপরিচয়টাই তার পড়া হয়নি। যার প্রতিটি অক্ষরে ভালবাসার মুক্তি। নক্ষত্রের আলো পথ।
আর্য অফিস থেকে ফিরে খাঁচার সামনে দাঁড়ালো। খাঁচাটাকে দু’হাতে তুলে বললো কাল থেকে একটা ছোট আলু খেয়ে আছিস। কতো না খিদে পেয়েছে তোর? বললো ভয় নেই- আমি তোকে জলে ডুবিয়ে মারবো না। মেরে দিলে একটা আক্রোশ হাহাকার আর আর্তনাদের প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়বে। খাঁচাটাকে নিয়ে পার্কের সামনে দাঁড়ায়। দরজাটা খুলে দিয়ে বলে অরোনা নাই জানুক – মাটি আর আকাশ তো জানলো…
[বানানবিধি/মতামত লেখকের নিজস্ব]
Tags: কালসর্প, গল্প, পঙ্কজ চক্রবর্তী
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।