অনেকক্ষণ ধরেই আইভিকে লক্ষ্য করেছিল রুচিরা।বেশ চোখে পড়ার মতন চেঞ্জিং বিহেভিয়ার।
খুব বড় না হলেও ছোট পার্টি নয়।ওর একমাত্র মেয়ের বার্থডে পার্টি বলে ওর বর কোনও ত্রুটি রাখেনি।আগে ককটেল শুনলে লাফিয়ে উঠত আইভি।এমনকি ওর পরপর তিনবার বিয়ে ব্রেকআপের পরও নাচতে নাচতে এসেছে।কোন হেলদোল নেই। ওর কনসেপ্টও অটল।যতক্ষণ আছ এনজয় দ্য লাইফ।ওয়ান ম্যান-ওয়ান ওম্যান কনসেপ্ট জাস্ট ব্যাক ডেটেড।হরিবোল। কি করে তোরা পারিস রে!একটা লোকের কাছে এত বাধ্য হয়ে থাকতে।জাস্ট বোরিং। হাজব্যান্ডের এত পকিং মানতে পারব না, সরি।কি করব,কোথায়,কার সঙ্গে কথা বলব সব তাকে জবাব দিতে হবে।জাস্ট ট্র্যাস।
মোবাইলে অল টাইম ঘুরপাক খাচ্ছে হাত।ফোন আসছে মুহুমুহু।সবই নাকি বন্ধুর। এই ছিল রুচিরার হোলি চাইল্ড স্কুলের প্রাণের বান্ধবীর বেসিক লাইক স্টাইল। এক সময়ের পুরুষ মহলে আইভি মানেই হিক্কারি ব্যাপার।একটু সঙ্গ লাভের ইচ্ছা পোষণ করে নি এমন পুরুষ বিরল।
রুচিরার বর তো একবার বলেই ফেলেছিল – আপনি না এলে আমার ককটেল ফ্লপ।কোনও বন্ধু আসবে না বলেছে।আর রুচিরার কাছেই সে স্বীকার করেছিল কিছু বন্ধুর অমোঘ উক্তি – আইভি মিনস নিও ডেফিনেশন অফ সেক্স।
এরপর তো আর বলার কিছুই থাকে না।এ হেন আইভিকে ককটেল পার্টির আসরে সাদা শাড়ির মোড়কে আবৃত হয়ে বাচ্চাদের মধ্যেই আবিষ্কার করে হতভম্ব সবাই।
শেষে রুচিরাই বাধ্য হয়েই প্রশ্ন করল – কি সুন্দরী হোয়াই সো কোল্ড? এনি প্রবলেম?
ওকে।ইটস ওকে। নো প্রবলেম- পাশ কাটানো উওর দিল আইভি।
সন্দেহ মেটাতে ক্লোজ হয়ে কাছে টানল বান্ধবীর হাত।- এভরি ইয়াংম্যান ইজ আস্কিং অ্যাবাউট ইউ।বলে চোখ টিপল।- কাম অন এনজয় দ্য পার্টি,সেক্সি মামণি।অ্যান্ড হোয়াটস অ্যাবাউট ইওর কারেন্ট প্লেবয় অর্পণ? হোয়ার হি ইজ ?
হি ইজ এক্স নাউ।- ঠাণ্ডা গলার উত্তর এল।
রিয়েলি? ইটস ডাসেন্ট ম্যাটার টু ইউ।ইউ উইল গেট এনাদার ওয়ান টুডে।কাম অন।
নোওওওও- বলে চিৎকার করে কেঁদে ফেলল আইভি।অর্পণ ইজ নো মোর।কার অ্যাকসিডেন্ট। জাস্ট ইনফ্রন্ট অব মি।সে এখন রিয়েল এক্স।
Tags: গল্প, দেবাশিস মজুমদার, বিগত
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।