27 Jan

স্কিৎজোফ্রেনিক

লিখেছেন:হিয়া রাজা


স্কিৎজোফ্রেনিক

হিয়া রাজাবুড়ো আমার দিকে ফিরে, চোখ টিপে বুড়ির দিকে ইশারা করে রহস্যটা ভাঙলেন । বুড়ি, এক হাতে ছাতা আর অন্য হাতটা দিয়ে রেলিংটা ধরে ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে যখন বেশ খানিকটা নেমে গেল, বুড়ো গণেশ পান্ধারকার একটা বেশ লাজুক লাজুক মুখে একটা ফাজিল টাইপের হাসি হেসে বললেন, “বুঝলেন কিনা, বাবুমশাই , বুড়ো বয়সে এই সব নাটক করতে হচ্ছে ওই বুড়িটার কথা ভেবে, আর কদিনই বা বাঁচবে ও !”

বলে, পাশে রাখা পায়রার খাবারের বাজরির কৌটো থেকে একমুঠ দানা নিয়ে সামনের খোলা ছাতে ছড়িয়ে দিয়ে, একটু ঝুঁকে পড়ে অদ্ভুত মিহি একটা বাচ্চা ছেলের গলায় চেঁচিয়ে উঠলেন, – চলা মাঝ্যা কবুতরানভরিয়ে – অর্থাৎ “আয় রে আয় আমার পায়রাগুলো !”

একদম পরিষ্কার পাঁচ ছ বছরের বাচ্চা ছেলের গলায় ! সামনে না দেখলে বোঝা অসম্ভব যে এটা যে বলছে তার বয়স পাঁচ বা ছয় নয়, বিরাশি।

সিঁড়ির নীচে থেকে উত্তর এলো, প্রায় ওই একই রকম মিষ্টি গলায়, “গুটর গু গুটর গু করতো, ঘরাচা গাচ চি রহতো !” এবারে বাচ্চা মেয়ের গলায়, আর এলো বুড়ির কাছ থেকেই।

 

গণেশ পান্ধারকার, নামটা শোনার পর কেমন চেনা চেনা ঠেকেছিল। শুনেছিলাম নিশ্চয়ই কোথাও, স্মৃতি সেই মুহূর্তে সহযোগিতা না করলেও মনে পড়ে গেল ঠিক। হ্যাঁ, বছর দুয়েক আগে স্থানীয় খবরের কাগজে ছবি দেখেছিলাম, একজোড়া বাচ্চা সমেত খুব দুঃখজনক একটা খবরের হেডিং হয়ে। চাক্ষুষ দেখার জন্যই আজ এখানে আসা।

নেরুল, বিশুদ্ধ মুম্বাই শহর থেকে প্রায় আট ত্রিশ কিলোমিটার। এসেছি আমার মারাঠি বন্ধু কাম অ্যাসিস্ট্যান্ট সুদেশ হাজারের সনির্বন্ধ অনুরোধে।

কিন্তু আমি মুম্বাইয়ের লব্ধ প্রতিষ্ঠ, হাজার টাকা চেম্বার ভিজিটের সাইকোলজিস্ট, সুদেশে হাজারের অনুরোধে কোথায় এবং কেন এসেছি, পাঠক পাঠিকা প্রথমেই এই কৈফিয়ত দাবি করতে পারেন এবং সেটা মোটেই কিছু অন্যায় দাবি নয়।

জবাবটা হলো খানিকটা এই রকম –

সুদেশের দুর সম্পর্কের এই কাকা কাকিমা অর্থাৎ বুড়ো গণেশ দামোদর পান্ধারকার আর তার বউ থাকেন নেরুলে। দুজনেই আশির ওপর এবং সেই দুজনেই নাকি স্কিৎজোফ্রেনিক। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তাদের দেখভাল করেন যে বয়স্কা মহিলা গত পনের বছর ধরে, তিনিও নাকি ঐ একই রোগে আক্রান্ত। সুদেশ বলে, ততোধিক আশ্চর্যের কথা হলো, বাইরে এরা প্রত্যেকেই এতটাই স্বাভাবিক যে, কোনো ভাবেই এদের স্কিৎজোফ্রেনিক রোগাক্রান্ত বলে বোঝা যায়না। অবশ্য আমি জানি যে অনেক মনোরোগীই বাইরে অত্যন্ত স্বাভাবিক। এমনকি অনেকেই জীবনে অত্যন্ত সফল। এটা বলতে, মনে হলো সুদেশ বিশ্বাস করলনা। ওকে “এ বিউটিফুল মাইন্ড” বইটা পড়ে দেখতে বলেছি। নোবেল লরিয়েট স্কিৎজোফ্রেনিক  ম্যাথমেটিসিয়ান জন ন্যাশের অদ্ভুত জীবন।

সুদেশ আমার স্নেহভাজন ও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বছর সাতেক আগে, মুম্বাই এ যখন প্রথম আমি চেম্বার খুলে প্র্যাক্টিস শুরু করি, সুদেশ ছিল ওই এলাকার এক শিক্ষিত বেকার যুবক। এদিক ওদিক ছুটকো ছাটকা অর্ডার সাপ্লাই এর কাজ কর্ম করে কিছু উপায় করতো। ওর শিক্ষিত ও মার্জিত স্বভাবগুনে ও আমার নজরে পড়ে যায় আর মাসকয়েকের মধ্যে ওকে আমি আমার অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট করে নিই।

ও যেন ওর এই নতুন দায়িত্ব পেয়ে বর্তে গেল। দিন রাত অসম্ভব পরিশ্রম করে এক বছরের মধ্যে ও আমার নতুন ক্লিনিকটাকে প্রায় এক হাতে দাঁড় করিয়েছে। আমার সমস্ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট, হিসাব, বিভিন্ন এডভার্টাইজিং, শহরের নামকরা হসপিটালগুলোতে যোগাযোগ, ইনকাম ট্যাক্স, দেশে বিদেশে সেমিনার প্রায় সব কিছু ওই একা হাতে সামলায়। দুজনের পারস্পরিক নির্ভরতা আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে যে, ওর কোনো অনুরোধ ঠেলা আমার পক্ষে খুব কঠিন। আজ ওর অনুরোধেই আমি নেরুলে এসেছি ওর অশিতিপর কাকা আর কাকিমার কেসটার ব্যাপারে।

মাসখানেক আগে সুদেশ হটাৎই ওর কাকা কাকিমার এই ব্যাপারটা আমাকে বলে। এরা আগে থাকতেন নাগপুরে। কাকা ছিলেন ওয়েস্টার্ন কোলফিল্ডের বেশ বড় অফিসার। কাকিমা ছিলেন স্থানীয় এক কলেজের প্রফেসর। সুখী দম্পতির এক ছেলে, বিয়েও দিয়েছিলেন খুব ভাল বনেদি শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে দেখে। দুটি ফুটফুটে যমজ নাতি নাতনী ও হয়েছিল তাদের। কিন্তু বিধি বাম। হঠাৎই গত পাঁচ বছর আগে, প্রথমে ছেলে ও বউ মুম্বাই নাগপুরে হাইওয়েতে এক মারাত্মক গাড়ি অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। পান্ধারকাররা অনাথ নাতি নাতনী দুটিকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার অবলম্বন খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের এমনই পরিহাস যে সেটুকুও বুড়ো বুড়ির সইলো না। গেল বছরে, নাগপুরের সেই কুখ্যাত রেলওয়ে ক্রসিংএ স্কুলবাস অ্যাকসিডেন্টটা সম্ভবত কেউ ভোলেনি। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটিতে, স্কুল বাসের আটটি বাচ্চার একটিও রক্ষা পায়নি, সাথে পান্ধারকারদের সেই দুটি নাতি নাতনিও আর কোনোদিন দাদু ঠাকুমার কাছে ফিরে আসেনি। তারা তখন ছুটির পর নার্সারি থেকে বাড়ি ফিরছিল বাসটিতে। সেই খবরটিই আমি দেখেছিলাম স্থানীয় দৈনিকে।

সুদেশের কথা অনুযায়ী, সম্ভবত, বুড়ো বুড়ির সেই সময় থেকেই এই রোগ অর্থাৎ স্কিৎজোফ্রেনিয়া চাড়া দেয়। প্রথম প্রথম চাপা থাকলেও, আস্তে আস্তে আসে পাড়া প্রতিবেশী, দুধওয়ালা, ধোপা, মুদি এরা লক্ষ্য করে, বুড়ো বুড়ি সকাল থেকে রাত্রি অবধি কাছাকাছি কেউ না থাকলেই, কচি বাচ্চার গলায় একে ওপরের সাথে অর্থহীন কথা বলে যায়। অবিকল সেই নাতি নাতনির গলায়। বুড়ো পান্ধারকার নাতির গলা নকল করে, বুড়ি নাতনির।

গলা নকল করে বললে সত্যের অপলাপ হবে, বলা ভাল দুজন, থুড়ি, কাজের মহিলা, শান্তা বাইকে নিয়ে তিন জনই সকাল সন্ধ্যে নাতি নাতনির সাথে অনর্গল কথা বলে চলে। ঠিক যেন নাতি নাতনি দুটি ওই বাড়িতে সশরীরে বিদ্যমান। উপর্যুপরি পর্বতপ্রমাণ অভাবনীয় শোকের আঘাতে বাড়ির তিনটি সদস্যকেই মানসিক রোগী বানিয়ে দিয়েছে। তাদের অবচেতন আর চেতন কোথাও লীন এবং এক হয়ে বিশ্বাস করে, নাতি নাতনি দুটির কিছুই হয়নি, বহাল তবিয়তে তারা দাদু ঠাকুমার সাথেই আছে।

লোকে এমনও বলে, যে প্রথম দুমাস, পান্ধারকার দম্পতি অনেককেই বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে, নাতি নাতনি দুটি বহাল তবিয়তে তাদের সাথেই আছে, যেমনটি ছিল অ্যাকসিডেন্টের আগে। এমনকি মাঝে মাঝেই বেশ উচ্চগ্রামে বাচ্ছা দুটির গলা শোনা যেত পান্ধারকারদের বাড়ি থেকে। কিন্তু আস্তে আস্তে সবাই বুঝে যায় যে বুড়ো বুড়ি মানসিক রুগী হয়ে নিজেরাই বাচ্চার গলা নকল করে কথা বলে, অবিকল নাতি নাতনির আচরণও করে, ছড়া বলে, চিৎকার করে, ছাত থেকে জিনিস ছুঁড়ে ফেলে এমনকি গান করে ও পা থপ থপ করে নাচে অবধি। শান্তাবাইও এই অদ্ভুত খেলাতে জড়িয়ে গেছে এবং, এই খেলায় সক্রিয় খেলুড়ে। সেও এই অদ্ভুত পরিবারে দুঃখে সুখে জড়িয়ে গিয়ে স্কিৎজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত।

যাইহোক, পান্ধারকাররা যখন দেখলেন বাইরের লোকজন ব্যাপারটায় বিশ্বাস করছে না, তখন তাদের বিশ্বাস করানোর জন্য কোনরকম জোর বা চেষ্টাও করেন না। তারা নিজেদের বিশ্বাস আর কাল্পনিক নাতি নাতনী নিয়ে দিব্যি বেঁচে আছেন, যেমন থাকে আর পাঁচজন, যেমন থাকে আমাদের ডাক্তারি পরিভাষায় আর পাঁচটা “স্কিৎজোফ্রেনি়ক” রা।

ব্যাস, গল্প শেষ। আমাকে সুদেশ তার ডাক্তার বন্ধু বলে পরিচয় দিতে পান্ধারকার খাতির করে বসালেন। চা জলখাবার আনালেন নিচে দোকানে ফোন করে। শান্তাবাই এর তৈরি গরম চা খেতে খেতে শুনলাম নাগপুরের আর পান্ধারকারদের নানা গল্প । দেখলাম, পান্ধারকার পরিবার বাকি সব ব্যাপারে অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিচ্ছু বোঝার উপায় নেই যে প্রতিটি সদস্যই স্কিৎজোফ্রেনি়ক। চা জলখাবার শেষ হলে, বুড়ি ছাতা হাতে ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেলেন। নিচে মন্দিরে কথকতা শুনতে। ছাতের খোলা  বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে বুড়ো পান্ধারকার বললেন, “আমি জানি বাবুমশাই আপনি কি জন্যে এসেছেন। আমি পেপারে আপনার ক্লিনিকের এডভার্টাইজিং দেখেছি। আপনি নামকরা সাইকোলজিস্ট আর এত কাছে থেকে এতগুলি মানসিক রোগী, স্কিৎজোফ্রেনি়ক দেখার সুযোগ ছাড়তে চান নি, তাই না ?”

অপ্রত্যাশিত হলেও চমকালাম না। এই অশিতিপর ধীমান বৃদ্ধর কাছে লুকোতে ইচ্ছে করলো না। বললাম, “তাহলে আপনি জানেন যে, এর কিছুই সত্যি নয় ? কম সে কম আপনি স্কিৎজোফ্রেনিক নন ?”

বুড়ো পান্ধারকার হাসলেন, বললেন “শুধু আমি কেন, বুড়িও জানে !”

এবার আমার চমকাবার পালা ! “মানে ?”

“মানে খুব সহজ বাবু, আমি ভাবি, বুড়ি কদিনই বা বাঁচবে, তাই মাঝে মাঝে, সম্পদ মানে নাতি সেজে বুড়ি কে খুশি রাখি। বুড়িও প্রতিদানে ‘লীলা’ মানে আমাদের নাতনী হয়ে আমাকে খুশি করতে চায়। এভাবেই দুজনে দুজনকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি।

বাবু আমরা কেউই স্কিৎজোফ্রেনিক নই।

এমনকি, শান্তাবাই অবধি জানে সবটাই। আজ এত বছর স্বামী পুত্র পরিত্যক্ত্যা একজন বৃদ্ধা, ওরই বা যাবার জায়গা কোথায় বাবু ! বড় ভালবাসে ও আমাদের, আমরাও ওকে নিজের বোন বলেই ভাবি। তাই ও ভি সাথে সাথ দেয়।

তখনি বললেন,- ওই বুড়ির জন্যই এসব করতে নাটক করতে হচ্ছে, কদিনই বা বাঁচবে আর  !

আমি আর সুদেশ যৎপরনাস্তি অবাক হলাম। অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম বুড়োর দিকে। আহা, এই নাহলে প্রেম ! কি অসাধারণ ভালোবাসায় একে অপরকে জীবনরস যুগিয়ে চলেছে এই তিনজন পৃথিবীর নির্জন কোণে, কোনো প্রতিদানের, দুনিয়ার কারো তোয়াক্কা না করে। একে কি বলবো ! একে এক কথায় বর্ণনার ভাষা আমার নেই। স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম বেশ কিছুক্ষণ আমি আর সুদেশ। সামনে খোলা ছাতে পায়রার জন্যে বড় গামলাটায় জল রাখা। তার স্থির জ্বলে অস্তমান সূর্য্য যাওয়ার আগে দেখে নিচ্ছে নিজেকে। এক ঝাঁক পায়রা ফটফট শব্দ করে হটাৎ নেমে এলো ছাতের রেলিঙে। বকবকম, বকবকম করছে, ঘুরছে ফিরছে ঘুরে ঘুরে খাবার চাইছে, দেখছে কিনা, বাজরার কৌটোটা একটু দূরে ছাতের মেঝেতে রাখা।

হয়তো আমাদের নতুন দেখে নামছে না, উঠলাম।

দাঁড়িয়ে উঠে বললাম, – মাপ করবেন, অন্যায় হয়েছে, সত্যি আমি কেস স্টাডি করতে এসেছিলাম, কারণ ভেবেছিলাম মেডিক্যাল সায়েন্সে এইরকম প্রায় মাস স্কিজফ্রেনিয়ার উদাহরণ সম্ভবত আর নেই। একটা জার্নাল হিস্ট্রি হয়ে থাকত কেসটা। কিন্তু এখন বুঝছি যে এটা অ্যবসার্ড, এরকম কিছু নয়। মেডিক্যালি হতাশ হলেও, আমি আনন্দিত যে আপনারা সবাই মানসিক ভাবে একশো পার্সেন্ট সুস্থ। আচ্ছা, আজ আসি, নমস্কার !

আমি আর সুদেশ উঠে দাড়ালাম। আর ঠিক তখনই, তখনই ঘটলো ব্যাপারটা !

আমার আর সুদেশের নন-স্কিৎজোফ্রেনিক চোখের সামনে, বাজরার কৌটোটা থেকে মুঠি মুঠি বাজরা ছড়িয়ে পড়লো সামনের ছাতে, কেউ যেন অধৈর্য্য হয়ে দিলো তা ছড়িয়ে। আচমকা জলের গামলায় জল ছলবল করে ছিটিয়ে উঠলো, আর দুই দুগুনে চারটে খুব ছোট ছোট পায়ের জলছাপ ছপ ছপ করে এগিয়ে এসে পান্ধারকারের গায়ে লেগে তার গায়ের ফতুয়া ভিজিয়ে দিল।

একটা খোলা আকাশের নিচে, শেষ বিকেলের আলোয়, আমাদের সব্বার চৈতন্যকে শিহরিত করে, রেলিং এর ওপর থেকে কে অদ্ভুত এক মিষ্টি রিনরিনে গলায় ছড়া কাটতে লাগলো,- চলা চলা কবুতর মাঝ্যা–

[বানানবিধি ও মতামত লেখকের নিজস্ব] 

Tags: , ,

 

 

 




  • খোঁজ করুন




  • আমাদের ফেসবুক পেজ

  • মতামত

    আপনার মন্তব্য লিখুন

    আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।




    Notify me when new comments are added.

    যোগাযোগ


    email:galpersamay@gmail.com

    Your message has been sent. Thank you!

    গল্পের সময় পরিবার
    সমীর
    অগ্নীশ্বর
    দেবাশিস
    চিন্ময়
    পার্থ
    মিতালি
    জাগরণ
    দেবব্রত

    © 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ