11 Aug

কর্মফল

লিখেছেন:নন্দিতা সিনহা


হঠাৎ মামন চিৎকার করে উঠলো।মা মা বাঁচাও বাঁচাও ,জ্বলে গেল জ্বলে গেল ..

দৌড়ে গেল শিবানী, মামনের মা বাবা। সবাই ভেবেছে বুঝিবা আগুন লেগে গেছে ওর গায়ে। কিন্তু মেয়ে কে দেখে আশ্বস্ত হলো সবাই। আগুন তো নেই।তবে কিসে জ্বলে যাচ্ছে?

মামন নাক টা চেপে ধরছে কখনো,কখনো বা দৌড়ে গিয়ে জল দিচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘেমে স্নান করে গেল। নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছে।

আশ্চর্য, হয়েছে টা কী?

নাক টা লাল হয়ে গেছে, চোখ মুখে অসম্ভব যন্ত্রণার ছাপ। নাকের মধ্যে কি যেন একটা দলা পাকিয়ে আছে। ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারালো মামন।

 (২)

পায়ের কাছে কেউ কি কাঁদছে? কার হাতের স্পর্শ এটা?

সুচেতা পা টানার আবার চেষ্টা করল, কিন্তু পারলো না। যেটা ও পারছে না গত পাঁচ- ছ’ মাস ধরেই।

ঘাড়টা একটু তুলে দেখার চেষ্টা করল। তারপর বলল,কে গো তুমি মেয়ে? এমন করে কাঁদছো কেন?

পায়ের কাছে তবু সে কেঁদেই যাচ্ছে।দিনের আয়া কল্পনা একটু  থতমত খেয়ে গেছে। সে জিজ্ঞাসু চোখে সুচেতার দিকে তাকালো।সুচেতা ইশারায় বলল মেয়েটিকে তুলে ধরতে।

দু কাঁধ ধরে তাকে পা থেকে টেনে তুললো কল্পনা।তাকে দেখে চমকে গেল সুচেতা।

কি ব্যাপার শিবানী তুমি? তুমি কোথা থেকে এলে? হঠাৎ করে চলেই বা গেছিলে কেন? ফিরেই বা এলে কেন ? তোমাকে কত ফোন করেছি আমরা, যতবার ফোন করেছি ততবার ফোন অফ বলেছে।কথা বলছ না, কি হলো? তুমি কাঁদছো,বাড়িতে কোন অঘটন ঘটেছে নাকি?

আপনি আমাকে ক্ষমা করুন বৌদি ।

ক্ষমা? ক্ষমা কিসের জন্য? কি দোষ করেছ তুমি? শিবানির মাথাটা ঝুলে পড়ল বুকের কাছে।আমি খুব অন্যায় করেছি বৌদি।হাতে হাতে তার শাস্তি পাচ্ছি আমি মরমে মরে যাচ্ছি বৌদি। কী যে মতিভ্রম হয়েছিল আমার! কেন যে করলাম ওই কাজটা?

অন্যায়  শব্দটা শুনে সুচেতা ভীষণ অন্যমনস্ক হয়ে গেল।শিবানী তার শাশুড়ি মায়ের আয়া ছিল।লকডাউনের সময় টানা ছয় মাস ডে নাইট ডিউটি করেছে।তার আগে তিন বছর ধরে ডে ডিউটি।এত দীর্ঘ সময় ধরে তাদের সঙ্গে থাকতে থাকতে শিবানী বাড়ির লোকই হয়ে গেছিল। তাদের সমস্ত সুখ দুঃখের অংশীদার ছিল শিবানী। যেবার রিয়া ভীষণ ভালো রেজাল্ট করলো সেবার সবার সাথে শিবানীরও কি আনন্দ! রিয়াকে সে একটা  নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর  বই কিনে দিয়েছিল। তখন সুচেতা দু পায়ে দৌড়ে বেড়াতো সারা বাড়ি। অত্যন্ত সুগৃহিনী ছিল। শিবানীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সেই সব দিনগুলোর স্মৃতি।কত আনন্দময় সে সব দিনগুলো! জীবন তখন এইরকম বিষণ্ণ কান্নায় মাখামাখি হয়নি।

লকডাউনের সময় যখন মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত তখন শিবানী কত গল্প গান দিয়ে বাড়িটাকে ভরিয়ে রাখত। ছটফটে  মহিলা শিবানী।সুশ্রী পরিচ্ছন্ন মহিলা।দেখলে আয়া বলে মনেই হত না। ছোট ছোট ভাইবোনদের মানুষ করতে গিয়ে, আয়ার কাজ করে মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে কবে যে তার জীবনের বসন্ত পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছিল শিবানী নিজে বুঝতেই পারেনি।তার বাড়ির লোকও খেয়াল করেনি। খেয়াল করলে সংসারের স্বার্থে ঘা পড়তো যে।

কী চমৎকার গানের গলা ছিল তার! অথচ গান শেখেনি কখনো।তার গান, সুচেতার আবৃত্তি, রিয়ার ভায়োলিন এক একটা সন্ধ্যা কে সুরে সুরে অবিষ্ট করে দিত। মহামারীর ভয়কে ডিঙিয়ে অমৃতের আশীর্বাদে সঞ্জীবিত হতো আটপৌরে গেরস্থলি।

সুচেতার স্তব্ধতার সুযোগে নিজেকে গুছিয়ে নিল শিবানী। বলল আপনার কি হয়েছে বৌদি? রিয়াকে দেখছি না,মাসিমা কি?

আনন্দ দিনের ঘ্রাণ বয়ে আনা শিবানীকে  বড়ো আপন মনে হলো সুচেতার সেই মুহূর্তে। কথার মাঝেই বলল, মাসিমা মারা গেছেন তুমি কাজ ছেড়ে দেওয়ার দু তিন মাসের মধ্যেই। আর রিয়া? রিয়াকে ঠাকুর আমার কাছ থেকে  কেড়ে নিয়েছেন ।

মানে? চমকে উঠলো শিবানী।এই মুহূর্তে ঘরের মধ্যে বাজ পড়লেও বোধ হয় সে এত চমকাতো না।

রিয়া নেই ! রিয়া মারা গেছে!

কবে ঘটলো এই অঘটন বৌদি? আর আপনারই বা কি হলো?

সুচেতা যেন বোবা হয়ে গেল।স্থির চোখে তাকিয়ে রইল সিলিং থেকে ঝুলে থাকা ফ্যানটার দিকে।দু চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো জলের ধারা।নার্স কল্পনা বলল ওসব কথা থাক না দিদিভাই। ওই কথা তুললেই বৌদি আবার অজ্ঞান হয়ে যাবে। ডাক্তার এসব কথা বৌদির সামনে আলোচনা করতেই বারণ করেছেন।

শিবানী আপন মনে ভিড়বিড় করতে লাগলো, রিয়া মারা গেছে… রিয়া মারা গেছে.. তাই কি ওরম কাণ্ড ঘটছে তার বাড়িতে! আশ্চর্য! ভয়ে শিউরে উঠলো সে। কল্পনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল কবে ঘটেছে ঘটনাটা ?

তা পাঁচ-ছমাস হবে ..

একটু ভালো করে ভেবে বলো না ভাই পাঁচ মাস না ছয় মাস ?

কল্পনা বড় বিরক্ত হলো।কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন মহিলা।এ বাড়িতে সবাই এই অপ্রিয়  মর্মান্তিক প্রসঙ্গটা এখন এড়িয়ে যেতে চাইছে।আর ইনি খুঁচিয়ে ঘা করতে এসেছেন।সেই ঘটনার পরই বৌদি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়ে সেই যে আঘাত পেল আর কোনদিনও বৌদি উঠে দাঁড়াতে পারবে কিনা ঠিক নেই।

কল্পনা বিরক্তি গোপন করার কোন চেষ্টা করল না।একটু ঝাঁঝিয়েই বলল, আপনি মাসিমাকে কি বলতে এসেছিলেন বলে বাড়ি চলে যান।সুচেতা এবার চোখটা ঘুরালো কল্পনার দিকে।তারপর শিবানির দিকে তাকিয়ে বলল কি বলবে বলছিলে..

কল্পনার দিকে তাকিয়ে শিবানী খুব কুন্ঠিত বোধ করলো। বলল মাসীমা আমি একটু প্রাইভেটে আপনাকে কথাটা বলতে চাইছিলাম।

আর সুচেতাকে কিছু বলতে হলো না।কল্পনা বেরিয়ে গেল ঘরের বাইরে

 (৩ )

বৌদি, রিয়ার কথা বলতে নিষেধ করল আপনার নার্স।কিন্তু আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন,রিয়ার কথা একটু বলতেই হবে।সুচেতা ভাষাহীন চোখে তাকিয়ে রইল শিবানীর দিকে।শিবানী বুঝলো কী ভয়ঙ্কর যন্ত্রনায় দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে বউদি। কিন্তু  শিবানীও এক মহা সমস্যার মুখোমুখি। নিজের বোনঝি মামনকে বাঁচাতে হলে এত অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা করতে গেলে চলবে না।সে কোনদিন সন্তানের স্বাদ পায়নি। মামনকেই নিজের সন্তানের মত সে বড় করেছে। মাতৃস্নেহ সুধায় সে অকাতরে ভরিয়ে দিয়েছে বোনঝিকে।তার  বেঁচে থাকার যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে তাহলে সেটা একমাত্র বোনঝি।সেই বোনঝির জীবন এখন বিপন্ন তার নিজের দোষেই। এখন তো অন্যের কথা ভাববার মতো সময় বা মনের অবস্থাও নেই শিবানীর।বেশি দেরি করাও যাবে না।এক্ষুনি হয়তো মেয়েটি এসে তাকে বলবে,আপনি এবার আসুন।তাই একটুখানি জোর দিয়ে দ্বিধা কাটিয়ে শিবানী বলল, মাসিমা রিয়া উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করার পরে আপনি ওকে একটা হীরের নাকছাবি কিনে দিয়েছিলেন, মনে আছে? সেই নাকছাবিটা পেয়ে মেয়ের কি উল্লাস! দৌড়ে একবার আমাকে দেখায়, একবার ঠাকুমাকে,একবার বাবাকে।রিয়ার ধারণা ওই নাকছাবিটা তার জন্য খুব লাকি।সেই জন্য যখনই কোন ভালো কাজে যেত সে ওই নাকছাবিটা পরে যেত। অন্য সময় খুলে রাখত। কিন্তু ওতো ভীষণ অগোছালো ছিল যেখানে সেখানে দামি জিনিস খুলে রেখে দিত।আপনি ওকে কত বকতেন!

সুচেতা একটা  দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে যেন বহু যুগের ওপার থেকে বলল,তারপর একদিন নাকছবিটা হারিয়ে গেল।পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সেটা পাওয়া গেল না। অথচ তখন লকডাউন চলছে।বাড়িতে বাইরের কোন মানুষও আসতো না, রিয়া ও বাইরে যেত না।স্নান করতে যাওয়ার আগে ড্রেসিং টেবিলের ওপর খুলে রেখে যাওয়া জিনিসটা স্নান করে এসে আর পেল না।

শিবানী আবার সুচেতার পা জড়িয়ে হুহু করে কেঁদে ফেললো। পাবেন কি করে? ওটা যে আমি নিয়েছিলাম।

তুমি নিয়েছিলে? খুব শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো সুচেতা।

হ্যাঁ,বৌদি।আমি আমার বোনঝি মামনকে কথা দিয়েছিলাম উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করলে ওকে আমি দারুন একটা উপহার দেব।আমি রিয়ার নাকছাবির গল্প ওকে করেছিলাম।সেটা শুনে ও আমার কাছে আবদার করেছিল আমাকেও একটা দেবে রাঙামাসি।আমি ওকে কথা দিয়েছিলাম।

ও পরীক্ষায় দারুন রেজাল্ট করলো।কিন্তু সেইসময় মা ভীষণ অসুস্থ হওয়াতে মায়ের চিকিৎসায় আমার সমস্ত জমানো টাকা বেরিয়ে গিয়েছিল।হাতে কোনো পয়সা নেই। উপহার না পেয়ে মেয়েটা কান্নাকাটি শুরু করে।কলেজের ভর্তির ফর্ম ফিলাপ করবে না বলে জেদ ধরে।অনেক বকাবকি,বোঝানো।কিন্তু মেয়ের কান্না,অভিমান কমে না কিছুতেই।

আমার একমাত্র দুর্বল জায়গা ওই মেয়েটা।ওর চোখের জল আমি সহ্য করতে পারছিলাম না।মনে হচ্ছিল আমি ওর জন্য যে কোনো কাজ করতে পারি।তাই ড্রেসিং টেবিলের উপরে খুলে রাখা নাকছাবিটা ….

হাত তুলে ওকে থামিয়ে দিল সুচেতা।মুখটা ফিরিয়ে রাখলো অন্যদিকে।বাঁ হাত টা তুলে ওকে চলে যেতে বললো।

শিবানী আবারও আকুল হয়ে কেঁদে ফেললো।বললো,নাকছাবি হারিয়ে রিয়ার কান্না আমি সহ্য করতে পারছিলাম না,সে যে কি ধর্ম সংকট আমার।একদিকে রিয়ার কান্না অন্যদিকে মামনের,আর ভয়ঙ্কর অপরাধ বোধে আমি কষ্ট পাচ্ছিলাম।তারপর ধরা পড়ে যাওয়ার একটা ভয়ও ছিল।এইসব কারণে আমি কাউকে কিছু না বলে আপনাদের কাজটা ছেড়ে দিয়েছিলাম।

কল্পনা ঘর ছেড়ে খুব বেশি দূর যায়নি।সে এবার ঘরে ঢুকে এসে বলল ছেড়ে গিয়েছিলেন তো আবার এলেন কেন? সেসব তো চুকে বুকে গেছে এখন।আপনাকে বারবার বলছি পুরোনো কথা তুলবেন না তত আপনি বলেই যাছেন।

শিবানী সুচেতার পা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো।কল্পনার হাত দুটি ধরে বললো,আমি জানি ভাই, কিন্তু আর একজন যে কোনো এক না জানা কারণে বারবার এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে।আমার মনে হচ্ছে আমার পাপেই এই সব অঘটন ঘটছে আমার পরিবারে।

সুচেতা কল্পনার দিকে তাকিয়ে বললো,ওকে বলতে দাও।

বৌদি নাকছাবি টা নিয়ে আমি আমার বোনঝি কে দিয়েছিলাম।সে খুব খুশি।সঙ্গে সঙ্গেই পরে ফেললো।পরেই ছিল।তখন কোনো অসুবিধা হয়নি।কখনো সে অন্য মাসতুতো বোনকে পরতে দিত।দু বোনের খুসিভরা মুখ দেখে আমিও অপরাধ বোধ ভুলে যাচ্ছিলাম একটুএকটু করে।গত ছ’ মাস থেকে এক আশ্চর্য কান্ড শুরু হলো। হঠাৎ একদিন বোনঝি নাকছবিটা পরার পরই কি যেন পেঁচিয়ে ধরলো নাকে।প্রথমে একটু চুলকানির মত,তারপর নাকের ভিতর অসহ্য যন্ত্রণা।নিশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম। কিছুতেই শত চেষ্টা করেও  সেটা খোলা যাচ্ছে না। মিনিট চার পাঁচ এই অসহ্য যন্ত্রণা, তারপরই আস্তে আস্তে কমে গেল।

আমরা ভেবেছিলাম কোনো কিছু বিষাক্ত জিনিস নাকে ঢুকে গেছে না হয় তো কোনো খারাপ এলার্জি।তখনকার মত সেটা খুলে রাখা হলো।ডাক্তার দেখানো হলো। ওষুধ চললো।

তারপর আবার কয়েকদিন পরে  নাকছাবিটা পরতেই আবার সেই কান্ড। এবারে আরও তীব্র কষ্ট। কিন্তু এবারে সময়সীমাটা কম।

আমার কেমন যেন মনে হতে লাগলো ব্যাপারটা ঠিক স্বাভাবিক নয়।মনে হতে লাগলো কোনো অলৌকিক বা অশরীরী ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। যাচাই করার জন্য কাল আমি পরেছিলাম।উঃ সে যে কী ভয়ঙ্কর কষ্ট।নাকের ভিতর যেন কার তপ্ত নিঃশ্বাস এসে পড়ছে।জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিলো ভিতর টা।কিছুতেই খুলতে পারছিলাম না।তারপর ভিতরের রিং টা সোজা করে খুলতে গিয়েও পারছিলাম না।সোজা করতে গেলেই কে যেন সর্বশক্তি দিয়ে আঙুল মুচড়ে দিচ্ছে।মনে হচ্ছিল মরে যাবো বুঝি।কোনোক্রমে নিস্তার পেয়েছি।

সুচেতা এক অবিশ্বাস্য দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।শিবানী ব্যাগ থেকে নাকছাবি টা বের করে সুচেতার পায়ের কাছে নামিয়ে দিল।বললো, আমি বুঝেছি বৌদি।রিয়ার খুব শখের জিনিস তো।তাই চুরি যাবার পর খুব কষ্ট পেয়েছিল। তখন চোরকে ও শাস্তি দিতে পারে নি।তাই চলে গিয়ে এখন প্রতিশোধ নিতে চাইছে।আমি নাকছাবিটা ফেরত দিয়ে যাচ্ছি বৌদি।ও বাড়িতে থাকলে সাংঘাতিক অনিষ্ঠ ঘটাবে। মামনের চিকিৎসার সাথে বাড়ির লোক ওঝাকেও ডাকবে বলছে।কদর্য অতীত উঠে আসুক আমি আর চাই না।এটা রেখে গেলাম বৌদি।জানি সম্ভব নয় তবু পারলে আমাকে ক্ষমা করবেন।

সুচেতাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ঝড়ের বেগে বেরিয়ে গেল শিবানী।

কল্পনার গায়েও কাঁটা দিয়ে উঠলো।সুচেতার দিকে তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো,ব্যাপারটা কি হলো বৌদি?

মতামত ও বানানবিধি লেখকের ব্যক্তিগত

Tags: , ,

 

 

 




  • খোঁজ করুন




  • আমাদের ফেসবুক পেজ

  • মতামত

    আপনার মন্তব্য লিখুন

    আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।




    Notify me when new comments are added.

    যোগাযোগ


    email:galpersamay@gmail.com

    Your message has been sent. Thank you!

    গল্পের সময় পরিবার
    সমীর
    অগ্নীশ্বর
    দেবাশিস
    চিন্ময়
    পার্থ
    মিতালি
    জাগরণ
    দেবব্রত

    © 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ