”যাচ্ছেতাই” শব্দটা যথেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছিল রচনার। একটা ঘটনা ঘটলেও ঠিক ছিল। তা নয় পরপর, একতার পর একটা। নিজের উপরই ভরসা কাটছিল। ঠিক কথা সংসারে চলতে গেলে সমস্যা আসবেই। কিন্তু তা বলে এরকম। জ্যোতিষের কথাটা মনে এল – “মাথা ঠাণ্ডা রাখুন কটা দিন।” তারপর মনে হল দূর ও সব ফালতু। ওরা ফেরেববাজ। পাথর দিয়ে জীবন ঘোরালে তো সব ভিখিরিদের সরকার থেকে সাবসিডি দিয়ে পাথর পরিয়ে দিলেই দেশের দারিদ্র্য দূর হয়ে যেত।
তবু…………… নিজেই নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে মনে মনে হাসল।
আশ্চর্য না? এই হাতেই রক্তপ্রবাল পরে আছে আর মনে মনে ধ্বংস করছে নিজেকে। একবার মনে হল – বিচ্ছেদ আবেদনটা না করলেই পারত। এখন এসব যুক্তি অর্থহীন। তবু মনকে হাতড়াচ্ছিল। কষিয়ে নিচ্ছিল যুক্তিগুলো। যেমন মানুষ নিজের কাজের সাপেক্ষে করে থাকে। একটা সময় পর্যন্ত করে। তারপর করে না, ছেড়ে দেয় সময়ের হাতে। রচনাও তাই করতে বাধ্য হল মনের তাগিদে। বা বলা ভাল জেদের তাগিদে।
উকিলের পাঠানো কাগজটা টেনে নিয়ে কলমটা মুখে চেপে দুবার কামড়াল। মনটাকে দাতার যুক্তিতে দাঁতে চাপল। অবশেষে সইটা করছিলই… হাতের মোবাইলটা বাজনা ধরল।
বোতাম চাপার পরেই, ওপাশে কণ্ঠস্বরে উৎকণ্ঠা –
কিছু মনে কোরো না, এত বছরের অভ্যেস, না জিজ্ঞাসা করে পারলাম না।
“কখন ফিরেছ? খেয়েছো তো?”
Tags: গল্প, দেবাশিস মজুমদার, বিচ্ছেদ
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।