বউ ব্যাপক সুন্দরী; যাকে বলে ছম্মকছল্লু সুন্দরী। শ্বশুরমশাই মালদার; দিয়েছে থুয়েছে অনেক। মোটা ক্যাশ, ভারি গয়না, দেদার আসবাবপত্র। ফুলশয্যার রাতে বরের মনে তবুও একটা খিঁচখিঁচ – কী একটা নেই, কীসের একটা অভাব।
পালঙ্ক এসেছে পালিশ করা। নরম ফেনার মতো গদি মাথার বালিশ, কোল বালিশ। বাজারের সেরা ব্র্যান্ডের টিভি, সোফা। সবই তো আছে। তবু কেন বরের মনে কী নেই, কী নেই ভাব! আর কেবলই মনে হচ্ছে সবই যখন দিল, সামান্য ওই একটা জিনিস… কত আর দাম…!
নিমন্ত্রিতরা বিদায় নিচ্ছে একে একে। রান্না হয়েছে চমৎকার। প্রতিটা পদই অপূর্ব। প্রশংসা করছে সবাই। বিগলিত হাসিতে সবাইকে বিদায় জানাচ্ছে বর। মনে কিন্তু একটু খিঁচখিঁচে ভাব।
কনেযাত্রীদের বিদায় নেবার পালা এবার। শ্বশুরমশাইকে প্রণাম করল বর – বাবা, ইয়ে, একটা কথা …!
শ্বশুরমশাই বললেন, বল বাবাজীবন।
সবই তো দিলেন, শুধু একটা জিনিস…?
কী জিনিস বাবাজি?
লেপ। বর বলল, খাট বিছানার সঙ্গে লেপ নেই কেন বাবা?
শ্বশুরমশাই বললেন, এটা কী মাস বাবাজীবন?
বৈশাখমাস বাবা।
বৈশাখ মাসে লেপ চাও তুমি?
জামাই বলল, কিন্তু শীতকাল তো আসবে; আমাদের এখানে পৌষের প্রথম থেকেই শীত জাঁকিয়ে।
পানমশলার প্যাকেট ছিঁড়ে মুখে ঢাললেন শ্বশুরমশাই। তারপর স্মিত হেসে বললেন, পৌষমাস, সে তো অনেক দেরি বাবাজীবন। আমি তো আমার মেয়েকে চিনি; তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পার তোমাদের বিয়েটা অতদিন টিঁকবে না।
Tags: উল্লাস মল্লিক, গল্প, লেপ
email:galpersamay@gmail.com
মতামত
আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।