পুরানো সংখ্যা:

  1. বোঝা

    পরীক্ষার হলে বসবার যুগ শেষ হয়ে যাবার পরে এমন করে আর কারুর প্রশ্নের জবাব দিতে হয়নি। প্রশ্নতালিকার সহজ-শক্ত বেছে নিয়ে উত্তরের সুযোগ পাইনি। কফি হাউসের দোতলার বারান্দার মুখোমুখি বসে মূর্ত্তিমতী কৌতুহলের প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে নিজের অবিমৃষ্যকারিতায় অনুশোচনার অন্ত ছিল না। আমার মধ্যে কেমন একটা খেলো সামাজিকতার আধিক্য আছে দেখেছি। হঠাৎ পথে চেনা-লোক কুড়িয়ে তাকে […]

  2. শীতের মানচিত্র

    সারা শীতকাল মহিমের ঘুমিয়ে পড়াটা এরকম। কাঁথার ভিতরে তার বাবার সঙ্গে পাশাপাশি শুয়ে, অন্ধকার ঘর, ঘরের উপরের কড়িকাঠ দেখা যায় না, এক সময় বাবা বিড়ি ধরায়, মহিম এক ঝলকে দেখতে পায় গোটা ঘরটা। দেয়ালে গৌরনিতাইয়ের ছবি, বাঁশের আলনায় থাক থাক সার দিয়ে রাখা কাঁথা-বালিশ। দেশলাইয়ের কাঠি নিবে গেলে ফের অন্ধকার, চুপচাপ ঘর। শুধু বাবা যখন […]

  3. যে বছর শীত কম পড়ায় আমরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম

    পৌষ ও মাঘ এই দুইমাস শীতকাল।  শীতকাল উৎসবের ঋতু। আমাদের শহর জুড়িয়া মেলা বসিয়া যায়। চর্মশিল্প মেলা, হস্তশিল্প মেলা, সুখাদ্য মেলা, পুস্তক মেলা প্রভৃতির সমারোহে সকলে মাতিয়া ওঠে। ময়দানে সার্কাস আসে। শিশুরা সার্কাস দেখিতে বড় ভালোবাসে। শীত পিকনিকের ঋতুও বটে। বাস ট্রাক ম্যাটাডোর লইয়া পিকনিক পার্টির লোকেরা হৈ হৈ করিয়া দূরদূরান্তে রওনা দেয়। তাহাদের কলধ্বনি […]

  4. শীত বিষয়ক একটি গল্প

    বড়দিন, বর্ষশেষ আর ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ইন্টারনেটে বিভিন্ন শপিং সাইটে ছাড়ের ছড়াছড়ি। কেউ পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় দেয় তো কেউ দুটো কিনলে সত্তর। কেউ আবার বলছে যদি লাকি হন তাহলে হানড্রেড পারসেন্ট ক্যাশব্যাক – অর্থাৎ পুরোটাই ফ্রি। নেট দুনিয়া জুড়ে এ এক আজব দোকানদারি। কে লাভ করছে, কার ক্ষতি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারে না আলোকপর্ণা। আগে […]

  5. চেনা লেখক অচেনা কাহিনী

    সাহিত্যজীবন ব্যাপারটা নিয়ে নানা সময়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সাহিত্য জীবন কি সাহিত্যিকের ব্যাক্তিজীবন ? না সাহিত্যিকের ব্যাক্তিজীবন তাঁর সাহিত্যিকে কতটা প্রভাবিত করেছে তার বিচার। অনেকেই এ প্রশ্নের মীমাংসা করতে পারেননি। সাধুসঙ্গের আশায় যেমন পূর্ণ্যার্থী ঘোরেন, প্রকৃত পাঠকও তেমনই সাহিত্যিককে খুঁজে খুঁজে ফেরেন, নানা চাকায় ফেলে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে বিশ্লেষণ করেন। কতটা তাঁর পড়া পাঠের ওপর […]

  6. ওল্ড ইজ নট গোল্ড

    আরে ছ্যা ছ্যা ছ্যা। আজকালকার এগুলি কি গান! কোথায় গেল সেই বাংলা গানের স্বর্ণযুগ! হেমন্ত, মান্না, সতীনাথ, ধনঞ্জয়……। কতনাম করব! সেই স্বর্ণযুগের গান শুনে যারা বড় হয়েছেন তাঁদের কাছে আজকের এই জীবনমুখী গান বা ব্যান্ডের বীভৎস চিৎকার বিভীষিকা বই কি! বর্তমান লেখকও সেই দলে। শুধু গান কেন? ট্রেনে বাসে, পাড়ার রকে, পারিবারিক আড্ডায়, মফঃস্বলের রেল […]

  7. এম সি কিউ ও অন্য গল্প

    এম সি কিউ কোন দেশ ২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ উপস্হাপকের পুরস্কার পেয়েছে মউলী? অপশন দিন স্যার অপশন না দিলে এগোতে পারছো না? কী করব স্যার,  দিনরাত মাল্টিপল চয়েস ঘাঁটতে ঘাঁটতে জীবনটাই এম সি কিউ হয়ে গেছে। ঘুমে,জাগরণে,স্বপ্নে… ওভার স্মার্ট? একটু তো হতেই হবে স্যার। ওক্কে,ইন্ডিয়া,চায়না,ক্যানাডা, ব্রাসিলিয়া- হু? স্যার, প্রদর্শক বা উপস্হাপক মানে কী? বাংলাটাও গেছে? শোন, যে […]

  8. উৎসব সংখ্যা’২০১৮

    প্রকাশিত হল ‘গল্পের সময়’ উৎসব সংখ্যা। পড়ুন নবীন ও প্রবীন গল্পকারদের নানা স্বাদের গল্প। সব সময় গল্পের সময়।

  9. অস্তু

    মাসে একবার এই শনিবারের কিটি পাৰ্টিটাতে  আসতে নন্দিতার বেশ ভালোই লাগে ! ঠিক করে বলতে গেলে আসবার জন্যে ও প্রায় মুখিয়ে থাকেই বলা যায় ! দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পাড়ার এই ‘ঘরোয়া’ নামের  আবাসনে ফ্ল্যাটভাড়া নিয়ে ওরা এসেছে মাসতিনেক হলো ! ওরা মানে নন্দিতা আর ওর স্বামী সুপ্রতিম ! তা আবাসনের নামটা যেমন ‘ঘরোয়া’ তেমনি মানুষগুলোও বেশ হাসিখুশী আর মিশুকে ! অন্তত নন্দিতার […]

  10. গোঁফেশ্বরের জাদু

    গলায় গামছা লাগিয়ে একটা লোককে টেনে আনছে-গরু টানার মত। তার আসার মোটেই ইচ্ছে নেই। রীতিমত ছ্যাঁচড়াচ্ছে। কিন্তু, পেছনে ভেঙে পড়েছে হাটুরে সমস্ত লোক। হৈ হৈ শব্দ। যেন একটা বিজয় মিছিল! সকাল দশটা। থানার পাশেই বাজার। এমনিতেই এই সময় বাজারে যথেষ্ট লোকজনের সমাগম হয়। তার উপরে আজ হাটবার। সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে মানুষ সব এসে […]

  11. ঘেরাও

    এ ঘটনা ষাটের দশকের শেষের দিকে । এ রাজ্যের কলকারখানায় তখন মাঝে মাঝেই চলছে ‘ ঘেরাও’ । শ্রমিক অসন্তোষ এবং দাবী আদায়ের এক নতুন অস্ত্র। কখনো জেনারেল ম্যানেজার , কখনো ডাইরেক্টর অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা যাদের কিছুটা আছে বেছে বেছে শুধু তাদের ওপরই এই অস্ত্রের প্রয়োগ চলছে । উত্তাল সময় । উচ্চপদের অফিসাররা তটস্থ । […]

  12. ঋকের সেতু

    তাজপুরে পৌঁছাতে বেলা এগারোটা বেজে গেল। নন্দকুমার থেকে দীঘা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া হচ্ছে। তার জের। প্রচণ্ড জ্যাম। ভোর ছটায় বেরিয়েও লাভ হল না। আজকের দিনটাকে পুরোপুরি এনজয় করা গেল না, ঋক বেশ জোরেই কথাটা বলে ফেলল। কথাটা শুনেই তুলি বলল, কেন জারনিটা তো বেশ এনজয় করা গেছে – কোলাঘাটে অতক্ষণ ধরে টিফিন করার কি ছিল। […]

  13. চুয়াল্লিশটি গোলাপ

    ১ খবরটা পড়েই আনমনা হয়ে গেলেন  অনিরুদ্ধ।  বিবাহিত জীবনে বিচ্ছেদের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। না পোষালে একসাথে থাকার কোনও যুক্তি নেই। কিন্তু তাই বলে এই বয়সে! এখন তো আরও বেশি করে একে অন্যকে আঁকড়ে ধরার সময়। খবরটা দুঃখ দিলেও অনিরুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থনের নেশাকে একটু তা দিয়ে দিল। তাঁর ও শাঁওলীর এতগুলো বছরের  সম্পর্কের স্মৃতি জমতে জমতে […]

  14. পিং-পং

    সন চোদ্দোশো পঁচিশের  গ্রীষ্মসন্ধ্যা। পিয়ালী আর অনিন্দ্য নিমন্ত্রণরক্ষার জন্য প্রায় তৈরি। পিয়ালী আয়নার সামনে চুল আলতো জড়িয়ে ঘাড়ের ওপর তুলে ফ্রেঞ্চ নট বাঁধছে- দু এক গুছি রুপোলি  রেখা সিঁথির পাশে। অনিন্দ্য রেডি অনেকক্ষণ – তাড়া দিচ্ছে। পিয়ালী শাড়ি ঠিক করতে করতে বলল-‘এত কিসের  তাড়া!  যাচ্ছ তো হস্টেলের রুমমেটের বাড়ি, মানে আমাদের মতই বুড়ো আর বুড়ি।এক্স […]

  15. ভালোবাসা কারে কয়

    রোদটা একটু পড়ে যেতেই মনীষা হাতড়ে হাতড়ে একটা চেয়ার টেনে এনে বসলো দোতলার ঝুল বারান্দাটায়। আগে আগে বেশ অসুবিধা হতো। সন্দীপ তখন সাহায্য করতো। হাত ধরে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসাতো। মনীষা চোখে দেখতে পায় না। সব সময় চোখে একটা কালো চশমা পরে থাকে। এক এক করে ৩৫টা বছর কেটে গেছে এভাবে। ওর এখন বয়স ৫০ […]

  16. ক্যানসার

    এক এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীটা বড্ড ছোট আর গোল।  ওই ডাক্তারবাবুর সঙ্গে ঠিক দেখা হয়ে যাচ্ছে।  কোনভাবে আবিরার শ্বশুরবাড়িতে কথাটা জানাজানি হলে সমাজে মুখ দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে। লালা! মেরে গোপাল! রক্ষা করো। পরিবারের সম্মান তোমার হাতে! আজ বেশী করে লাড্ডু বানিয়েছেন আবিরার মা আশাদেবী। তার গোপালকে সন্তুষ্ট করার জন্য ঘুষ দিচ্ছেন। বিয়ের আগেই আবিরার একটা ভয়ানক […]

  17. অচেনা অরণ্যে

    লাল রঙের ঝুঁটিওয়ালা মোরগটা সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। আসে পাশে তার সঙ্গী সাথী বাকি মোরগ মুরগিগুলি একটাও নেই। মোরগটা মাঠের এমাথা থেকে ওমাথা দৌড়াচ্ছে, বোধহয় মৃত্যুভয়ে। নিশ্চই বুঝতে পেরেছে যে ওর মৃত্যু আসন্ন। তুলনায় শক্তিশালী এবং উর্বর মস্তিষ্কের প্রাণী মানুষের উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য হতে চলেছে সে। ফাঁকা মাঠটার কোনার দিকে রয়েছে একটা খড়ের ছাউনি […]

  18. গুড টাচ ব্যাড টাচ

    বালি স্টেশনে ব্যান্ডেল লোকালটা ঝমঝম করে ঢুকে পড়ে একটু স্থির হতেই, হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়ল সুরমারা। আর্য চেঁচিয়ে বলল সবাই উঠেছো তো? ওদিক থেকে মিতালি উত্তর করলো, হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা সবাই উঠেছি,তোমরা? আবির জিজ্ঞাসা করল,  মা কোথায়? রিঙ্কিতা তোমাদের ওখানে আছে তো? হাওড়া থেকে ছাড়া রাত্রি নটা ত্রিশের ব্যান্ডেল লোকাল বালি এল প্রায় দশটায়। ট্রেনে আজ […]

  19. মুন্নারের সেই রাত

    গল্পটা আমি শুনেছিলাম আমার এক বন্ধু পৃথ্বীশের কাছে। সে আজ থেকে প্রায় বছর দশেক আগের কথা। পৃথ্বীশ সদ্য বিবাহিত তখন, কাছাকাছি সময়ে ওর আর এক বন্ধু, অরিত্রর ও বিয়ে হয়েছিল। পৃথ্বীশ-মৌমিতা আর অরিত্র-সোহিনী, দুই দম্পতি একসাথে বেড়াতে গেছিল কেরালা। মানুষের হনিমুনের মেয়াদ ঠিক কতদিন? জানা নেই বোধহয়,  হীরকরাজের গণৎকার এর মত বলা যায়, “যদ্দিন তদ্দিন”! […]

  20. সামন্তবাড়ির পাখি

    [১] শীতের পড়ন্ত বেলা। বেলা প্রায় তিনটে। সোনার রঙের একটা আলো সামনে পেয়ারা,কৃষ্ণচূড়া আরও নানান সব ছোট-বড়  গাছের ফাঁক দিয়ে গলে এসে পরেছে শতবর্ষ পুরনো সামন্তবাড়ির আঙিনায়। নারায়ণ সামন্ত দাওয়ায় বসে এই বাড়ির দলিল আর প্ল্যান পর্যবেক্ষণে প্রচণ্ড ব্যস্ত। এমন সময় এসে হাজির তার জ্ঞাতিভাই হরিহর।  জ্ঞাতিভাই হলে কি হবে, দুজনের স্বভাবের মধ্যে বিশাল পার্থক্য। […]

  21. আনন্দ নিকেতন

    আনন্দ নিকেতনে আজ খুশির হাওয়া সকাল থেকেই। প্রতিদিনের তুলনায় আজ সবার মনে একটু বেশি খুশি। আর এক সপ্তাহ বাদেই পুজো। অন্যদিন অনেকেই পাঁচটার সময়ে উঠে মাঠে মর্নিং ওয়াক করে। কিন্তু আজ সবাই মহালয়া শোনার তাগিদে ঘড়ি ধরে চারটে বাজতেই উঠে পড়েছে। প্রতিবার এই দিনটাতে জলখাবার খেতে খেতে হলঘরে বসে সবাই প্রি পুজো বৈঠক করে পুজোর […]

  22. রমাপদ চৌধুরীকে আমি যেমন দেখেছি

    [আমাদের আলাদা রেখে সদ্য বাড়িটা বদলে ফেললেন সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী। লেখালিখির বিষয়ে একটা নিজস্ব দর্শন মেনে চলতেন তিনি। সেখানে কারও অনধিকার প্রবেশের জো ছিল না। তাই যখনই মনে করেছেন অবসর নিয়ে নিয়েছেন লেখালিখির জগত থেকে। বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্রসম এই মানুষটিকে তাঁর সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে এবং পরে ব্যক্তিগতস্তরের সখ্যতায় নানাভাবে দেখেছেন কবি ও লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ। […]

  23. আফসার আমেদ : এক অনন্য কথাকার

    [ নিজেকে জাহির করার প্রচারসর্বস্ব এই লেখক দুনিয়ায় আশ্চর্য রকমের ব্যাতিক্রমী ছিলেন তিনি। তাঁর প্রাপ্য মর্যাদার সামান্যতম না পেয়েও কোনও অভিযোগ ছিল না তাঁর। তিনি  আফসার আমেদ। কিছুদিন আগেই কারো কাছে কোনও দাবি-দাওয়া পেশ না করেই তিনি হয়ে গেলেন ‘সেই নিখোঁজ মানুষটা’। মাটির কাছাকাছি থেকে মানুষের কথাকার হয়ে ওঠা আফসার আমেদের লেখালিখি নিয়েই কলম ধরলেন […]

  24. দোস্তি

           [  এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না – এই স্পষ্ট উচ্চারণ তাঁর। তিনি বরাবরই ছিলেন সহজে কঠিন কথা বলার মানুষ। তিনি নবারুণ ভট্টাচার্য। আমাদের ফ্যাতাড়ু। শুদ্ধ সাহিত্য-সংস্কৃতির নামে ধামাধরা আতুপুতুদের তোয়াক্কা না করা পুরন্দর ভাট। জুলাই মাস ছিল এই ব্যাতিক্রমী সাহিত্যিকের মৃত্যু মাস। দীর্ঘ সময়ের ঘনিষ্টতা থেকে দেখা নবারুণের একটি কোলাজ চিত্র […]

  25. বিভূতি স্যারের নোটস

    [প্রকৃতি তাঁকে অন্যরকম ভাবে টানত। তাঁর অনেক গল্প, অনেক উপন্যাসে নানা মায়াময়ী রূপে উপস্থিত হয়েছে প্রকৃতির পাঁচালি। অনেকে তাঁকে ‘প্রকৃতি -পাগল সাহিত্যিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।  সেপ্টেম্বর মাস তাঁর জন্মমাস। বিভূতিভূষণের স্মৃতিবিজড়িত ঘাটশিলায় গিয়ে প্রিয় লেখকের প্রকৃতি পাঠকেই স্মরণ করলেন তরুণ লেখক পূষন।] [এক] ‘ বিকেলের এই শেষ-না-হওয়া কবরখানায় আমরা দু’জন কেমন জীবন […]

  26. অভিমানী বিদ্যাসাগর

    [এই সেপ্টেম্বর মাসেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন উনবিংশ শতকের  বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্যদিকে বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরণ করা হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে।প্রকৃতপক্ষে  বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক।কিন্তু একজন বিধবার বিবাহ দেওয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে […]

  27. আশ্রম ছিল রবীন্দ্র আলোয় আলোকময় – মঞ্জুলা দত্ত

    [তিনি যখন সাত বছর বয়সে শান্তিনিকেতনে পৌঁছোলেন তখন গুরুদেব নেই। তিনি ঠিক সাতমাস আগে সকলকে চোখের জলে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তবে গোটা আশ্রম জুড়ে তিনি বিরাজমান।যেন রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যেই রয়েছেন – এমনটাই অভিজ্ঞতা নৃত্যশিল্পী ও  আশ্রমিক মঞ্জুলা দত্তের। কেমন ছিল শান্তিনিকেতনের সেইসব দিন। কেমন করে অভিনয় হত ‘ডাকঘর’ নাটকের? কারা শেখাতেন রবীন্দ্রনৃত্যের নানা আঙ্গিক?  দীর্ঘ আলাপচারিতায় […]

  28. বুনোহাঁস

    ঠা-ঠা দুপুরে আমরা ধরেছি রানীহাঁস দিঘির পথ। আমি আর কল্পনাথ। কল্পনাথ আমার দূর সম্পর্কের জেঠতুতো ভাই। ওই বয়েসে, যারপরনাই বাউন্ডুলে। সব অর্থেই ভবঘুরে। চতুর্দিকে চষে বেড়ানোর যেসব গল্প শোনায়, কেমন জানি মনে হয়, এই ছোট্ট বয়েসেই না-হোক আধখানা দুনিয়া চক্কর মেরে ফেলেছে। জেঠারা থাকে গ্রামের অন্য প্রান্তে। কল্পনাথের সঙ্গে তাই রোজ দুবেলা দেখা হওয়ার উপায় […]

  29. মানসের বোন

    হাঁটছিলাম। খান্না থেকে শ্যামবাজদার পাঁচমাথা কতোটুকুই আর পথ, সেখান থেকে বাসে উঠবো। পাঁচ মাথার মোড়ে গিয়ে রাস্তা পার হয়ে ওপারে বাস ধরবো, সিগন্যাল লাল হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, দেখি স্টার্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ট্যাক্সির দরজা খুলে একটা ছেলে উঠতে উঠতে ব্যস্তসমস্ত হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছে সিগন্যাল খোলা পেয়ে যেতে না পেরে পিছনের গাড়িগুলো হর্ন দিচ্ছে […]

  30. হার্মাদ ও চাঁদ

    মহানন্দার বুকে চাঁদ ডুবকি লাগালে চন্দ্র দেবের চেহারাও কেমন একটু যেন বদলে যেতে থাকে। জিনস প্যান্ট, জিনস জ্যাকেটের অবশ্য এত কিছু দেখার সময় নেই। কাঁধে টাঙানো কাঁধঝোলা এই শীতের বাতাসে কেমন যেন একটু ঠকঠকিয়ে উঠতে আকাশে ঝোলা রোহিণীপতির মনে হলো, আরে বাপ রে বাপ, শীতের মহানন্দায় একটা রাতে যে সরাসর ডুব দিলাম, তাতে তো এতটুকুও […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2025 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ