-
চুয়াল্লিশটি গোলাপ১ খবরটা পড়েই আনমনা হয়ে গেলেন অনিরুদ্ধ। বিবাহিত জীবনে বিচ্ছেদের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। না পোষালে একসাথে থাকার কোনও যুক্তি নেই। কিন্তু তাই বলে এই বয়সে! এখন তো আরও বেশি করে একে অন্যকে আঁকড়ে ধরার সময়। খবরটা দুঃখ দিলেও অনিরুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থনের নেশাকে একটু তা দিয়ে দিল। তাঁর ও শাঁওলীর এতগুলো বছরের সম্পর্কের স্মৃতি জমতে জমতে […]
-
পিং-পংসন চোদ্দোশো পঁচিশের গ্রীষ্মসন্ধ্যা। পিয়ালী আর অনিন্দ্য নিমন্ত্রণরক্ষার জন্য প্রায় তৈরি। পিয়ালী আয়নার সামনে চুল আলতো জড়িয়ে ঘাড়ের ওপর তুলে ফ্রেঞ্চ নট বাঁধছে- দু এক গুছি রুপোলি রেখা সিঁথির পাশে। অনিন্দ্য রেডি অনেকক্ষণ – তাড়া দিচ্ছে। পিয়ালী শাড়ি ঠিক করতে করতে বলল-‘এত কিসের তাড়া! যাচ্ছ তো হস্টেলের রুমমেটের বাড়ি, মানে আমাদের মতই বুড়ো আর বুড়ি।এক্স […]
-
ভালোবাসা কারে কয়রোদটা একটু পড়ে যেতেই মনীষা হাতড়ে হাতড়ে একটা চেয়ার টেনে এনে বসলো দোতলার ঝুল বারান্দাটায়। আগে আগে বেশ অসুবিধা হতো। সন্দীপ তখন সাহায্য করতো। হাত ধরে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসাতো। মনীষা চোখে দেখতে পায় না। সব সময় চোখে একটা কালো চশমা পরে থাকে। এক এক করে ৩৫টা বছর কেটে গেছে এভাবে। ওর এখন বয়স ৫০ […]
-
ক্যানসারএক এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীটা বড্ড ছোট আর গোল। ওই ডাক্তারবাবুর সঙ্গে ঠিক দেখা হয়ে যাচ্ছে। কোনভাবে আবিরার শ্বশুরবাড়িতে কথাটা জানাজানি হলে সমাজে মুখ দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে। লালা! মেরে গোপাল! রক্ষা করো। পরিবারের সম্মান তোমার হাতে! আজ বেশী করে লাড্ডু বানিয়েছেন আবিরার মা আশাদেবী। তার গোপালকে সন্তুষ্ট করার জন্য ঘুষ দিচ্ছেন। বিয়ের আগেই আবিরার একটা ভয়ানক […]
-
অচেনা অরণ্যেলাল রঙের ঝুঁটিওয়ালা মোরগটা সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। আসে পাশে তার সঙ্গী সাথী বাকি মোরগ মুরগিগুলি একটাও নেই। মোরগটা মাঠের এমাথা থেকে ওমাথা দৌড়াচ্ছে, বোধহয় মৃত্যুভয়ে। নিশ্চই বুঝতে পেরেছে যে ওর মৃত্যু আসন্ন। তুলনায় শক্তিশালী এবং উর্বর মস্তিষ্কের প্রাণী মানুষের উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য হতে চলেছে সে। ফাঁকা মাঠটার কোনার দিকে রয়েছে একটা খড়ের ছাউনি […]
-
গুড টাচ ব্যাড টাচবালি স্টেশনে ব্যান্ডেল লোকালটা ঝমঝম করে ঢুকে পড়ে একটু স্থির হতেই, হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়ল সুরমারা। আর্য চেঁচিয়ে বলল সবাই উঠেছো তো? ওদিক থেকে মিতালি উত্তর করলো, হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা সবাই উঠেছি,তোমরা? আবির জিজ্ঞাসা করল, মা কোথায়? রিঙ্কিতা তোমাদের ওখানে আছে তো? হাওড়া থেকে ছাড়া রাত্রি নটা ত্রিশের ব্যান্ডেল লোকাল বালি এল প্রায় দশটায়। ট্রেনে আজ […]
-
মুন্নারের সেই রাতগল্পটা আমি শুনেছিলাম আমার এক বন্ধু পৃথ্বীশের কাছে। সে আজ থেকে প্রায় বছর দশেক আগের কথা। পৃথ্বীশ সদ্য বিবাহিত তখন, কাছাকাছি সময়ে ওর আর এক বন্ধু, অরিত্রর ও বিয়ে হয়েছিল। পৃথ্বীশ-মৌমিতা আর অরিত্র-সোহিনী, দুই দম্পতি একসাথে বেড়াতে গেছিল কেরালা। মানুষের হনিমুনের মেয়াদ ঠিক কতদিন? জানা নেই বোধহয়, হীরকরাজের গণৎকার এর মত বলা যায়, “যদ্দিন তদ্দিন”! […]
-
সামন্তবাড়ির পাখি[১] শীতের পড়ন্ত বেলা। বেলা প্রায় তিনটে। সোনার রঙের একটা আলো সামনে পেয়ারা,কৃষ্ণচূড়া আরও নানান সব ছোট-বড় গাছের ফাঁক দিয়ে গলে এসে পরেছে শতবর্ষ পুরনো সামন্তবাড়ির আঙিনায়। নারায়ণ সামন্ত দাওয়ায় বসে এই বাড়ির দলিল আর প্ল্যান পর্যবেক্ষণে প্রচণ্ড ব্যস্ত। এমন সময় এসে হাজির তার জ্ঞাতিভাই হরিহর। জ্ঞাতিভাই হলে কি হবে, দুজনের স্বভাবের মধ্যে বিশাল পার্থক্য। […]
-
আনন্দ নিকেতনআনন্দ নিকেতনে আজ খুশির হাওয়া সকাল থেকেই। প্রতিদিনের তুলনায় আজ সবার মনে একটু বেশি খুশি। আর এক সপ্তাহ বাদেই পুজো। অন্যদিন অনেকেই পাঁচটার সময়ে উঠে মাঠে মর্নিং ওয়াক করে। কিন্তু আজ সবাই মহালয়া শোনার তাগিদে ঘড়ি ধরে চারটে বাজতেই উঠে পড়েছে। প্রতিবার এই দিনটাতে জলখাবার খেতে খেতে হলঘরে বসে সবাই প্রি পুজো বৈঠক করে পুজোর […]
-
রমাপদ চৌধুরীকে আমি যেমন দেখেছি[আমাদের আলাদা রেখে সদ্য বাড়িটা বদলে ফেললেন সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী। লেখালিখির বিষয়ে একটা নিজস্ব দর্শন মেনে চলতেন তিনি। সেখানে কারও অনধিকার প্রবেশের জো ছিল না। তাই যখনই মনে করেছেন অবসর নিয়ে নিয়েছেন লেখালিখির জগত থেকে। বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্রসম এই মানুষটিকে তাঁর সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে এবং পরে ব্যক্তিগতস্তরের সখ্যতায় নানাভাবে দেখেছেন কবি ও লেখক সিদ্ধার্থ সিংহ। […]
-
আফসার আমেদ : এক অনন্য কথাকার[ নিজেকে জাহির করার প্রচারসর্বস্ব এই লেখক দুনিয়ায় আশ্চর্য রকমের ব্যাতিক্রমী ছিলেন তিনি। তাঁর প্রাপ্য মর্যাদার সামান্যতম না পেয়েও কোনও অভিযোগ ছিল না তাঁর। তিনি আফসার আমেদ। কিছুদিন আগেই কারো কাছে কোনও দাবি-দাওয়া পেশ না করেই তিনি হয়ে গেলেন ‘সেই নিখোঁজ মানুষটা’। মাটির কাছাকাছি থেকে মানুষের কথাকার হয়ে ওঠা আফসার আমেদের লেখালিখি নিয়েই কলম ধরলেন […]
-
দোস্তি[ এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না – এই স্পষ্ট উচ্চারণ তাঁর। তিনি বরাবরই ছিলেন সহজে কঠিন কথা বলার মানুষ। তিনি নবারুণ ভট্টাচার্য। আমাদের ফ্যাতাড়ু। শুদ্ধ সাহিত্য-সংস্কৃতির নামে ধামাধরা আতুপুতুদের তোয়াক্কা না করা পুরন্দর ভাট। জুলাই মাস ছিল এই ব্যাতিক্রমী সাহিত্যিকের মৃত্যু মাস। দীর্ঘ সময়ের ঘনিষ্টতা থেকে দেখা নবারুণের একটি কোলাজ চিত্র […]
-
বিভূতি স্যারের নোটস[প্রকৃতি তাঁকে অন্যরকম ভাবে টানত। তাঁর অনেক গল্প, অনেক উপন্যাসে নানা মায়াময়ী রূপে উপস্থিত হয়েছে প্রকৃতির পাঁচালি। অনেকে তাঁকে ‘প্রকৃতি -পাগল সাহিত্যিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেপ্টেম্বর মাস তাঁর জন্মমাস। বিভূতিভূষণের স্মৃতিবিজড়িত ঘাটশিলায় গিয়ে প্রিয় লেখকের প্রকৃতি পাঠকেই স্মরণ করলেন তরুণ লেখক পূষন।] [এক] ‘ বিকেলের এই শেষ-না-হওয়া কবরখানায় আমরা দু’জন কেমন জীবন […]
-
অভিমানী বিদ্যাসাগর[এই সেপ্টেম্বর মাসেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন উনবিংশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্যদিকে বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরণ করা হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে।প্রকৃতপক্ষে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক।কিন্তু একজন বিধবার বিবাহ দেওয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে […]
-
আশ্রম ছিল রবীন্দ্র আলোয় আলোকময় – মঞ্জুলা দত্ত[তিনি যখন সাত বছর বয়সে শান্তিনিকেতনে পৌঁছোলেন তখন গুরুদেব নেই। তিনি ঠিক সাতমাস আগে সকলকে চোখের জলে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তবে গোটা আশ্রম জুড়ে তিনি বিরাজমান।যেন রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যেই রয়েছেন – এমনটাই অভিজ্ঞতা নৃত্যশিল্পী ও আশ্রমিক মঞ্জুলা দত্তের। কেমন ছিল শান্তিনিকেতনের সেইসব দিন। কেমন করে অভিনয় হত ‘ডাকঘর’ নাটকের? কারা শেখাতেন রবীন্দ্রনৃত্যের নানা আঙ্গিক? দীর্ঘ আলাপচারিতায় […]
-
বুনোহাঁসঠা-ঠা দুপুরে আমরা ধরেছি রানীহাঁস দিঘির পথ। আমি আর কল্পনাথ। কল্পনাথ আমার দূর সম্পর্কের জেঠতুতো ভাই। ওই বয়েসে, যারপরনাই বাউন্ডুলে। সব অর্থেই ভবঘুরে। চতুর্দিকে চষে বেড়ানোর যেসব গল্প শোনায়, কেমন জানি মনে হয়, এই ছোট্ট বয়েসেই না-হোক আধখানা দুনিয়া চক্কর মেরে ফেলেছে। জেঠারা থাকে গ্রামের অন্য প্রান্তে। কল্পনাথের সঙ্গে তাই রোজ দুবেলা দেখা হওয়ার উপায় […]
-
মানসের বোনহাঁটছিলাম। খান্না থেকে শ্যামবাজদার পাঁচমাথা কতোটুকুই আর পথ, সেখান থেকে বাসে উঠবো। পাঁচ মাথার মোড়ে গিয়ে রাস্তা পার হয়ে ওপারে বাস ধরবো, সিগন্যাল লাল হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি, দেখি স্টার্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ট্যাক্সির দরজা খুলে একটা ছেলে উঠতে উঠতে ব্যস্তসমস্ত হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছে সিগন্যাল খোলা পেয়ে যেতে না পেরে পিছনের গাড়িগুলো হর্ন দিচ্ছে […]
-
হার্মাদ ও চাঁদমহানন্দার বুকে চাঁদ ডুবকি লাগালে চন্দ্র দেবের চেহারাও কেমন একটু যেন বদলে যেতে থাকে। জিনস প্যান্ট, জিনস জ্যাকেটের অবশ্য এত কিছু দেখার সময় নেই। কাঁধে টাঙানো কাঁধঝোলা এই শীতের বাতাসে কেমন যেন একটু ঠকঠকিয়ে উঠতে আকাশে ঝোলা রোহিণীপতির মনে হলো, আরে বাপ রে বাপ, শীতের মহানন্দায় একটা রাতে যে সরাসর ডুব দিলাম, তাতে তো এতটুকুও […]
-
সাইবার ফাউন্ডেশনএকটা থ্রি-কোয়ার্টার ফেডেড জিন্স আর স্লিভলেস টিশার্ট পরে সিটি সেন্টারের সামনের রাস্তাটা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বর্ষা। আজ বেশ গরম পড়েছে। দুপুরের পর তাই কলেজ কেটে কয়েকজন বন্ধুর সাথে সিটি সেন্টারে এসেছিলো সে। একটা এয়ার কন্ডিশনড রেস্তেরাঁতে বসে অনেকটা সময় কাটানোর পর এখন একা একা বাড়ি ফিরছে বর্ষা। এবছরই আঠারোয় পা দিয়েছে মিস্টার এন্ড মিসেস চ্যাটার্জির […]
-
আসছে উৎসব সংখ্যা[প্রতিটি মানুষই কিছু বলতে চান। পৃথিবীর আবহমান হাসি–কান্না, দুঃখ–কষ্ট, আনন্দ উল্লাসে দোদুল্যমান প্রতিটি মানুষের বুকের ভেতর জমাট হয়ে বসে থাকে না বলা হাজারো কাহিনী বা কিস্সা। কেউ কেউ শুধু নিজেরই নয়, অন্যের জীবনের নানা ঘটনার উপাদান সংগ্রহ করেও করেন কাহিনীর নির্মান। গল্পেরা তাদের ডাকে, তাদের সঙ্গে ঘর করে। বিকেল বেলায় বেড়াতে গেলে পিছনে ছায়ার মত লেপটে থাকে। তিনি তখন গল্প তাড়িত? তিনি বুকের মধ্যে প্রতিনিয়ত বয়ে নিয়ে চলেছেন এক বা একাধিক কাহিনী। অক্ষরমালায় সাজিয়ে তোলা সেইসব গল্প নিয়েই সেজে উঠছে আমাদের উৎসব সংখ্যা। ] আসছে ‘গল্পের সময়’ উৎসব সংখ্যা
-
পরিকাহিনি১ পায়ে ধরে মাগি কইন্যা তোমার যৈবন। — ময়মনসিংহ গীতিকা। নেপেন বলল, সেই ফতিমা এখন জামালের সঙ্গে থাকছে। গণির কাছ এখবর চমকানোর মতই। ফতিমা যখন মল্লিকপাড়াতেই এক দূর সম্পর্কের এক নানীর বাড়ি ছিল, তখন অনেকেই ওকে বিয়ে করতে চায়। শেষে জামালকে নিকে করল ঐ আগুনে সুন্দরি। টাক মাথা জামাল সেখ। বাড়ির সামনে এক জামগাছের […]
-
বিচিত্র খবরের সাইট ‘খোশখবর’বিচিত্র এই পৃথিবী। আরও বিচিত্র তার বুকে মানুষের বড় হওয়ার ইতিহাস। সেই প্রাচীনকাল থেকে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত এর বুকে ঘটে চলা নানা ঘটনার কতটুকুই বা জানি আমরা? এই বিপুল জ্ঞান সমুদ্র থেকে এক কণা সম নিয়ে পরিবেশনের চেষ্টাই এই ব্লগ সাইট। ক্লিক করুন এইখানে http://www.khoshkhobor.blogspot.com
-
ডাঃ পি কে দাসের বইরবীন্দ্রভাবনা প্রকাশক – দশ দিগন্ত পাবলিশার,ঊষাকিরণ অ্যাপার্টমেন্টস,ফ্ল্যাট নং -২(ভূমিতল),৩০এ ডাক্তারবাগান লেন,শ্রীরামপুর-৩, হুগলি।ফোন – (০৩৩)২৬২২-৪৪০৭(সকাল ৭টা-৮টা)/৯৩৩৯৬৪৬৭৪২(রাত ৯.৩০ থেকে ১০.৩০)
-
নজরকাড়া ‘কোটেশন’ সাইটবিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের ‘কোটেশন’ বা ‘উক্তি’র দুনিয়ায় প্রবেশ করতে ক্লিক করুন এইখানেhttp://www.whoquoteswhat.blogspot.com
-
অন্তর্জলি যাত্রা-প্রাণের স্পর্শ পাই প্রবাহের পথেসমাজ রাজনীতির জীব আমরা। আমাদের সামাজিক সংস্কারে যা উত্তরাধিকার হিসেবে আসে, তাই আবার উত্তরপুরুষ লাভ করে। সেকারণেই বলতে পারি ‘History repeats itself ’ অন্তর্জলি যাত্রার কাহিনী বহতা জীবনের মধ্যে প্রোথিত সংস্কার সংস্কৃতি নির্ভর। প্রতীকী মানে নিয়ে উপস্থিত গঙ্গা সুরধুনী। রামপ্রসাদ থেকে রামকৃষ্ণে আমাদের বঙ্গজীবনধর্ম পুনঃপ্রকাশিত ও পুনঃপ্রসারিত হয়। গল্পের মধ্যে রয়েছে দুঃখ ব্যথার পুনঃসৃজন অথবা […]
-
বাঘ বাহাদুর[একটা রাস্তার কুকুর,কিছুই ক্ষতি করেনি আমার। তবুও তার তলপেটে ইঁট ছুঁড়ে,তার অসহায় কুঁই কুঁই ডাক শুনে আমার আনন্দ। যেন এটা আমার অধিকার। কয়েকমাস আগে কোথা থেকে যেন লালগড়ের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল একটা বাঘ। ব্যাস আর যায় কোথায়? আক্রমণ করতে পারে এই অজুহাতেই বাঘের বিচরণভূমিতে ঢুকে তাঁকে মেরে ফেলল একদল মানুষ। ‘মানুষখেকো’ নয় জেনেও এ কেমন […]
-
ভাসমান রহস্যধরণী কাকুর বয়স কত হবে এ ব্যাপারে আমাদের কোন আন্দাজ নেই । তবে সুদেব বলেছিল ওর দাদুর সাথে নাকি ধরণী কাকু এক সময় ফুটবল খেলত ! হতে পারে । তবে আজো ধরণী কাকুর যা চেহারার বাঁধন আর এক মাথা কালো ঝাঁকড়া চুল তা দেখলে তার বয়সের তল পাওয়া মুশকিল ! সে এক’শ বা দু’শ […]
-
জুলাই সংখ্যা প্রকাশিতজুলাই’২০১৮।। আষাঢ়ে গল্প ভাসমান রহস্য লিখেছেন:অঞ্জন সেনগুপ্ত আত্মজা লিখেছেন:সিদ্ধার্থ সান্যাল ভূতের টেবিল চেয়ার লিখেছেন:ডা পি কে দাস ইরাবতী লিখেছেন:অর্পিতা গোস্বামী চৌধুরী সেই রাত লিখেছেন:ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় নিশি দারোগার বেত্তান্ত লিখেছেন:পূষন পাতালগড়ে রাত-বিরেতে লিখেছেন:পবিত্র চক্রবর্তী
-
আত্মজাএ গল্পের সময়কাল গত শতাব্দীর চতুর্থ দশকের মধ্যভাগে ! কিন্তু গল্প কেন বলছি এ তো সত্য ঘটনা…..আমার মায়ের মুখ থেকে শোনা ! আর মা ছিল অবিশ্বাস্য এই ঘটনার কুশীলব তিনজনের মধ্যে একজন….তাই বিশেষ জল্পনা কল্পনারও অবকাশ নেই ! রহস্যময় তথা ব্যাখ্যার অতীত এই কাহিনীর উৎপত্তি পরাধীন ভারতের বিহারপ্রদেশের হাজারীবাগ জেলার ঝুমরী তিলাইয়াতে…..যা এখন ঝাড়খন্ড প্রদেশের কোডার্মা […]
-
ভূতের টেবিল চেয়ারগল্পটা আমায় কমলেশবাবু বলেছিলেন। সেবার আষাঢ়ের ভরা বর্ষায় একদিন অফিসে বসে মুড়ি তেলেভাজা খেতে খেতে গল্প চলছিল। গল্পটা এই রকম। একটা ভালো দামি টেবিল চেয়ারের প্রয়োজন ছিল কমলেশবাবুর। ছেলে জয়েন্ট দিয়ে চান্স পেয়েছে নাম করা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তার একটা ভালো পড়ার টেবিল চেয়ার দরকার । অনেকগুলো ফার্নিচারের দোকান ঘুরলেন কমলেশবাবু। পছন্দ হচ্ছে না কোনোটাও। কোথাও […]
