পুরানো সংখ্যা:

  1. ভগীরথ মিশ্র’র লেখালিখি

    [ বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে  তাঁর  লেখা সুবৃহৎ উপন্যাস ‘ মৃগয়া’। একে কেউ বলেছেন মহাসাহিত্য আবার কেউ  বলেছেন ভারতীয় উপন্যাসের মডেল। তাঁর লেখালিখি হয়ে উঠেছে  বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের গবেষনার বিষয়।  তিনি ভগীরথ মিশ্র। যাঁর লেখায় পাঠক খুঁজে পান মাটির টান।  তিনি মনে করেন গোটা ভারতবর্ষটাই কৃষিপ্রধান আধা সামন্ততান্ত্রিক দেশ। গোটা দেশটাই  একটা গ্রাম। […]

  2. চেনা লেখক অচেনা কাহিনী

    চেনা জানা জগৎটাই আমাদের কাছে ধোঁয়াশা। এই জগতটারই কোন সঠিক চেহারা আমরা বুঝি না যতক্ষণ না অচেনা নানা কাহিনী, চেনার জগতের হাত ধরে আমাদের চেনা মানুষগুলোকে আরও ভালভাবে চিনিয়ে দিয়ে যায়। তাই অচেনা মানুষরা আমাদের পরিচিত জগতের মধ্যে যতটা না প্রভাব ফেলে চেনা লোকের নতুন নতুন না জানা ঘটনা আমাদের বেশি করে ভাবায়। লেখক পাঠকের […]

  3. উদয়ের কথা

    [ভারতবর্ষে নৃত্যের আধুনিক ধারার প্রবর্তক হিসেবে উদয়শঙ্করকে মানা হয়।ভারতীয় নৃত্যশিল্পকে   বিশ্বের  দরবারে নিজ দক্ষতায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। সৃজনশীল নৃত্যজগতের নটরাজ তিনি।ভারতীয় নৃত্য ধারায় ‘ব্যালে’ পদ্ধতির সর্বশ্রেষ্ঠ প্রয়োগশিল্পী হিসেবে উদয়শঙ্করকে মানা হয়।আজও প্রবহমান  তাঁর সেই নৃত্যধারাকে  বহন করে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব উদয়শঙ্কর নিজ হাতে যার কাঁধে তুলে দিয়েছিলেন তিনি শান্তি বসু।টানা ন’বছর উদয়শঙ্করের দলের ব্যালে মাস্টার […]

  4. বিশেষ অণুগল্প সংখ্যা প্রকাশিত হবে দুটি সংখ্যা( জানুয়ারি ২০১৮ এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৮) অণুগল্প সংখ্যায় লেখা পাঠানোর নিয়ম   ১। সকলেই গল্প পাঠাতে পারেন।ভাল গল্প প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। ২। লেখা অভ্রতে বাংলা টাইপ করে ওয়ার্ড-ফাইলে পাঠান।পিডিএফ করে পাঠাবেন না। হাতে লেখা গল্প স্ক্যান করে পাঠাবেন না। ৩। কোথাও প্রকাশিত(ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল  সাইট হলেও) গল্প […]

  5. নটে গাছ

    লিচু গাছের নীচে আধ শোয়া হয়ে ঝিমোচ্ছিল নিশিকান্ত। খোঁচা খোঁচা দাড়ি গোঁফ। শুকনো হরিতকির মতো পাতলা চেহারা। কোমর থেকে গোড়ালি ঢাকা চেক লুঙ্গি। খালি গা। ধারালো চোখ। বাঁশ ডগলার মতো মাথা ঝুঁকে, লিচু তলায় বসে আছে। বসে আছে মানে মতলব ভাঁজছে। লোকে আড়ালে বলে আড় কাঠি। আড়কাঠি মানে ‘সাপের হাঁচি বেদে চেনে’। সেটা হলো সাপের […]

  6. আকাশ অন্ধকার

    ছেলে পিনাকী বিয়ে করে বাইরে চাকরি নিয়ে চলে গেছে অনেকদিনই হয়ে গেল। ভারতীর ঘরটা একটু ফাঁকা ফাঁকা ঠিকই কিন্তু বিদ্যাচরণ স্ত্রীকে সেই ফাঁকটা কখনই বুঝতে দেননি। সব সময় স্ত্রীকে সঙ্গ দিতেন। রিটায়ারমেন্টের পর একটা এনজিও-তে জয়েন করেছিলেন তাও সেইসব কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। এই বয়সেও ভারতীর যা কিছু অপূর্ণ আশা সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেন বিদ্যাচরণ। […]

  7. ভাত

    ‘খবরদার! আমার মাকে নিয়ে একটাও খারাপ কথা বলবেন না’ তেরো বছরের তিনুর মাথায় খুন চেপে গেলো, তার দুচোখে আগুন। এমনিতে তিনু খুব শান্ত, সাত চড়ে রা কাড়ে না। রোজ ভোরবেলায় উঠে সকালের লোকাল ধরে ডানকুনি থেকে চলে আসে শিয়ালদায়। এখানে এই ভাতের হোটেলে কাজ করছে একবছর হলো। মাইনে ছাড়াও সকালের জলখাবার আর দুপুরের খাওয়াটা ফ্রি। […]

  8. ঋ-তানিয়া

    না। তানিয়া কিছুতেই কথা বলছে না। ওকে কথা বলানোর জন্য গত দু’দিন ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ঋ। তবুও একটা বর্ণও উচ্চারণ করছে না ও। কথা বলছে না মানে যে কোনও কাজ করছে না, তা নয়। সেই অষ্টমঙ্গলার গিঁট খুলে এ বাড়িতে আসার পর থেকে ও যা যা করে, মুখ বুজে তা-ই করে যাচ্ছে। সকালে […]

  9. নিশি পাওয়া

    ক্রিং .. ক্রিং .. ক্রিং .. টেলিফোনটা বেজে উঠলো। মাথার কাছে রাখা টেলিফোনটা বেজে উঠতেই ঘুম জড়ানো চোখে সচকিত ডাঃ বিকাশ মণ্ডল। ঘড়ি দেখলেন। বাজে রাত ২টো। এত রাতে কার কি হল? তড়ি ঘড়ি বিছানা থাকে উঠে ফোনটা ধরলেন ডাঃ মণ্ডল। – হ্যালো? কে বলছেন? – ডাক্তারবাবু! আমি তড়িৎ বলছি। বিবেকানন্দ আশ্রম থেকে। এত রাতে […]

  10. যদি এমন হত

    হ্যালো সুমিত্র বলছি। ও আন্টি, বলুন, হ্যাঁ আমি বাসে, হাওড়া জাচ্ছি। না, আত্রেয়ী তো আমার সঙ্গে নেই। হ্যাঁ আমরা সবাই আজ কলেজে গিয়েছিলাম। এস এস ম্যামের কাছে প্র্যাক্টিক্যাল খাতা জমা দিতে, না, আত্রেয়ী তো আজ কলেজে আসে নি। কী বলছেন! কলেজে যাবে বলে ও সেই দুপুরবেলায় বাড়ি থেকে ব্যাগপত্র নিয়ে বেরিয়েছে। না না, আমি তো […]

  11. হাঁসুলী বাঁকের কথা

    ২০০০ সালের গোড়ার দিক। আমি তখন দুর্গাপুরে। বাংলা টেলিভিশনের খবরে সবে মাত্র জোয়ার এসেছে। একটু অন্য ধরনের খবরের তখন দারুণ চাহিদা। আমাকে প্রায়শই অন্য ধরনের খবরের খোঁজ দিতেন কাজি খায়রুল আনম সিদ্দিকী। তখন তিনি ভূমি রাজস্ব দফতরে উচ্চ পদে কাজ করতেন। আমার প্রাক্তন সহকর্মী তথা সাংবাদিক কাঞ্চনদার বাবা হলেও, মজার কথা, এমন ধরনের খবর তিনি […]

  12. ইসমত চুঘতাই সম্পর্কে মান্টো

    [ইসমত চুঘতাই সম্পর্কে সাদাত হাসান মান্টোর এই লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দ্য  অ্যানুয়্যাল অব উর্দু স্টাডিজ’ পত্রিকায়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মহম্মদ উমর মেনন। লেখাটি উর্দু থেকে ইংরাজিতে অনুবাদ করেছেন মহম্মদ আসাবুদ্দিন। সেটিরই বাংলা অনুবাদ করেছেন দেবাশিস মজুমদার।] ইসমত সম্পর্কে আমি যা লিখছি তা কোনো লজ্জা থেকে নয়। আসলে তাঁর কাছে একটা ঋণ রয়ে গেছে। […]

  13. সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার

    [ বাংলা সাহিত্যে একটি বিতর্কিত নাম সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্যে এক স্বতন্ত্র পাঠক গোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন সন্দীপন। লিখন শৈলীতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিন্ন মেরুতে অবস্থান সত্ত্বেও আজও সমান আলোচিত তিনি। সন্দীপনকে নিয়ে লিটল ম্যগাজিন ছাড়া অন্যত্র সেভাবে আলোচনা হয়নি বললেই চলে। নব্বইয়ের দশকে সন্দীপন ভাবনায় আলোড়িত হন তাঁর এক নিবিড় পাঠক প্রবীর চক্রবর্তী। সন্দীপন সান্নিধ্যে তাঁর […]

  14. কর্পোরেট

    – তাহলে আপনি আপনার স্ত্রীকে হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন। আমি কয়েক সেকেণ্ড কোনো কথা বলতে পারলাম না। আবছা আলোয় ভদ্রলোককে যতটুকু বোঝা যাচ্ছে – বয়স পঞ্চাশের বেশি বলে মনে হচ্ছে না। গলায় অদ্ভূত এক যান্ত্রিক কাঠিন্য। বোধহয় স্যুট পরে আছেন। বোধহয় কেন, নিশ্চিত। এখন বেশ ঠাহর করা যাচ্ছে। আস্তে আস্তে চোখও সয়ে যাচ্ছে। আমি […]

  15. গল্প বলে কানাই সর্দার

    কানাই সর্দার গল্প বলে। তার মাথায় সাদা কোঁকড়া চুল গালে দুচার খানা সাদা দাড়ি উত্তুরে হাওয়ায় নড়ে তিরতির। পচাই খেয়ে চোখদুটো লাল হলেই তার কাছে গল্প বের হয় দুদ্দাড়। সাদা নেংটির মত একফালি ধুতিখানা জড়িয়ে বাবলাতলায় বসেই বিড়ি চায় আধখানা। না তার গোটা চাওয়া নেই কোনোকালেই। মাঠে শীতের ধান কাটা হচ্ছে। কামিনদের মাথা উঠছে নামছে। […]

  16. একটু শীতের জন্য

    হা-হুতাশ করে করে ডিসেম্বর শেষ। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে চললেও এখনও তেমন শীত পড়ল না। ফি বছরই শীতের জন্য হাহাকার চলে সুতপনদের। আলমারিতেই তুলে রাখতে হয় নামী – দামি শীতের পোশাক। অথচ সুতপন এখন ভাবে, ছোটবেলায় কত্তো শীত ছিল। জামাকাপড়ের সেরকম জোগাড় না থাকায় স্কুলে যেতে হি হি করে কাঁপতে হত। ঠাণ্ডায় দাঁতে দাঁতে […]

  17. কীটনাশক

    সন্ধ্যার রুটিন রাউন্ডে এসে ড. পারিজাত লাহিড়ী শুনলেন একটি স্পেশাল কেবিনে কেন্দ্রীয় সরকারের একজন বিশেষ অতিথি ভর্তি হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যাপার, তাই গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। আসল নামধাম কিছু নথিবদ্ধ হয় নি, উপরমহলের নির্দেশে। শহরের নামকরা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের এই বিশেষ কেবিন যেটা সচরাচর ভি আই পি দের জন্য বরাদ্দ থাকে সেই ঘরটায় ঢুকতেই ভূত দেখার […]

  18. ঠিকানা

    ওরে!কি হোলো কি তোর আজ? মনের খিদেটা যে তোর মিটছে না কিছুতেই। কি করে মিটবে এমন সুন্দর বসন্তের ভোর — মিহি আলোয় পরিপূর্ন আমেজ। – ফাঁকা পথে আমার দুইচাকার পক্ষীরাজে আমি একা সওয়ারী আবার আমিই তার সারথী। কাজেই সওয়ারীর মরজিমাফিকই প্যাডেল ঘুরছে পায়ের চাপে — কখনও ধীরে বা কখনও উদ্দাম গতিতে। – যেন খেলা চলেছে […]

  19. অদ্ভুত অপমান

    ছোটোগল্পে সাধারণত কোন ভূমিকা থাকেনা, এই গল্পে একটু ভূমিকা আছে। ছোটোগল্পে উৎসর্গও খুব একটা থাকেনা, কিন্তু এই গল্পটি উৎসর্গ করলাম অর্ক ও নাবহানকে। অর্ক আমার বন্ধু আরজুর ছেলে, শুনেছি ছোটকাল থেকেই তার টিকটিকি খুব পছন্দ। আর নাবহান আমার ছেলে, চার মাস বয়সেই আমি যখন জিজ্ঞেস করতাম, কয়টা বাজে বাবা? সে দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে হাসে। […]

  20. যদু ডাক্তারের পেশেন্ট

    ক্যালকাটা ফিজিসার্জিক ক্লাবের সাপ্তাহিক সান্ধ্য বৈঠক বসেছে। আজ বক্তৃতা দিলেন ডাক্তার হরিশ চাকলাদার, এম ডি, এল আর সি পি, এম এম আর সি এস। মৃত্যুর লক্ষণ সম্বন্ধে তিনি অনেকক্ষণ ধরে অনেক কথা বললেন। চার পাঁচ ঘণ্টা শ্বাস রোধের পরেও আবার নিশ্বাস পড়ে, ফাঁসির পরেও কিছুক্ষণ হৃৎস্পন্দন চলতে থাকে, দুই হাত দুই পা কাটা গেলেও এবং […]

  21. মেঘে ফোটা তারা

    (জুন’১৭ সংখ্যার পর) সাবিহা বেগমের এক ভাই ঢাকায় থাকেন। বড় চাকরি করেন। ‘মাইয়াডারে তার কাছে নিয়া উঠোলি কেমুন অয়’ ভাবতে থাকে ময়েনউদ্দিন। কিন্তু তাতেও সমস্যার কূল দেখে না সে। কারণ বাড়ির কর্তার স্পষ্ট মতামত দরকার। তবু এক সন্ধ্যার পর উদ্দেশ্যহীন হাঁটতে হাঁটতে সাবিহা বেগমের বড় ভাইয়ের বাসায় চলে যায় ময়েন। ফিরোজ সাহেব বাসায়ই ছিলেন। ময়েনকে […]

  22. লাভের বেলায় ঘন্টা!

    ঘাটশিলার শান্তিঠাকুর বলেছিলেন আমায় গল্পটা… ভারি মজার গল্প। দারুণ এক দুরন্ত ছেলের কাহিনী… যত রাজ্যের দুষ্টবুদ্ধি খেলত ওর মাথায়। মুক্তিপদ ছিল তার নাম, আর দুষ্টুমিরাও যেন পদে-পদে মুক্তি পেত ওর থেকে। আর হাতে-হাতে ঘটত যত অঘটন! এই রকম অযথা হস্তক্ষেপ আর পদক্ষেপের ফলে একদিন যা একটা কান্ড ঘটল… গাঁয়ের শিবমন্দিরের ঘণ্টাটার ওপর ওর লোভ ছিল […]

  23. সাহিত্যে ঐতিহাসিকতা

      আমরা যে ইতিহাসের দ্বারাই একান্ত চালিত এ কথা বার বার শুনেছি এবং বার বার ভিতরে খুব জোরের সঙ্গে মাথা নেড়েছি। এ তর্কের মীমাংসা আমার নিজের অন্তরেই আছে, যেখানে আমি আর-কিছু নই, কেবলমাত্র কবি। সেখানে আমি সৃষ্টিকর্তা, সেখানে আমি একক, আমি মুক্ত; বাহিরের বহুতর ঘটনাপুঞ্জের দ্বারা জালবদ্ধ নই। ঐতিহাসিক পণ্ডিত আমার সেই কাব্যসৃষ্টির কেন্দ্র থেকে […]

  24. ইসমত চুঘতাই-এর সাক্ষাৎকার

      [বর্তমান সাক্ষাৎকারটি ১৯৭২ সালে ‘ মেহফিল’ এ প্রকাশিত হয়েছিল। উর্দু সাহিত্যে ইসমত চুঘতাই এর গুরুত্ব কে মনে রেখে সাক্ষাৎকারটিকে কে ইংরাজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন ‘গল্পের সময়’ পরিবারের অন্যতম সদস্য দেবাশিস মজুমদার ।এবার তার প্রথম পর্ব।]   উর্দু ছোটো গল্পের সূচনা পর্বের পথিকৃৎ  হিসাবে আপনাকে গণ্য করা হয়,আপনার একদম  প্রথম দিককার লেখালিখি নিয়ে সংক্ষেপে  […]

  25. সাহিত্যের সাধনা

      রাজনীতি বা সমাজ–সংস্কারাদির জন্য সঙ্ঘ– সমিতির বৈঠক এবং সাহিত্য – সভার মধ্যে পার্থক্য অনেকখানি। পূর্বোক্ত ব্যাপারগুলিতে সঙ্ঘগঠন, অধিবেশন ইত্যাদি অপরিহার্য। জনসাধারণের দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রাথমিক প্রয়োজনাবলীর সঙ্গেই প্রধানতঃ এই কর্মবিভাগগুলি সংশ্লিষ্ট, বহুর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে মিলিত না হয়ে এখানে প্রচেষ্টা সফল হয় না। অন্যদিকে, সাহিত্য যদিও সর্ব–সাধারণের মধ্যে আন্তরিকতম মিলনের যোগসূত্রস্বরূপ এবং যদিও চারিপাশের মানুষকে বাদ […]

  26. পার্টি বলেছিল

        বুর্জোয়া শিক্ষা ব্যবস্থায় যে যত পড়ে, সে তত মূর্খ হয় – কলেজ স্ট্রিটের দেওয়াল থেকে উড়ে এসে যখন আমাদের বালুরঘাট কলেজেরও দেওয়ালে ফুটে উঠল, তখন যে ঝাঁকটি বেরিয়ে পড়ল গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরতে, আমি ছিলাম তাদেরই একজন। আমি অবশ্য তখন ছাত্র নই। বুর্জোয়া কেমিস্ট্রি অনার্সের বুর্জোয়া সাম্মানিক স্নাতক। মা – বাবা গত, দাদার […]

  27. পরাজয়

      কবি যখন বনের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়েই আকাশ লাল করে সূর্যাস্ত হচ্ছিল। অস্তরাগের সেই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে মর্ত্যের কবি এতটাই অভিভূত যে, আর একটু হলেই এক নারীর সঙ্গে তাঁর দেহস্পর্শ ঘটে যেত। বনবাসী সমাজের সেই যুবতী তখন মাথায় জ্বালনের বোঝা নিয়ে সন সন করে হেঁটে আসছিল উলটো দিক থেকে। তার ঘাড় শুকনো ডালপালার […]

  28. হোমওয়ার্ক

      সমাজের নানাবিধ দুরাচার, অনাচার, ব্যভিচার রুখবার জন্য ইদানিং আমাদের অনেককেই ভয়ংকর মরিয়া হয়ে উঠতে দেখছি। ভরদুপুরে মনের হরষে মোমের বাতি জ্বালানোর শুভ সংস্কৃতি কিছুদিন আগেও তেমন চোখে পড়েনি। চারপাশের এত অধঃপতন আর অবক্ষয়ের মধ্যে এটা নিঃসন্দেহে এক অতীব ইতিবাচক লক্ষণ বলা যেতে পারে। কাগজে দেখছিলাম ঝাড়গ্রাম না মাড়গ্রাম কোথায় যেন পুলিশ গ্রামবাসীদের ডেকেডুকে এনে […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2025 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ