অণুগল্প
-
প্রাক্তন
বৃষ্টিটা নামবার আগেই কোন একটা শেডের নীচে আশ্রয় নেবার চেষ্টায় দ্রুত পা চালিয়েও লাভ হলো না। হুড়মুড় করে আচমকা বৃষ্টি নেমে গেল। ভোকাট্টা ঘুড়ির মত গোত্তা খেয়ে একটা দোকানে ঢুকে পড়লাম। দোকানে আশ্রয় নেয়া মানুষের জটলাটা আমাকে ঢুকতে দেখে যে যতটুকু পারলো সরে গেল দ্রুত। না, আমাকে জায়গা করে দেবার আন্তরিকতায় নয়। বরং আমার ভিজে […]
-
হাঁটি হাঁটি পা পা ও অনান্য গল্প
হাঁটি হাঁটি পা পা হাঁটি হাঁটি পা পা। এইতো হয়েছে- এবার এই পা টা, এবার ওই পা। বিমলা মেয়ের হাতটা ছেড়ে দিয়ে দুহাত বাড়িয়ে কোলে নেবার ভঙ্গী করে। দিশা খিল খিল করে হেসে নিজে নিজেই একটা দুটো পা ফেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মায়ের কোলে। বিমলা প্রবাসী স্বামীকে চিঠি লেখে –জানো, দিশা আজ হেঁটেছে, নিজে নিজে। … […]
-
আত্মীয়স্বজন ও অনান্য গল্প
সেদিন আমি আর সুতপা সিনেমা দেখে ফিরছি, হঠাৎ রবির সঙ্গে দেখা। রবি আমার পিসতুতো ভাই। বাগুইআটিতে বড়সড় ফ্ল্যাট কিনেছে। ছোটোবেলায় আমরা একে অপরকে ছাড়া চলতেই পারতাম না। ও ছিল আমার ডাংগুলি, গুলি, গুলতি খেলার সঙ্গী। প্রতি মাসে একবার করে হয় পিসিরা আসত আমাদের বাড়ি, না হলে আমি-বাবা-মা-বোন সবাই মিলে যেতাম পিসির বাড়িতে। বাবা ছিল সকলের […]
-
লেপ
বউ ব্যাপক সুন্দরী; যাকে বলে ছম্মকছল্লু সুন্দরী। শ্বশুরমশাই মালদার; দিয়েছে থুয়েছে অনেক। মোটা ক্যাশ, ভারি গয়না, দেদার আসবাবপত্র। ফুলশয্যার রাতে বরের মনে তবুও একটা খিঁচখিঁচ – কী একটা নেই, কীসের একটা অভাব। পালঙ্ক এসেছে পালিশ করা। নরম ফেনার মতো গদি মাথার বালিশ, কোল বালিশ। বাজারের সেরা ব্র্যান্ডের টিভি, সোফা। সবই তো আছে। তবু কেন বরের […]
-
অণু গল্প পাঠ
দুটি গল্প লিখেছেন: সিদ্ধার্থ সান্যাল গুরুগ্রামের গ্রেগর সামসা সকালে রোজকার প্রথামতো গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৬-এর নির্জন রাস্তায় দুজনে হাঁটছি….বেশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে…. মেজাজটাও বেশ মানানসই…..সপ্তাহান্তটা কিভাবে সুভালাভালি কাটানো যায় তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা মতান্তর প্রায় পেকে উঠেছে……এমন সময় হঠাৎ রাস্তার পাশের রাধাচূড়া গাছ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের একজন খ্যাঁচম্যাচ মুখভঙ্গি করে নেমে এসে আমার বাঁহাত ধরে ঝুলে […]
-
স্বাদ
চতুর্দিকে গড়াগড় উঁচু হয়ে আছে পাঁচিল, শুধু পুবপানে সূর্য ওঠার জায়গাটা শূন্য করে দিতে অল্প ইরেজারের কাজ একদম কাঁটায় মাপা। ওই ফাঁক দিয়ে সে বাইরে যায় না কখনো, কুকুর এক্তিয়ার মানে। প্রায় এক বর্গমাইল তার সাম্রাজ্য। চৌকো জমিখানার ঠিক মধ্যে তার বাংলো। যার পাথরের মেঝে, কাচের জানালা, মসৃণ ছাদে ঝুলছে ঝাড়বাতি। জন্মাবধি সে এখানেই। তার […]
-
দুটি গল্প
সময় আমার বাবার একটা পুরোনো রঙচটা বাক্স ছিল। সারা গায়ের জংগুলোতে – পৃথিবীর মানচিত্র। বাবার জীবিতকালে ও বাক্স খোলার অনুমতি ছিল না কারো। বাবা মাঝে মাঝে বাক্সটি আমাদের আড়াল করে খুলতেন আর ম্যাজিসিয়ানের মত অন্যদিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে ভেতরের জিনিষগুলো স্পর্শ করতেন। মুখে থাকত অদ্ভূত এক সন্তুষ্টি – আবেশে তাঁর চোখ বুজে আসতো। বাক্সটা রাখাও […]
-
দুটি অণু গল্প
খবর রাত ন’টার ‘দেশের খবর’ পড়ে নিউজ ফ্লোর থেকে চিফ অ্যাংকার হন্তদন্ত হয়ে সোজা চলে গেলেন নিউজ এডিটরের রুমে। হাতে ধরা এক তাড়া প্রিন্টেড নিউজ স্ক্রিপ্ট। সেগুলো কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে টেবিলে আওয়াজ করে রেখে দিয়ে বললেন – সেই একই খবর রোজ রোজ। খুন – শ্লীলতাহানি – ধর্ষন আর অনার কিলিং। একটাও ভাল নিউজ নেই ? […]
-
মা
মাটিতে হাত দিয়ে খেতে নেই, খেতে বসে হাঁচলে মাটি থেকে একটা ভাত কুড়িয়ে খেতে হয়। কাউকে যাবার সময় পেছু ডাকতে নেই।খেয়ে উঠে আঁচিয়ে গোড়ালি ভিজিয়ে পা ধুতে হয়।তখন বড় হচ্ছি, সব কিছুতেই ‘কেন’ বলাটা যেন বাহাদুরি। মা বলত অত কেন বলতে নেই। বারণ করছি শোন। দুধ মুড়ির বাটিতে কলা ছাড়িয়ে দেবার সময় মা কলাটা ভেঙে […]
-
বনফুলের কয়েকটি গল্প
বেচারামবাবু হরিশ মুদী সন্ধ্যাবেলা হিসাব বুঝাইয়া গেল যে গত মাসের পাওনা, ২৭’৭০ পাইয়াছে এবং তাহা অবিলম্বে মিটাইয়া দেওয়া দরকার। সদ্য-অফিস-প্রত্যাগত বেচারামবাবু বলিলেন—‘আচ্ছা মাইনেটা পেলেই—!’ অতঃপর কাপড়-চােপড় ছাড়িয়া বেচারাম বাহিরের রোয়াকটিতে বসিয়া হাঁক দিলেন—‘ওরে চা আন—।’ চা আসিল। চা আসিবার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার হরিবাবু, নবীন রায়, বিধু ক্লার্ক প্রভৃতি চার পাঁচজন ভদ্রলোকও সমাগত হইলেন এবং […]
-
সাদাত হাসান মান্টোর গল্প
[সাদাত হাসান মান্টো উর্দু সাহিত্যের ব্যতিক্রমী লেখক অথচ অবশ্যম্ভাবী উপস্থিতি। মৃত্যুর এত বছর পরেও অমরত্বের দাবিদার হতে পারেন স্রেফ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য। জীবনের কিছু সময় কাটিয়েছেন ভারতে আর বাকিটা পাকিস্তানে। দেশ বিভাগের জ্বালা সাহিত্যের ভাষায় মুক্ত করছেন। আর জীবন যন্ত্রণার জ্বালাকে মুক্তি দিয়েছেন কলমের শক্তিতে। জীবনের তাপকে সমাজ থেকে নিয়েছেন নিজের জীবনকে বাজি রেখে। ছিন্নভিন্ন হয়ে […]
-
দুটি গল্প
গুরুগ্রামের গ্রেগর সামসা সকালে রোজকার প্রথামতো গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৬-এর নির্জন রাস্তায় দুজনে হাঁটছি….বেশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে…. মেজাজটাও বেশ মানানসই…..সপ্তাহান্তটা কিভাবে সুভালাভালি কাটানো যায় তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা মতান্তর প্রায় পেকে উঠেছে……এমন সময় হঠাৎ রাস্তার পাশের রাধাচূড়া গাছ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের একজন খ্যাঁচম্যাচ মুখভঙ্গি করে নেমে এসে আমার বাঁহাত ধরে ঝুলে পড়লো…..হঠাৎ একিরে বাবা !! […]
-
অণুগল্প সংখ্যা
দুটি গল্প লিখেছেন: সিদ্ধার্থ সান্যাল গুরুগ্রামের গ্রেগর সামসা সকালে রোজকার প্রথামতো গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৬-এর নির্জন রাস্তায় দুজনে হাঁটছি….বেশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে…. মেজাজটাও বেশ মানানসই…..সপ্তাহান্তটা কিভাবে সুভালাভালি কাটানো যায় তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা মতান্তর প্রায় পেকে উঠেছে……এমন সময় হঠাৎ রাস্তার পাশের রাধাচূড়া গাছ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের একজন খ্যাঁচম্যাচ মুখভঙ্গি করে নেমে এসে আমার বাঁহাত ধরে […]
-
নদী
একধারে জঙ্গল। তারপাশে ছোট্ট একটা নদী। ছোট বড় পাথরের গা দিয়ে বয়ে চলেছে তিরতির করে। পূব দিকে যখন সূর্য ওঠে, ভোরের ঝিরঝিরে বাতাস জাগে, গাছগুলোর পাতায় পাতায় কাঁপন ধরে। পাখীদের চিকিরমিচির শুরু হয়। তখন সে নদীতে কোথাও হাঁটুজল, কোথাও গোড়ালী পর্যন্ত। নদীটার সঙ্গে তার খেলা চলে কিছুক্ষণ। লাফাই ঝাঁপাই খেলা। নদীটাও যেন খুশীতে ঝিলমিল করে। […]
-
প্রিয়সঙ্গ
রবিবার আমাদের কাজের ছুটি। কী করব ভাবছি ,বিশাখার ফোন এল, চলে এস শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার খোলা থাকে। বুধবার ছুটির দিন। বিশাখা সংগীত বিভাগের অধ্যাপক। গানের গলাও বেশ চমৎকার । বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত যখন গায়,বিভোর হয়ে যায় গানের মধ্যে। চারপাশের শ্রোতারাও তখন তার গানের মধ্যে ডুব দেয়। বিশাখার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল একটা ম্যানেজমেন্ট […]
-
ফুটবলার
আমাদের পাড়ার কানাইদা ছিল স্টার ফুটবলার। তখন প্রখ্যাত ফুটবলার মেওয়ালাল সবে অবসর নিয়েছেন। কানাইদা দেখতে যেমন মেওয়ালালের মত ছিল, তেমনি ভাল ফুটবলও খেলত। মেওয়ালালের মতই খেলার সময় পরত লাল হাফ প্যান্ট, আর গায়ের রঙটাও ছিল তার কুচকুচে কালো। মাঠের রেলিঙে পা ঝুলিয়ে বসে আমরা স্কুল পড়ুয়া ছেলের দল খেলা দেখতাম। আমাদের কাছে কানাইদা ছিল সেদিনের […]
-
দুটি অণু গল্প
মাতৃরূপেন অফিসার চমকে উঠলেন, — ভেবে বলছেন ? মেয়েটা কিন্তু বলেছে ,অন্ধকারে চিনতে পারেনি । নিবেদিতার কঠিন স্বর, দেরি না করে চলে আসুন । ততক্ষণ আটকে রাখবো । দরজায় বেল বাজলো । বাড়িতে পুলিশ দেখেই সজলের রক্ত হিম হয়ে গেলো । দেখলো রুদ্রানীর মতো তেজে জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তার দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করলেন মা । তাঁর প্রসারিত হাতটা যেন উদ্যত […]
-
খোলা হাওয়া
বিয়ের পাঁচ বছরপর তানিয়াকে নিয়ে এই প্রথম বেড়াতে আসা। মেঘ পাহাড়ের সহবাসে পশ্চিম ঘাটের অপূর্ব সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গা এই “খান্ডালা ” । বৃষ্টিতে ধুলোমাখা পাহাড়ি শহরটা ধুয়ে ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে গেছে ,পাহাড়ের গায়ে যেন ঘন সবুজাভ চাদর । মনে হচ্ছে যেন নতুন বিয়ের পর হানিমুনে এসেছে ওরা । তানিয়াকেও আজ বড় সুন্দর দেখাচ্ছে । গরম গরম […]
-
অবিশ্বাস
অন্যদের মতো সিনেমা, স্বভূমি বা গঙ্গার ধারে নয়, সপ্তর্ষি আর লাবণী সাধারণত দেখা করে কাছাকাছি কোনও রেলস্টেশনে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাড়ার তালিকায় চোখ বোলাতে বোলাতে যে স্টাশনের নামটা ভাল লাগে, মনে হয়, এখানে গাছ আছে, আকাশ আছে, ফুরফুরে হাওয়া আছে, সেখানকার টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে পড়ে। আজও ওরা এসেছিল তেমনই একটি জায়গায়। ফেরার জন্য […]
-
উপহার
ক্যামেরাখানা বহুদিন পর হাতে নিল জয়ন্ত সান্যাল । তখন মোবাইল এর এমন রমরমা ছিলনা । উঠতে বসতে মানুষ ছবি তুলত না । কাজেকম্মে ফটোগ্রাফার ডেকে ছবি তোলানো হত । জয়ন্ত’র বরাবর ছবি তোলার সখ । সামান্য মাইনের চাকরির পাশাপাশি সখের ফটোগ্রাফিটা সে পার্ট টাইম পেশায় পরিণত করেছিল । এতে বাড়তি দু’পয়সা সংসারে আসত । বনানীও […]
-
দুটি বিদেশি গল্প
লা ইওরোনা ( গুয়াতেমালা) [‘লা ইওরোনা’ একটি পৃথিবী বিখ্যাত জনপ্রিয় লাতিন আমেরিকান ভৌতিক লেজেন্ড। পৃথিবীতে একটি ভৌতিক লেজেন্ড নিয়ে এত সংখ্যক প্রচলিত গল্পের নজির পৃথিবীতে বিরল। স্প্যানিশে ‘llorona’ শব্দের অর্থ হল- ‘ক্রন্দনরতা মহিলা। ] মারিয়া নামে একটি মেয়ে ছিল। তার স্বামী কিছুদিনের জন্য যখন বাইরে যায়, সেই সুযোগে তার সাথে একজন যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। […]
-
বিচ্ছেদ
”যাচ্ছেতাই” শব্দটা যথেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছিল রচনার। একটা ঘটনা ঘটলেও ঠিক ছিল। তা নয় পরপর, একতার পর একটা। নিজের উপরই ভরসা কাটছিল। ঠিক কথা সংসারে চলতে গেলে সমস্যা আসবেই। কিন্তু তা বলে এরকম। জ্যোতিষের কথাটা মনে এল – “মাথা ঠাণ্ডা রাখুন কটা দিন।” তারপর মনে হল দূর ও সব ফালতু। ওরা ফেরেববাজ। পাথর দিয়ে […]
-
বাস
শ্রীরামপুর বাগবাজার রুটের একটা তিন নম্বর বাস শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। সামনের দিকে ড্রাইভারের সিটের পিঠোপিঠি লেডিস সিটের এক কোণে বসেছেন এক বৃদ্ধা মহিলা। মহিলার পরনে কিছুটা মলিন সাদা থান, হাতে একটি মানানসই পুঁটুলি। বোঝা যায় কোন নিম্নবিত্ত প্রান্তিক পরিবারের প্রবীণ সদস্যা। আমাদের মধ্যে যারা স্ট্যান্ড থেকেই বাসে উঠেছে […]
-
কয়েকটি গল্প
অপ্রয়োজনীয় ও তখন গবেষণা করছে। স্টাইপেন্ড যা পায় তাই দিয়ে দুজন কেন একজনেরও ঠিকমতো চলে না। আমার চাকরিটাই একমাত্র ভরসা। সেই ভরসাতেই বিয়েটাও হয়ে গিয়েছিল। ওর এখন অধ্যাপনা, শতরঞ্চি, কফিহাউস, সাহিত্যসভা। সংসারে যা কিছু প্রয়োজনীয় সব মোটামুটি আছে। শুধু আমার চাকরিটা অপ্রয়োজনীয় সাব্যস্ত হয়েছে। সাময়িক এখন আর ব্যথা নেই। শুধু মনে আছে আঘাতটা জোরেই […]
-
কী এমন কারণ যা শুধু পার্থই খুঁজে পেল ?
একবার জানালার সামনেটায় দাঁড়ালো পার্থ। আটতলার উপরের জানালা। সকাল থেকে নিম্নচাপ। জানালার কাঁচের পাল্লা খুলতে বেশ দাপুটে হাওয়া দিল। নীচে ঝুঁকে দেখলো অফিস ক্যাম্পাসের রাস্তার আলো জ্বলছে। এদিক ওদিক জল জমেছে অল্প অল্প। পিছনে ঘুরে দেখল পার্থ, অফিসের কিউবিকলগুলো। ফাঁকা। বসের ঘরে তখনও আলো আছে। বস হয়তো একমনে ফেসবুক করছে। একটা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু গভীর শ্বাস […]
-
বিকেলছোঁয়া বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনটা আরতি দেখেনি। দেখলে কিছুতেই আজ আর শোভনকে বাড়ির বাইরে যেতে দিতনা সে। ভাঙনধরা গরাদের গ্রিলে মাথা রেখে অচেতনেই বলে উঠল তার ঠোঁটদুটো— “ভালো হোক”। মস্তিষ্ক চোখ বোজে। তার জমাট শূন্যতা জুড়ে শ্লেষের হাসি। “আর ভালো!” বিজ্ঞাপনটা নেহাতই সাদামাটা। একটা বাচ্চাছেলে বারবার পড়ে যাচ্ছে সাইকেল থেকে আর তার বাবা তাকে আবার তুলে দিচ্ছে সাইকেলে— যতক্ষণ […]