Tag Archives: গল্প
-
নীলকুঠিজ্যোতির বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছনোর আগেই অন্যান্য দিনের মতো গাড়ি চালাতে চালাতেই রাজদীপ মোবাইল থেকে ফোন করল, নেমে আয়। কিন্তু ও প্রান্ত থেকে কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। রাজদীপ বলল, হ্যালো হ্যালোশুনতে পাচ্ছিস? আমরা এসে গেছি। চলে আয়। তবু ফোনের ও প্রান্ত থেকে কোনও উত্তর ভেসে এল না। রাজদীপ একটু অবাকই হল। কারণ, এ সব […]
-
আদিদেব রুদ্রর আবির্ভাব[১] জীবনের কোন ঘটনা যে কার সাথে দেখা করিয়ে দেয়, আর কোন দেখা-হওয়া যে কি বহন করে আনে — আগের থেকে তার কিছুই বলা যায় না। অনেকসময় বিস্তর প্ল্যান করেও গুরুত্বপূর্ণ লোকের সাথে দেখা করা হয় না, অথবা দেখা হলেও লাভের লাভ কিছুই ঘটে না। আবার পক্ষান্তরে, কোন অপরিকল্পিত মুহূর্ত কখনও কখনও এমন কিছু লোকের […]
-
দিগন্ত-পরিপ্লেনটা ছোট হলেও দেখতে ভাল। আগেকার দিন হলে বলত ‘হেলিপ্যাড’। এখন একটা গালভরা নাম হয়েছে ‘মিনিজেট’। মিনিস্কার্ট, মিনিবাস সব শুনেছে পরি কিন্তু আকাশযাত্রার এমন গাড়ির নামটা সেদিন নেটবুকের নেটকাগজে পড়ল সে। বেশ ভালই। তার ওপর পুরনো বিদেশী। তাই বিশ্বাস করে বরকে বলল, ‘বুক করো’। সটাসট বুক। ঝটপট সার্ভিস। বাড়ির চিলেকোঠার ঘরটায় একটা এয়ারল্যান্ডিং গ্যারেজ করা […]
-
লিখে লাখ টাকাখবরটা গিন্নিই দিল। বলল, মাঝেমাধ্যেই তো পেন বই খাতা নিয়ে কী সব ছাইপাঁশ লেখ। পাড়ার দুর্গাপুজোর স্যুভেনির বা শখের কবি বন্ধুদের লিটল ম্যাগাজিন ছাড়া আর কোথাও তো প্রকাশও হয় না সে সব। হাতে একটা খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন ধরিয়ে দিয়ে সে বলল যাও না এই সব জায়গায়। লিখলেই হাজার হাজার টাকা দেবে বলছে এরা। কোথাও যেতে […]
-
একটি গল্পের অপমৃত্যু!নিতান্ত সুখী একটা সমাপ্তি ঘটতে পারত আমার জীবনে। যেমনটা ঘটে রূপকথার গল্পে : ‘অবশেষে রাজা-রানি সুখে-শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো’। কিন্তু বিধি বাম। সেই কপাল নিয়েই জন্মাইনি যে! আমি বড় কপালে বিশ্বাসী মেয়ে। কিংবা বলা যায়, ওই সুখী পরিণতি কি আমি আদৌ চেয়েছি কখনো? আর সবার মতোই আমার বেড়ে ওঠা। টানাপড়েন সংসারের মধ্যবিত্ত ঘরের সাদামাটা জীবন […]
-
খাঁচাঅনেকদিন ধরেই হাতে লেখা আসছে না নিখিলের। রোজই লিখব লিখব ভাবে কিন্তু যখনই একটু সময় বের করে মনের ভাব কলমের আঁচড়ে বাঁধবার চেষ্টা করে, সেই প্রচেষ্টা ডায়েরীর পাতা অবধি পৌঁছনোর আগেই হাজারো ব্যাস্ততার শাসন তার শিল্পীসত্তাকে দমিয়ে দেয়। চিফ এডিটর মিত্রদা রোজ একবার করে ফোন করে- নিখিল, এবারের সংখ্যায় একটা লেখা দাও। তুমি তো রোম্যান্টিক […]
-
ব্যাঘ্র ও পালিত কুকুরঅনেক শতাব্দী পূর্বকার কথা। তখন বৌদ্ধযুগ। বঙ্গ দেশে মহারাজ সিংহবিক্রম দর্পদলন রাজত্ব করিতেছেন। তিনি যে কেবলমাত্র প্রজাদরদী সুশাসকই ছিলেন এমত নহে। শিল্প এবং সাহিত্যের অকুণ্ঠ পৃষ্ঠপোষণও করিতেন। প্রাচীন ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পরবর্তীতে তাঁহার রাজত্বকালকেই সুবর্ণযুগ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়া থাকে। কবি, চিত্রকর, গায়কদের জন্য মহারাজ কালিদাস সদন, ভরত ভবন ও নারদ মহল নামে তিনটি […]
-
ধর্ম-অধর্মসক্কালবেলায় নিখিল এসে বলল, কীগো জগবন্ধুদা, এখন কেমন আছ? জ্বর ছেড়েছে? জগবন্ধু পিঠের তলায় বালিশ গুঁজে আধশোয়া অবস্থায় বললেন, তা ছেড়েছে। তবে একদম কাহিল হয়ে গেছি রে। গায়ে কোনও জোরই পাচ্ছি না। একদিনের জ্বরেই কেমন যেন কাবু করে দিয়েছে। তা, কাল কি গিয়েছিলি? — যাব না? উফ্, কাল যা হল! আমার মনে হয়, এর পর […]
-
হালখাতা১ মাস খানেক আগে সত্যর সঙ্গে দেখা । সত্য আমার ছোট বেলার বন্ধু । স্কুলের । স্কুল থেকে বেরনোর পর সত্য হারিয়ে যায় । স্কুলের পর আমার জীবন – কলেজ ইউনিভার্সিটি হয়ে চাকরি । গড়পড়তা সরলরেখার জীবন । সেও প্রায় শেষ হতে চলল । প্রাইমারি স্কুলের একঝাঁক সহপাঠী । তাদের কাউকেই আজ আর চিনতে পারবো […]
-
পাথরের মেয়েপান্তা ভাতে ছোট পিঁয়াজ আর লঙ্কা চিবিয়ে চাড্ডি ভাত খেয়ে, একটা বিড়ি ধরিয়েছিলো মোহন। তারপর যাঁতি দিয়ে খোসা শুদ্ধ সুপারিটায় চাপ দিতেই বুঝতে পারলো সুপারিটা ভোয়া। কিন্তু একি ? ঘরের মধ্যে মাটির মেঝেতে হাঁটুর মধ্যে মাথা রেখে বসে আছে কালো পাথরের একটি মেয়ে। মেয়েটাকে দেখে ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে দেখলো দোর আটকেছে সে। বললো এই […]
-
আজকের দিনসকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে তনুশ্রী। আজ যে নববর্ষ শুরু। ১লা বৈশাখ, ১৪২৬ আজ থেকে শুরু। ছোটো বেলা থেকে অভ্যাস গড়ে দিয়েছেন মা। বর্ষ শুরুর দিন যদি ভাল কাজ করিস, ভাল খাওয়া দাওয়া করিস, ভাল চিন্তা করিস, আনন্দে সময় কাটাস তাহলে বছরটা এই দিনের মত ভাল কাটবে । তনুশ্রী নিজেতো নববর্ষের দিনটা উদযাপন করেই, ছেলে […]
-
বিষ কেনার পয়সা নেইসৌম্য, একদিন তোমাকে যে নামে ডাকতাম আজ শেষবারের মতো সেই নামেই সম্বোধন করছি, যদিও নামটা আমার কাছে পীড়াদায়ক ও মৃত। হয়তো আমার এ চিঠি তোমার কাছে পৌঁছবে না কোনদিন, কিংবা চরম অবজ্ঞায় ছিঁড়ে ফেলে দেবে তুমি পথের ধুলোয়। তবু লিখছি, না তেমার কোন অনুকম্পার আশায় নয়। তোমার অনেক কাজ এখন, তুমি বিধায়ক হতে যাচ্ছো। চতুর্দিকে […]
-
নো এন্ট্রিনো এন্ট্রি – ১ “তাই বলছিলাম, মানুষের ভালোবাসায় আমাদের দল চলে, কর্পোরেট এর টাকায় নয়,আজকের এই সমাবেশে জনগণের উপস্থিতি সেকথা প্রমাণ করছে, সবসময় আপনারা এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন, আপনারাই পারেন আগামী নির্বাচনে আমাদের দলের মতামতকে সারা দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে, —–, তাই আজকের মত আগমী নির্বাচন এর দিনগুলিতে এভাবেই উপস্থিত থেকে ভোট বাক্সে […]
-
প্রাক্তনবৃষ্টিটা নামবার আগেই কোন একটা শেডের নীচে আশ্রয় নেবার চেষ্টায় দ্রুত পা চালিয়েও লাভ হলো না। হুড়মুড় করে আচমকা বৃষ্টি নেমে গেল। ভোকাট্টা ঘুড়ির মত গোত্তা খেয়ে একটা দোকানে ঢুকে পড়লাম। দোকানে আশ্রয় নেয়া মানুষের জটলাটা আমাকে ঢুকতে দেখে যে যতটুকু পারলো সরে গেল দ্রুত। না, আমাকে জায়গা করে দেবার আন্তরিকতায় নয়। বরং আমার ভিজে […]
-
একটা রাজা ছিল[এই গল্পের সময়কাল ১৪২০-র ১লা বৈশাখের মাত্র কয়েকদিন পর। যেদিন একটি বাংলা টেলিভিশন গোষ্ঠীর দৌলতে প্রকাশ্যে এল দেশের বৃহত্তম আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা। এই গল্পের সব চরিত্রই কাল্পনিক এমনটা বলা যাবে না। এই গল্পের কোনও চরিত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ঘটনার কোনও চরিত্রের যদি কোথাও কোনও সাদৃশ্য এসে পড়ে তা এই রচনার পক্ষে একেবারেই আকস্মিক, অনভিপ্রেত] কয়েকমাস আগে […]
-
ফাঁদ পাতা ভুবনে[১] একটা উচ্চ-প্রাথমিক বয়েজ স্কুলের টিচারের চাকরি নিয়ে তনয় যে অজ-পাড়াগাঁয় পোস্টেড হল সেটা দেখতেই খালি সাধারণ। জায়গাটা রাজ্যের এক প্রান্তে, তনয়দের স্কুলের মোটামুটি দেড় মাইলের মধ্যেই সমুদ্র। তবে সমুদ্রসামীপ্য নয়, এই এলাকার বিশেষত্ব অন্যরকম। তনয় প্রথম সেটা জানতে পারল তার স্কুলের ডিউটি জয়েন করার আন্দাজ দিন কুড়ি বাদেই। স্কুলের টিফিনটাইমে স্কুল গেটের বাইরে বেশ […]
-
হাঁটি হাঁটি পা পা ও অনান্য গল্পহাঁটি হাঁটি পা পা হাঁটি হাঁটি পা পা। এইতো হয়েছে- এবার এই পা টা, এবার ওই পা। বিমলা মেয়ের হাতটা ছেড়ে দিয়ে দুহাত বাড়িয়ে কোলে নেবার ভঙ্গী করে। দিশা খিল খিল করে হেসে নিজে নিজেই একটা দুটো পা ফেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মায়ের কোলে। বিমলা প্রবাসী স্বামীকে চিঠি লেখে –জানো, দিশা আজ হেঁটেছে, নিজে নিজে। … […]
-
ইহলোকসম্প্রতি মা’র কিছু চিঠি আমাকে ভারি অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। চিঠিতে আর আগের মতো অনিয়মিত টাকা পাঠানোর অভিযোগ থাকে না। মাসের এক দু তারিখে ডাকযোগে টাকা না পাঠালে ক্ষোভে দুঃখে চিঠি – আমি মরি না কেন, মরলে তোমরা বেঁচে যাও, মা’র এমনতর আক্ষেপ থাকে চিঠিতে। কিন্তু সম্প্রতি সব চিঠিতে কেবল বাবার নামে অভিযোগ – তোমার বাবা […]
-
প্রাক্তন প্রেমিকমিনিবাসে উঠে আর একবার চিঠিটা পড়ল অশোক। ‘তুমি পাঁচটার আগেই চলে এসো। আজ তোমার জন্মদিন। দেখেছ, আমার কেমন মনে আছে !’তারপর আবার ভাঁজ করে রেখে দিল পকেটে। গোটা চিঠির কয়েকটি মাত্র লাইন, এর বেশি আর পড়বার দরকার হল না। মনে আছে, সবই মনে আছে মাধুরীর। এই ছ’বছরে, এত দীর্ঘ একটা সময়ে, অসংখ্য ফুল ঝরে গেছে, […]
-
এম সি কিউ ও অন্য গল্পএম সি কিউ কোন দেশ ২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ উপস্হাপকের পুরস্কার পেয়েছে মউলী? অপশন দিন স্যার অপশন না দিলে এগোতে পারছো না? কী করব স্যার, দিনরাত মাল্টিপল চয়েস ঘাঁটতে ঘাঁটতে জীবনটাই এম সি কিউ হয়ে গেছে। ঘুমে,জাগরণে,স্বপ্নে… ওভার স্মার্ট? একটু তো হতেই হবে স্যার। ওক্কে,ইন্ডিয়া,চায়না,ক্যানাডা, ব্রাসিলিয়া- হু? স্যার, প্রদর্শক বা উপস্হাপক মানে কী? বাংলাটাও গেছে? শোন, যে […]
-
উৎসব সংখ্যা’২০১৮প্রকাশিত হল ‘গল্পের সময়’ উৎসব সংখ্যা। পড়ুন নবীন ও প্রবীন গল্পকারদের নানা স্বাদের গল্প। সব সময় গল্পের সময়।
-
অস্তুমাসে একবার এই শনিবারের কিটি পাৰ্টিটাতে আসতে নন্দিতার বেশ ভালোই লাগে ! ঠিক করে বলতে গেলে আসবার জন্যে ও প্রায় মুখিয়ে থাকেই বলা যায় ! দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পাড়ার এই ‘ঘরোয়া’ নামের আবাসনে ফ্ল্যাটভাড়া নিয়ে ওরা এসেছে মাসতিনেক হলো ! ওরা মানে নন্দিতা আর ওর স্বামী সুপ্রতিম ! তা আবাসনের নামটা যেমন ‘ঘরোয়া’ তেমনি মানুষগুলোও বেশ হাসিখুশী আর মিশুকে ! অন্তত নন্দিতার […]
-
গোঁফেশ্বরের জাদুগলায় গামছা লাগিয়ে একটা লোককে টেনে আনছে-গরু টানার মত। তার আসার মোটেই ইচ্ছে নেই। রীতিমত ছ্যাঁচড়াচ্ছে। কিন্তু, পেছনে ভেঙে পড়েছে হাটুরে সমস্ত লোক। হৈ হৈ শব্দ। যেন একটা বিজয় মিছিল! সকাল দশটা। থানার পাশেই বাজার। এমনিতেই এই সময় বাজারে যথেষ্ট লোকজনের সমাগম হয়। তার উপরে আজ হাটবার। সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে মানুষ সব এসে […]
-
ঘেরাওএ ঘটনা ষাটের দশকের শেষের দিকে । এ রাজ্যের কলকারখানায় তখন মাঝে মাঝেই চলছে ‘ ঘেরাও’ । শ্রমিক অসন্তোষ এবং দাবী আদায়ের এক নতুন অস্ত্র। কখনো জেনারেল ম্যানেজার , কখনো ডাইরেক্টর অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা যাদের কিছুটা আছে বেছে বেছে শুধু তাদের ওপরই এই অস্ত্রের প্রয়োগ চলছে । উত্তাল সময় । উচ্চপদের অফিসাররা তটস্থ । […]
-
ঋকের সেতুতাজপুরে পৌঁছাতে বেলা এগারোটা বেজে গেল। নন্দকুমার থেকে দীঘা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া হচ্ছে। তার জের। প্রচণ্ড জ্যাম। ভোর ছটায় বেরিয়েও লাভ হল না। আজকের দিনটাকে পুরোপুরি এনজয় করা গেল না, ঋক বেশ জোরেই কথাটা বলে ফেলল। কথাটা শুনেই তুলি বলল, কেন জারনিটা তো বেশ এনজয় করা গেছে – কোলাঘাটে অতক্ষণ ধরে টিফিন করার কি ছিল। […]
-
চুয়াল্লিশটি গোলাপ১ খবরটা পড়েই আনমনা হয়ে গেলেন অনিরুদ্ধ। বিবাহিত জীবনে বিচ্ছেদের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। না পোষালে একসাথে থাকার কোনও যুক্তি নেই। কিন্তু তাই বলে এই বয়সে! এখন তো আরও বেশি করে একে অন্যকে আঁকড়ে ধরার সময়। খবরটা দুঃখ দিলেও অনিরুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থনের নেশাকে একটু তা দিয়ে দিল। তাঁর ও শাঁওলীর এতগুলো বছরের সম্পর্কের স্মৃতি জমতে জমতে […]
-
পিং-পংসন চোদ্দোশো পঁচিশের গ্রীষ্মসন্ধ্যা। পিয়ালী আর অনিন্দ্য নিমন্ত্রণরক্ষার জন্য প্রায় তৈরি। পিয়ালী আয়নার সামনে চুল আলতো জড়িয়ে ঘাড়ের ওপর তুলে ফ্রেঞ্চ নট বাঁধছে- দু এক গুছি রুপোলি রেখা সিঁথির পাশে। অনিন্দ্য রেডি অনেকক্ষণ – তাড়া দিচ্ছে। পিয়ালী শাড়ি ঠিক করতে করতে বলল-‘এত কিসের তাড়া! যাচ্ছ তো হস্টেলের রুমমেটের বাড়ি, মানে আমাদের মতই বুড়ো আর বুড়ি।এক্স […]
-
ভালোবাসা কারে কয়রোদটা একটু পড়ে যেতেই মনীষা হাতড়ে হাতড়ে একটা চেয়ার টেনে এনে বসলো দোতলার ঝুল বারান্দাটায়। আগে আগে বেশ অসুবিধা হতো। সন্দীপ তখন সাহায্য করতো। হাত ধরে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসাতো। মনীষা চোখে দেখতে পায় না। সব সময় চোখে একটা কালো চশমা পরে থাকে। এক এক করে ৩৫টা বছর কেটে গেছে এভাবে। ওর এখন বয়স ৫০ […]
-
ক্যানসারএক এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীটা বড্ড ছোট আর গোল। ওই ডাক্তারবাবুর সঙ্গে ঠিক দেখা হয়ে যাচ্ছে। কোনভাবে আবিরার শ্বশুরবাড়িতে কথাটা জানাজানি হলে সমাজে মুখ দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে। লালা! মেরে গোপাল! রক্ষা করো। পরিবারের সম্মান তোমার হাতে! আজ বেশী করে লাড্ডু বানিয়েছেন আবিরার মা আশাদেবী। তার গোপালকে সন্তুষ্ট করার জন্য ঘুষ দিচ্ছেন। বিয়ের আগেই আবিরার একটা ভয়ানক […]
-
অচেনা অরণ্যেলাল রঙের ঝুঁটিওয়ালা মোরগটা সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। আসে পাশে তার সঙ্গী সাথী বাকি মোরগ মুরগিগুলি একটাও নেই। মোরগটা মাঠের এমাথা থেকে ওমাথা দৌড়াচ্ছে, বোধহয় মৃত্যুভয়ে। নিশ্চই বুঝতে পেরেছে যে ওর মৃত্যু আসন্ন। তুলনায় শক্তিশালী এবং উর্বর মস্তিষ্কের প্রাণী মানুষের উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য হতে চলেছে সে। ফাঁকা মাঠটার কোনার দিকে রয়েছে একটা খড়ের ছাউনি […]
