Tag Archives: সুদীপ ঘোষাল


  1. গাঁও মানুষের গালগল্প

    এক জায়গাটা অট্টহাস সতীপীঠের কাছে। বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম অঞ্চলের দক্ষিণডিহি গ্রামে সুখদেব বাস করে।মাধু তার পাশের প্রতিবেশী। সুখদেব অট্টহাস মন্দিরে সাধুবাবার অনেক কাজ করে দেয়।পরিণামে দুপুরের খাবারটা বাড়িতে লোক না থাকলে খায়।সুখদেব জাতে বাউড়ি।সুখদেব যখন সাধুবাবার কাছে বসে তখন সাধুবাবা এই সতীপীঠের ইতিহাস সুখদেবকে শোনায়।সুখদেব কিছু না বুজলেও চুপ করে শোনে। সাধুবাবা বলেন,সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞে সগ্তীরামজীবনের […]

  2. ব্রতকথা,গল্পদাদু ও তেচোখা মাছের গল্প

    সুনীল বড় হয়েছে বন জঙ্গলের আদর পেয়ে । ছোটো থেকেই মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থেকেছে। বাবা থাকলেও তার সঙ্গে ভাব ছিলো না সুনীলের। তাকে এড়িয়ে চলতো সুনীল।তার কারণ বাবা খুন রাগী লোক। সবসময় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। মাকে গালগালি দেয়। মনের মধ্যে সুনীলের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নেই শৈশব থেকেই। সে তার মায়ের কাছে থাকে। পাড়ার […]

  3. মায়ের মাদুলি ও নবজীবনের শেকল

    প্রচন্ড স্রোতে নদীতীর ভেঙ্গে কপালকুন্ডলা ডুবে গেলেন।নবকুমার নদীর জলে লাফ দিলেন। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করে নবকুমার, কপালকুন্ডলাকে পেলেন না। স্রোতের তোড়ে দুটি দেহ দুদিকে ভেসে গেলো। তারপর নবকুমার কাটোয়া ঘাটে একটা বাঁশের ধাক্কায় অচৈতন্য হয়ে পরে রইলো।আর কপাল কুন্ডলা কুন্তিঘাটে নদীতীরে পাথরের ধাক্কায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইলো। কাটোয়া ঘাটে মনা বায়েন স্নান করতে এসে দেখলো, […]

  4. মেঘের চিঠি

    মায়ের কাছে পড়তে বসতাম। আমার পড়ার সময়ে মায়ের মুখটা আলোয় ভরে যেত।মা বলতেন,ভাল করে পড়ে মানুষ হও। লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায় আমরা ঘরভাড়া নিয়ে থাকতাম বাবার চাকরিসূত্রে।ভাড়া বাড়ির সামনে একটা কুলগাছ ছিল। টালির চাল। তখন চোর ডাকাতের উপদ্রব ছিল খুব। আমার বাবা সন্ধে হলেই দরজা জানলা বন্ধ করে দিতেন। আমরা চার ভাই। কিন্তু বড়দা গ্রামের বাড়িতে কাকাবাবুর […]

  5. মাটি দেশের টানে

    বিরাজুল মানুষ হয়েছে তার চেনা জগতে। ভোরের আজানের সঙ্গে সঙ্গেই আম্মির মুখ দেখে শুরু হতো তার দিন। সারাদিন স্কুলে কাটতো ছেলেবেলার জগত। মনে পরে স্কুল থেকে এসেই ব্যাট হাতে বেরিয়ে পরতো ক্ষেত্রপালতলার মাঠে। জাহাঙ্গীর,মতিউল্লাহ,সিরাজ,ইজাজুর,সামিম, সুদীপ্ত,বাবু,ভম্বল,বিশ্বরূপ,মিলু,অধির সব বন্ধুরা জড়ো হতো ক্রিকেট খেলবে বলে। খেলার শেষে বসে গল্প করতো। প্যান্ট না পরে লুঙ্গি পরে মাঠে এলে তার […]

  6. আয়নার প্রতিবিম্বে

    পড়তাম আমরা বিল্বেশ্বর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে। এটি পূর্ব বর্ধমান  জেলার কাটোয়া মহুকুমার অন্তর্গত একটা গ্রাম। অজয় নদীর বাঁধের উপর রাস্তা ধরে যাওয়া আসা আমাদের। আমরা আসতাম কেতুগ্রাম থানার পুরুলিয়া গ্রাম থেকে। জেলার নামের সঙ্গে এক হয়ে গেছে বলে অনেকে গ্রামটিকে পুরুলে বলেই চেনে। স্কুল  থেকে  এই গ্রামের দূরত্ব চার মাইল প্রায়। আমরা হেঁটে  যাওয়া আসা […]

  7. জীবন সড়কের মোড়

    নদীর ধার দিয়ে  নিত্য আমার আনাগোনা । গ্রীষ্মে দেখি শুকনো বালির বৈশাখী কালো রূপে আলো ঘেরা অভয় বাণী । বর্ষায় পরিপূর্ণ গর্ভবতী নারীরূপ । এই রূপে জলবতী নদীতে অতি বড় সাঁতারু ভুলে যায় কৌশল । আমি তখন নদীর বুকে দুধসাদা ফেনা হয়ে ভাসতে ভাসতে চলি বাক্যহারা হয়ে । এবার শরতে কাশ ফুলের কারসাজি। তার মাথা […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ