01 Oct

ওরা দুজন আলাদা মানুষ

লিখেছেন:তন্বী মুখোপাধ্যায়


গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা

যমজ ভাই নয়। দেখতে একই রকম নয়।উচ্চতা এক নয়।একজন বেশ ফরসা, একজনের গায়ের রঙ মাজামাজা।হেয়ার স্টাইলটাই যা খতিয়ে দেখা হয় নি, নচেৎ মনে পড়ছে না।সংশয়াপন্ন। কিন্তু ভুল নেই-একজনের বাস তিলাইয়ায়, অন্যজনের নিউটাউনে।স্বভাবও এক নয়, না, না !এতো দ্রুত সে কথাটা বলতে পারছি না। গোলমাল ঠিক এখানেই।

হঠাৎ দেখা গেল দুজনের ভীষণ মিল। এমনকি দুজন না একজনই তা নিয়েও সন্দেহ দেখা গেলো।

সন্দেহ! ভেতরে ভেতরে অসহ্য যন্ত্রণা বোধ করার ফলে হতে পারে।সত্য নয় সন্দেহ,আবার নিশ্চিত অসত্য নয়-বেকাবু দশা তো বটেই। ঘন কুয়াশার দিকে তাকিয়ে দেখছি মোড়ের মাথায় বৈদ্যুতিক  আলো সকালেও জ্বলছে।সমস্ত দীপ্তিটুকু বার হয়ে আসতে চাইছে, কিন্তু ক্বচিৎ নজরে পড়ছে ঘোরানো রাস্তা –পরক্ষণেই হারিয়ে যাচ্ছে।

সে খুব বিশ্রী রকম অনিবার্য অবিশ্বাস।যদিও সংশয় মেটানোর জন্য পুরোমাত্রায় নিরপেক্ষ হওয়া চাই তৃতীয় পক্ষকে। দুজনে একই কলেজে ভর্তি না হলে কোনোদিনও মানুষ ভাবতো না যে এমন সন্দেহও মানুষ করে! নাঃ। বোধ হয় ভাবতেও পারতো। একজন বললো না দুজনেই একই কথা একলগ্নে একসঙ্গে উচ্চারণ করলো সেটা হলফ করে বলবে এমন বুকের পাটা দেখা গেলো কারুরই বিলকুল নেই।

নাঃ। প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। মনে হচ্ছে, এইমাত্র, কী ঘটেছে? কী ঘটতে চলেছে? আর অস্বাভাবিক অসোয়াস্তি। আমরাও ওদের সঙ্গে পড়ি।কলেজ-ছাত্র চ্যাঙড়া- প্যাঙড়ার দলেও দুদিক থেকে দুজন সাক্ষী পাওয়া যায়নি।একদিন তারা গেলো আমাদের সঙ্গে একটা ধুন্ধুমার মুভি দেখতে।সে কী ছবি! আকাশে, মাঠে, সমুদ্রে চলছে নির্বিচার গোলাগুলি।‘আর মরছে কতো জখম হয়ে করছে কতো ছটফট’!দুমদাম ঘটাচ্ছে নাশকতা।মানুষ মরছে না শুধু, পৃথিবীময় গাড়ি, ট্যাংক, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র পাতি সব গুঁড়িয়ে ধুলো হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রধানের আদর্শবাদের জন্য মহাজাগতিক শক্তি নিয়ে কারা তাঁর দেশকে আঘাত করছে। লুটে নিচ্ছে যাবতীয় রকেট মিসাইল , শূন্য করছে কোষাগার, এমনকী খাদ্য-ওষুধ-বিষুধ সবকিছু তাদের কব্জায়।কখনও দেখছি হাঙরেরা আদর্শ দেশের সৈন্যদের টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে, কভু এগিয়ে আসছে যন্ত্র-দানব-পায়ের তলায় পিষে ফেলছে হাজার লোক, কারো দুহাতে দুখানা স্বয়ংক্রিয় মেশিন গান- খেলনা নয় –বিবিধ মারণ-শস্ত্র।হৃদবিদারী বিশ্বম্ভর শব্দব্রহ্ম।

নিজেকে ছাড়া কাউকে যেন প্রত্যক্ষদর্শী ভাবতে পারছি না।তাই নিজের বয়ানই বলি। আমি বসে আছি –রিয়ার ক্লাসের শেষ রোয়ের মাঝামাঝি।বিরাট গ্যালারি, তেমনি দানবাকৃতি পর্দা সামনে, চমকাচ্ছে। আমার দুপাশে বান্ধব-বান্ধবীরা।দুই প্রান্তে দুই আলাদা কণ্ঠস্বর চমকের কম্পনে একেবারে ক্লাইম্যাক্স এনে দিলো।ফেঁড়ে দিলো তাবৎ সিনেমা-দর্শকের মনোযোগ।দুই স্বরের গমক-একটি বুঝলাম একেবারে বাঁ-ধার থেকে আসছে, অন্যগলাটা কিন্তু আমার ডাইনে বসা কারও নির্ঘাৎ।ছবিতে সেনানায়ক হিরো ছুটে আসছেন দড়ির দুলন্ত ব্রিজ দিয়ে- আমার দুই সন্দেহজনক বন্ধুই বলছেন-ভীষণ এক কোরাসে-‘পড়ে যাবে-দাঁড়াও! দাঁড় -আও! একটু দাঁড়িয়ে থাকো।“ সে কী পরিত্রাহি চিৎকার। প্রেক্ষাগৃহ আলোময় হয়ে ঝলসে গেলো দশদিক।বিকট আওয়াজের পর সারা পর্দা কালো হয়ে গেছে মুহূর্তে। এমন কখনও কোথাও হয়েছে শুনেছেন?

তারপরই শাদা। সবাই নতমুখ ,চুপ,একদম কালপ্রিটের মতো। বিশ্বাস করা কঠিন যে এখানেই কেউ বা কেউ কেউ ওভাবে বোমার মতো কণ্ঠ ব্যবহার করেছিলো। আমি ছবি দেখতে যাওয়ার নেতা, ফলত আমার অনুমানে সকলে ‘হ্যাঁ’ দিলো। সাতটি ছেলে পাঁচটি মেয়ে কেউ ভিন্নমত টের পেলো না। মনে হয় দুজন কেউ চেঁচিয়েছিলো। কারা তারা? বুঝভুম্বুলের দল কেউ কিছু বলতে পারলো না-নিছকই মজা?

করোনার প্রকোপ আর তেমন নেই- কিন্তু সিনেমাহলে নিয়মের মধ্যে তখনো মাস্ক পরিধান চলছে। অবাক চোখে দেখলাম, যারা হল থেকে বের হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ঠিক গুণে গুণে দুই ব্যক্তির মুখমণ্ডল দেখা যাচ্ছে।ঔদ্ধত্য? অল্প বয়স? অকপট তাদের গালে আমার মতোই অল্প দাড়ি , নাকের নিচে সরু গোঁফ। কী জ্বালা !- এই বুঝি কেউ হৈ-চৈ বাধায়।ভাগ্যে সে যাত্রা আর বিস্ময়কর কিছু ঘটলো না। মাস্ক যারা পরেনি তাদের গলাই পরিষ্কার শোনা যায়, এই দুইয়ে দুইয়ে চার কি হবে? সেদিন আমি খালি অনর্থক কী জানি কী চিন্তার ভারে জর্জরিত হয়ে না খেয়ে ঘুমোতে গেলুম।

পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি আমি ক্লাসের লিডার হিসেবে যা ভেবেছি, আমার অনুগামীরাও সঙ্গে সঙ্গে তাই ভেবেছে। তারা ওই দুজনের নাম ধাম জেনে নিয়েছে ততক্ষণে।একজনের নাম সমরেশ, অন্যজনের পরমেশ। তাদের খামোখা সন্দেহ কেন করা হচ্ছে তাও কোন পক্ষই বুঝতে পারছে না,সকলেই ইয়ে ইয়ে করছে আর হাত কচলে ঘেমে উঠেছে। বাই চান্স দুটি কলেজ- ছাত্র একসঙ্গে মাস্ক বিনা সিনেমা হলে ঢুকে পড়তেই তো পারে।

ভাবছিলাম মেঘ কেটে যাবে।কিন্তু উদ্ভট, শোনা যাচ্ছে, দুটিতেই না কি আমাদের আচরণে হেনস্থা বোধ করে যাচ্ছে সোসালিস্টদের কাছে।খুব গুজগুজ ফুসফুস চলল কদিন।টেনে নিয়ে দুটোকেই নরম গরম ঝাড়লাম এক-এক সময়। দুটোই ভীতুর ডিম, স্বীকার করল যে, ওদলে নাম লেখাবে না কস্মিনকালে।

সেদিন লিখছিলাম বিরাট পোস্টার-‘স্টে হোম, স্টে সেফ।‘ উদ্দেশ্য, যখন দরকার নেই তখন বাড়িতেই থাকো না কেন! দোকান বাজার খোলা,অনেকেই এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন, তাও চারপাশে আক্রান্ত হচ্ছেন। নিজে তো জানি টো-টো করার লোভ মরলেও যায় না।সমরেশ-পরমেশ দুজনেই ছিলো কোনোদিকে।আবার যেন কানের কাছে দোদমা ফাটলো- ‘তবে হোমলেসগুলোর কী উপায়?” আমি ঠকঠক করে কেঁপে উঠলাম। আমার চ্যালাদেরও বেশ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব- কে যেন বলে দিলো ‘যে যেখানে থাকে সেটাই তার ‘হোম’, বাদুড়বাগানের গাছ যেমন ঝুলতে থাকা বাদুড়দের হোম। অনাথদের যেমন সার্বিক হোম।‘একদম সপ্রতিভ বাচনভঙ্গী।একজন ফোড়ন দিলো, “মহাত্মাদের যেমন কাশীতেও হোম, আবার কার্শিয়াঙয়েও হোম।“ বলতে নেই অপ্রস্তুত হলাম।আবার বেজায় আহ্লাদও জাগলো। এই তো এখানেই আছেন সেই বাজখাঁই গলার ভোম্বলদাস। তিনি বা তাঁরা।

এমন আজব সংকটেও মানুষ পড়ে! কী না মিনমিনে গলার দুটো কলেজ-পড়ুয়া ছানা হঠাৎ হঠাৎ অবাক করা চিৎকার করে টিপ্পুনি কাটছে।এক-একবার ভাবছি এ-নিয়ে আবার ভাবার কী আছে? একজন হোক না দুজন, কী রহস্য!

এখানেও থামতে পারলাম না। সেদিন ক্লাসে সমরেশ, পরমেশ দুজনে বসেছে ইংরেজির ওই খুব স্টাইলিশ মেয়েটার দুদিকে। ওর নাম শুক্লা, আমার সঙ্গী-সাথীদের কেউ বলেন সুজলা, কেউ বলে সুফলা। সমরেশের সঙ্গে ঝুঁকে কথা বলছে, হাসছেও। হিংসে নয় একটু কেমন যেন লাগলো।বিকেলে বেঞ্চি থাবড়ে কালচারাল প্রোগ্রামের মহড়া চলছিলো, তখনই একটা গোটা নতুন খবর এসে কচিপাতার মতো সকলকে মাতিয়ে দিয়ে গেলো। সুকন্যা আমাদের গোষ্ঠীর মধ্যমণি।সে প্রেমপত্র পেয়েছে। প্রেম যে সুকন্যা করতে পারে এটাও বিশেষ অদ্ভুত।মেয়েলি কোনো ঘটনাই ওর মধ্যে আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।আন্তরিকভাবেই তাই। আমরা শুনে পড়ে দেখে বুঝে হিলহিলিয়ে উঠলাম।কিন্তু আমার সন্দেহ হলো নাম নেই যদিও তাও এ  মিনমিনে বজ্জাতের কোনো শয়তানি! আকারেঙ্গিতে বোঝালাম-‘সেই তারা নয় তো?” মেয়েদের মধ্যে শুক্লাই সুকন্যার সঙ্গে মিশতে পারে, সুকন্যার তাতে পুরো অনুমোদন আছে। পরদিন সুকন্যা আরো একটা চিঠি এনে হাজির করলো, সেটা বেনামি নয়। পরমেশের নাম আছে পদবিসহ।আগের দিন  বুঝি ভুল করেছে নাম লিখতে, তাই আজ নাম লিখে ঠিক করে দিয়ে থাকবে!গোল হয়ে বসে মন দিয়ে চিঠিটা দেখছিলাম, কেননা আমার মনে মনে রহস্যের মধ্যে আটকা পড়া আকুলি-বিকুলি ভাব, এই বুঝি রাস্তা পেলাম, এই বুঝি হারিয়ে ফেললাম। গোয়েন্দারা তো এই উপায়েই দারুণ কোনো রহস্য পেয়ে যান। আমি কিছুতেই আর সহজ সরল ভাবে ভাবতে পারছিলাম না।

গোয়েন্দার সহকারিরা বরাবরই কঞ্চি দড়।একজন বললেন,সুকন্যা আগের চিঠিটাও রাখ তো।

দুটো হাতের লেখা পুরো আলাদা, যদিও একটি অক্ষরও আলাদা নয়। আমরা আবার ভ্যাবা গঙ্গারাম। এও কি সম্ভব? নাকি?

সুকন্যার মন্তব্য-‘শাল্লা’!কে যেন শুধরে দিলো ‘শালারা’! সকলের মুখের ছাঁচ একবার দেখে নিলাম। মুখ-চাওয়া চাওয়ি করছে সকলে। খালি যাকে নিয়ে এই এতো কাণ্ড তার মুখে নির্মল হাসি। এই না হলে সুকন্যা। মাথা বরফ ঠাণ্ডা। যখন শুনেছিলাম ওকে এবার জি. এসের নমিনেশন দেওয়ানো হবে, খুব রাগ হয়েছিলো, মনে হয়েছিলো মেয়ে বলেই আমার চেয়ে অযোগ্য হয়েও জিতে গেলো সুকন্যা।দলের ওপর অভিমানও হ’লো।সে যাহোক এখন মনে হচ্ছে কোথাও প্রকৃত নিস্পৃহ না হতে পারলে চলে না।

রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ ফিরি, ওপাশ ফিরি- ঘুম আসে না। শুনেছি ডোপলগ্যাঙ্গার নামে একরকম ভূত আছে।

আমার অন্ধভক্তের সংখ্যাও কিছু কম নয়। ওদের বললাম সুকন্যাকে বলার দরকার নেই আজ একবার পরমেশদের হস্টেলে যাব। কী উদ্দেশ্য না বললেও ওরা কিছু অনুমান করেছে। ওরাও কেউ মুনির ভাব ভাঙলো না , -সব, হাঁ করলে হাওড়া বোঝে।

ঠিক বুঝেছি। পরমেশকে বুঝতে হবে, সত্যিই কি ও সুকন্যার প্রেমপ্রার্থী? এমনিতে জুয়েল ছেলে, প্রথম বছরে মারকাটারি রেজাল্ট; এখন সারা কলেজ ওর কৃতিত্বের কথায় মুখর। নো ট্যান্ডাইম্যান্ডাই- পার্টির মুখে চুনকালি পড়তে পারে।সাবধান করলাম।মারধোর যেন কেউ না করে আমার দায়িত্ব। তাছাড়া ও আমাদের ক্লাসমেট।

হস্টেলের বাইরে মাঠে ডাকলাম ওকে, তখন বিকেলবেলা।ফুলছাপ ফতুয়া আর লদবদে পাজামা পরে  এলো। মাঠে বসলাম। ঝিরঝির ঝিরঝির মুশকিল আসান হাওয়া দিচ্ছে। আমাকে যেন ভিলেন না হতে হয়, বোকার মতো যেন রেগে না যাই। গায়ে আমার একটু বেশিই জোর। বাবা-মা যার ডাক্তার, তার যেমন শরীর-স্বাস্থ্য হওয়া উচিত, তেমনই। আর পরমেশের একদম পেটি প্রেমিক চেহারা। চিঠি দুটো পাশাপাশি রেখে জিজ্ঞেস করলাম-‘তুই লিখেছিস’? আঙুল দিয়ে তার নাম লেখা চিঠি দেখালো।

‘আর একটা’? ‘কে লিখেছে’? ‘জানিস’? দেখি মিট্মিট করে হাসছে। হাসি দেখে পিত্তি জ্বলে গেলো। তাও সবলে সামলে নিলাম।

একজন বললো- ‘ওই লিখেছে অন্যরকম হাতের লেখা করে।‘

পরমেশ বললো, ‘কিন্তু আমি তো আর নিজের নাম লুকোই নি।‘ ‘আর ও চিঠিটার নিচে একটা ছবি – আমতা আমতা করে বল্লো- মৃদু গলায়-  কী একটা কোণে আঁকা?

তারপর বেশ স্পষ্টাস্পষ্টি আঙুল তুলে জিজ্ঞেস করলো- ‘তোকে তো লেখে নি, তুই প্রশ্ন করছিস যে?”

‘তর্ক ছাড়’ বলে একজন ওর ফতুয়াটা ধরলো।পাতলা জামা, অনেকটা গলার কাছ থেকে ফ্যাঁশ করে ছিঁড়ে গেলো।

আর সঙ্গে সঙ্গে সেই বাজখাঁই চিৎকার- ‘করলি কী’? কেন করলি?”

কে চেঁচালো, আমি স্তব্ধ, স্তম্ভিত। ভয় পেয়েছে সবাই।

ঠাণ্ডা গলাতেই উষ্মাহীন পরমেশ বললো, ‘ ঠিক আছে, ঠিক আছে, ছেড়ে দে’। আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে আমার সাগরেদরা। ওদের মুখ লজ্জায় ব্যথায় শুকনো,খুবই ম্লান। আমি শুধু অবশ ।

‘উঠিরে সমরেশ!’ এগিয়ে যাচ্ছে পরমেশ।

ওকে যে থামাবো সে শক্তি আমার আর নেই। আমার নামও যে ‘সমরেশ’, সে কথা আমি স্বয়ং কী করে ভুলে গেলাম? ওদের সঙ্গে না হয় প্রাণের ও ডাকনামের সম্পর্ক; আদর ফলানো। আমিও বলি, ‘ভোম্বল দা’, ‘রঙ্কু দা’ ‘বিল্টু’ ইত্যাদি। আদরের নাম।-একটা পোশাকী নামও আমার আছে, যদিও আমার বরাবরই এদিকে অনেক অনেক নেমসেক-তা সেটা পুরো ভুলে যাবো?’ শুধু মনে ছিলো –‘লিও,’ ‘লিও’-যা যোডিআক- তাই নাম।

চিঠিদুটো ঘাসের ওপর দিয়ে হাওয়ায় গড়াগড়ি দিচ্ছিল। বক্তব্য কোইন্সাইড করা মানেই তারা এক মানুষ নয়- একটু মিল থাকলেও আমাদের মধ্যে কতো না ভিন্নতা। মাঠের পরে পানাপুকুর- এখন আর ওদিকটা দেখাই যাচ্ছে না, ভাল করে দেখে না গেলে চলবে না, তখনকার মতো আমি সেখানে একাই বসে রইলাম। সমস্ত আকাশের অন্ধকার আমাকে মোড়ামুড়ি দিয়ে ঢাকছে তখন।

[বানানবিধি ও মতামত লেখকের নিজস্ব]

Tags: , , , ,

 

 

 




  • খোঁজ করুন




  • আমাদের ফেসবুক পেজ

  • মতামত

    আপনার মন্তব্য লিখুন

    আপনার ইমেল গোপনীয় থাকবে।




    Notify me when new comments are added.

    যোগাযোগ


    email:galpersamay@gmail.com

    Your message has been sent. Thank you!

    গল্পের সময় পরিবার
    সমীর
    অগ্নীশ্বর
    দেবাশিস
    চিন্ময়
    পার্থ
    মিতালি
    জাগরণ
    দেবব্রত

    © 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ