পুরানো সংখ্যা:

  1. চাপ

    অনুপমবাবুর ছেলের স্কুলে খুব পড়াশুনোর চাপ। অনুপমবাবু ও তার স্ত্রী চয়নিকা বহু খুঁজে খুঁজে ছেলের জন্য এমন একটা স্কুল পেয়েছেন। স্কুলটা ইংলিশ মিডিয়াম। গোটা তল্লাটে স্কুলটার খুব নামডাক। বাজার, স্টেশন বা যে কোনও জায়গা থেকে শুধু নাম বললেই হল। সাঁই করে পৌঁছে দেবে যেকোনও টোটো বা অটোওলা। গতবছরই চোখের সামনে তরতরিয়ে উঠে গেল স্কুল বিল্ডিংটা। […]

  2. ওয়াটসন সাহেবের বাংলো

    “তাহলে! আপনি বলত চান যে আপনি ভুত দেখেছেন? তায় আবার সাহেব ভুত?” হালকা সুরে কথাটা ছুড়ে দিল নীলাভ। ” ভুত বা অশরীরীদের সম্বন্ধে আপনার কতটুকুই বা ধারণা আছে, মিস্টার সেন?অবশ্য এই আপনাদের মত শহুরে মানুষদের আর কি দোষ? ভুত বলতেই আপনাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওইসব বি গ্রেডের সিনেমার রাক্ষস বা কঙ্কালের মুখোশ পড়া কিছু […]

  3. রতনবাবুর রাশিফল

    [১] রতনবাবু খুব কম বয়সেই বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন যে তিনি প্রচন্ড স্মার্ট। তাই মোটামুটি সাবালক হওয়ার পর থেকে পরের বুদ্ধি বা ব্যক্তিসত্তার উপর তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাভক্তি কখনই দেখা যায় নি। ‘নিজে’-র বাইরে আর ‘নিজের’-টা ছাড়া বাকী সবই তার কাছে অপাংক্তেয় অথবা বাড়াবাড়ি। এই ধরনের মানসিকতা যারা রাখেন তারা মারাত্মক সাবধানী হন। রতনবাবুও তেমন। সারাদিন হিসেব-নিকেশ […]

  4. নতুন চর

    সূর্যটা গড়িয়ে গড়িয়ে তালগাছের কাছাকাছি নেমে আসতে আসতে বিকেলটা আরো কোমল হয়ে আসছে ততক্ষণে। নদীর স্রোতে সূর্য়ের জলকেলির দিকে ব্রিজের রেলিং ধরে তখনও সে নিরবে তাকিয়ে আছে।তার লম্বা চুল পিছলে পিছলে পড়ছে বৈকালিক রোদ ।আর তার বিচ্ছুরিত সমস্ত কেশাগ্র কাঁপছে তিরতির করে।নরম রোদের জেল্লায় তাকে দেখাচ্ছে আরো রমনীয় এবং মোহনীয় । মাথার ওপরে একঝাঁক পাখি […]

  5. ভোরের উড়ান

    আর্য তোমার সমস্যা টা কোথায়?  কলকাতায় তোমার বাড়ি. আর ওখানে কস্ট অফ লিভিংও এখানের চেয়ে ঢের কম. ডেসিগন্যাশন টাও তোমার জন্য বেটার.  তাহলে তোমার আপত্তি টা কোথায়? -আপত্তি আছে স্যার.  আই হ্যাভ সাম পার্সোনাল রিসন্স. এনিওয়ে স্যার,  আই আম টেকিং দ্য আৰ্লি মর্নিং ফ্লাইট এন্ড কামিং ব্যাক টুমোরো. -ওকে. এস ইউ উইশ ! বলে ফোনটা […]

  6. হাসির রচনাকে নির্দিষ্ট সীমারেখায় বাঁধা যায় না

    প্রশ্নঃ সাহিত্যে নির্ভেজাল আনন্দরস বা হাস্যরস যেন দিনে দিনে লুপ্তই হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয় – কেন? উত্তরঃ কখনও কিছু হঠাৎ লুপ্ত হয়ে যায় বলে মনে হয় না। রমরমার কম-বেশি হতে পারে। তবে বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসের প্রাধান্য কখনই ছিল না। ত্রৈলোক্যনাথ, ইন্দ্রনাথ, পরশুরাম, শিবরাম এঁরা অবশ্যই স্মরণীয়। কিন্তু বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যের ঠিক কতখানি অংশ […]

  7. প্লট ভাঙো, গল্প লেখো

    গল্প লিখতে লিখতে, গল্পের কথা ভাবতে ভাবতে বোর হয়ে যাই। তখন রেকর্ড-প্লেয়ারে শচীন দেববর্মন কি ভীমসেন যোশী চালিয়ে দিই। গান আমাকে বাঁচায়। সঙ্গে যদি দু’এক পাত্তর থাকে, তাহলে আরও জমে। নেশা আমাকে বাঁচায়। প্রায়শই আমি টের পাই, গল্প লেখা কি বোরিং! গল্প-ছোট গল্প কাকে বলে, সেসব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পড়েছি, থুড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়িনি। তবে […]

  8. পুরনো বাংলা প্রকাশনা

    অক্টোবর ১৪, ১৮৫৬, ‘সম্বাদ ভাস্কর’ পত্রিকায় রামনিধি গুপ্ত রচিত ‘গীতরত্ন’ বইয়ের বিজ্ঞাপনঃ ‘এক্ষণে নিধুবাবুর গীতরত্ন বলিয়া মধ্যে ২ যাহারা বিজ্ঞাপন করিতেছে সে প্রতারণা মাত্র। সে গ্রন্থ সটীক নহে, অবিকল ছাপাইতে না পারিয়া বিস্তর ভুল করিয়াছে তাহাতে ভাবের এত অধিক ব্যত্যয় জন্মিয়াছে যে কোন প্রকারে ভাবগ্রহ হয় না অতএব গ্রাহক মহাশয়েরা এমত গ্রন্থ লইতে সাবধান হইবেন।…অতঃপর […]

  9. আধুনিক বিদ্যাসাগর

    বর্তমান পৃথিবীর মানুষ ধর্মকেই একমাত্র আশ্রয় করে সম্প্রদায়গত বিদ্বেষ ও হানাহানিতে মেতে উঠেছে। সারা পৃথিবীর মত এদেশেও ধর্মই যেন একমাত্র সত্য আর বাকি সব মিথ্যা বলে মনে হয়। এখনও মানুষ বান মারা, ওঝাদের ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে। ডাইনি প্রথার প্রচলন এখনও অনেক গ্রামে দেখতে পাওয়া যায়। বাল্য বিবাহ এখনও বন্ধ করা যায়নি। শিক্ষিত বলে পরিচিত অনেকেই […]

  10. বাবার কথা

    চৈত্র মাসে জন্মেছিলেন বলে হিমানীশ গোস্বামী নিজেকে বলতেন চৈত্রদিনের ঝরা পাতা। আমরা ঠাট্টা করে বলতাম ঝরা পাতার রং তো সবুজ হয় না, কিন্তু তুমি তো চিরসবুজ। ছেলেবেলায় তিনি খুব ফরসা ছিলেন। বাড়িতে মেয়েরা সে সময় হিমানী স্নো ব্যবহার করতেন। স্নো-এর রং সাদা। তাই সবাই তাঁকে হিমানী বলে ডাকা শুরু করলেন। সে নাম শুনে ছোটপিসিমা মঞ্জু […]

  11. বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি সকাল

    ৭ এপ্রিল, ১৯৮৫। রবিবার। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসেছেন। এবং একটু ভাল আছেন শুনে সকালবেলা গেলাম তাঁর কাছে। ইচ্ছে ছিল জেনে নেব কিছু কথা। সঙ্গে ছিলেন ‘এসময়’-এর সম্পাদক সুমিত চট্টোপাধ্যায় আর কল্লোল দাশগুপ্ত। কিছু পরে এলেন কবি সমীর রায়। পরিচ্ছন্ন ছোট ঘরটিতে বালিশে ভর দিয়ে বসেছিলেন তিনি। শীর্ণ শরীর — নিশ্চয়ই কষ্টও ছিল কিছু। […]

  12. ঋষি টলস্টয়

    ফিনল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত ‘শান্তি সম্মেলনে’ আমন্ত্রিত হয়ে আমরা কয়েকজন ভারতের প্রতিনিধি হেলসিঙ্কিতে আসি। সেখান থেকে আবার সোভিয়েট প্রতিনিধিগণের দ্বারা‍ আমন্ত্রিত হয়ে লৌহ যবনিকার দেশ সোভিয়েট রাশিয়ায় বেড়াতে এসেছি। দেখছি এখানকার অনেক কিছুই অদ্ভূত কীর্তি। প্রাক বিপ্লব যুগের জার-সাম্রাজ্যের চোখ-ঝলসানো অপরিমেয় ঐশ্বর্য, আর তারই পাশে পাশে বিপ্লবোত্তর সোভিয়েট রাশিয়ার গড়ে তোলা বিপুল গণসম্পদ। কিন্তু ‘মস্কৌ’ এসে পর্যন্ত […]

  13. একটি রূপকথা

    (মৃদুল দাশগুপ্তের এই পাঠ-প্রতিক্রিয়াটি ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮, শিশির মঞ্চে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৭৯-তম জন্মদিনে পঠিত হয়েছিল) আজ এই সন্ধ্যায় কবি  বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ঊনবিংশতম জন্মদিনে, কবির স্মরণসভায়, তাঁর কবিতা সম্পর্কে আমাকেও কিছু বলার প্রশ্রয় দিয়েছেন স্মরণ কমিটির উদ্যোক্তারা, এজন্য আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলা কবিতার গতিপ্রকৃতি, কবিতার গভীর নানা তত্ত্ব, তার রূপ, কলা, বিভাব নানান ব্যাখ্যান […]

  14. নেয়ারের খাট, মেহগিনি-পালঙ্ক এবং একটি দুটি সন্ধ্যা

    ডিসেম্বর, ২ । ১৯৫৬ খাট থেকে ধরাধরি করে যখন নামানো হল, তখন দুটি চোখই খোলা। কপালের ওপর আর কানের পাশে কয়েকটা শিরা কুঁচকে উঠেছে। ডান হাতটা প্রতিবাদের ভঙ্গীতে একবার নাড়লেন। চাউনিতেও তীব্র প্রতিবাদ ছিল। গলায় অস্ফুট শব্দ, যার কোনো ভাষা নেই কিন্তু যন্ত্রণা আছে। ডাক্তারীশাস্ত্র আমি জানি না, মনোবিজ্ঞানেও পারদর্শী নই। তবু খাট থেকে সেই […]

  15. বিসর্জনের চিত্রকলা

    বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ বাংলাদেশ । বন্যা, খরা, মড়ক, দুর্ভিক্ষ, বর্গীর আক্রমন, মগ, হার্মাদ এই ভয়ঙ্কর সব দুর্যোগ বুকে নিয়েও উৎসবের আনন্দ থেকে বাঙালিকে কেউ বিরত করতে পারে নি । আর সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে যেদিন ইউরোপীয়রা এসে জাহাজ থেকে নামলো এই বঙ্গদেশে, তার কিছুকালের মধ্যেই তারাও মজে গেল বাঙালীর বারো মাসের তেরো […]

  16. রবীন্দ্রনাথের রোগভাবনা

    ১৯৪১ সালের জুলাই মাস নাগাদ গুরুদেব খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন, শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন অবস্থায়। প্রস্রাবে জ্বালা, অল্প অল্প প্রস্রাব হওয়া, বারে বারে বাথরুমে যাওয়া, সেই সঙ্গে ঘুসঘুসে  জ্বর, ক্ষুধামান্দ, গা-বমি ভাব ইত্যাদি। নিজের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি-বায়োকেমিকে যখন কোন ফল মিলছে না, গুরুদেব বাধ্য হলেন অ্যালোপাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে। পারিবারিক চিকিৎসক ডাঃ রাম অধিকারী প্রথমে দেখেন গুরুদেবকে। তাঁর […]

  17. নীলকুঠি

    জ্যোতির বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছনোর আগেই অন্যান্য দিনের মতো গাড়ি চালাতে চালাতেই রাজদীপ মোবাইল থেকে ফোন করল, নেমে আয়। কিন্তু ও প্রান্ত থেকে কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। রাজদীপ বলল, হ্যালো হ্যালোশুনতে পাচ্ছিস? আমরা এস‍ে গেছি। চলে আয়। তবু ফোনের ও প্রান্ত থেকে কোনও উত্তর ভেসে এল না। রাজদীপ একটু অবাকই হল। কারণ, এ সব […]

  18. মায়া দর্পণ

    ব্যালকনিতে রূপালী বালির মিহি স্তর জমেছে। হাওয়া বইলে রোদ ঝিকমিক করে, নাচতে থাকে অলস ধুলো। যুদ্ধের সময়ের ব্যারাকগুলো তুলে ফেলা হচ্ছে। বালি এবং আবর্জনার স্তূপ এমনভাবে জমেছে যেন ফোঁড়া হয়েছে কাঁচা রাস্তাটার মাথায়। জানলা দিয়ে সমস্তই দেখা যায়। সকাল থেকে সন্ধে অবধি নানা রঙের ছায়া টিলায় ফিচলাতে থাকে। দূর থেকে নিরন্তর কানে আসে পাথর ভাঙার […]

  19. বিপত্তারিণী

    ‘বিশুদা, ও বিশুদা, এবার তো মই থেকে নামো। নাইন আপ-এর সময় হয়ে গেছে…ঢুকবে পনেরো মিনিটের মধ্যে। তোমার কি খেয়াল নেই ?’ তরুণ সাহা ঠাকুরের মণ্ডপের ভেতর থেকে চিৎকার করে বললো । যাকে ডাকাডাকি করা হলো তিনি হচ্ছেন ঝুমরী তিলাইয়ার সর্বজনীন বিশুদা, মধ্যবয়সী বিশু চক্রবর্তী । এই মুহূর্তে সে বাইরের প্যান্ডেলের গেটে একটা মই লাগিয়ে আমপাতা […]

  20. আদিদেব রুদ্রর আবির্ভাব

    [১] জীবনের কোন ঘটনা যে কার সাথে দেখা করিয়ে দেয়, আর কোন দেখা-হওয়া যে কি বহন করে আনে — আগের থেকে তার কিছুই বলা যায় না। অনেকসময় বিস্তর প্ল্যান করেও গুরুত্বপূর্ণ লোকের সাথে দেখা করা হয় না, অথবা দেখা হলেও লাভের লাভ কিছুই ঘটে না। আবার পক্ষান্তরে, কোন অপরিকল্পিত মুহূর্ত কখনও কখনও এমন কিছু লোকের […]

  21. দিগন্ত-পরি

    প্লেনটা ছোট হলেও দেখতে ভাল। আগেকার দিন হলে বলত ‘হেলিপ্যাড’। এখন একটা গালভরা নাম হয়েছে ‘মিনিজেট’। মিনিস্কার্ট, মিনিবাস সব শুনেছে পরি কিন্তু আকাশযাত্রার এমন গাড়ির নামটা সেদিন নেটবুকের নেটকাগজে পড়ল সে। বেশ ভালই। তার ওপর পুরনো  বিদেশী। তাই বিশ্বাস করে বরকে বলল, ‘বুক করো’। সটাসট বুক। ঝটপট সার্ভিস। বাড়ির চিলেকোঠার ঘরটায় একটা এয়ারল্যান্ডিং গ্যারেজ করা […]

  22. লিখে লাখ টাকা

    খবরটা গিন্নিই দিল। বলল, মাঝেমাধ্যেই তো পেন বই খাতা নিয়ে কী সব ছাইপাঁশ লেখ। পাড়ার দুর্গাপুজোর স্যুভেনির বা শখের কবি বন্ধুদের লিটল ম্যাগাজিন ছাড়া আর কোথাও তো প্রকাশও হয় না সে সব। হাতে একটা খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন ধরিয়ে দিয়ে সে বলল যাও না এই সব জায়গায়। লিখলেই হাজার হাজার টাকা দেবে বলছে এরা। কোথাও যেতে […]

  23. অবসর

    বালিগঞ্জ সারকুলার রোডের ওপর তিনহাজার স্কোয়ার ফিটের সুসজ্জিত আধুনিক ফ্ল্যাট । পাঁচতলায় । মধ্যিখানে বিশাল মাপের ড্রয়িংরুমে র একটি কোণে নিজের পছন্দের সোফাটায় সন্ধেবেলায় চুপ করে বসে আছেন মিত্রসাহেব । অরিন্দম মিত্র । বেঙ্গল এ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রির দোর্দন্ডপ্রতাপ চেয়ারম্যান-কাম-ম্যানেজিং ডিরেক্টর । এককথায় সিএমডি । দীর্ঘ কর্মজীবনের প্রান্তে আজই অফিসে তাঁর ফেয়ারওয়েল হয়ে গেলো খুব ঘরোয়া পরিবেশে। […]

  24. প্রাতভ্রমণ

    পথে নামলেই নতুন কিছু দেখি । হাঁটতে হাঁটতে কুলিকের দিকে যাচ্ছি । অর্জুন, কদম, জারুল, হিজলের ফাঁকে ফাঁকে হাঁটি । বসতির পরে খেলার মাঠ ; তারপর ফাঁকা মাঠ । রাস্তাটা উত্তর দিকে যেতে যেতে হঠাত পশ্চিম দিকে ঘুরে গেছে । বাঁদিকে বাবলা, শিরিষ অর্জুনের ছায়ায় ছোট্ট দীঘি শুয়ে আছে । ডানদিকের মাঠ আলে আলে ভাগ […]

  25. একটি গল্পের অপমৃত্যু!

    নিতান্ত সুখী একটা সমাপ্তি ঘটতে পারত আমার জীবনে। যেমনটা ঘটে রূপকথার গল্পে : ‘অবশেষে রাজা-রানি সুখে-শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো’। কিন্তু বিধি বাম। সেই কপাল নিয়েই জন্মাইনি যে! আমি বড় কপালে বিশ্বাসী মেয়ে। কিংবা বলা যায়, ওই সুখী পরিণতি কি আমি আদৌ চেয়েছি কখনো? আর সবার মতোই আমার বেড়ে ওঠা। টানাপড়েন সংসারের মধ্যবিত্ত ঘরের সাদামাটা জীবন […]

  26. রক্ষাকবচ

    রাজু  বামুন পাড়ার ছেলে। পৈতে হয়েছে বৈশাখ মাসে। উপনয়নের পর উপবীত ধারণ করতে হয়। এই উপবীতের চলতি নাম পৈতে। পৈতে কথাটি সমাজে বহুপ্রচলিত।   বাহুতে গুরুদেব বেঁধে দিয়েছেন কবচ। রাজুদের বংশের গুরুদেব বলেছেন, সমস্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে এই কবচ আর পৈতে।  সব কাজে সফল হবে নিশ্চিতভাবে আর সারাজীবন রক্ষাকবচের মত আগলে রাখবে জীবন। […]

  27. গল্পের সময় উৎসব সংখ্যা

    [প্রতিটি মানুষই কিছু বলতে চান। পৃথিবীর আবহমান হাসি–কান্না, দুঃখ–কষ্ট, আনন্দ  উল্লাসে  দোদুল্যমান প্রতিটি মানুষের বুকের ভেতর  জমাট হয়ে বসে থাকে না বলা হাজারো   কাহিনী বা কিস্‌সা। কেউ কেউ শুধু নিজেরই নয়, অন্যের জীবনের নানা ঘটনার উপাদান সংগ্রহ করেও  করেন কাহিনীর নির্মান। গল্পেরা তাদের ডাকে, তাদের সঙ্গে ঘর করে।  বিকেল বেলায় বেড়াতে  গেলে পিছনে ছায়ার মত লেপটে   থাকে।  তিনি তখন গল্প তাড়িত? তিনি বুকের মধ্যে প্রতিনিয়ত বয়ে  নিয়ে চলেছেন এক বা একাধিক কাহিনী। অক্ষরমালায়  সাজিয়ে তোলা সেইসব   গল্প নিয়েই সেজে উঠছে আমাদের উৎসব সংখ্যা। ]  লেখা পাঠানোর নিয়ম ১। সকলেই গল্প পাঠাতে পারেন। ভাল গল্প প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। ২। লেখা অভ্র তে বাংলা টাইপ করে ওয়ার্ড-এ পাঠান। পিডিএফ করে পাঠাবেন না।    লেখার শব্দসংখ্যা নির্দিষ্ট নেই।তবে ১৫০০ শব্দের মধ্যে […]

  28. খাঁচা

    অনেকদিন ধরেই হাতে লেখা আসছে না নিখিলের। রোজই লিখব লিখব ভাবে কিন্তু যখনই একটু সময় বের করে মনের ভাব কলমের আঁচড়ে বাঁধবার চেষ্টা করে, সেই প্রচেষ্টা ডায়েরীর পাতা অবধি পৌঁছনোর আগেই হাজারো ব্যাস্ততার শাসন তার শিল্পীসত্তাকে দমিয়ে দেয়। চিফ এডিটর মিত্রদা রোজ একবার করে ফোন করে- নিখিল, এবারের সংখ্যায় একটা লেখা দাও। তুমি তো রোম্যান্টিক […]

  29. আমার ঠাম্মা আর একটি নটেগাছের গল্প

    নিকানো উঠানে বসে আছে শতায়ুর প্রতীক্ষায় আমার ঠাম্মা । আমি তাকে এখনো বেশ দেখতে পাই । তার সাদা চুলে রাজঁহাসের শুভ্রতা । দাঁতহীন মাড়ি বার করে হাসলে সুখ ঝরে ঝরে পড়ত । আমাদের পরিবারের মুখ ছিল এই ঠাম্মা । তাকে ভাঙ্গিয়ে আমার দুষ্টুমি আর অবিবেচনা ক্ষমা পেয়ে যেত প্রায়ই । এই মানুষটাকে খুঁড়ে দেখার ইচ্ছা […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2025 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ