পুরানো সংখ্যা:

  1. রবীন্দ্রনাথের ছবি, গল্প এবং সত্যি

    ১৯৯২ সালের শেষের দিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যকলা বিভাগ বা ভিস্যুয়াল আর্টস ফ্যাকাল্টিতে ছাত্র হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। তখন আমাদের ক্যাম্পাস এবং স্টুডিও ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির মূল ভবনের ভিতরেই। ফলে ছবি আঁকার সাথে সাথেই চিনে ফেলছিলাম ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের প্রতিটি অলিগলি পাকস্থলি। গগনেন্দ্রনাথের ছবিতে যে আশ্চর্য আলোছায়ার খেলা, তা আমরা নিত্যদিন দেখতে শুরু করলাম সকাল থেকে সন্ধ্যে। দিনের […]

  2. নজরুল ইসলামের পত্র

    [বাংলা ১৩৩২ সন বা ইংরাজি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয় নজরুল ইসলামের ‘লাঙল’ পত্রিকা। শ্রমিক-প্রজা-স্বরাজ সম্প্রদায়ের এই সাপ্তাহিক মুখপত্রের প্রধান পরিচালক বা সর্বপ্রধান সম্পাদক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মণিভূষণ মুখোপাধ্যায়। সে সময় ‘লাঙল’ পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা লিখেছেন নজরুল ইসলাম। এছাড়াও এই পত্রিকায় লিখতেন মুজফফর আহমেদ, সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেবব্রত বসু প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। […]

  3. রাহুল সাংকৃত্যায়ন – একটি বর্ণময় জীবন

    [রাহুল সাংকৃত্যায়ন ছিলেন ভারতের একজন স্বনামধন্য পর্যটক, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন শাস্ত্রে সুপণ্ডিত, মার্কসীয় শাস্ত্রে দীক্ষিত । তিনি তাঁর জীবনের ৪৫ বছর ব্যয় করেছেন বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে। তিনি বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাদাতা হিসাবেও প্রসিদ্ধ ছিলেন। বলা হয়েছে তিনি হিন্দি ভ্রমণ সাহিত্যের জনক। ভোলগা থেকে গঙ্গা তাঁর অন্যতম বিখ্যাত গ্রন্থ। বৌদ্ধ দর্শনে তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল অসামান্য। কাশীর […]

  4. ‘লেখালিখি’ জীবনের গল্প

    [সাহিত্যের সাধক সাধিকাদের জীবন চিরকালই অন্যরকম, কখনও কখনও বিচিত্র। সাহিত্যের কারবারি হবেন বলে অনেকে যেমন কাগজ-কলমকে আপন করে নিয়েছেন আবার অনেকেরই সাহিত্য জীবনে প্রবেশ অকস্মাৎ, নাটকীয়তায় ভরা। এক-একজন লেখকের লেখায় যেমন সমাজ জীবন আলোড়িত হয়েছে তেমনই সামাজিক ঘটনার তীব্র প্রভাবে সাহিত্য শ্রষ্ঠার কলম গতি পেয়েছে এমন ঘটনাও কম নেই। জীবনের এইরকম নানা ঘটনার কথা নানা […]

  5. বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায়

     [সাবিত্রী রায়ের জন্ম ১৯১৮ সালের ২৮ এপ্রিল। চল্লিশের দশকের নানা রাজনৈতিক আন্দোলন, বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট,দুর্ভিক্ষ, কৃষক আন্দোলন, দাঙ্গা, দেশভাগ ইত্যাদির পাশাপাশি পল্লীজীবন ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে লেখিকা পরম মমতায় অঙ্কন করেছেন। বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাঁর লেখায় বারবার উঠে এসেছে সমসাময়িক যুগ ও জীবনের চিত্র। তাঁর সৃষ্ট নারী চরিত্রগুলোও শুধুমাত্র প্রেম, পারিবারিক দাম্পত্য […]

  6. অতনু ফিরে যাবে

     এটা কি আগে এখানে ছিল, না ছিল না? একটা বেঁটে মতো গম্বুজ, তার সবদিকই নানারকম পোস্টারে মোড়া, একটা বড় ফিল্মের পোস্টারে এক যুবতী দু’চোখ দিয়ে হাসছে। এক পাশে ছিল ধানক্ষেত আর জলা, রাস্তার অন্যপাশে দোকানপাট। হ্যাঁ, স্পষ্ট মনে আছে অতনুর, ধানক্ষেতের পাশে যে অগভীর জলাভূমি, সেখানে গামছা দিয়ে মাছ ধরত কয়েকটি কিশোর, মাছ বিশেষ পাওয়া […]

  7. দেখা হবে

    নকশি কাঁথার মতো বিচিত্র এক পৃথিবী ছিল আমাদের শৈশবে। এখনও পায়ের তলায় পৃথিবীর মাটি, চারিদিকে গাছপালা, মাথার ওপর আকাশ। বুক ভরে শ্বাস টেনে দেখি। না, শীতের সকালে কুয়াশায় ভেজা বাগান থেকে যে রহস্যময় বন্য গন্ধটি পাওয়া যেত তা আর পাওয়া যায় না। আমাদের সাঁওতাল মালি বিকেলের দিকে পাতা পুড়িয়ে আগুন জ্বালত। সেই গন্ধ কতবার আমাকে […]

  8. শিশিরের জল

    দমদম এয়ারপোর্ট থেকে বেরোবার আগে তার পাসপোর্ট দেখে বাঙালি ইমিগ্রেশন অফিসার হেসে বললেন, ‘আপনি অষ্ট্রেলিয়ান?’ ‘হ্যাঁ। পাসপোর্টই বলছে আমি অষ্ট্রেলিয়ার নাগরিক।’ ‘বহু দিন পরে এলেন! ভাল থাকুন।’ পাসপোর্টে স্ট্যাম্প মেরে ভদ্রলোক সেটা ফেরত দিলেন। কাস্টমসেও কোনও অসুবিধে হল না। স্যুটকেস নিয়ে প্রি-পেড ট্যাক্সির টিকিট কেটে সে যখন বাইরে এল, তখন রাতের অন্ধকার গাঢ় হয়েছে। ড্রাইভার […]

  9. শময়িতার কাছে সীমায়িত

    মেট্রো ধরে রবীন্দ্রসদন যাওয়া আমার সুবিধে হয় আজকাল। দমদম মেট্রো স্টেশনের লাগোয়া সন্দীপের গ্যারাজ। মোটর-বাইক রেখে দিয়ে নিশ্চিন্তে গড়িয়া পেরিয়ে অনেকদূর যাতায়াত করতে পারি।গত সপ্তাহে সন্দীপের কাছে বাইক রেখে, লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটছি রবীন্দ্রসদন। জীবনানন্দ সভাগৃহে “ফটোগ্রাফিচর্চা” সংস্থার একটা এগজিবিশন এবং আলোচনা সভা হচ্ছে। দেরি হয়ে গেছে অফিস থেকে বেরোতে। লাইনটা এগোচ্ছে না কেন দেখার […]

  10. বাংলাদেশ

    আমাদের এই মফস্বল শহর থেকে ভারতের সীমান্ত খুব কাছে। প্রচুর লোকজন প্রতিনিয়ত এপার-ওপার করে। তাদের অধিকাংশই এদেশের। চোরাকারবারি, বৈধ ব্যবসায়ী, চিকিৎসা ও লেখাপড়ার জন্য যায় এমন লোকজন, আর আছে সেইসব মানুষ, যাদের খুব কাছের আত্মীয়স্বজন ওপারে আছে। আমাদের এই শহর ও এর আশপাশের গ্রামগুলোতে এরকম মানুষের সংখ্যা এখনও অনেক। ওপারের লোকেরাও মাঝে মাঝে এপারে আসে। […]

  11. এই তো বেশ আছি

    দিনে ঘুমোলে রাতে ঘুম আসতে চায় না । এপাশ ওপাশ বড় যন্ত্রনা দায়ক ! আবার সারাটা দুপুর জেগে থাকাটাও প্রাণান্তকর অবস্থা ! রোজকার মতো দুটো কাগজ নিয়ে সমন্বয় আজ বিছনায় না শুয়ে চেয়ারে গিয়ে বসল । মনে মনে ঠিক করেছে যে সে আজ কিছুতেই ঘুমোবে না । দেখি ঘুমটা কোথা দিয়ে আসে । বড় পত্রিকাটা […]

  12. স্বর্গসন্ধানী

    চাঁদিফাটা রোদে ধানের নাড়াগুলো যেন এবার ঝলসে উঠবে– এমন এক প্রখর বেলায় একজন পথিকের ক্লান্ত ঘোড়া মাঠের উপর দিয়ে যেতে যেতে প্রাচীন একটি অশথ গাছের নিচে থামতে বাধ্য হল। সে শুনেছে কুরুক্ষেত্রের কাছাকাছি কোথাও একজন সাধুপুরুষ থাকেন, যিনি সেবাপরায়ণ। সেই ঠিকানা এখন খুব দরকার। ক্ষুধায় তৃষ্ণায় তিনি ও তাঁর বাহন ভয়ানক অবসন্ন। অশথের ডাল ধরে […]

  13. কেউ কেউ এভাবেই হারিয়ে যায় নাগরিক কোলাহলে

    সে রাতে পূর্নিমা ছিল না, বাতাসের গান ছিল না। শুধু নিরবতা রাতকে নিয়ে ডুবে ছিল কল্পনার অদৃশ্য সমুদ্রে। সেই অদৃশ্য সমুদ্রের সমস্ত দুঃখ গায়ে মেখে ছাদ থেকে শূন্যে ঝাঁপিয়ে পড়বার আগে-পর্যন্ত রুপু ভাবছিলো, ‘মরে গেলে মানুষের সাথে সম্পর্ক থাকে না তবুও মৃত সম্পকের ইতিহাস কেউ চাইলেও সহজে মুছে ফেলতে পারে না’। যে ভালোবাসার মায়াজাল থেকে […]

  14. টাকা কামানোর মেশিন

    অফিস বেরোনোর ঠিক আগে ওইরকম অশান্তি করা কখনোই পছন্দ করে না আশিস। তাও আবার বাবা-মার সাথে। সারাদিনের মত মেজাজটা খিটখিটে হয়ে যায়। একে কাজের চাপ, তার উপর সংসারের দায়-দায়িত্ব – সব মিলিয়ে নিজের জন্য নিঃশ্বাস ফেলার সময়টুকু যখন পায় না, তখনই এমনটা ঘটিয়ে ফেলে সে। “বাবা পুজো তো চলে এল, ফেরার পথে সরস্বতী ঠাকুর টা […]

  15. ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু ও কয়েকটি বিতর্কিত প্রসঙ্গ

    ১৯৩৬ সালের ১৮ জুন মস্কো রেডিও ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করে। মস্কো রেডিও শোকবার্তায়  তাঁকে  ‘শ্রমিকের বন্ধু’ আর কমিউনিজমের বিজয়পথের একজন যোদ্ধা হিসাবে বর্ননা করেছিল। তাঁর মৃত্যু লেনিনের মৃত্যুর পর রাশিয়ার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানও পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, সম্পন্ন হয়েছিল। তাঁর শববাহী শকট নিয়ে মস্কোর কেন্দ্রস্থলে কয়েক লক্ষ […]

  16. অন্য ধারার গল্প

      বাংলা ছোটগল্পের আলোচনায় অন্যধারার অথবা প্রথাবিরোধী গল্পকারদের স্থান লাভ বেশি দিনের ঘটনা নয়। বহু ছোটগল্প বিষয়ক আলোচনাগ্রন্থ দেখলে দেখা যাবে সেখানে অন্য ধারার গল্পকারদের কথা নেই। কদাচিৎ সামান্য ছুঁয়েই চলে যাওয়ার ঘটনা দু-একটি বইয়ের বৈশিষ্ট। প্রকৃতপক্ষে এই উল্লেখ অনালোচনার সমতুল্য। তাই একথা বলাই যায়, অন্যধারার গল্পকারদের ক্ষমতা প্রমাণের উদ্যোগ ও সাফল্য আজও বেশ কঠিন […]

  17. অলকানন্দা রায়ের সাক্ষাৎকার

    [ অনেক কিছুকেই প্রথাগত ভাবনা বা সিস্টেমের বাইরে গিয়ে ভেবেছেন তিনি। প্রতিনিয়তই অনুভব করেন নতুন কিছু করার তাগিদ । আর এই রকম ভাবেই একদিন পান পশ্চিমবঙ্গের সংশোধনাগারের বন্দিদের নাচ শেখানোর দায়িত্ব – যা তাঁর নিজের কথায়, তাঁর জীবনে ঘটিয়ে দেয় এক আশ্চর্য উত্তরণ। তিনি ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যচর্চায় নিজস্ব নৃত্যশৈলী গড়ে […]

  18. ভাত

    লোকটার চাহনি বড়বাড়ির বড়বউয়ের প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি। কী রকম যেন উগ্র চাহনি। আর কোমর পর্যন্ত ময়লা লুঙ্গিটা অত্যন্তই ছোট। চেহারাটা বুনো বুনো। কিন্তু বামুন ঠাকুর বলল, ভাত খাবে কাজ করবে। -কোথা থেকে আনলে? এ সংসারে সব কিছুই চলে বড়পিসিমার নিয়মে। বড়পিসিমা বড়বউয়ের পিসি-শাশুড়ী হন। খুবই অদ্ভুত কথা। তাঁর বিয়ে হয়নি। সবাই বলে, সংসার ঠেলবার […]

  19. মতিজানের মেয়েরা

    বিয়ে হলে নতুন সংসারে মেয়েদের একটি অবস্থান নির্ধারণ হয়, সে বাড়ির বউ হয়, বউ হওয়া মানে একটি নতুন জন্ম সুখ দুঃখ অনেক কিছু মিলিয়ে আপন ভুবন-সংসারের কর্তৃত্ব-এমন একটি ধারণা ছিল মতিজানের। কিন্তু এই সংসারে ওর অবস্থানটা যে কোথায় তা ও বুঝতে পারে না। এই সংসারের ওর কি প্রয়োজন সেটাও জানে না। মাথার ওপর আছে শাশুড়ি, […]

  20. আত্মহত্যা

    বিছানাটা ময়লা; বালিশটা তেলচিটে, তোশক থেকে বিশ্রী একটা ভ্যাপসা গন্ধ উঠছে … সারা বর্ষা রোদে পড়েছে কি না সন্দেহ। …  এ বিছানায় শুয়ে বরং লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা যায়, কিন্তু স্বপ্ন দেখা যায় না সুদুর্লভ প্রিয়ার। মেসের বিছানা নয় – বাড়িরই, তবে বাড়িতেও, মানে মোহনদের মতো বাড়িতে এর চাইতে ভাল কিছু আশা করা যায় না। […]

  21. বসন্ত.com

     যেদিন ‘গুগল’ সার্চ করতে করতে বসন্তকালেই যেন আক্ষরিক অর্থে ডুবে গেলাম। অজস্র মণিমুক্তোর ভেতর  থেকে তুলে আনলাম টমাস হার্ডির কয়েকটি লাইন। “New cares may claim me / New lovers inflame me / She will not blame me / But suffer it so.” মন একটু উদাস হল কি? নতুন কোনো সম্ভাবনা নেই। জানি কোনো কোনো বিরল […]

  22. বসন্ত পাঠ

    গল্পের সময় ।। মার্চ ২০১৮ ।। বসন্ত.com  লিখেছেন অনিলেশ গোস্বামী পাখি তোমাকে  লিখেছেন  প্রবন পালন চট্যোপাধ্যায় আবহমান  লিখেছেন সিদ্ধার্থ সান্যাল হারায়ে সেই মানুষে…  লিখেছেন  অরিন্দম চক্রবর্তী পথ  লিখেছেন রামকিশোর ভট্টাচার্য গল্প হলেও পার’ত  লিখেছেন  পূষন ঝরা পালকের কবি, আপনাকে… লিখেছেন ঋভু চৌধুরী পর্ব- মোহিনী  লিখেছেন আত্মদীপ মহাশ্বেতা দেবীর গল্প   ভাত সেলিনা হোসেনের গল্প  মতিজানের […]

  23. পাখি তোমাকে

      পাখী, বহুদিন তোমার কোন সংবাদ নেই। উড়ানে বিভোর তুমি, হয়তো সময় নেই অথবা সময় তুমি খুঁজবে না – এ তোমার সিদ্ধান্ত। আমি এখন দরিয়ার পানসি নৌকায় বসে নির্জনতা অনুভব করি। চারিদিকে নদীর কলরোল একই ভাবে উচ্চারিত, একই ভাবে বহমান। কেন জানি না আমার মনে হয় এই বিস্তীর্ন জলরাশি আমাকে বিদ্রুপ করছে। তুমি বোধহয় আমাকে […]

  24. আবহমান

    এ গাথা তো আমার হৃদয়ের…….অপরূপ নির্জনে শরীরে শরীর ছুঁয়ে দেওয়া খিন্ন হৃদয়ের কথা….বিপন্ন বাসনার দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা সুখ ও অসুখ…প্রসব যন্ত্রণার মতো গলাগলি হর্ষ ও বিষাদ….. যখন মন আমার হারিয়ে ফেলে তার দুর্লভ সম্পদ…….নির্জনতার গভীরে দেহ এসে সাজায় শত কারাকক্ষ তার…..চারদিকে ঘিরে থাকে বাসনার দুর্গম পরিখা…যদিও শরীরের জন্য আমার সঞ্চিত থাকে ভয়…….শরীরের গর্ভদ্বারে জুড়ে থাকে শতেক সংশয়…..সেই […]

  25. হারায়ে সেই মানুষে…

    সে হেসেছিল যখন তখন হাওয়ায় মঞ্জরীর বাস। ফাগুয়ায় রাঙা মধ্যদিন। পুকুরের জলে নিদাঘের ছায়া। সারা গায়ে তাপ নিয়ে ঘুরেছি পথে পথে, আর সেই পথ এমন করে রূপনগরে এসে মিলবে যদি জানতেম! অজানাকে জানব বলেই তো মনভাসির টানে পাড়ি দিয়েছি অচেনায়। দিনের আরশিতে নিশুতরাতের শোভা দেখলে এক জীবনে পরম রতন মেলে, মানুষ রতন গো, তাই তো […]

  26. পথ

    পথ চলছিল একা। আধা শহরের মধ্যবিত্ত পথ। আধা শহরের মধ্যবিত্ত পথ। রাজপথ তাকে পাত্তাই দেয় না। গলি পথেরা তাকে হতচ্ছেদ্দা করতে পারেনা। এঁকে বেঁকে বড় মেজ ছোটো বাড়ির পাশ দিয়ে চলতে চলতে এই রোদে বড় কষ্ট হচ্ছিল। সেই সকাল থেকে আকাশটা বদলে যাচ্ছে বারবার। এরকম চোখ পাকানো আকাশটাকে একদমই সহ্য করতে পারেনা সে। অথচ ভোরবেলায় […]

  27. গল্প হলেও পার’ত

    আমার কথা ১) “… উদ্যানে ছিল বর্ষাপীড়িত ফুল আনন্দভৈরবী। ” ভালোবেসে ফুলের মাথায় ধরতে গেলাম ছাতা, বস’ল বেঁকে; মৃদু বক’ল গাঢ় স্বরক্ষেপে— ‘কোন অধিকার তোমার? এই তো আমার বর্ষা প্রিয়তম! … যাও, সরো, সরো; প্রয়োজন নেই ছাতার। তাছাড়া, কোন অধিকার তোমার? …ব’ল, কোন অধিকার তোমার?’ ২) পেলব সন্ধ্যে নামার কথা ছিল অন্য সে’এক শেষ-বিকেলে। হঠাৎ […]

  28. ঝরা পালকের কবি, আপনাকে…

    “তুমি তো জানো না কিছু – না জানিলে, আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে; যখন ঝরিয়া যাবো হেমন্তের ঝড়ে – পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের ‘পরে শুয়ে রবে? অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন সেদিন তোমার! তোমার এ জীবনের ধার ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল? আমার বুকের ‘পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের […]

  29. পর্ব- মোহিনী

    আঁখিকোণে কাজলের রেখা কী কেঁপে গেল? ম্লান হয়ে আসা শেষ দিবসের আলোতে মুকূরের দিকে চেয়ে থাকেন কৃষ্ণ, একটু অস্থির লাগে, কেমন জানি অচেনা একটা সুখে বুক-মন শূন্য হয়ে আসে। গোধূলির শেষ আলোকে বাইরের ধুলিপ্রান্তর কেমন মায়াময় মনে হয়। কে বলবে,এই প্রান্তরে রক্ত প্রবাহ একদিন সিক্ত করে দেবে প্রতিটি ধুলিকণা, কে বলবে এ এক যুদ্ধক্ষেত্র, একমাত্র […]

  30. লেপ

    বউ ব্যাপক সুন্দরী; যাকে বলে ছম্মকছল্লু সুন্দরী। শ্বশুরমশাই মালদার; দিয়েছে থুয়েছে অনেক। মোটা ক্যাশ, ভারি গয়না, দেদার আসবাবপত্র। ফুলশয্যার রাতে বরের মনে তবুও একটা খিঁচখিঁচ – কী একটা নেই, কীসের একটা অভাব। পালঙ্ক এসেছে পালিশ করা। নরম ফেনার মতো গদি মাথার বালিশ, কোল বালিশ। বাজারের সেরা ব্র্যান্ডের টিভি, সোফা। সবই তো আছে। তবু কেন বরের […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2025 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ