পুরানো সংখ্যা:

  1. রস

    রস নরেন্দ্রনাথ মিত্র   কার্তিকের মাঝামাঝি চৌধুরীদের খেজুর বাগান ঝুরতে শুরু করল মোতালেফ। তারপর দিন পনের যেতে না যেতেই নিকা করে নিয়ে এলো পাশের বাড়ির রাজেক মৃধার বিধবা স্ত্রী মাজু খাতুনকে। পাড়া-পড়শি সবাই তো অবাক। এই অবশ্য প্রথম সংসার নয় মোতালেফের। এর আগের বউ বছরখানেক আগে মারা গেছে। তবু পঁচিশ-ছাবি্বশ বছরের জোয়ান পুরুষ মোতালেফ। আর […]

  2. বনফুলের কয়েকটি গল্প

    বেচারামবাবু   হরিশ মুদী সন্ধ্যাবেলা হিসাব বুঝাইয়া গেল যে গত মাসের পাওনা, ২৭’৭০ পাইয়াছে এবং তাহা অবিলম্বে মিটাইয়া দেওয়া দরকার। সদ্য-অফিস-প্রত্যাগত বেচারামবাবু বলিলেন—‘আচ্ছা মাইনেটা পেলেই—!’ অতঃপর কাপড়-চােপড় ছাড়িয়া বেচারাম বাহিরের রোয়াকটিতে বসিয়া হাঁক দিলেন—‘ওরে চা আন—।’ চা আসিল। চা আসিবার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার হরিবাবু, নবীন রায়, বিধু ক্লার্ক প্রভৃতি চার পাঁচজন ভদ্রলোকও সমাগত হইলেন এবং […]

  3. বনফুলের ‘একফোঁটা’ গল্প

      আজ বিশ্ববাজারে অণুগল্পের ছড়াছড়ি। ‘অণু’ অর্থাৎ ‘ক্ষুদে’ গল্প। মাত্র কিছু শব্দ বা বাক্য খরচ করে একটা নিটোল গল্পকে দাঁড় করিয়ে ফেলা। অতি অল্প সময়ে একটা প্লট তৈরি করে পাঠকের মনকে ছুঁয়ে যাওয়া। গল্প বলার অসাধারণ মুন্সিয়ানায় একটুকরো ফ্রেম তৈরি করে তার মনোজগতে ধাক্কা দেওয়া। জেটগতির যুগে মানুষের হাতে সময় কম। অন্য সবকিছু বিনোদনের ঠেলাঠেলিতে […]

  4. সাদাত হাসান মান্টোর গল্প

    [সাদাত হাসান মান্টো উর্দু সাহিত্যের ব্যতিক্রমী লেখক অথচ অবশ্যম্ভাবী উপস্থিতি। মৃত্যুর এত বছর পরেও অমরত্বের দাবিদার হতে পারেন স্রেফ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য। জীবনের কিছু সময় কাটিয়েছেন ভারতে আর বাকিটা পাকিস্তানে। দেশ বিভাগের জ্বালা সাহিত্যের ভাষায় মুক্ত করছেন। আর জীবন যন্ত্রণার জ্বালাকে মুক্তি দিয়েছেন কলমের শক্তিতে। জীবনের তাপকে সমাজ থেকে নিয়েছেন নিজের জীবনকে বাজি রেখে। ছিন্নভিন্ন হয়ে […]

  5. দুটি গল্প

    গুরুগ্রামের গ্রেগর সামসা সকালে রোজকার প্রথামতো গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৬-এর নির্জন রাস্তায় দুজনে হাঁটছি….বেশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে…. মেজাজটাও বেশ মানানসই…..সপ্তাহান্তটা  কিভাবে সুভালাভালি কাটানো যায় তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা মতান্তর প্রায় পেকে উঠেছে……এমন সময় হঠাৎ রাস্তার পাশের রাধাচূড়া গাছ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের একজন  খ্যাঁচম্যাচ মুখভঙ্গি করে নেমে এসে আমার বাঁহাত ধরে ঝুলে পড়লো…..হঠাৎ একিরে বাবা !! […]

  6. অণুগল্প সংখ্যা

    দুটি গল্প লিখেছেন: সিদ্ধার্থ সান্যাল গুরুগ্রামের গ্রেগর সামসা সকালে রোজকার প্রথামতো গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৬-এর নির্জন রাস্তায় দুজনে হাঁটছি….বেশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে…. মেজাজটাও বেশ মানানসই…..সপ্তাহান্তটা  কিভাবে সুভালাভালি কাটানো যায় তাই নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা মতান্তর প্রায় পেকে উঠেছে……এমন সময় হঠাৎ রাস্তার পাশের রাধাচূড়া গাছ থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের একজন  খ্যাঁচম্যাচ মুখভঙ্গি করে নেমে এসে আমার বাঁহাত ধরে […]

  7. নদী

    একধারে জঙ্গল। তারপাশে ছোট্ট একটা নদী। ছোট বড় পাথরের গা দিয়ে বয়ে চলেছে তিরতির করে। পূব দিকে যখন সূর্য ওঠে, ভোরের ঝিরঝিরে বাতাস জাগে, গাছগুলোর পাতায় পাতায় কাঁপন ধরে। পাখীদের চিকিরমিচির শুরু হয়। তখন সে নদীতে কোথাও হাঁটুজল, কোথাও গোড়ালী পর্যন্ত। নদীটার সঙ্গে তার খেলা চলে কিছুক্ষণ। লাফাই ঝাঁপাই খেলা। নদীটাও যেন খুশীতে ঝিলমিল করে। […]

  8. প্রিয়সঙ্গ

    রবিবার আমাদের কাজের ছুটি। কী করব ভাবছি ,বিশাখার ফোন  এল, চলে এস শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার খোলা থাকে। বুধবার ছুটির দিন। বিশাখা সংগীত বিভাগের অধ্যাপক। গানের গলাও বেশ চমৎকার । বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত যখন গায়,বিভোর হয়ে যায় গানের মধ্যে। চারপাশের শ্রোতারাও তখন তার গানের মধ্যে ডুব দেয়। বিশাখার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল একটা ম্যানেজমেন্ট […]

  9. ফুটবলার

    আমাদের পাড়ার কানাইদা ছিল স্টার ফুটবলার। তখন প্রখ্যাত ফুটবলার মেওয়ালাল সবে অবসর নিয়েছেন। কানাইদা দেখতে যেমন মেওয়ালালের মত ছিল, তেমনি ভাল ফুটবলও খেলত। মেওয়ালালের মতই খেলার সময় পরত লাল হাফ প্যান্ট, আর গায়ের রঙটাও ছিল তার কুচকুচে কালো। মাঠের রেলিঙে পা ঝুলিয়ে বসে আমরা স্কুল পড়ুয়া ছেলের দল খেলা দেখতাম। আমাদের কাছে কানাইদা ছিল সেদিনের […]

  10. দুটি অণু গল্প

    মাতৃরূপেন  অফিসার চমকে উঠলেন, — ভেবে বলছেন ? মেয়েটা কিন্তু বলেছে ,অন্ধকারে চিনতে পারেনি । নিবেদিতার কঠিন স্বর, দেরি না করে চলে আসুন । ততক্ষণ আটকে রাখবো । দরজায় বেল বাজলো । বাড়িতে পুলিশ দেখেই  সজলের রক্ত হিম হয়ে গেলো । দেখলো রুদ্রানীর মতো তেজে জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তার দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করলেন মা । তাঁর প্রসারিত হাতটা যেন উদ্যত […]

  11. খোলা হাওয়া

    বিয়ের পাঁচ বছরপর তানিয়াকে নিয়ে এই প্রথম বেড়াতে আসা। মেঘ পাহাড়ের সহবাসে পশ্চিম ঘাটের অপূর্ব সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গা এই “খান্ডালা ” । বৃষ্টিতে ধুলোমাখা পাহাড়ি শহরটা ধুয়ে ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে গেছে ,পাহাড়ের গায়ে যেন ঘন সবুজাভ চাদর । মনে হচ্ছে যেন নতুন বিয়ের পর হানিমুনে এসেছে ওরা । তানিয়াকেও আজ বড় সুন্দর দেখাচ্ছে । গরম গরম […]

  12. অবিশ্বাস

    অন্যদের মতো সিনেমা, স্বভূমি বা গঙ্গার ধারে নয়, সপ্তর্ষি আর লাবণী সাধারণত    দেখা করে কাছাকাছি কোনও রেলস্টেশনে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাড়ার তালিকায় চোখ বোলাতে বোলাতে যে স্টাশনের নামটা ভাল লাগে, মনে হয়, এখানে গাছ আছে, আকাশ আছে, ফুরফুরে হাওয়া আছে, সেখানকার টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে পড়ে। আজও ওরা এসেছিল তেমনই একটি জায়গায়। ফেরার জন্য […]

  13. উপহার

    ক্যামেরাখানা বহুদিন পর হাতে নিল  জয়ন্ত সান্যাল । তখন মোবাইল এর এমন রমরমা ছিলনা । উঠতে বসতে মানুষ ছবি তুলত না । কাজেকম্মে ফটোগ্রাফার ডেকে ছবি তোলানো হত । জয়ন্ত’র বরাবর ছবি তোলার সখ । সামান্য মাইনের চাকরির পাশাপাশি সখের ফটোগ্রাফিটা সে পার্ট টাইম পেশায় পরিণত করেছিল । এতে বাড়তি দু’পয়সা সংসারে আসত । বনানীও […]

  14. দুটি বিদেশি গল্প

    লা ইওরোনা ( গুয়াতেমালা)  [‘লা ইওরোনা’ একটি পৃথিবী বিখ্যাত জনপ্রিয় লাতিন আমেরিকান ভৌতিক লেজেন্ড।  পৃথিবীতে একটি ভৌতিক লেজেন্ড নিয়ে এত সংখ্যক প্রচলিত গল্পের নজির পৃথিবীতে বিরল। স্প্যানিশে ‘llorona’ শব্দের অর্থ হল- ‘ক্রন্দনরতা মহিলা। ] মারিয়া নামে একটি মেয়ে ছিল। তার স্বামী কিছুদিনের জন্য যখন বাইরে যায়, সেই সুযোগে তার সাথে একজন  যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। […]

  15. বিচ্ছেদ

    ”যাচ্ছেতাই” শব্দটা যথেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছিল রচনার। একটা ঘটনা ঘটলেও ঠিক ছিল। তা নয় পরপর, একতার পর একটা। নিজের উপরই ভরসা কাটছিল। ঠিক কথা সংসারে চলতে গেলে সমস্যা আসবেই। কিন্তু তা বলে এরকম। জ্যোতিষের কথাটা মনে এল – “মাথা ঠাণ্ডা রাখুন কটা দিন।” তারপর মনে হল দূর ও সব ফালতু। ওরা ফেরেববাজ। পাথর দিয়ে […]

  16. বাস

    শ্রীরামপুর বাগবাজার রুটের একটা তিন নম্বর বাস শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। সামনের দিকে ড্রাইভারের সিটের পিঠোপিঠি লেডিস সিটের এক কোণে বসেছেন এক বৃদ্ধা মহিলা। মহিলার পরনে কিছুটা মলিন সাদা থান, হাতে একটি মানানসই পুঁটুলি। বোঝা যায় কোন নিম্নবিত্ত প্রান্তিক পরিবারের প্রবীণ সদস্যা। আমাদের মধ্যে যারা স্ট্যান্ড থেকেই বাসে উঠেছে […]

  17. কয়েকটি গল্প

    অপ্রয়োজনীয় ও তখন গবেষণা করছে। স্টাইপেন্ড যা পায় তাই দিয়ে দুজন কেন একজনেরও ঠিকমতো চলে না। আমার চাকরিটাই একমাত্র ভরসা। সেই ভরসাতেই বিয়েটাও হয়ে গিয়েছিল। ওর এখন অধ্যাপনা, শতরঞ্চি,  কফিহাউস, সাহিত্যসভা। সংসারে যা কিছু প্রয়োজনীয় সব মোটামুটি আছে। শুধু আমার চাকরিটা অপ্রয়োজনীয় সাব্যস্ত হয়েছে।   সাময়িক এখন আর ব্যথা নেই। শুধু মনে আছে আঘাতটা জোরেই […]

  18. কী এমন কারণ যা শুধু পার্থই খুঁজে পেল ?

    একবার জানালার সামনেটায় দাঁড়ালো পার্থ। আটতলার উপরের জানালা। সকাল থেকে নিম্নচাপ। জানালার কাঁচের পাল্লা খুলতে বেশ দাপুটে হাওয়া দিল। নীচে ঝুঁকে দেখলো অফিস ক্যাম্পাসের রাস্তার আলো জ্বলছে। এদিক ওদিক জল জমেছে অল্প অল্প। পিছনে ঘুরে দেখল পার্থ, অফিসের কিউবিকলগুলো। ফাঁকা। বসের ঘরে তখনও আলো আছে। বস হয়তো একমনে ফেসবুক করছে। একটা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু গভীর শ্বাস […]

  19. বিকেলছোঁয়া বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপনটা আরতি দেখেনি। দেখলে কিছুতেই  আজ আর শোভনকে বাড়ির বাইরে যেতে দিতনা সে। ভাঙনধরা গরাদের গ্রিলে মাথা রেখে অচেতনেই বলে উঠল তার ঠোঁটদুটো— “ভালো হোক”। মস্তিষ্ক চোখ বোজে। তার জমাট শূন্যতা জুড়ে শ্লেষের হাসি। “আর ভালো!” বিজ্ঞাপনটা নেহাতই সাদামাটা। একটা বাচ্চাছেলে বারবার পড়ে যাচ্ছে সাইকেল থেকে আর তার বাবা তাকে আবার তুলে দিচ্ছে সাইকেলে— যতক্ষণ […]

  20. ফরমায়েসী নাটক লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়-বাদল

    প্রয়াত নাট্যকারের এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল অমৃতলোক বাদল সরকার সংখ্যায়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন  সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ‘গল্পের সময়’-এর পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে আনলেন দেবাশিস মজুমদার। নাট্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ই নেওয়া এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হল অপরিবর্তিত রেখেই।      ……………………………… [নাট্যকার এবং অভিনেতা হিসাবেই তাঁর পরিচিতি। পেশায় যে কোন একদিন ছিলেন ইঞ্জিনিয়র সেকথা আজ ভুলে […]

  21. বাংলা সাহিত্যে উৎসর্গ ভাবনার বিচিত্রা কথা

    জন্মের প্রথম পদক্ষেপ থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমার বিচিত্র ইতিহাস। উপন্যাস-গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ-জীবনী-আত্মজীবনী কত বিচিত্র অভিনবত্বে কত বিচিত্র আবহে আমাদের অস্তিত – বোধ-মেধা ও অনুভূতিকে জাগরিত করেছে তার সীমা-পরিসীমা নেই। এই সব বহু বিচিত্র লেখালিখি গ্রন্থবদ্ধ হয়ে যখন আমাদের হাতে আসে, তখন আমরা মূল লেখার সাথে পেয়ে যাই আরো এক অতিরিক্ত […]

  22. প্যারাসিটামল

    আরতি এই ছেলেটাকে একদম সহ্য করতে পারে না।অথচ সকাল হলে সবার আগে ওর মুখটাই দর্শন করতে হয়।ভোরের আলো ফুটলেই তাকে ধড়ফড় করে বিছানা ছেড়ে উঠতে হয়।রাতের কাপড়টা ছেড়ে অন্য একটা শুদ্ধ কাপড় পরে ঘরে-বাইরে কয়েকটা জায়গায় গোবর জল বুলোতে হয়।আর তখনই ছেলেটা পেপার নিয়ে হাজির হয়।ছেলেটার চোখের নজরটা বড্ড খারাপ। আগে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ  তার […]

  23. ধাক্কা

        দুপুরে বিছানায় শুয়ে ঘুম আসছিল না শোভনের । পাশ ফিরতেই চোখ পরে একটু দুরে রাখা ড্রেসিং টেবিলের আয়নাতে । বনলতা একমনে বসে বই পড়ছে, বিছানার পাশে রাখা টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে । শোভন জানে খানিকটা পড়ে তবে ও শুতে আসবে । নীল আলোতে লতার মুখের ওপর একটা আভা ফুটে উঠেছে । তবু বয়সের আঁকাজোকা যেন […]

  24. দাদুভাই

    -‘আচ্ছা দাদান, এই তারাগুলোর মধ্যে ঠাম্মা কোনটা?’ -‘ওইযে দাদুভাই সবচেয়ে বড়ো তারাটা দেখো, কী উজ্জ্বল, ওটাই তোমার ঠাম্মা’। -‘দাদান, সব মানুষই কি মরে গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়?’ -‘না দাদুভাই, যারা ভালো কাজ করে, কক্ষনো মিথ্যেকথা বলে না শুধু তারাই তারা হয়ে আকাশের কালো বুকটাতে ঝিলমিল্ করতে থাকে’। -‘আচ্ছা দাদান, তারাদের কি কখনও ধরা যায়?’ […]

  25. শোকের অধিকার

    [যশপাল হিন্দি সাহিত্যের প্রখ্যাত প্রগতিশীল কথা সাহিত্যিক। সামাজিক বৈষম্য দূর করে সমাজে সকলের সমান অধিকারের দাবিতে সাহিত্যকে তিনি একটি হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর লেখা উপন্যাস – দিব্যা, দাদা কমরেড, অমিতা, ঝুঠাসচ, মনুষ্য কে রূপ। অন্যান্য রচনা – ন্যায় কা সংঘর্ষ, গান্ধীবাদী কি শবপরীক্ষা ইত্যাদি। – অনুবাদক ননী শূর] পোশাক মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করার একটা […]

  26. নতুন বছরে আসছে অণুগল্প সংখ্যা

      বিশেষ অণুগল্প সংখ্যা প্রকাশিত হবে দুটি সংখ্যা( জানুয়ারি ২০১৮ এবং ফেব্রুয়ারি ২০১৮) অণুগল্প সংখ্যায় লেখা পাঠানোর নিয়ম   ১। সকলেই গল্প পাঠাতে পারেন।ভাল গল্প প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। ২। লেখা অভ্রতে বাংলা টাইপ করে ওয়ার্ড-ফাইলে পাঠান।পিডিএফ করে পাঠাবেন না। হাতে লেখা গল্প স্ক্যান করে পাঠাবেন না। ৩। কোথাও প্রকাশিত(ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল  সাইট হলেও) […]

  27. মাছি

    [ক্যাথরিন ম্যানসফিল্ড-এর জন্ম, ১৮৮৮ সালে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন শহরে। তাঁর শিক্ষাজীবনের বেশ কিছুটা লন্ডনে, এবং সেখান থেকেই তাঁর সাহিত্য জীবনের শুরু। ১০১২ সালে বিখ্যাত সমালোচক এবং সম্পাদক মিডলটন মারির সঙ্গে তাঁর পরিচয় এবং পরে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। ইতিমধ্যে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে তাঁর ভাই লেসলি মারা যান। এই ঘটনা তাঁর সাহিত্য জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত […]

  28. লাল জুতো

    গৌরীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার দরুন কিছু ভাল লাগছিল না। মনটা বড় খারাপ,–নীতীশ ভাবতেই পারছে না, দোষটা সত্যিই কার। অহরহ মনে হচ্ছে–আমার কি দোষ? জীবনে অমন মেয়ের সঙ্গে সে কখনই কথা বলবে না। দক্ষিণ দিককার বারান্দা দিয়ে যতবার যায় ততবারই দেখে, গৌরী পর্দ্দা সরিয়ে এদিক পানে চেয়ে আছে, ওকে দেখলেই পলকে পর্দ্দা ফেলে দেয়। এ চিন্তা […]

  29. একটি তুলসীগাছের কাহিনী

    ধনুকের মতো বাঁকা কংক্রিটের পুলটার পরেই বাড়িটা। দোতলা, উঁচু এবং প্রকাণ্ড বাড়ি। তবে রাস্তা থেকেই সরাসরি দণ্ডায়মান। এদেশে ফুটপাত নাই বলে বাড়িটারও একটু জমি ছাড়ার ভদ্রতার বালাই নাই। তবে সেটা কিন্তু বাইরের চেহারা। কারণ, পেছনে অনেক জায়গা। প্রথমত প্রশস্ত উঠান। তারপর পায়খানা-গোসলখানার পরে আম-জাম-কাঁঠালগাছে ভরা জঙ্গলের মতো জায়গা। সেখানে কড়া সূর্যালোকেও সূর্যাস্তের ম্লান অন্ধকার এবং […]

  30. জননী

    আমরা ভাইবোন মিলে মায়ের পাঁচটি সন্তান। বাবা বলত, মায়ের হাতের পাঁচটি আঙুল। সবার বড় ছিল বড়দা, মায়ের ১৯ বছর বয়সের ফল। প্রথম বলে বড়দা মায়ের সেই বয়সের রূপ যতটা পেয়েছিল পুঁটলি বেঁধে নিয়ে জগতে এসেছিল। শুনেছি, ঠাকুরমা বলত, অত রং অমন চোখ নিয়ে যদি এলি, তবে দাদু, মেয়ে হয়ে এলি না কেন? ঠাকুরমার ক্ষোভ বছর […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2025 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ