-
কখন তোমার আসবে টেলিফোন-হ্যালো – -হ্যাঁ- বল…। – ফোন করনি কেন ? -আমিতো ভাবছিলাম তুমি করবে । -আগের দিন আমি করেছিলাম, এবার তো তোমার করার কথা ছিল । -তাই- না ? আমার একদম মনে ছিল না যে এবার আমার পালা । তবে ফোন করার আবার পালাপালি কিসের ? -তুমি সেই একই রকম আছ । । পাঁচটায় আসার কথা, […]
-
একটি প্রেমের গল্প১ পার্কে ঢোকবার ঘোরানো গেটটার দিকে একনাগাড়ে তাকিয়ে তাকিয়ে অপরাজিতার চোখে প্রায় ব্যথা হওয়ার জোগাড় । এদিকে ওর ভীষণ দেরী হয়ে যাচ্ছে, সূর্য্য ধীরে ধীরে ঢলে পড়ছে পশ্চিমে । একে তো বিকেলবেলায় এই পার্কটায় এসে মানসদার সঙ্গে দেখা করায় বেশ রিস্ক আছে । একটু দূরে মোড়ের মাথায় বাড়িটার তিনতলার একটা ফ্ল্যাটে মেজোমাসী থাকে । কাজে অকাজে এই বিকেলে মেজোমাসী বেরিয়ে এসে […]
-
খোয়াইতুমি অঞ্জলি ভরে আমাকে দিয়েছ ক্ষয় আমি গ্রহন করেছি ক্ষয়েছি একটু একটু করে… দেখো শিলাবতী নদীতীরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে রাঙা ফুল হয়ে ফুটে আছি… শিলাবতী নদী। সেদিন সুশান্ত অত করে না বললে হয়তো পরিচয় হোত না নদীটির সঙ্গে । আমার তখন পূর্ণ যৌবন, চোখে সানগ্লাস। যা দেখি তাতেই ভালোলাগার রঙ। মেদিনীপুরের গড়বেতায় আমাদের প্রতি শনিবার বসতো চক্ষুশিবির । আমি বাঁকুড়া মেডিকেল থেকে আসতাম। দুপুর থেকে […]
-
আলোক শিখামঞ্জু অনেকক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে। ভোর থেকে বিছানা ছেড়ে ঘরের কাজকর্ম কোনমতে কিছুটা শেষ করে এসে দাঁড়িয়েছে লাইনে। তার সামনে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে। কলকাতা থেকে নামকরা ডাক্তারবাবুরা আসবেন তাদের গাঁয়ের স্বাস্হ্য শিবিরে। গাঁ বলতে ছিটমহল। চলমেঘা। বাংলাদেশের গা ঘেঁসা বর্ডারে। জমিদারি দখলটা বাংলাদেশের। তবে ভারতীয় আইনযুক্ত সুযোগ-সুবিধেগুলো পায় তাদের গাঁয়ের লোকেরা। লোকজন বলতে মেরেকেটে দুশোর […]
-
মনের মানুষটাঅর্পির আজ মনটা ভীষণ খারাপ। ভেবেছিল আজ ওর একত্রিশতম জন্মদিনে শুভম অন্যন্য বারের মত ওকে বিছানায় থাকতেই ভোরবেলা ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ বলে উইশ করবে। কিন্তু বিছানায় তো দুরের কথা, অফিস যাবার আগে বাড়িতে বা অফিস গিয়েও যে কমপক্ষে ফোনে উইশ করবে, সারাদিনে তার কোন লক্ষনই নেই। অর্পি, মানে অর্পিতাকে, যাকে শুভমই বিয়ের পর থেকেই আদর […]
-
ধর্ষিতাফোনটা দুবার বেজে থেমে গেল। ঋষিতা ফোনের সামনে বসেছিল। সে ইচ্ছে করে রিসিভ করেনি। যত সব বাজে ফোন। কাকে দিচ্ছি , বয়স কত ,কত দেবেন – এরকম হাজার প্রশ্ন । একজন তো বলেই ফেলল ,না হয় দিলাম । আপনার উপকার হলো। তাহলে ও তো অর্থ দিয়ে দায়মুক্ত হতে পারবেন না। শুধু অর্থ দিয়ে কি অমূল্যধন […]
-
অকপটঃএকটি জীবন নাট্যমেয়েটি বাড়িতেই ছিল । হঠাৎ তার মোবাইল ফোনটা ঝনঝন শব্দে বেজে উঠলো । আর তার পর … মানালি : হ্যালো কি ব্যাপার ! এযে অবিশ্বাস্য , গায়ে চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছে করছে জেগে আছি নাকি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছি ? ফিরোজ : ন্যাকামো না করে সরাসরি বলবি হয়েছেটা কি ? মানালি : ন্যাকামোটাতো মেয়েদের সহজাত , ওটা ছাড়ি […]
-
নৈশ-ভ্রমণ(কৃষ্ণ বলদেব বৈদ – জন্ম ২৭ জুলাই’১৯২৭, ভিগা পাঞ্জাব। কয়েক বছর অধ্যাপনা করার পর ১৯৬৬ সালে উচ্চশিক্ষার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট। ১৯৮৫তে নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পদ থেকে অবসর নিয়ে ভোপালে ভারত ভবনের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১০ সালে ফিরে যান মার্কিন দেশে। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক আর সাহিত্য সমালোচনা গদ্যসাহিত্যের নানা মাধ্যমে স্মরণীয় কাজের […]
-
‘গল্পের সময়’-এর ৫ম বর্ষে আমরাএই দুহাজার একুশে‘গল্পের সময়’ এসে দাড়িয়েছে ঠিক সেই বিন্দুতে যা অতীত লগ্ন থেকে ভবিষ্যৎ অগ্রগমনের প্রাগ্রসর মুহূর্ত। কিছুটা পথ পেরিয়ে এসে এই একক কম্প্রমান দ্বীপের মতো মুহূর্তটিতে দাঁড়িয়ে প্রবহমান কালের অবিচ্ছিন্ন স্রোতকে যেন একবার বুঝে নেওয়া যায় হয়তবা। ‘গল্পের সময়’-এর দীর্ঘপথ অতিক্রণের কোনো মহিমান্বিত অভিজ্ঞতা নেই। সে পেরিয়ে এসেছে মাত্র চারটি বছর। আর এই চার […]
-
যীশু যেদিন ক্রশ-বিদ্ধ হয়েছিলেন[রুশীয় গল্প ‘On the day of Crucifixion’-এর অনুবাদ। গল্পটি অনুবাদ করেছেন কুমারেশ ঘোষ] যে অভিশপ্ত দিনে, ধর্মগুরু যীশুখ্রীষ্টকে অন্যায় ভাবে অন্যান্য খুনী বদমায়েসদের সঙ্গে গলগথা শহরে ক্রশে বিদ্ধ করা হয়েছিল – সেইদিন সকাল থেকে জেরুজালেমের এক ব্যবসাদার, নাম তার বেন-টবিন ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলো দাঁতের যন্ত্রণায়। আগেরদিন থেকে যন্ত্রণা শুরু হয়। প্রথমে আক্কেল দাঁদের পাশের দাঁতটা, […]
-
ঐক্য-বাক্য-নাট্যপ্ল্যাটফরম যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে কিছুটা এগোলেই লেভেল ক্রশিং। লেভেল ক্রশিং পেরিয়ে একটা ধূলো ভরা ঢালু রাস্তা এঁকে বেঁকে এগিয়ে বাজার চত্বর পেরিয়ে কিছুটা উঠে যেখানে বড়ো রাস্তায় পৌঁছোল ঠিক সেখানেই একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের এই চায়ের দোকান। মণিদার চায়ের দোকান নামে এর পরিচয়। মণিদা নেই। তাঁর ছবি আছে দোকানে। দোকান চালায় মণিদার […]
-
শ্যামাপোকাঅনেক সময় অনেক কারণেই মানুষ তাঁর নাম হারিয়ে ফেলেন। আমার ঠাকুমাকে তো জ্ঞান হওয়া ইস্তক শুনছি সবাই ডাকে – ব্যালার মা । বেলা আমার বড় পিসির নাম। আর এই বেলাই লোকমুখে ব্যালা। গল্পে শোনা, আমার ঠাকুমা তাঁর ছেলেপুলেদের নিয়ে সেই মেঘনা নদীর পার ছেড়ে গোয়ালন্দগামী স্টিমারে চেপে বসেন ১৯৫৮ সালে, তারপর ট্রেনে দর্শনা ও এ […]
-
অংশহরপ্রথম পর্ব ওয়েস্ট এন্ড পার্কের যে ৫০ বছরের বাড়িটা থেকে আমরা মাস তিনেক আগে উঠে আসি, সেটা ১৯৬৭ সালের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতিতে আমার দাদু শ্রী সুবোধ চন্দ্র চক্রবর্তী তৈরি করেছিলেন। আসাম থেকে একপ্রকার পালিয়ে এসে। বংগাল খেদা ‘আন্দোলন’-এর শিকার হয়ে। আমি তারও ১৭ বছর পর ওখানে জন্মাই। সে অর্থে ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আমার মাদার পাড়া। ‘বাম’ […]
-
রবীন্দ্রনাথ ও লালন ফকির[বর্তমান প্রবন্ধটি দেবাশিস মুখোপাধ্যায় (দে মু) তৈরি করেছিলেন সুধীর চক্রবর্তীর একটি বক্তৃতাকে ভিত্তি করে। সমগ্র বক্তৃতাটি ইন্দুমতী সভাগৃহে বসে রেকর্ড করেছিলেন দেবাশিস বাবু। পরবর্তীতে এটি নন্দন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল বছর পনেরো আগে। সুধীর চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের অনুমতি ক্রমে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেই বক্তৃতার সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ করা হল।] রবীন্দ্রনাথ ও লালন ফকির – নাম […]
-
রাজনীতির অনুষঙ্গে বিমল করের গল্প/প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদরাজনীতির আলোতে দেখার জন্য বিমল করের চারটি গল্প মুখ্যত গ্রহণ করা হয়েছে। অতি পরিচিত গল্পগুলি এই তালিকায় অনুপস্থিত।তাঁর পঞ্চাশটি স্বনির্বাচিত গল্পে অবশ্য এই চারটি গল্পই আছে।ঐ সংকলনের ভূমিকায় লেখক মন্তব্য করেছেন , “ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, এই পঞ্চাশটি গল্পই লেখকের পক্ষ থেকে যথেষ্ট।এর বেশি নাই বা থাকল।লেখক তাঁর চয়নে রাখায় এই গল্পগুলি লেখক-মানসে স্বতন্ত্রভাবে বেঁচেছিল […]
-
পান্থজনের সখাগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে যখন হঠাৎ করেই জীবনবীমা নিগমে একটা চাকরি পেয়ে গিয়েছিলাম তখন তার নিরাপত্তা ও নানারকম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চেনামহলে একটা ধন্য ধন্য রব উঠেছিল। কিন্তু সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে একটা সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাজে মন বসানো বড় কঠিন। ইচ্ছের বিরুদ্ধে সেই মরুভূমিতে পথ হাঁটার সংকটকালে মরুদ্যান বলতে ছিল জীবনবীমা নিগমের পূর্বাঞ্চলীয় […]
-
এইসব দিনরাত্রি পেরিয়ে যেতে যেতে…আজ এই দুহাজার একুশের সকালবেলায় ‘গল্পের সময়’ এসে দাড়িয়েছে ঠিক সেই বিন্দুতে যা অতীত লগ্ন থেকে ভবিষ্যৎ অগ্রগমনের প্রাগ্রসর মুহূর্ত। কিছুটা পথ পেরিয়ে এসে এই একক কম্প্রমান দ্বীপের মতো মুহূর্তটিতে দাঁড়িয়ে প্রবহমান কালের অবিচ্ছিন্ন স্রোতকে যেন একবার বুঝে নেওয়া যায় হয়তবা। ‘গল্পের সময়’-এর দীর্ঘপথ অতিক্রণের কোনো মহিমান্বিত অভিজ্ঞতা নেই। সে পেরিয়ে এসেছে মাত্র চারটি বছর। […]
-
উজিতপুরের মাঠ পেরিয়ে‘খবর্দার! তুমি ওদিকে যাবে না। এই না বলছি তো না। যাবে না, যাবে না, যাবে না।’ – শ্যামলী চোখ পাকিয়ে আমাকে বলল। বউয়ের বারণ। আমি পাজামার ওপর বিনা গেঞ্জিতে হাফ পাঞ্জাবি গলিয়ে সবে দরজা খুলে বেরিয়েছি, জানালা দিয়ে ওই বাঘিনীর গর্জন। আমি উজিতপুরের মাঠের দিকের রাস্তা না ধরে রেল স্টেশনের গ্যাঞ্জামের দিকের সড়কটি ধরলাম। পাখি […]
-
অমানুষবিজ্ঞাপনটা চোখে আসতেই নিজেকে মনে মনে প্রস্তুত করতে শুরু করেছিল রতন। চাকরিটা চিড়িয়াখানায়। সরাসরি যোগাযোগের কথা বলা আছে। বিশেষ কিছুই বলা নেই। শুধু সুস্থ সবল চেহারার অধিকারী হতে হবে। মাপজোক যা দিয়েছে তাতে বেশ দস্যুমোহন গোছের স্বাস্থ্য দাবি করেছে। রতনের সবই আছে। ‘ঐটাও’ বেশ বড়। হ্যাঁ, বলা আছে, ‘ঐ’টার কথাও। এবং মোটামুটি একটা মাপের ধারণাও […]
-
এক বাঘের মাসিগাড়ি থেকে নামতেই হাড়কাঁপানো শীতটা গালে চড় কষিয়ে দিল। সোয়েটারের ওপরে উইনচিটারের চেন টেনে দুই হাত ঘষতে থাকলো সুনীল। সবার শেষে গাড়ি থেকে নেমে আঁতকে ওঠে। মাফলার টাইট করে বলল, ‘’কিরে মনোজ, তুই যে কাল বললি গরুমারায় ঠাণ্ডা বেশ কম। এই তার নমুনা ? আমার তো মনে হচ্ছে এক্ষুনি বরফ পরবে। এর চেয়ে সান্তালেখোলার শীত […]
-
গোরা গোয়েন্দাআমার বাল্যবন্ধু গোরক্ষনাথ সেন ওরফে গোরার সাথে আপনাদের পরিচয় ঘটে নি। সে ডিটেকটিভ হতে চায়। ঘরময় বাংলা-ইংরেজী গোয়েন্দা গল্পের বই। সারাদিন সে ওসব নিয়েই চর্চা করে। সংসারে তার খাওয়া-পরার দুশ্চিন্তা করতে হয় না। বছর দুয়েক হল, চাকরীর পরীক্ষা দেওয়ার নাম করে সে একটা ঘর ভাড়া নিয়েছে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে। সেখানে একা-ই থাকে। বাড়িতে বলেছে […]
-
কারচুপিরমেনবাবু নিজের দামি হাতঘড়িতে সময়টা দেখলেন। ঠিক সন্ধ্যে ছটা। সাড়ে ছটা থেকে পড়ানো শুরু করতে হবে। ঠিক সন্ধ্যে সাড়ে ছটা। দেরি হলে মুশকিল। তবে এখনও কেউ এসে পৌঁছল না কেন? রমেনবাবু ভাবলেন, “যাক গে! দুজন এলে দুজনকে নিয়েই পড়ানো শুরু করে দেব।” না, একটু ভুলই ভেবে ফেলেছিলেন তিনি। পাঁচ মিনিট পর থেকেই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা […]
-
গল্পের সময় ।। উৎসব সংখ্যা, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর, ২০২৫ ।। ৯ম বর্ষ‘গল্পের সময়’এ আপনাকে স্বাগত।এই মুহূর্তে যা বর্তমান,পরক্ষণেই তা অতীত। এভাবেই একের পর এক যুগ,বছর,কাল সময় পেরিয়ে চলেছি আমরা। এমন করেই ইতিহাসের হাত ধরে কখনও প্রিয়জনের বিয়োগে ভারাক্রান্ত হয়ে আবার কখনও বা নতুন করে কোনও ভালবাসায় আপ্লুত হয়ে এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখে মানুষ। আমাদের এই নিরন্তর পথ চলার ফাঁকেই কখনও বিষণ্ণ ছায়াময় হয়ে আবার কখনও […]
-
আগে বললেই হতোধিনিকিস্টকে পাড়ার সবাই খুব সমীহ করে চলে । সমীহ মানে ভয়মিশ্রিত সমীহ বললেই বোধহয় ঠিকঠাক হয় । তার অনেক কারণও আছে । একটা টাইট গেঞ্জি আর বারমুডা পরা লোকটা যখন পাড়ার মধ্য দিয়ে দুলকি চালে ডিগডিক আওয়াজ তুলে বুলেট চালিয়ে যায় তখন পাঁচটা লোক দূর থেকে হাঁ করে দেখে । হ্যাঁ , দেখার মতোই বটে […]
-
যমালয়ের দরবারে— চিত্রগুপ্ত, কখন থেকে ডাকছি তোকে। আসতে এত সময় লাগে কেন? যমরাজ হুঙ্কার ছাড়েন। — আজ্ঞে হ্যাঁ মহারাজ এই তো এসে গেছি। আসলে আজ খুব কাজের চাপ, অনেকগুলো বডি এসেছে কি না। সব দেখে শুনে পাঠাতে হচ্ছে। তার ওপর মর্ত্যে এখন করোনায় কত কত লোক প্রাণ হারাচ্ছে। সেইসব মৃত দেহ আনতে অনেক ঝামেলা। পি পি […]
-
ঝগড়ার পরবর্তী অংশ– “যদি বাঁচতে চান তো এখনও ভালোয় ভালোয় সত্যি কথাটা বলে দিন। দেখে তো ভদ্রলোক বলেই মনে হচ্ছে। জেলের ঘানি টানাটা কি খুব সুখকর হবে?”…চোখের কোণ দিয়ে তাকাল ডিউটি অফিসার।দৃষ্টিতে পরিষ্কার অবিশ্বাস ফুটে উঠেছে। – “আমি সত্যিই কিছু জানিনা স্যার।আপনাকে তো বললাম, আমার কিছুই মনে পড়ছে না।” – “পড়বে, পড়বে। এখন শুধু মুখে জিজ্ঞেস করছি […]
-
প্রেমের গল্প সংখ্যা- লেখা পাঠান‘গল্পের সময়’ প্রেমের গল্প সংখ্যা গল্প ১৫০০ শব্দের মধ্যে হলে ভাল হয়। গল্প পাঠান ৭ ফেব্রুয়ারি’২০২১-এর মধ্যে। অভ্র বাংলায় টাইপ করে মেল করুন galpersamay@gmail-এ। অবশ্যই ১ লাইনের পরিচিতি সহ প্রকাশযোগ্য ছবি পাঠান। লেখা পাঠানোর জন্য সকলেই গল্প পাঠাতে পারেন। ভাল গল্প প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। লেখা অভ্র তে বাংলা টাইপ করে ওয়ার্ড-এ পাঠান। পিডিএফ করে পাঠাবেন […]
-
অন্তমিল বাকিঅন্ধকার আকাশটা আজ ভালো দেখা যাচ্ছে না। কিছু তারা আকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটা ধোঁয়ার মত অস্পষ্টতা জাল বিছিয়ে রেখেছে। উঁচু ঢিবিটার উপর শুয়ে আছি আকাশের দিকে তাকিয়ে। মাঝেমাঝেই এখানে আসি। বিশেষকরে মনের ওপর কোনো পাথর চেপে বসলে এই আকাশ আমার ব্যর্থতাকে অনেকটা ভাগ করে নেয়। জামা প্যান্টের পেছনটা ভিজে গেছে, ঘাসের উপরের জল এখনো […]
-
আগামসামনে তাকিয়ে নাটুকে দেবু একেবারে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল। তার ছেলে এখানে কী করছে! ওই মৃতদেহের পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে ও ভাবে কাঁদছে কেন ও! কে মারা গেছে! ও ভাবে কাঁদছে মানে তো যে মারা গেছে, সে ওর অত্যন্ত কাছের কেউ। আর ওর কাছের মানে তো তারও কাছের! কিন্তু কে উনি! খানিক আগে লেবু চা […]
-
কেতাবিবইপোকারা অজয়দের বাড়িতেই থাকে বলে পাড়ার লোকেরা বিশ্বাস করত।সাত শরিকের বাড়িতে গজিয়ে ওঠা পুরোনো ধাঁচের পরিবারতন্ত্রে লেখক না থাকলেও ঠাকুরদার আমলের বৈঠকখানার আলমারির ঠাসা বই যে বাড়ির সব সদস্যরাই আগ্রাসী পাঠকের মতন গোগ্রাসে গিলেছেন এ নিয়ে দুর্গানগরের মতন সুদূর আধা মফঃস্বল শহরের লোকেদের কোন সন্দেহ ছিল না, আর তাই তারাঐ দত্ত বাড়িকে ‘বইপোকাদের -বাড়ি ‘ […]
