স্বাগত ১৪২৯। অনুভবী পাঠক, মরমী মনস্বী লেখক আর যাঁরা আমাদের সকল সময়ের ভাবনাসঙ্গী, আজ চোদ্দোশো উনত্রিশে ‘গল্পের সময়’-এর পক্ষ থেকে সকলকে ভালবাসা অভিনন্দন। ‘গল্পের সময়’ গল্প ও সাহিত্য বিষয়ক লেখালিখির একটি প্ল্যাটফর্ম। তাতে ভবিষ্যতে লেখা পাঠানোর আমন্ত্রণ রইল।‘গল্পের সময়’এর কথা প্রিয়জন,বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জনের কাছে পৌঁছে দিলে ভাল লাগবে। ।। গল্পের সময়।। গোটা বিশ্বের বাঙালির গল্পের […]
বাকিটা পড়ুন...অতসীপিসী আমার দূরসম্পর্কের পিসীমা ছিলেন। তাঁর ছোটভাইয়ের সংসারে তিনি প্রায় গোটা জীবনটাই কাটিয়েছিলেন । তাঁকে কোনোরকম অশ্রদ্ধা বা অসন্মান করার ক্ষমতা কারো ছিলনা। এই উচ্চাসন তিনি নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেছিলেন। প্রখর ব্যক্তিত্বময়ী মৃদুভাষী এই মানুষটি আমার মাকে ভীষণ ভালোবাসতেন ।আমার মায়ের থেকে বয়সে অনেকটা বড়ো হলেও নিজের মনের সব কথা বলতেন। নব্বই বছর পেরিয়ে যখন […]
বাকিটা পড়ুন...পরশুরাম সন্ধে থেকে ক্রমাগত গুঁড়ো গুঁড়ো বরফের বৃষ্টিতে চারিদিক সাদা হয়ে এসেছে । এখন বোধহয় রাত দশটা হবে। ডিসেম্বরের শীতের রাত, ঘোলাটে আলোয় আলোকিত রাস্তা নিঝুম । কিছুক্ষণ আগেই পলাশ ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলেছে। এমন নয় যে হঠাৎ উত্তেজনার বশে এমন কাজটা ও করে ফেললো । বরং উলটোটাই সত্যি। মাসের পর মাস পরম প্রিয়জনের রোগশয্যার পাশে […]
বাকিটা পড়ুন...সবে স্কুলের গণ্ডী পেরিয়েছি । সত্তর দশকের প্রথম ভাগ । বঙ্গে তখনও দূরদর্শনের পদার্পণ ঘটেনি । রেডিও ছিল অনেক বাড়িতে । সাত পড়ুয়ার পাঠে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় রাহা বাড়িতে রেডিও স্থান পায়নি । সেই একান্নবর্তী বাড়ির দুই ক্ষুদেকে প্রাইভেট পড়াবার দায়িত্ব পেলাম আমি। ছাত্রদের পরিবারে ছিল তিন ভাই আর বাল্যবিধবা তাদের বড়দি। সঙ্গে তো ছিলই […]
বাকিটা পড়ুন...বলাকা বলেছিল “বন্ধুর বিয়ে, অনেকটা দূর। পৌঁছে দেবে? ফেরার সময় আসতে হবে না, বন্ধুদের সঙ্গে চলে আসব।“ সুমন ‘হ্যাঁ’ ‘না’ কিছু বলেনি। কারণ বলাকা জানত এর উত্তর ‘না’ হয় না। রিকশা থেকে নেমে বলাকা উজ্জ্বল পোশাকে আলোকিত তোরণ দিয়ে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো। একটু গিয়ে পিছন ফিরে দেখলো, সুমন তখনও দাঁড়িয়ে, টিমটিমে ল্যাম্প পোস্টের আলোয়, […]
বাকিটা পড়ুন...ট্রেনে নয় লাক্সারি বাসে চলেছি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে। সাথী ত্রিরিশ জন। কপালগুণে বাসের পেছনে পড়েছিল আমার সিট। আমার দুটো সিট আগে বসেছিল বছর কুড়ির এক তরুণী তার বাবার সঙ্গে। চা-জলখাবারের জন্যে মাঝে একবার বিরতি দেওয়ায় অন্যান্ন সহযাত্রী সহ ওই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ হয়। মেয়েটি সবেমাত্র কম্পুউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করে টিসিএসে যুক্ত হয়েছে। কথাবার্তায় […]
বাকিটা পড়ুন...– ইন্টারভিউ তো দিলেন। এবার বলুন কেমন লাগল আমার মতন বাচ্চা আনকোরা একটা মেয়ের প্রশ্ন? – দারুণ! ও না না, এখন তো এসব বাংলা বললে চলবে না। কি যেন চলছে শব্দটা! ও হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়েছে অ-সাম! ঠিক বললাম তো? – একদম। আপনি এই বয়েসেও এত আপ টু ডেট থাকেন কি করে? আপনার ঐতিহাসিক উপন্যাস […]
বাকিটা পড়ুন...রাত আড়াইটে। ঘরে এসে বিল্টু খবর দিল, “ঠাম্মি, এইবার শিগগির চলো! লাইট নিভে গেছে।” শুনে সবাই হৈ হৈ করে উঠল। “চলো, চলো…এখনই চলো।” বিল্টুর ঠাম্মি, অর্থাৎ ঐন্দ্রিলা দেবী হাত তুলে শান্তভাবে চোখ, মুখ নাচিয়ে বললেন, “দাঁড়া বাছা! এখনই কী?! এখনও সময় হয় নি। আরও কিছুক্ষণ যাক। রস জমুক।” তারপর বিল্টুকে তাড়া দিয়ে বললেন,”তুই শুতে যা […]
বাকিটা পড়ুন...দুপুর গড়িয়ে গেলে বিষ্টুদের পুকুরঘাটে বাসন মাজতে বসে বহ্নি। আর এইসময় নিজের কথাকে কারুকাজ করে নিতে আসে কবি কৌরব। বহ্নির কারুকাজ বলতে লেখাগুলোকে বাইরের লোকের কাছে বরাত পাইয়ে দেওয়া। বাইরের মানুষের সাথে বহ্নির অনেক যোগাযোগ। আজ ওর এঁটো পাতিলের ওপর টুপ করে কী যেন একটা পড়ল। -“দলা পাকিয়ে কী ফেলছ দেখি?” দেখল তারই দেওয়া সাদা […]
বাকিটা পড়ুন...|| ১ || সাবওয়ে দিয়ে চিরকালের অভ্যাসের মতো দুটো করে সিঁড়ি টপকে টপকে প্লাটফর্মে উঠে একটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে বসে হাঁফাতে লাগলো শুভ | রবিবার সকালে ঘুমটা যেন ভাঙতেই চায় না | অগত্যা এই তাড়াহুড়ো ! নাহ্ ! লেট হয় নি | সাড়ে দশটার গ্যালোপিং বর্ধমানটা পেয়ে যাবো | – ভাবতে ভাবতে চশমাটা খুলে নিয়ে […]
বাকিটা পড়ুন...জীবনে চলার পথে আর পাঁচজনের মতো প্রতিভারও জীবন থেকে অনেক মুখ হারিয়ে গেছে বা কুয়াশাবৃত হয়েছে।তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার হৃদয়ের টুকরোও বটে। কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়তেই যেমন তুমুলভাবে নাড়িয়ে দিল প্রতিভাকে, তার সন্তানের পিতা রণজয়কে ছিনিয়ে নিয়ে।পঁয়ত্রিশের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে একমাত্র সন্তান এলিজাকে নিয়ে তার জীবন এক অজানা প্রবাহের মাঝখানে, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একটু […]
বাকিটা পড়ুন...সালটা ৭১ কি ৭২। গোটা দেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ডামাডোল। কালোবাজারির দাপটে নাভিশ্বাস। এরকম একটা সময়ে মফস্বলের এক বাড়িতে চিঠিটা এলো। বাইরের ঘর, মাঝের ঘর, ভাঁড়ার ঘর, ঠাকুর ঘর পেরিয়ে উঠোন লাগোয়া নতুন ঘরে আমার ছোটকা মানে এ বাড়ির ছোট ছেলে, সেটা এনে দিলো ঠাকুমাকে। ঠাকুমা চিঠিতে চোখ বুলিয়েই শুরু করলেন হাঁউমাঁউ। সেই চিৎকারে রান্নাঘর থেকে […]
বাকিটা পড়ুন...এই দুহাজার বাইশে ‘গল্পের সময়’ এসে দাড়িয়েছে ঠিক সেই বিন্দুতে যা অতীত লগ্ন থেকে ভবিষ্যৎ অগ্রগমনের প্রাগ্রসর মুহূর্ত।কিছুটা পথ পেরিয়ে এসে এই একক কম্প্রমান দ্বীপের মতো মুহূর্তটিতে দাঁড়িয়ে প্রবহমান কালের অবিচ্ছিন্ন স্রোতকে যেন একবার বুঝে নেওয়া যায় হয়তবা।‘গল্পের সময়’-এর দীর্ঘপথ অতিক্রমেরর কোনো মহিমান্বিত অভিজ্ঞতা নেই।সে পেরিয়ে এসেছে মাত্র পাঁচটি বছর।আর এই পাঁচ বছরের দিনপঞ্জীর পাতায় […]
বাকিটা পড়ুন...‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’ – কবির এহেন অনুভবের সঙ্গে একমত নন এমন লেখক সম্ভবত নেই। কাহিনী বা কিস্সার খোঁজে কোথায় না কোথায় যেতে হয় তাঁকে। দেশভাগ হোক বা মুক্তিযুদ্ধ, দাঙ্গা হোক বা নদী ভাঙন – গল্পের পটভূমি হতে পারে সবই। সময়ের সঙ্গেই লেখার প্রয়োজনে নিষিদ্ধপল্লী থেকে নির্জন সমুদ্র […]
বাকিটা পড়ুন...বাংলার হাজার হাজার পত্র-পত্রিকার মত ‘গল্পের সময়’ও একটি লিট্ল ম্যাগাজিন। কাগজ ও কালিতে ছাপার বদলে এর বিচরণ অর্ন্তজালে,পার্থক্যটা এখানেই। অনান্য লিট্ল ম্যাগাজিনের মতই বেঁচে থাকতে,পথ চলার রসদ জোগাতে বিজ্ঞাপন গ্রহন করবে গল্পের সময়। তবে সচেতনভাবে লোক ঠকানো কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে না এই পত্রিকার পাতায়।
ভাল গল্পের ডালি নিয়ে অর্ন্তজালে ভেসে ভেসে বহু মানুষের কাছে পৌঁছোতে চায় ‘গল্পের সময়’। আমাদের সঙ্গী হয়ে আপনার প্রতিষ্ঠান, প্রকাশন সংস্থা, ব্যক্তিগত বই বা অন্য কোনও উদ্যোগের বিজ্ঞাপন অনেকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন আপনি। বাণিজ্যিক প্রকাশন সংস্থার মিনিট সেকেন্ডের টাইমফ্রেম বা স্কোয়ার-সেন্টিমিটারের চোখরাঙানি নেই। গোটা মাস/বছর ধরে ২৪X৭ লাইভ রাখুন আপনার বিজ্ঞাপন।
আকাশছোঁয়া মূল্য নয়, নামমাত্র খরচে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ থাকছে গল্পের সময়ে। বিজ্ঞাপন দিন সরাসরি ওয়েব লিঙ্ক অথবা তৈরি পেজ-এর মাধ্যমে। আরও বিস্তারিত জানতে চলে আসুন আমাদের বিজ্ঞাপনের পাতায়। প্রয়োজনে মেইল করুন galpersamay@gmail.com এ।
email:galpersamay@gmail.com
Twitter
Facebook
Google