[প্রকাশিত হল ‘গল্পের সময়’ উৎসব সংখ্যা ২০২৩-এর প্রথম পর্ব। এই আয়োজনে সামিল হয়েছেন নবীন ও প্রবীণ গল্পকারেরা। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ পাবে উৎসব সংখ্যার দ্বিতীয় পর্ব।তখন একযোগেই সবকটি গল্পই পাঠ করতে পারবেন পাঠকেরা।]
বাকিটা পড়ুন...(১) সেদিন বাজারে হঠাৎ পেছন থেকে কাঁধে হাত দিয়ে একজন বলল, আরে সিধু না ! কেমন আছিস । আমি ভাল করে দেখেও ঠিক চিনতে পারলাম না । আমার মতই দোহারা চেহারা । মুখে একটা ধুর্ত ধুর্ত ভাব । সে কিন্তু অতি পরিচিতের মত হাসতে লাগল । তুই-তোকারি করছে যখন – ছোট বেলার বন্ধু বা অতি […]
বাকিটা পড়ুন...নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড বোধহয় এসে গেছে । লোক্যাল বাসের কন্ডাক্টর আর ক্লিনারদের শোরগোল আর চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে প্যাসেঞ্জার জোগাড় করার আওয়াজ হিরণ্ময় গাড়ির ভেতর থেকেই শুনতে পেলেন । এখানে ভলভো বাসের স্ট্যান্ডটা চালু লোকাল বাসের লেনগুলো ছাড়িয়ে সামান্য দূরে, বড়ো শেডটার শেষ প্রান্তে । যেন নীচুজাতের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে আলগা, দূরে দূরে থাকা ! ইউনিভারসিটির ড্রাইভার ছেলেটা লোকজন […]
বাকিটা পড়ুন...(১) বেশিদিন নয়, এক বছর পুরতে আরও মাস চারেক বাকি ছিল। এই ক’মাসের খাপছাড়া সংসার। চুকিয়ে দিয়ে যখন বেরিয়ে আসে কেউ, টান পড়ে কি কোথাও। পড়লেও সে টান পোক্ত নয়। উপড়ে ফেলতে তেমন কষ্ট কিছু হবার কথা নয়। দুটো ট্রলি, বড় হাতব্যাগটা আর একটা ল্যাপটপ। বেরিয়ে এসে দরজাটা টেনে দিলেই খচ করে মসৃণ শব্দে একটা […]
বাকিটা পড়ুন...চোস্তা আর হাফ হাতা পাঞ্জাবি গায়ে গলাতে গলাতে কৌশিকের হঠাৎ চোখে পড়ল, এ দেয়াল সে দেয়ালে বড় বড় ফ্রেমে বাঁধানো একের পর এক ছবি। ফ্রেমগুলোর ফাঁকফোকর থেকে চুন সুরকি খসে খসে দাঁত-মুখ বেরিয়ে আসা দেখে তার মনে হল, এগুলো ঢাকার জন্যই বুঝি এই ফ্রেমগুলো এখানে টাঙানো হয়েছে। কিন্তু ছবিগুলো এ রকম কেন! ছবিতে গাছ আছে। […]
বাকিটা পড়ুন...কোর্ট থেকে বেরিয়ে দুজন দুদিকে হাঁটা লাগালো। আর্য একবার মুখ ঘুরালো , বীথি উঠে যাচ্ছে সাদা বাসে। ও এখন চলে যাবে সলপ । আশা করেছিল আর্য একবার যদি তাকায় বীথি। কিন্তু না, বীথি সোজা উঠে গেল বাসে। ভীড় সাঁতরে বেরিয়ে যাচ্ছে বাসটা দক্ষ সাঁতারের মতো। চকিতে মনে পড়ে গেল কোচিংয়ের দিনগুলোর কথা। দুজনেরই মা জেনে […]
বাকিটা পড়ুন...তার পদবি কি সে জানে না। তার বাপ কে সে জানেনা ! মায়ের নাম ছিল একটা, লোকে ডাকতো হেমা বলে। ধর্ম কি তাও সে জানে না। মন্দিরে সে যায় ফিরিতে পোসাদ খেতে আর না হয় সুযোগ বুঝে চুরি চামারি করতে, মসজিদে গেলে তাকে ভাগিয়ে দেয় – ‘ভাগ ! তুই তো মুসলমান না !’ বলে। সে […]
বাকিটা পড়ুন...যমজ ভাই নয়। দেখতে একই রকম নয়।উচ্চতা এক নয়।একজন বেশ ফরসা, একজনের গায়ের রঙ মাজামাজা।হেয়ার স্টাইলটাই যা খতিয়ে দেখা হয় নি, নচেৎ মনে পড়ছে না।সংশয়াপন্ন। কিন্তু ভুল নেই-একজনের বাস তিলাইয়ায়, অন্যজনের নিউটাউনে।স্বভাবও এক নয়, না, না !এতো দ্রুত সে কথাটা বলতে পারছি না। গোলমাল ঠিক এখানেই। হঠাৎ দেখা গেল দুজনের ভীষণ মিল। এমনকি দুজন না […]
বাকিটা পড়ুন...নিতাই জ্যাঠা সন্ধ্যাবেলা যখন হাঁক পাড়লো “কইগো সব গেলে কোথায়?”, আমরা যত কচিকাঁচার দল ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে এলাম। তার ঠিক একটু আগেই ঝপ করে লোডশেডিং হয়ে চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, যা সেইসময়ের নিত্য ঘটনা ছিল । মা তখন একহাতে মাথার ঘোমটা আরেকহাতে হ্যারিকেন সামলাতে সামলাতে বেরিয়ে এসেছে, পেছন পেছনে আমরা। দেখি নিতাইজ্যাঠা মাথায় বিরাট ছাতা […]
বাকিটা পড়ুন...একটা ভালো গল্পের জন্ম হয় কিন্তু তার মৃত্যু নেই,এমনটাই বিশ্বাস আমাদের। একটা ভালো গল্প একজন পাঠকের বুকের ভেতর বেঁচে থাকে চিরকাল। সেই পাঠকের হাত ধরেই তা পৌঁছে যায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। এমনভাবেই তো হাজার বছর আগের গল্প আজও শুনে চলেছি আমরা। আমরা চাই একটা ভালো গল্প উন্মুক্ত হোক বহু পাঠকের কাছে। গভীর যত্নে, মমতায় প্রাণ […]
বাকিটা পড়ুন...এই দুহাজার তেইশে ‘গল্পের সময়’ এসে দাড়িয়েছে ঠিক সেই বিন্দুতে যা অতীত লগ্ন থেকে ভবিষ্যৎ অগ্রগমনের প্রাগ্রসর মুহূর্ত। কিছুটা পথ পেরিয়ে এসে এই একক কম্প্রমান দ্বীপের মতো মুহূর্তটিতে দাঁড়িয়ে প্রবহমান কালের অবিচ্ছিন্ন স্রোতকে যেন একবার বুঝে নেওয়া যায় হয়তবা।‘গল্পের সময়’-এর দীর্ঘপথ অতিক্রমেরর কোনো মহিমান্বিত অভিজ্ঞতা নেই। সে পেরিয়ে এসেছে মাত্র ছয়টি বছর। আর এই ছয় […]
বাকিটা পড়ুন...‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’ – কবির এহেন অনুভবের সঙ্গে একমত নন এমন লেখক সম্ভবত নেই। কাহিনী বা কিস্সার খোঁজে কোথায় না কোথায় যেতে হয় তাঁকে। দেশভাগ হোক বা মুক্তিযুদ্ধ, দাঙ্গা হোক বা নদী ভাঙন – গল্পের পটভূমি হতে পারে সবই। সময়ের সঙ্গেই লেখার প্রয়োজনে নিষিদ্ধপল্লী থেকে নির্জন সমুদ্র […]
বাকিটা পড়ুন...বাংলার হাজার হাজার পত্র-পত্রিকার মত ‘গল্পের সময়’ও একটি লিট্ল ম্যাগাজিন। কাগজ ও কালিতে ছাপার বদলে এর বিচরণ অর্ন্তজালে,পার্থক্যটা এখানেই। অনান্য লিট্ল ম্যাগাজিনের মতই বেঁচে থাকতে,পথ চলার রসদ জোগাতে বিজ্ঞাপন গ্রহন করবে গল্পের সময়। তবে সচেতনভাবে লোক ঠকানো কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে না এই পত্রিকার পাতায়।
ভাল গল্পের ডালি নিয়ে অর্ন্তজালে ভেসে ভেসে বহু মানুষের কাছে পৌঁছোতে চায় ‘গল্পের সময়’। আমাদের সঙ্গী হয়ে আপনার প্রতিষ্ঠান, প্রকাশন সংস্থা, ব্যক্তিগত বই বা অন্য কোনও উদ্যোগের বিজ্ঞাপন অনেকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন আপনি। বাণিজ্যিক প্রকাশন সংস্থার মিনিট সেকেন্ডের টাইমফ্রেম বা স্কোয়ার-সেন্টিমিটারের চোখরাঙানি নেই। গোটা মাস/বছর ধরে ২৪X৭ লাইভ রাখুন আপনার বিজ্ঞাপন।
আকাশছোঁয়া মূল্য নয়, নামমাত্র খরচে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ থাকছে গল্পের সময়ে। বিজ্ঞাপন দিন সরাসরি ওয়েব লিঙ্ক অথবা তৈরি পেজ-এর মাধ্যমে। আরও বিস্তারিত জানতে চলে আসুন আমাদের বিজ্ঞাপনের পাতায়। প্রয়োজনে মেইল করুন galpersamay@gmail.com এ।
email:galpersamay@gmail.com
Twitter
Facebook
Google